দুধ চা, লাল চা, গ্রিন টি- ভালো হবে কোনটি?



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চা পান করা ব্যতীত একটা দিন পার করা ভীষণ দুঃসাধ্য ব্যাপার।

সকালে উঠেই গরম এক কাপ চায়ের সঙ্গে নাস্তা, কাজের চাপে নিজেকে একটু রিল্যাক্স রাখতে চায়ের কাঁপে চুমুক দেওয়া কিংবা আড্ডার টেবিলেও থাকা চাই প্রিয় এই গরম পানীয়টা।

চায়ের কথা বলতেই চোখের সামনে নিশ্চয় ভেসে ওঠে গরম এককাপ পারফেক্ট বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ ও ঘনত্বের দুধ চায়ের ছবি। অনেকেই অবশ্য দুধ চা এড়িয়ে যান ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স কিংবা গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যার জন্য। সেক্ষেত্রে লাল চায়ের সঙ্গে চলে সখ্যতা।

এছাড়া এখনকার সময়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সচেতনতামূলক তথ্যের জন্য গ্রিন টির দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। বিশেষত যারা লাল চা পান করেন, গ্রিন টিকেও পানীয়ের তালিকায় রাখছেন স্বাচ্ছন্দে। আবার অনেকেই তিন ধরণের চা-ই নিয়মিত পান করেন সময় ও সুযোগ বুঝে।

কিন্তু এই তিন প্রকারের চায়ের মাঝে কোন চা সবচেয়ে উপকারী ও স্বাস্থ্যকর? সেটা সম্পর্কেই আজকের ফিচারে আলোচনা করা হয়েছে।

ফ্লোরাইডের উপস্থিতি

এক্ষেত্রে লাল চা ও গ্রিন টি অগ্রাধিকার পাবে। উভয় চা থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্লোরাইড পাওয়া যাবে, কিন্তু দুধ চায়ের ক্ষেত্রে হতে হবে হতাশ। গ্রিন টি ও লাল চা দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অবশ্য গ্রিন টি ও লাল চায়ের মধ্যে ফ্লোরাইড বেশি পাওয়া যাবে গ্রিন টি থেকে (0.3-0.4mg).

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/07/1551946440430.jpg

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপস্থিতি

এক্ষেত্রেও দুধ চা পেছনের দিকেই থাকবে এবং সামনের দিকে থাকবে গ্রিন টি ও লাল চা। এই দুই ধরণের উপকারী চায়ে পাওয়া যায় ক্যান্সার প্রতিরোধকারী শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। অন্যদিকে দুধ চায়ে মিশ্রিত দুধ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টকে শরীরে শোষিত হতে বাধাপ্রদান করে। তবে ফ্লোরাইডের উপস্থিতির মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপস্থিতির ক্ষেত্রেও গ্রিন টি সবচেয়ে বেশি ভালো। গ্রিন টি থেকে পাওয়া যায় ক্যাটেচিন (Catechin) নামক ফ্ল্যাভনয়েড। যা ক্যান্সার কোষের জিনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

ক্যাফেইনের উপস্থিতি

লাল চা গ্রিন টি- উভয় ধরণের চা থেকেই পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যাফেইন। তবে লাল চায়ের তুলনায় গ্রিন টিতে ক্যাফেইন মাত্রা থাকে কিছু কম। যদি আপনি সকাল বেলা ঘুমভাব দূর করে পুরোদমে কাজ শুরু করতে চান তবে লাল চা হবে সবচাইতে ভালো পছন্দ। যদি লাল চা না থাকে তবে গ্রিন টিও পান করতে পারেন। তবে দুধ চায়ের ক্ষেত্রে ক্যাফেইনের মাত্রা হবে একেবারেই কম এবং লাল চা পানে যেমন রিফ্রেশিং ভাব তৈরি হয়, দুধ চা থেকে তেমনটা পাওয়া যাবে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/07/1551946463990.jpeg

হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারিতা

হৃদযন্ত্রকে যদি সুস্থ রাখতে চান তবে তিন ধরণের চায়ের মাঝে লাল চা হবে সবচাইতে উৎকৃষ্ট চা। তবে গ্রিন টিও ব্লাড ভ্যাসেলের চাপকে হ্রাস করতে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। অন্যদিকে লাল চা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে দুধ চা হৃদযন্ত্রের উপর উপকারি কোন ফেলে কিনা, এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

এক্ষেত্রে বলা যায়, প্রতিদিনের কাপের পর কাপ চা পানের অভ্যাসের ক্ষেত্রে লাল চা নতুবা গ্রিন টি পানের অভ্যাস গড়ে তোলাই হবে সর্বাপেক্ষা উত্তম। স্বাদের বিবেচনায় দুধ চা সবসময় এগিয়ে থাকলেও, নিয়মিত দুধ চা পানের পরিবর্তে কদাচিৎ পান করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন: কাঁচা খেলে পুষ্টি মিলবে সম্পূর্ণ!

আরও পড়ুন: ক্যান্সার দেখা দিতে পারে যে খাবারগুলো থেকে

   

তারকাদের ভিড়ে প্রতিভার উজ্জ্বলতায় জ্বলজ্বলে ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সে চলছে ২০২৪ সালের ‘৭৭ তম কান’স ফিল্ম ফেস্টিভাল’। দেশটির দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে প্রতিবছরই চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ  এই উৎসবরে আয়োজন করা হয়। ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন কোণা থেকে অনেক সিনেমা সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা একত্রিত হন। মূলত ফিল্ম ফেস্টিভাল হলেও যেহেতু অভিনয়ের সঙ্গে ফ্যাশন ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তাই এখন ফ্যাশনের লোকজনও ক্যান’স এর অনুষ্ঠানে আসে।   

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আসনা হাবিব ভাবনা কানস ফিল্ম ফেস্টিভালে উপস্থিত হয়েছেন। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেরও অনেক বড় অভিনয় শিল্পী এবং ফ্যাশন ব্যক্তির পদচারণা ঘটে। তবে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সাড়া পড়েছে ভারতীয় ইন্ফুয়েন্সার ন্যান্সী ত্যাগী।

কান’স ফিল্ম ফেস্টিভালের ইতিহাসে ন্যান্সিই প্রথম তারকা যিনি নিজেই নিজের পোশাক তৈরি করেছেন। কানের লাল গালিচায় পা রাখার সাথে সাথেই হৈ-চৈ ফেলে দেন ন্যান্সি। ৩০ দিনের মধ্যে তৈরি করা তার অসাধারণ পোশাকের কারণে দেশ জুড়ে হচ্ছে জয়জয়কার।

 ন্যান্সির বানানো পোশাক

উর্ফি জাভেদ, খুশা কাপিলা সহ বড় বড় তারকাও তার প্রশংসায় ভাসছেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন বলিউডের ফ্যাশন আইকন সোনাম কাপুর। ১৮ তারিখের ইভেন্টে ন্যান্সী নিজের তৈরি করা পোশাক পরে প্রথম বার রেড কার্পেটে হাঁটেন। ১ হাজার মিটার কাপড়ে তৈরি করা গোলাপি গাউনটির ওজন ছিল ২০ কেজি।

দ্বিতীয় দিন একটি চকচকে ল্যাভেন্ডার শাড়ি পরে হাজির হন তিনি। এই পোশাকটিও নিজেই তৈরি করেছেন ন্যান্সী। প্রথম পোশাকের মতো দ্বিতীয় পোশাক দিয়েও সকলের নজর ও প্রশংসা কেড়েছেন এই উত্তর প্রদেশের এক ছোট শহরের মেয়ে। সোনাম কাপুরের মতে, এই পোশাকই কানে দেখা সেরা পোশাক। একই সঙ্গে সোনাম ন্যান্সীর কাছে অনুরোধ করেন, যেন তার জন্য ন্যান্সী কোনো পোশাক তৈরি করে দেন।

ন্যান্সির দ্বিতীয় দিনের পোশাক

ন্যান্সীর আরেকটি ব্যাপার নেটিজেনের নজর কাড়ে। কানের মতো বড় মঞ্চে ইংরেজি ভাষায় তার অপারগতা নিয়ে একদমই কুণ্ঠিত নন ন্যান্সী। বেশ সহজ ও সাবলীলভাবেই তার মাতৃভাষায় সহজেই মনোভাব ব্যক্ত করছেন। ভারতীয়দের মধ্যে হিন্দি ভাষায় কথা বলার ক্ষেত্রে কিছুটা জড়তা নজরে পড়ে বরাবরই। ন্যান্সীর ক্ষেত্রে যা ছিল অনুপস্থিত।  

  

;

মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে যেসব কারণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথাব্য়থা খুব অস্বাভাবিক কোনো সমস্যা নয়। ঋতু পরিবর্তন বা হালকা জ্বর হলেও মাথাব্যথা হতেই পারে। তবে মাইগ্রেন কোনো সাধারণ মাথা ব্যথার সমস্যা নয়। এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা তীব্র মাথাব্যথা সহ্য করেন। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

মাইগ্রেনের সমস্যা সকলের মধ্যে দেখা যায় না। ধারণা করা হয়, এই সমস্যা বংশ পরম্পরায়ও স্থানান্তরিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত জেনেটিক এবং পরিবেশগত অবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী শতকরা ১০ ভাগ মানুষ মাইগ্রেনে ভোগেন। জেনেটিক সংক্রান্ত কারণে মাইগ্রেন আংশিকভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে পেরিফেরাল ট্রিগারের কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগের তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিতে থাকে।

যেসব কারণে মাইগ্রেন হতে পারে

১. লিঙ্গভেদ: নারী এবং পুরুষদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য থাকলেও ভিন্ন লিঙ্গের কারণে নানারকম হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। নারীদের শরীরে থাকা হরমোনের ব্যবস্থাপনার কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২. প্রভাবক: মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, আবহাওয়ার পরিবর্তন, তীব্র গন্ধসৃ্ষ্টিকারী অস্বস্তি কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রভাবিত হতে পারে। এই ঘটনাগুলো শনাক্ত করে এড়িয়ে চললে উপকার হতে পারে।  

৩. বংশ: অনেক সময়ের একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাইগ্রেন স্থানান্তরিত হয়। সাধারণত বাবা মায়ের থেকে মাইগ্রেনের জিন শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধে।

৪. চোখ: মাথার সঙ্গে চোখের বেশ গভীর যোগসূত্র রয়েছে। তাই অনেকে মাইগ্রেনের আগে চোখের ঠিক মতো দেখতে পান না। একে অরাস বলে।   

৫.খাদ্য: ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন১২, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের মতো কিছু খাদ্য উপাদানের অভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;

তামাক সেবনে রয়েছে ক্যান্সারের ঝুঁকি



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ / ছবি: সংগৃহীত

তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান যুগে ক্যান্সার আশঙ্কাজনক একটি রোগে পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ক্যান্সারের ভয়াবহতার মূল কারণ হলো এর দুশ্চিকিৎস্য হওয়া। আমাদের দেশ এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে মাথা এবং ঘাড়ে ক্যান্সার হওয়ার সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

এর কারণ হিসেবে বেশে কিছু ব্যাপার চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে (শতকরা ৯০ ভাগই) দেখা যায় স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার (এসসিসি) এর পেছনে দায়ী। আবার কিছু ক্ষেত্রে থাইরয়েড এবং লালাগ্রন্থির ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও অনুরূপ দেখা যায়। যদিও উভয় ক্ষেত্রে চিকিৎসা এবং রোগ ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া ভিন্ন।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের একটি সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক অনিল ডি’ক্রুজ জানান, ‘ক্যান্সার বৃদ্ধিতে এসসিসি বৃহৎ ভূমিকা পালন করে। এটি মস্তিষ্কের ঠিক নিচ থেকে ঘাড় পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে। কলারবোন, মাথা, ঘাড় সহ শরীরের এইসব অংশ প্রায় ১৩-১৪টি অংশে স্বতন্ত্রভাবে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঘটায়।

মাথা এবং ঘাড়ে ক্যান্সার বাড়ার মূল কারণ হিসেবে নেশাজাত দ্রব্য সেবনের প্রবণতাকে চিহ্নিত করেন ডাক্তার অনিল। দিন দিন বিভিন্ন ধরনের তামাক গ্রহণ করার সংখ্যা লাগামহীনভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে অল্প বয়েসিরা বুঝে বা না বুঝে এসব অভ্যাসে জড়িয়ে পড়ছে। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের কিশোর বা পথশিশুরা সিগারেট সহ বিভিন্নসহ তামাক ও নিকোটিনজাতীয় যেকোনো নেশাজাত দ্র্রব্য সেবন করার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। তাই এদের মধ্যে ঘাড় এবং মাথার বিভিন্ন অংশে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।  

ক্যান্সারের ঝুঁকির ব্যাপারে অনিল বলেন, ‘তামাক সেবনকারীরা এমনিতেই মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের বিপজ্জনক সীমায় থাকেন। পাশাপাশি যারা অ্যালকোহলও সেবন করেন, তারা আরও বেশি ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন। এসব অভ্যাসে আসক্ত ব্যক্তিরা হয়তো জানেনও না, এর মাধ্যমেই শরীরে মৃত্যুর বীজ বপন করছেন নিজ হাতেই। সচেতনার অভাবেই মানুষজন এসব রোগের ঝুঁকির সম্পর্কে অবগত থেকে যাচ্ছে।    

 তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ

আরেকজন চিকিৎসক রাজেশ মিস্ত্রী জানান,‘তামাকের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা ক্যান্সারের বৃদ্ধিতে প্রভাবিত করে। এইচপিভি নামক ভাইরাস সাধারণত ভাইরাল সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে মৌখিক স্বাস্থ্যকে দুর্বল করে দেয়। এতে মুখ এবং আশেপাশের অংশে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ে।’  

ডাক্তার মিস্ত্রী আরও বলেন,‘ শুধু তামাক নয়, সুপারিতে রয়েছে ওরাল সাব-মিউকাস ফাইব্রোসিস। তাই ঘন ঘন পান খাওয়ার কারণে মুখে প্রিমালিগন্যান্ট অবস্থা সৃষ্টি হয়। এতে সময়ের সাথে সাথে একসময় মুখ হা করার ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করে। মুখ খুলতে কষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যান্সার অবধি হতে পারে।’ এছাড়াও মুখের ক্যান্সারের কিছু সাধারণ উপসর্গ হলো-

*মুখের ঘা সেরে না ওঠা

*মুখ বা গলা থেকে রক্তপাত

*দাঁতে ব্যথা হওয়া বা মাড়ি থেকে আলগা হয়ে যাওয়া এমনকি পড়ে যাওয়া

*ব্যথা কান অবধি ছড়িয়ে পড়া

*গিলতে কষ্ট হওয়া

* গলার টিউমার বা সিস্ট হওয়া

এইসকল সমস্যাগুলো মুখ থেকে শুরু করে গলা, ঘাড় এমনকি মাথার ক্যান্সারের কারণেও দেখা যেতে পারে। তাই এরকম সমস্যাগুলো নজরে পড়লে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।  

;

মাইগ্রেনের সাধারণ উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের ব্যথা

মাইগ্রেনের ব্যথা

  • Font increase
  • Font Decrease

মাইগ্রেনের ব্যথা আমাদের মধ্যে সাধারণ সমস্যাগুলোর একটি। মূলত মাইগ্রেনের সমস্যার কারণে তীব্র মাথা ব্যথা হয়। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

খুব সূক্ষ্ম মাত্রায় ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যন্ত্রণা কমানো যেতে পারে। সঠিক চিকিৎসা এবং ভালো ওষুধের মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এটি নিরাময় করার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।

মাইগ্রেনের সমস্যা যেকোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে। একেকজনের ক্ষেত্রে সমস্যা একেকরকম হয়। তবে সকলের ক্ষেত্রেই কয়েকটি সাধারণ ধাপে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এগুলো হলো- প্রোড্রোম, অওরা, অ্যাটাক, পোস্টড্রোম।

প্রোড্রোম: মূলত মাথাব্যথার তীব্রতা বাড়ার আগের ২৪ ঘণ্টার মুহূর্ত এটি। এই ধাপের উপসর্গ হতে পারে মেজাজ পরিবর্তন, কোষ্ঠ্কাঠিন্য, খাবার খাওয়ার ইচ্ছা, ঘন ঘন প্রসাব, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বেশি হাই ওঠা সহ আরও অনেক কিছুই হতে পারে।  

অওরা: এই পর্যায়ে মাথা ব্যাথা হওয়ার আগ মুহূর্তে বা মাথাব্যথার সময়ে নানারকম অসুবিধা দেখা দিতে পারে। কয়েক মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ে মুখ, বাকযন্ত্র, মাথার সংবেদনশীল অংশে উপসর্গ দেখা দিতে পারে।     

অ্যাটাক বা আক্রমণ: এই পর্যায়ে মাথা ব্যথা তীব্রতার পর্যায়ে চলে যায়। একটানা ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধিও ব্যথা স্থায়ী হতে পারে। চিকিৎসা করা না হলে এই সময়কাল আরও দীর্ঘ হতে পারে।

পোস্টড্রোম: এই পর্যায়ে মাথা সমস্যা ১ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। উপসর্গগুলো অনেকটা অ্যালকোহল সেবনের পরে হ্যাংওভারের উপসর্গের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।  এজন্য এক মাইগ্রেন হ্যাংওভারও বলা হয়।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;