ধমনির সুস্থতায় উপকারী ৯ খাবার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
রসুন ধমনির জন্য উপকারী খাদ্য, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

রসুন ধমনির জন্য উপকারী খাদ্য, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

  • Font increase
  • Font Decrease

ধমনি হৃদযন্ত্রের সবচেয়ে বড় রক্তনালীকা।

এটি সম্পূর্ণ শরীরকে হৃদযন্ত্রের সাথে যুক্ত করে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। তাই রক্ত সরবরাহের জন্য ধমনি হওয়া উচিত নমনীয় ও চর্বিমুক্ত। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কমতে থাকে ধমনীর কার্যক্রম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর মতে, ২০১৫ তে হৃদরোগজনিত মৃতের গড় সংখ্যার প্রায় ২৬ শতাংশ, যেটি করোনারী ধমনি রোগ বলেও পরিচিত। এছাড়া স্বাস্থ্যগত অন্যান্য সমস্যার সাথে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেশি দেখা দেয়।

হৃদরোগের কারন অনেক কিছুই হতে পারে- রক্ত সংক্রমণ, হাই কোলেস্টেরল, চর্বি এবং অন্য পদার্থ- যেগুলোর ফলে হার্টে পানি জমে ও ধমনিনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এতে শরীরে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা হয় এবং মস্তিষ্কের সঠিক পরিমাণে রক্ত না যাওয়াতে স্ট্রোক জনিত সমস্যা হয়।

নিজেকে ও ধমনিকে সুস্থ রাখতে সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ প্রয়োজন। জেনে রাখুন যেসব খাদ্য ধমনী সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

রসুন

মানসম্পন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যেমন- ভিটামিন সি ও ই যা শরীরে মৌলগুলো মুক্ত করে দেয়। রসুনে এলডিএল তথা খারাপ কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে দেয়, রক্তনালী প্রশস্ত করে, রক্ত চলাচল সচল করে এবং মহাধমনী ঠিক রাখে। প্রতিদিন রসুন খেলে রক্তচাপ ও ব্লাডসুগার লেভেল ঠিক থাকে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন দিনে ১-২ টি কাঁচা রসুনের কোয়া খেতে।

ডালিম

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/29/1564399316689.jpg

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পূর্ণ লাল রঙের ফলটির দানাগুলো পলিফেনল বহন করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টি ও আঁশের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। শরীরের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি এর ৪০ শতাংশ পাওয়া যাবে একটি ডালিমে থেকেই। শুধু খেয়াল রাখুন রক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের সমস্যায় নির্দিষ্ট পরিমাণ ডালিম খেতে হবে। এই ফলটি রক্তের ঘনত্ব হালকা রাখে, সাথে ধমনী শক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।

ব্রকলি

স্বাদ ও সুবিধার মধ্যে ব্রকলি খুব জনপ্রিয় সবজি। ব্রকলি প্রচুর পুষ্টির সাথে উচ্চমানের আঁশ ও ফ্যাট মুক্ত এবং ভিটামিন-সি, এ, বি৬, পটাশিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। এটি রক্তে কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং এতে উপস্থিত সালফোরাফেন ব্লাড সুগারের ফলে রক্তনালীর ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে।

ওটস

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/29/1564399335168.jpg

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওটসের কিছু আঁশ যাকে বলা হয় বেটা-গ্লুকান, রক্তে থাকা এলডিএল কোলেস্টেরল, নন-এইচডিসি কোলেস্টেরল ও আপোবি কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ ওটস তিন ধরণের কোলেস্টেরল কমাতে জন্য কাজ করে। এছাড়া ওটস খাওয়ার ফলে রক্তচাপ ঠিক থাকে এবং হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে।

বাদাম

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/29/1564399354214.jpg

অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড (ওমেগা-৬ ও ওমেগা-৩) আঁশ, প্রোটিন ও পুষ্টির জন্য বাদাম উপকারী খাদ্য উপাদান। তবে খেয়াল রাখতে হবে বাদামে পর্যাপ্ত ক্যালরি রয়েছে, যা অতিমাত্রায় খাওয়া ঝুঁকির কারণ হতে পারে। প্রমান রয়েছে যে, কিছু বাদাম হৃদযন্ত্র, ব্লাডসুগার এবং নানান রোগ ভালো করতে খুবই কার্যকরী।

অলিভ অয়েল

জলপাইতে চাপ প্রয়োগ করে জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল সংগৃহীত করা হয়, ফলে এটি সম্পূর্ণ শুদ্ধ থাকে। সবুজ সবজি বা ফল ও অলিভ ওয়েলের মিলে একটি অণু তৈরি করে যেটিকে বলা হয় ‘নাইট্রো ফ্যাটি অ্যাসিড’। এটি রক্তচাপ কমায় ও রক্তনালীকা শিথিল করে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েলে উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই ও কে প্লাস রয়েছে।

ডাল

ডালে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে, যেটি শরীর সুস্থ রাখতে খুব প্রয়োজন। সবুজ, খয়েরি, লাল ও কালো রঙের ডালে প্রচুর পরিমাণ ফলেট ও ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। তাই ডাল হৃদরোগের ও ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

টমেটো

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/29/1564399369395.jpg

প্রোটিনোয়েড লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ফলে টমেটো লাল রং হয়ে থাকে। এটি সবুজ ও হালকা লাল টমেটোতেও রয়েছে। যে সকল খাদ্যে লাইকোপেন উপস্থিত, সেগুলো কোলেস্টেরল হ্রাস করে ও এর অক্সিডেশন কমিয়ে দিতে পারে। টমেটোতে আরও রয়েছে ভিটামিন এ ও সি, ফলিক এসিড, বিটা ক্যারোটিন এবং এতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা হৃদরোগসহ নানান সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

দারুচিনি

ধমনী বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে দারুচিনি খুবই কার্যকরী উপাদান। পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, দারুচিনি হৃদযন্ত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ দারুচিনি অক্সিডেটিভ চাপ হ্রাসে সহায়ক। এছাড়া শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও আঁশের প্রধান উৎস হচ্ছে দারুচিনি।

এছাড়াও অনেক কার্যকরী খাদ্য উপাদান রয়েছে যা হৃদযন্ত্রের সাথে শরীরের অন্যান্য অঙ্গকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। তবে সবকিছুই নিয়ম মেনে পরিমাণমতো গ্রহণ করা উচিত।

আরও পড়ুন: ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে চার পদ্ধতিতে চিয়া সিডস

আরও পড়ুন: হৃদরোগের ঝুঁকি কমে দারুচিনি গ্রহণে

   

জেনে নিন, ফাইবার জাতীয় খাদ্য খেলে যা হয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফল, সবজি বা শাক জাতীয় খাবার পিষে নিলে এর মধ্য থেকে রস বের হয় । এই রস আলাদা করা হলে খাবারের যে শক্ত অংশ অবশিষ্ট থাকে এই উপাদান গুলো হলো ফাইবার বা সহজ বাংলা ভাষায় আঁশ। এই ফাইবার শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। খাদ্য পরিপাক, শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, ক্যান্সার প্রতিরোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সরাসরিভাবে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তবে কোনো ভালো জিনিসই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়। তাই প্রয়োজনীয় এই ফাইবারও অতিরিক্ত খেলে হতে পারে নানারকম অসুবিধা।

ভারতীয় চিকিৎসকের জি সুষমা ব্যখ্যা করেছেন বেশি করে ফাইবার খেলে যা হয়। যখন অনেক বেশি করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হয়, তখন পাকস্থলিতে অতিরিক্ত ফাইবার জমা হয়ে পেট ভারি হয়ে যায়। এই কারণে একাধিক শারীরিক সমস্যার উদয় হয়। এর মধ্যে ৩ টি সমস্যার প্রবণতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নজরে পরে। এগুলো হলো ফোলাভাব, গ্যাস্ট্রিক এবং ডায়রিয়া।

ফাইবার মূলত পাচন কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আঁশ বা ফাইবার খাবার হজমের সময় জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। কারণ এটি খাবারের সেই কটিন অংশ যা এনজাইমের কারণে পুরোপুরি ভেঙে যেতে পারে না। তাই এই অন্ত্রের মধ্য দিয়ে বর্জ্য পদার্থের সঙ্গে জমা হয়। এই প্রক্রিয়ার সময় অন্ত্র থেকে অপ্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান অপসারণ করা ফাইবারের কাজ। এছাড়া ফাইবারের দ্রবণীয় অংশ পানিকে আকর্ষণ করে এবং ধরে রাখে। সেই কারণে মল প্রক্রিয়াকালে তার কঠিনত্য হ্রাস পায়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।  তবে অতিরিক্ত আঁশজাতীয় খাবারগুলো হজমের গতির সঙ্গে  পাল্লা দিয়ে বিপাক কাজ শেষ করতে পারে না। এই অতিরিক্ত ফাইবারগুলো পাচন তন্ত্রে চাপ সৃষ্টি করে। এতে স্বাভাবিক মল ত্যাগে ব্যাঘাত ঘটে।      

বয়স, ক্যালরি গ্রহণমাত্রা এবং লিঙ্গভেদে ফাইবার গ্রহণের উপকারী মাত্রা নির্ভরে করে। যেমন, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দৈনিক ফাইবার গ্রহণের আনুমানিক সাধারণ মাত্রা ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম। বয়স্ক বা শিশুদের পাচন ক্ষমতা তাদের চেয়ে ভিন্ন হয়, তাই গ্রহণ মাত্রাও ভিন্ন হবে। তাই সঠিক পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ সম্পর্কে অবগত হতে হবে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত 

ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণ কেন জরুরি তাও জানতে হবে-

১. হজম: পাচন স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য ফাইবার অপরিহার্য খাদ্য উপাদান। অন্ত্রে খাদ্যকণার গতিবিধি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্রা নির্ণয় ও প্রতিরোধ করতে পারে এই উপাদান।

২. রক্তে সুগার: রক্তের চিনিজাতীয় পদার্থের শোষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ফাইবার। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে অবাঞ্ছিত স্বাস্থ্য সমস্যা উদয় হয় না।

৩. কোলেস্টেরল: এলডিএল হলো এক প্রকার ক্ষতিকর কোলেস্টেরল। আঁশ জাতীয় খাবার এই এলডিএল এর পরিমাণ কমিয়ে আনে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

৪. ক্যান্সার: উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারে কিছু নির্দিষ্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে। যেমন, কোলেস্টেরল ক্যান্সার।

৫. সন্তুষ্টি: খাবার খাওয়ায় তৃপ্তিলাভ একটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফাইবার খাবারের সে উপাদান যা খাওয়ার সময় তৃপ্তির অনুভূতি দেয়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর ক্যালরি গ্রহণ এবং বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

তারকাদের ভিড়ে প্রতিভার উজ্জ্বলতায় জ্বলজ্বলে ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সে চলছে ২০২৪ সালের ‘৭৭ তম কান’স ফিল্ম ফেস্টিভাল’। দেশটির দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে প্রতিবছরই চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ  এই উৎসবরে আয়োজন করা হয়। ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন কোণা থেকে অনেক সিনেমা সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা একত্রিত হন। মূলত ফিল্ম ফেস্টিভাল হলেও যেহেতু অভিনয়ের সঙ্গে ফ্যাশন ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তাই এখন ফ্যাশনের লোকজনও ক্যান’স এর অনুষ্ঠানে আসে।   

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আসনা হাবিব ভাবনা কানস ফিল্ম ফেস্টিভালে উপস্থিত হয়েছেন। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেরও অনেক বড় অভিনয় শিল্পী এবং ফ্যাশন ব্যক্তির পদচারণা ঘটে। তবে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সাড়া পড়েছে ভারতীয় ইন্ফুয়েন্সার ন্যান্সী ত্যাগী।

কান’স ফিল্ম ফেস্টিভালের ইতিহাসে ন্যান্সিই প্রথম তারকা যিনি নিজেই নিজের পোশাক তৈরি করেছেন। কানের লাল গালিচায় পা রাখার সাথে সাথেই হৈ-চৈ ফেলে দেন ন্যান্সি। ৩০ দিনের মধ্যে তৈরি করা তার অসাধারণ পোশাকের কারণে দেশ জুড়ে হচ্ছে জয়জয়কার।

 ন্যান্সির বানানো পোশাক

উর্ফি জাভেদ, খুশা কাপিলা সহ বড় বড় তারকাও তার প্রশংসায় ভাসছেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন বলিউডের ফ্যাশন আইকন সোনাম কাপুর। ১৮ তারিখের ইভেন্টে ন্যান্সী নিজের তৈরি করা পোশাক পরে প্রথম বার রেড কার্পেটে হাঁটেন। ১ হাজার মিটার কাপড়ে তৈরি করা গোলাপি গাউনটির ওজন ছিল ২০ কেজি।

দ্বিতীয় দিন একটি চকচকে ল্যাভেন্ডার শাড়ি পরে হাজির হন তিনি। এই পোশাকটিও নিজেই তৈরি করেছেন ন্যান্সী। প্রথম পোশাকের মতো দ্বিতীয় পোশাক দিয়েও সকলের নজর ও প্রশংসা কেড়েছেন এই উত্তর প্রদেশের এক ছোট শহরের মেয়ে। সোনাম কাপুরের মতে, এই পোশাকই কানে দেখা সেরা পোশাক। একই সঙ্গে সোনাম ন্যান্সীর কাছে অনুরোধ করেন, যেন তার জন্য ন্যান্সী কোনো পোশাক তৈরি করে দেন।

ন্যান্সির দ্বিতীয় দিনের পোশাক

ন্যান্সীর আরেকটি ব্যাপার নেটিজেনের নজর কাড়ে। কানের মতো বড় মঞ্চে ইংরেজি ভাষায় তার অপারগতা নিয়ে একদমই কুণ্ঠিত নন ন্যান্সী। বেশ সহজ ও সাবলীলভাবেই তার মাতৃভাষায় সহজেই মনোভাব ব্যক্ত করছেন। ভারতীয়দের মধ্যে হিন্দি ভাষায় কথা বলার ক্ষেত্রে কিছুটা জড়তা নজরে পড়ে বরাবরই। ন্যান্সীর ক্ষেত্রে যা ছিল অনুপস্থিত।  

  

;

মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে যেসব কারণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথাব্য়থা খুব অস্বাভাবিক কোনো সমস্যা নয়। ঋতু পরিবর্তন বা হালকা জ্বর হলেও মাথাব্যথা হতেই পারে। তবে মাইগ্রেন কোনো সাধারণ মাথা ব্যথার সমস্যা নয়। এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা তীব্র মাথাব্যথা সহ্য করেন। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

মাইগ্রেনের সমস্যা সকলের মধ্যে দেখা যায় না। ধারণা করা হয়, এই সমস্যা বংশ পরম্পরায়ও স্থানান্তরিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত জেনেটিক এবং পরিবেশগত অবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী শতকরা ১০ ভাগ মানুষ মাইগ্রেনে ভোগেন। জেনেটিক সংক্রান্ত কারণে মাইগ্রেন আংশিকভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে পেরিফেরাল ট্রিগারের কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগের তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিতে থাকে।

যেসব কারণে মাইগ্রেন হতে পারে

১. লিঙ্গভেদ: নারী এবং পুরুষদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য থাকলেও ভিন্ন লিঙ্গের কারণে নানারকম হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। নারীদের শরীরে থাকা হরমোনের ব্যবস্থাপনার কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২. প্রভাবক: মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, আবহাওয়ার পরিবর্তন, তীব্র গন্ধসৃ্ষ্টিকারী অস্বস্তি কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রভাবিত হতে পারে। এই ঘটনাগুলো শনাক্ত করে এড়িয়ে চললে উপকার হতে পারে।  

৩. বংশ: অনেক সময়ের একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাইগ্রেন স্থানান্তরিত হয়। সাধারণত বাবা মায়ের থেকে মাইগ্রেনের জিন শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধে।

৪. চোখ: মাথার সঙ্গে চোখের বেশ গভীর যোগসূত্র রয়েছে। তাই অনেকে মাইগ্রেনের আগে চোখের ঠিক মতো দেখতে পান না। একে অরাস বলে।   

৫.খাদ্য: ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন১২, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের মতো কিছু খাদ্য উপাদানের অভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;

তামাক সেবনে রয়েছে ক্যান্সারের ঝুঁকি



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ / ছবি: সংগৃহীত

তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান যুগে ক্যান্সার আশঙ্কাজনক একটি রোগে পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ক্যান্সারের ভয়াবহতার মূল কারণ হলো এর দুশ্চিকিৎস্য হওয়া। আমাদের দেশ এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে মাথা এবং ঘাড়ে ক্যান্সার হওয়ার সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

এর কারণ হিসেবে বেশে কিছু ব্যাপার চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে (শতকরা ৯০ ভাগই) দেখা যায় স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার (এসসিসি) এর পেছনে দায়ী। আবার কিছু ক্ষেত্রে থাইরয়েড এবং লালাগ্রন্থির ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও অনুরূপ দেখা যায়। যদিও উভয় ক্ষেত্রে চিকিৎসা এবং রোগ ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া ভিন্ন।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের একটি সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক অনিল ডি’ক্রুজ জানান, ‘ক্যান্সার বৃদ্ধিতে এসসিসি বৃহৎ ভূমিকা পালন করে। এটি মস্তিষ্কের ঠিক নিচ থেকে ঘাড় পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে। কলারবোন, মাথা, ঘাড় সহ শরীরের এইসব অংশ প্রায় ১৩-১৪টি অংশে স্বতন্ত্রভাবে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঘটায়।

মাথা এবং ঘাড়ে ক্যান্সার বাড়ার মূল কারণ হিসেবে নেশাজাত দ্রব্য সেবনের প্রবণতাকে চিহ্নিত করেন ডাক্তার অনিল। দিন দিন বিভিন্ন ধরনের তামাক গ্রহণ করার সংখ্যা লাগামহীনভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে অল্প বয়েসিরা বুঝে বা না বুঝে এসব অভ্যাসে জড়িয়ে পড়ছে। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের কিশোর বা পথশিশুরা সিগারেট সহ বিভিন্নসহ তামাক ও নিকোটিনজাতীয় যেকোনো নেশাজাত দ্র্রব্য সেবন করার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। তাই এদের মধ্যে ঘাড় এবং মাথার বিভিন্ন অংশে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।  

ক্যান্সারের ঝুঁকির ব্যাপারে অনিল বলেন, ‘তামাক সেবনকারীরা এমনিতেই মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের বিপজ্জনক সীমায় থাকেন। পাশাপাশি যারা অ্যালকোহলও সেবন করেন, তারা আরও বেশি ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন। এসব অভ্যাসে আসক্ত ব্যক্তিরা হয়তো জানেনও না, এর মাধ্যমেই শরীরে মৃত্যুর বীজ বপন করছেন নিজ হাতেই। সচেতনার অভাবেই মানুষজন এসব রোগের ঝুঁকির সম্পর্কে অবগত থেকে যাচ্ছে।    

 তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ

আরেকজন চিকিৎসক রাজেশ মিস্ত্রী জানান,‘তামাকের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা ক্যান্সারের বৃদ্ধিতে প্রভাবিত করে। এইচপিভি নামক ভাইরাস সাধারণত ভাইরাল সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে মৌখিক স্বাস্থ্যকে দুর্বল করে দেয়। এতে মুখ এবং আশেপাশের অংশে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ে।’  

ডাক্তার মিস্ত্রী আরও বলেন,‘ শুধু তামাক নয়, সুপারিতে রয়েছে ওরাল সাব-মিউকাস ফাইব্রোসিস। তাই ঘন ঘন পান খাওয়ার কারণে মুখে প্রিমালিগন্যান্ট অবস্থা সৃষ্টি হয়। এতে সময়ের সাথে সাথে একসময় মুখ হা করার ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করে। মুখ খুলতে কষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যান্সার অবধি হতে পারে।’ এছাড়াও মুখের ক্যান্সারের কিছু সাধারণ উপসর্গ হলো-

*মুখের ঘা সেরে না ওঠা

*মুখ বা গলা থেকে রক্তপাত

*দাঁতে ব্যথা হওয়া বা মাড়ি থেকে আলগা হয়ে যাওয়া এমনকি পড়ে যাওয়া

*ব্যথা কান অবধি ছড়িয়ে পড়া

*গিলতে কষ্ট হওয়া

* গলার টিউমার বা সিস্ট হওয়া

এইসকল সমস্যাগুলো মুখ থেকে শুরু করে গলা, ঘাড় এমনকি মাথার ক্যান্সারের কারণেও দেখা যেতে পারে। তাই এরকম সমস্যাগুলো নজরে পড়লে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।  

;