স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাত সচেতনতা



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীপুরুষ উভয়ের স্তন ক্যানসার দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, নারীদের মাঝেই এই ক্যানসারের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।

ফলে নারীদের ক্যানসারজনিত কারণে মৃত্যুর হারের মাঝে অধিকাংশ স্থান দখল করে থাকে স্তন ক্যানসার বা ব্রেস্ট ক্যানসার।

গবেষণার তথ্য সুপারিশ করে ৫-১০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসার দেখা দেওয়ার পেছনে থাকে বংশগত ও জিনগত কারণ। বাদবাকি ক্ষেত্রে এই ক্যানসার দেখা দেওয়ার পেছনে নির্ভর করে জীবনযাপনের ধরণ, খাদ্যাভ্যাস ও নিত্যদিনের অভ্যাস সমূহ।

এ কারণে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সঠিক নিয়ম মেনে চলা খুবই প্রয়োজন ও গুরুত্বপূর্ণ। এমন জরুরী সাত সচেতনতামূলক বিষয় আজকের ফিচারে তুলে ধরা হলো।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

বাড়তি ওজন স্বাস্থ্যের জন্য কখনোই ভালো কিছু নয়। ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ওবেসিটি তো বটেই, অতিরিক্ত ওজনের দরুন ক্যানসারের মতো ভয়াল রোগও দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে নারীদের মেনোপজ পরবর্তী সময়ে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায় বাড়তি ওজনের ফলে।

শারীরিক কার্যক্রম চালু রাখা

অলসতাজনিত কারণে কিংবা সময়ের অভাবে শারীরিক কার্যক্রম অথবা শরীরচর্চার অভ্যাসটি অনেকেই গড়ে তোলেন না। নিয়ম মেনে শরীরচর্চা যদি করা নাও হয়,  দৈনিক এমন কোন শারীরিক কার্যক্রম করতে হবে, যা শরীরে ঘাম তৈরি করবে। তিরিশ- এক ঘণ্টা সময়ের শারীরিক কার্যক্রমও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করবে।

ফল ও সবজি গ্রহণ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/27/1564224935525.jpg

স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি স্তন ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করবে। বিশেষত রঙিন সবজি তথা গাজর, বিট, ব্রকলি প্রভৃতি এবং আপেল, কমলালেবু, বেদানা, স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফ্রুট, টমেটোর মতো ফলগুলো সামগ্রিকভাবে শারীরিক সুস্থতা প্রদান করবে।

ডার্ক চকলেট গ্রহণ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/27/1564224951346.jpg

বহু স্বাস্থ্য উপকারিতার মজাদার ও সুস্বাদু এই খাবারটি স্তন ক্যানসার প্রতিরোধেও কাজ করবে। গবেষণা জানাচ্ছে, ডার্ক চকলেটে ক্যানসারের বিপক্ষে কাজ করার মতো উপাদান রয়েছে, যা ক্যানসারকে দূরে রাখে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত ডার্ক চকলেট না খেলেও, প্রতি সপ্তাহে ১০০ গ্রাম পরিমাণ ডার্ক চকলেট খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।

ঘুম থেকে উঠতে হবে দ্রুত

সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটি কষ্টকর হলেও, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার ফলে স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা কমে যাত অনেকখানি। ৭-৮ ঘণ্টার ভালো ঘুম শেষে, ঘুম থেকে উঠতে হবে একদম কাক ডাকা ভোরে। তবেই মিলবে এই উপকারিতা, এমনটাই জানাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাজ্যের ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাসোসিয়েশন কনসরটিয়াম।

নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/27/1564224964424.JPG

ঘরে বসে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করতে হবে। গোসলের সময় খুব সহজেই স্তন ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া যায়। বগলের নিচের অংশ থেকে শুরু করে স্তন ও স্তনের আশেপাশের অংশে শক্ত চাকা, ছোট গুটির মতো দলা, স্তনের বোটার চারপাশের ত্বকে গুঁড়ি গুঁড়ি অংশ, স্তনে ব্যথাভাব, চুলকানির প্রাদুর্ভাব, বোটার রঙ আকস্মিকভাবে পরিবর্তন হওয়া, বোটা থেকে সাদা তরল অথবা রক্ত নিঃসৃত হওয়ার মতো লক্ষণগুলো দেখা দিলেই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হতে হবে।

নিয়মিত স্তন পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা দেখা দিলে একদম প্রাথমিক ধাপেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এতে করে সঠিক চিকিৎসায় দ্রুত সেরে ওঠা যায়।

স্তন্যপান করতে হবে

যে মায়েদের নবজাতক শিশু আছে, তাদের স্তন্যপান করানোর প্রতি জোর দিতে হবে। মাতৃদুগ্ধ একদিক থেকে শিশুর জন্য যেমন উপকারী, ঠিক তেমনিভাবে স্তন্যপান মায়ের জন্যেও উপকারী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হরমোনাল ফ্যাক্টর ইন ব্রেস্ট ক্যানসার এর গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে জানিয়েছে, ১২ মাস স্তন্যপানের ফলে ৪.৮ শতাংশ স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা কমে যায়।

আরও পড়ুন: নো ব্রা ডে: ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে জরুরি সচেতনতা

আরও পড়ুন: পিরিওডকালীন সময়ে হাঁটাহাঁটি বন্ধ থাকবে?

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;