২০১৯’র ঈদের বাজার

শাড়ির ক্যানভাসে উঠে আসুক গল্প!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
এক একটা শাড়িই হয়ে ওঠে এক একটি গল্প, ছবি কৃতজ্ঞতা: পটের বিবি

এক একটা শাড়িই হয়ে ওঠে এক একটি গল্প, ছবি কৃতজ্ঞতা: পটের বিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদে পছন্দমতো একটা শাড়ি না হলে হয় নাকি!

ঈদ আনন্দের অনেকটাই নির্ভর করে শখের শাড়িটির উপর। প্রিয় শাড়িটি গায়ে জড়ালেই যেন ঈদের রঙ ছড়িয়ে পড়ে মনে। তাই শাড়িটিও হওয়া চায় একটু বিশেষ, ভিন্ন ও ব্যতিক্রম।

সময়ের হাত ধরে শাড়ির নকশায় এসেছে পরিবর্তন। এখন একটি শাড়ি শুধুই বারো হাতের আঁচল ও পাড়যুক্ত কাপড় নয়। এক একটি শাড়িতেই উঠে আসছে গল্প, পুরনো দিনের স্মৃতি। ফুটে উঠছে নান্দনিক ফুল, প্রজাপতি। বলতে গেলে শাড়িই যেন বর্তমান সময়ে ক্যানভাসের এক ভিন্ন মাত্রা।

নকশা, ধারণা, রঙ ও তন্তুতে আধুনিকতার সাথে যুক্ত হয়েছে বৈচিত্র্যতা। জাঁকজমক ও চাকচিক্যপূর্ণ শাড়ির বদলে, বর্তমান সময়ের ক্রেতাদের আগ্রহ তৈরি হয়েছে ছিমছাম কিন্তু আবহপূর্ণ শাড়ির প্রতি। এবারের ঈদ আয়োজনে তেমন ঘরানার শাড়ির আনাগোনাই দেখা গিয়েছে গুটিপোকা, পটের বিবি ও কালার ক্রেজ এর সংগ্রহে।

পটের বিবি

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613832781.jpg

ছেলেবেলার বিশুদ্ধ আবেগের অন্য নাম মাসুদ রানা। কত স্মৃতি ও ভালোলাগা এই মাসুদ রানাকে ঘিরে। এদিকে রঙিন প্রজাপতির প্রতি মোহ যেন কাটতেই চায় না। ইচ্ছে হয় প্রজাপতিটাকে নিজের কাছে রেখে দিতে। আবেগের মাসুদ রানা কিংবা ভালোবাসার প্রজাপতি- যেটাই হোক না কেন, নান্দনিকতার পরিচয় দিয়ে তা শাড়িতে ফুটিয়ে তুলেছে পটের বিবি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613859226.jpg

অনলাইন বাজারে ইতোমধ্যে সুপরিচিত হয়ে ওঠা পটের বিবি শুরু থেকেই ব্যতিক্রমী নকশা ও আয়োজনের জন্য জনপ্রিয়তা পেয়ে এসেছে। পাঁচ বছর পা দেওয়া এই অনলাইন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ফোয়ারা ফেরদৌস জানালেন, ঈদ উপলক্ষে মূলত পাঁচটি ভিন্ন থিমের নকশা নিয়ে এসেছে পটের বিবি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613885759.jpg

মৌমাছি, প্রজাপতি, মাসুদ রানা, আতা ও আরামদায়ক রঙের চেক শাড়ি। আবহাওয়া ও ক্রেতার আরামের বিষয়টিতে প্রাধান্য দিয়ে সুতি তন্তু ও সাদা রঙটির উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে এবারের ঈদ সংগ্রহে। অভিনব এই শাড়িগুলোর মূল্য পড়বে ১৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০০ পর্যন্ত।

কালার ক্রেজ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613904475.jpg

ঈদে পার্টি থিমকে মাথায় রেখে শাড়ির সংগ্রহ এনেছে কালার ক্রেজ। এক একটা শাড়ির মাঝেই যেন উৎসবের আমেজ ফুটে ওঠে সেই প্রচেষ্টা থেকেই নজরকাড়া নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুরো শাড়িতে। গরম আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই তন্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে হাফসিল্ক, এমনটাই জানালেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মারুফা আক্তার স্বর্ণা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613927098.jpg

হাফসিল্কের উপরে স্ক্রিনপ্রিন্টের কাজ ছাড়াও রয়েছে অ্যাপ্লিক, প্যাচওয়ার্ক, টাইডাই ও শিবুড়ি। নকশা ভেদে যে তন্তুতে যে কাজটি ভালোভাবে ফুটে ওঠে, সে কাজটিই বেছে নেওয়া হয় শাড়ির জন্য।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558613945719.jpg

বার্তা২৪ কে স্বর্ণা জানালেন, দেশীয় পোশাকের উপরে ক্রেতাদের আগ্রহ প্রশংসনীয়। বিশেষত দেশীয় শাড়িতে গর্জিয়াস নকশা সহজেই ক্রেতদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে কালার ক্রেজের শাড়ির মূল নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ১৭০০ থেকে ২৬০০ টাকার মাঝে পাওয়া যাবে চমৎকার শাড়িগুলো।

গুটিপোকা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558614214489.jpg

হাতে আঁকা শাড়ি ও পোশাকের খোঁজ চাইলে ঘুরে আসতে হবে অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গুটিপোকার ঈদ কালেকশন। বরাবরই রঙ ও তুলির ছোঁয়ায় শাড়ি কিংবা পোশাকের পটে প্রাণের ছোঁয়া তুলে আনতে কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আফসানা সুমী জানালেন, এবারে ঈদ সম্ভারে মসলিন, জয়শ্রী সিল্ক, হাফসিল্ক ও সুতি তন্তুর উপরে কাজ করা হয়েছে। রঙ হিসেবে আরামদায়ক ও হালকা ঘরানার রঙগুলোই প্রাধান্য পেয়েছে শাড়িতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/23/1558614173348.jpg

শাড়িতে তুলির আঁচড়ে দোলনচাঁপা, মধুমঞ্জুরি, ক্যামেলিয়া, বুনো গোলাপের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ফুল কৃষ্ণচূড়া, জারুলও থাকছে। সেই সাথে বর্ষার ধারণাকে মাথায় রেখে ময়ূরকেও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়িতে। ক্রেতাদের আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সুমী বলেন, ‘প্রতিটি নকশায় প্রচুর সাড়া পেয়েছি আমরা। ময়ূর সবসময় জনপ্রিয়। তবে ঋতুভিত্তিক ফুলেল নকশার চাহিদাও ভালো।’ শাড়ির তন্তু ও নকশা ভেদে গুটিপোকার শাড়ি মূল্য পড়বে সর্বনিম্ন ৩৫০০ থেকে ১৩৫০০ টাকা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: চলছে কাবলি, ফরমালেও রয়েছে আকর্ষণ

   

যে খাদ্যাভ্যাসগুলো দূর করবে মানসিক চাপ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সুষম খাদ্য বনাম জাংক ফুড / ছবি: সংগৃহীত

সুষম খাদ্য বনাম জাংক ফুড / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনজীবনে নিত্য যেন এক অফুরন্ত ব্যস্ততা। দু’দন্ড যেন বিশ্রাম নেওয়ার সময় অবধি নেই। প্রতিদিনের একঘেয়ে ব্যস্ত রুটিন আর অনবরত কাজের কারণে মানসিক চাপ হওয়া, উদ্বিগ্নতা কিংবা স্নায়ুবিক অশান্তি অনুভব করা অসম্ভব কিছু নয়।

তবে এরকম অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার আগে নিজেকেই সামলে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। কাজের চাপের বাইরেও জীবন যাত্রার অনেক ব্যাপারও উদ্বেগ, মানসিক চাপ এবং ডিপ্রেশন বাড়াতে পারে। এসব কারণে আমাদের শারীরিক, মানসিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে স্নায়ুতন্ত্র পরিবর্তন করা সম্ভব।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ মেরিনা রাইট বলেন, স্নায়ুতন্ত্র এবং মানসিক চাপের উপর খাদ্য এবং পুষ্টির প্রভাবকে অবহেলা করে দেখা উচিত নয়। তিনি এইক্ষেত্রে আরও কিছু বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেন, যা এসব মানসিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে-

১. খাদ্যে আমিষ, আঁশসমৃদ্ধ, শর্করা এবং চর্বি উপাদানের ভারসাম্য থাকা উচিত। এতে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শর্করার মাত্রার তারতম্য হলে তার প্রভাব মেজাজে পড়ে।

২. প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিক খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যে ভূমিকা রাখে। এসব উপাদান খাদ্যতন্ত্রে মাইক্রোবায়োম গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এটিও স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

মানসিক চাপে খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব / ছবি: সংগৃহীত

৩. কোলিন, ভিটামিন বি১২, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোবায়োটিক এবং পলিফেনলের মতো পুষ্টি উপাদান শরীরের ভ্যাগাস নার্ভকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৪. অন্ত্রে কোনো কারণে ব্যথা বা অস্বস্তি হলে তা সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রকে অস্বাভাবিক করতে পারে। খাদ্যগ্রহণ অভ্যাস তাই সুস্থতা নির্ধারণে এত বেশি প্রভাবশালী। পরিবর্তিত এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৫. খাবার চাবানো এবং গলাধঃকরণের উপরও পরিপাক অনেকটা নির্ভর করে। তাই প্রতিটি কামড়ের স্বাদ গ্রহণ রে, ধীরে ধীরে খাবার গিলে ফেলা উচিত। এই কাজগুলো মননশীল খাদ্যাভাসে অবদান রাখে।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

;

জেনে নিন, ফাইবার জাতীয় খাদ্য খেলে যা হয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফল, সবজি বা শাক জাতীয় খাবার পিষে নিলে এর মধ্য থেকে রস বের হয় । এই রস আলাদা করা হলে খাবারের যে শক্ত অংশ অবশিষ্ট থাকে এই উপাদান গুলো হলো ফাইবার বা সহজ বাংলা ভাষায় আঁশ। এই ফাইবার শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। খাদ্য পরিপাক, শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, ক্যান্সার প্রতিরোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সরাসরিভাবে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তবে কোনো ভালো জিনিসই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়। তাই প্রয়োজনীয় এই ফাইবারও অতিরিক্ত খেলে হতে পারে নানারকম অসুবিধা।

ভারতীয় চিকিৎসকের জি সুষমা ব্যখ্যা করেছেন বেশি করে ফাইবার খেলে যা হয়। যখন অনেক বেশি করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হয়, তখন পাকস্থলিতে অতিরিক্ত ফাইবার জমা হয়ে পেট ভারি হয়ে যায়। এই কারণে একাধিক শারীরিক সমস্যার উদয় হয়। এর মধ্যে ৩ টি সমস্যার প্রবণতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নজরে পরে। এগুলো হলো ফোলাভাব, গ্যাস্ট্রিক এবং ডায়রিয়া।

ফাইবার মূলত পাচন কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আঁশ বা ফাইবার খাবার হজমের সময় জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। কারণ এটি খাবারের সেই কটিন অংশ যা এনজাইমের কারণে পুরোপুরি ভেঙে যেতে পারে না। তাই এই অন্ত্রের মধ্য দিয়ে বর্জ্য পদার্থের সঙ্গে জমা হয়। এই প্রক্রিয়ার সময় অন্ত্র থেকে অপ্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান অপসারণ করা ফাইবারের কাজ। এছাড়া ফাইবারের দ্রবণীয় অংশ পানিকে আকর্ষণ করে এবং ধরে রাখে। সেই কারণে মল প্রক্রিয়াকালে তার কঠিনত্য হ্রাস পায়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।  তবে অতিরিক্ত আঁশজাতীয় খাবারগুলো হজমের গতির সঙ্গে  পাল্লা দিয়ে বিপাক কাজ শেষ করতে পারে না। এই অতিরিক্ত ফাইবারগুলো পাচন তন্ত্রে চাপ সৃষ্টি করে। এতে স্বাভাবিক মল ত্যাগে ব্যাঘাত ঘটে।      

বয়স, ক্যালরি গ্রহণমাত্রা এবং লিঙ্গভেদে ফাইবার গ্রহণের উপকারী মাত্রা নির্ভরে করে। যেমন, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দৈনিক ফাইবার গ্রহণের আনুমানিক সাধারণ মাত্রা ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম। বয়স্ক বা শিশুদের পাচন ক্ষমতা তাদের চেয়ে ভিন্ন হয়, তাই গ্রহণ মাত্রাও ভিন্ন হবে। তাই সঠিক পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ সম্পর্কে অবগত হতে হবে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত 

ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণ কেন জরুরি তাও জানতে হবে-

১. হজম: পাচন স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য ফাইবার অপরিহার্য খাদ্য উপাদান। অন্ত্রে খাদ্যকণার গতিবিধি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্রা নির্ণয় ও প্রতিরোধ করতে পারে এই উপাদান।

২. রক্তে সুগার: রক্তের চিনিজাতীয় পদার্থের শোষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ফাইবার। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে অবাঞ্ছিত স্বাস্থ্য সমস্যা উদয় হয় না।

৩. কোলেস্টেরল: এলডিএল হলো এক প্রকার ক্ষতিকর কোলেস্টেরল। আঁশ জাতীয় খাবার এই এলডিএল এর পরিমাণ কমিয়ে আনে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

৪. ক্যান্সার: উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারে কিছু নির্দিষ্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে। যেমন, কোলেস্টেরল ক্যান্সার।

৫. সন্তুষ্টি: খাবার খাওয়ায় তৃপ্তিলাভ একটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফাইবার খাবারের সে উপাদান যা খাওয়ার সময় তৃপ্তির অনুভূতি দেয়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর ক্যালরি গ্রহণ এবং বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

তারকাদের ভিড়ে প্রতিভার উজ্জ্বলতায় জ্বলজ্বলে ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সে চলছে ২০২৪ সালের ‘৭৭ তম কান’স ফিল্ম ফেস্টিভাল’। দেশটির দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে প্রতিবছরই চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ  এই উৎসবরে আয়োজন করা হয়। ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন কোণা থেকে অনেক সিনেমা সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা একত্রিত হন। মূলত ফিল্ম ফেস্টিভাল হলেও যেহেতু অভিনয়ের সঙ্গে ফ্যাশন ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তাই এখন ফ্যাশনের লোকজনও ক্যান’স এর অনুষ্ঠানে আসে।   

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আসনা হাবিব ভাবনা কানস ফিল্ম ফেস্টিভালে উপস্থিত হয়েছেন। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেরও অনেক বড় অভিনয় শিল্পী এবং ফ্যাশন ব্যক্তির পদচারণা ঘটে। তবে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সাড়া পড়েছে ভারতীয় ইন্ফুয়েন্সার ন্যান্সী ত্যাগী।

কান’স ফিল্ম ফেস্টিভালের ইতিহাসে ন্যান্সিই প্রথম তারকা যিনি নিজেই নিজের পোশাক তৈরি করেছেন। কানের লাল গালিচায় পা রাখার সাথে সাথেই হৈ-চৈ ফেলে দেন ন্যান্সি। ৩০ দিনের মধ্যে তৈরি করা তার অসাধারণ পোশাকের কারণে দেশ জুড়ে হচ্ছে জয়জয়কার।

 ন্যান্সির বানানো পোশাক

উর্ফি জাভেদ, খুশা কাপিলা সহ বড় বড় তারকাও তার প্রশংসায় ভাসছেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন বলিউডের ফ্যাশন আইকন সোনাম কাপুর। ১৮ তারিখের ইভেন্টে ন্যান্সী নিজের তৈরি করা পোশাক পরে প্রথম বার রেড কার্পেটে হাঁটেন। ১ হাজার মিটার কাপড়ে তৈরি করা গোলাপি গাউনটির ওজন ছিল ২০ কেজি।

দ্বিতীয় দিন একটি চকচকে ল্যাভেন্ডার শাড়ি পরে হাজির হন তিনি। এই পোশাকটিও নিজেই তৈরি করেছেন ন্যান্সী। প্রথম পোশাকের মতো দ্বিতীয় পোশাক দিয়েও সকলের নজর ও প্রশংসা কেড়েছেন এই উত্তর প্রদেশের এক ছোট শহরের মেয়ে। সোনাম কাপুরের মতে, এই পোশাকই কানে দেখা সেরা পোশাক। একই সঙ্গে সোনাম ন্যান্সীর কাছে অনুরোধ করেন, যেন তার জন্য ন্যান্সী কোনো পোশাক তৈরি করে দেন।

ন্যান্সির দ্বিতীয় দিনের পোশাক

ন্যান্সীর আরেকটি ব্যাপার নেটিজেনের নজর কাড়ে। কানের মতো বড় মঞ্চে ইংরেজি ভাষায় তার অপারগতা নিয়ে একদমই কুণ্ঠিত নন ন্যান্সী। বেশ সহজ ও সাবলীলভাবেই তার মাতৃভাষায় সহজেই মনোভাব ব্যক্ত করছেন। ভারতীয়দের মধ্যে হিন্দি ভাষায় কথা বলার ক্ষেত্রে কিছুটা জড়তা নজরে পড়ে বরাবরই। ন্যান্সীর ক্ষেত্রে যা ছিল অনুপস্থিত।  

  

;

মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে যেসব কারণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথাব্য়থা খুব অস্বাভাবিক কোনো সমস্যা নয়। ঋতু পরিবর্তন বা হালকা জ্বর হলেও মাথাব্যথা হতেই পারে। তবে মাইগ্রেন কোনো সাধারণ মাথা ব্যথার সমস্যা নয়। এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা তীব্র মাথাব্যথা সহ্য করেন। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

মাইগ্রেনের সমস্যা সকলের মধ্যে দেখা যায় না। ধারণা করা হয়, এই সমস্যা বংশ পরম্পরায়ও স্থানান্তরিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত জেনেটিক এবং পরিবেশগত অবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী শতকরা ১০ ভাগ মানুষ মাইগ্রেনে ভোগেন। জেনেটিক সংক্রান্ত কারণে মাইগ্রেন আংশিকভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে পেরিফেরাল ট্রিগারের কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগের তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিতে থাকে।

যেসব কারণে মাইগ্রেন হতে পারে

১. লিঙ্গভেদ: নারী এবং পুরুষদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য থাকলেও ভিন্ন লিঙ্গের কারণে নানারকম হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। নারীদের শরীরে থাকা হরমোনের ব্যবস্থাপনার কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২. প্রভাবক: মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, আবহাওয়ার পরিবর্তন, তীব্র গন্ধসৃ্ষ্টিকারী অস্বস্তি কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রভাবিত হতে পারে। এই ঘটনাগুলো শনাক্ত করে এড়িয়ে চললে উপকার হতে পারে।  

৩. বংশ: অনেক সময়ের একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাইগ্রেন স্থানান্তরিত হয়। সাধারণত বাবা মায়ের থেকে মাইগ্রেনের জিন শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধে।

৪. চোখ: মাথার সঙ্গে চোখের বেশ গভীর যোগসূত্র রয়েছে। তাই অনেকে মাইগ্রেনের আগে চোখের ঠিক মতো দেখতে পান না। একে অরাস বলে।   

৫.খাদ্য: ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন১২, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের মতো কিছু খাদ্য উপাদানের অভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;