পায়ের নখের যত্নে যা জানা প্রয়োজন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাতের নখের দিকে সময়ে সময়ে নজর দেওয়া হলেও, পায়ের নখ যেন পায়ের মতোই অবহেলায় রয়ে যায়।

বিশেষত যাদের নিত্যদিন বাইরে চলাচল করা প্রয়োজন হয়, তাদের ক্ষেত্রে পায়ের নখের যত্ন নেওয়া বেশি জরুরী। বাইরে থেকে ফিরেই পা ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার সাথে নজর দিতে হবে পায়ের নখের দিকেও। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনগুলোতে নখে কাদা লেগে যায়, এছাড়া ধুলাবালি নখের ভেতর প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত। দীর্ঘদিন পায়ের নখ অপরিষ্কার রাখা হলে নখে জীবাণু জমে ফাঙ্গাস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে নখ নষ্টও হয়ে যেতে পারে। তাই জেনে রাখা প্রয়োজন পায়ের নখের যত্নে কী করতে হবে।

১. পায়ের নখ ছোট রাখতে হবে। নেইলকাটার মেশিন দিয়ে সপ্তাহে অন্তত একদিন নখ কাটতে হবে। যদি নখ বড় হতে থাকে, তাহলে এর ভিতরে জীবাণু জমে নখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও হাঁটতে গিয়ে নখে আঘাত পেলে নখ নষ্ট হয়ে যায় বা মরে যায়। নখ ছোট থাকলে নখে ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

২. প্রতিদিন জুতা বা ফ্লোর থেকে নখে ময়লা জমতে পারে। তাই প্রতিদিন গোসলের সময় ও ঘুমানোর পূর্বে নখ হালকাভাবে হলেও পরিষ্কার করতে হবে। একটি ছোট ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে, যা নখের স্বল্প গভীরের ময়লা পরিষ্কার করতে পারবে, এতে জীবাণু জমবে না ও নখে ইনফেকশন হবেনা।

৩. নখ কাটার সময় আঙ্গুলের সাথে মিল রেখে কাটতে হবে, আঙুলের মাংসের নিচে যেন না আসে এবং নখের কোণাগুলো গোল আকৃতি হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে নখ শক্ত থাকবে এবং কোনাগুলো ধারালো হবে না।

৪. নখ কাটার পরে নখের ধার কমাতে এমারি বোর্ড ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে পায়ের নখ ঘষার সময় সামনের দিকে কোনার অংশ থেকে নমনীয়ভাবে ঘষতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, এটি বেশি পুরনো ও ধারহীন যেন না হয়। এতে নখের আকার নষ্ট হয়ে যাবে।

৫. পায়ে পানি লাগলে বা পা ধোয়ার পর দ্রুত শুকাতে হবে। কারণ ভেজা থাকলে নখ নরম হয়ে যায়। এতে সহজেই ভেঙ্গে যেতে পারে।

৬. পা পরিষ্কারের পরে লোশন জাতীয় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও পা শুষ্ক হয়ে আসলে বা নখে ব্যথাভাব হলে লোশন ম্যাসাজ করতে হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/30/1564463098976.jpg

৭ জুতার সাথে মোজা ব্যবহার করা হলে, বাসায় এসে মোজা ধুয়ে দিতে হবে। একই মোজা পরপর পরা উচিত নয়। এতে মোজায় জমে থাকা জীবাণু বারবার নখে জমতে থাকবে। নিয়মিত মোজা ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় না থাকলে দুই-তিনটা মোজা রাখতে হবে।

৮. মাসে ২-৩ বার সময় করে একটি বড় পাত্রে বা বালতিতে গরম পানি নিয়ে কিছুক্ষণ পা চুবিয়ে বসে থাকতে পারেন। সাথে সামান্য শ্যাম্পু বা পরিষ্কারক লিকুইড মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে জমে থাকা ময়লাগুলো চলে যাবে।

৯. লেবু নখ পরিষ্কারের এবং নখ সাদা রাখতে ও জীবাণু থেকে রক্ষার জন্য খুব কার্যকরী। টুকরো লেবু নিয়ে নখের উপর এর রস ঘষে কিছুক্ষণ পা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

নখের ক্ষেত্রে এছাড়া যা করা উচিত নয়, সে সম্পর্কেও কিছুটা জেনে রাখা প্রয়োজন।

১. নখের পাশে থাকা বাড়তি চামড়া টেনে উঠানো উচিত নয়, এতে ইনফেকশন হবে ও আপনি ব্যাথাও পাবেন।

২. কোনোকিছু দিয়ে নখের খুব বেশি ভেতরে গুঁতানো যাবে না, এতে নখ ভেঙ্গে যেতে পারে ও ক্ষতি হতে পারে।

৩. নেইলপলিশ ও নেইল রিমুভার যথাসম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে। কারণ এতে থাকা রাসায়নিক দ্রব্যে নখ নষ্ট হয়ে যায় ও অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যেতে পারে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/30/1564463120332.jpg

৪. জুতা পরার সময় খেয়াল রাখতে হবে, জুতা যেন বেশি আঁটসাঁট না হয়। এতে নখে চাপ পরে নখ ভেঙ্গে যেতে পারে। আবার রক্ত জমে নখ নিজে থেকে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

পায়ের নখের সমস্যা থাকলে বা নখের মধ্যে রক্ত জমাট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও নখের নিজে নিজে কোনো ধরণের ঔষধ লাগানো উচিত না। এতে নখের ইনফেকশন হতে পারে এবং এর ফলে পায়ের বড় ক্ষতি হতে পারে।

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক তেলে পায়ের যত্ন

আরও পড়ুন: আর্দ্রতা ও সৌন্দর্য হারাচ্ছে পা?

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;