যমুনায় ৩ দিনব্যাপী হুরাইন ফেব্রিক উইক শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যমুনায় ৩ দিনব্যাপী হুরাইন ফেব্রিক উইক শুরু

যমুনায় ৩ দিনব্যাপী হুরাইন ফেব্রিক উইক শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিমংল যমুনা ফিউচার পার্কে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী হুরাইন ফেব্রিক উইক ২০২৪। যমুনা গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলামফেব্রিক উইকের উদ্বোধন করেন।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্দা উঠেছে এ এক্সপোর। 

যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল ৭ এ শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা আসতে পারবেন প্রদর্শনীতে।

ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের বায়ারদের জন্য হুরাইনের পক্ষ থেকে বসন্ত ও গ্রীষ্মের জন্য বিশ্বমানের ফেব্রিক দিয়ে তৈরি পোশাক প্রদর্শন করা হচ্ছে। বিভিন্ন গার্মেন্টসের প্রধান, বিপণন কর্মকর্তা ও বায়িং হাউজ থেকে আসছেন সংশ্লিষ্টরা। এবারের প্রদর্শনীতে ১৬৫ ধরনের নতুন ফেব্রিকের পাশাপাশি সাড়ে ৪ হাজার ফেব্রিক প্রদর্শন করা হচ্ছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এর সবই হুরাইন উদ্ভাবিত।

হুরাইন ফেব্রিক উইক সম্পর্কে যমুনা গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই হুরাইন এইচটিএফ দুবার ফেব্রিক উইকের আয়োজন করে।

এ বছর ২০২৫ সালের স্প্রিং (বসন্ত) এবং সামার (গ্রীষ্ম) সিজনের ওপর ভিত্তি করে এ আয়োজন সাজানো হয়েছে। এরপর আমরা বর্ষা এবং শীতের আয়োজন নিয়ে আসব। মূলত, মৌসুম শুরুর ৮ মাস আগেই সেই মৌসুমে ব্যবহার উপযোগী নতুন রং ও ডিজাইনের হুরাইন উদ্ভাবিত ফেব্রিক সম্পর্কে ধারণা দিতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। যাতে বিদেশি ক্রেতা এবং ডিজাইনারদের অর্ডার দিতে সুবিধা হয়। এই জন্যই আমাদের ফেব্রিক উইক করা হচ্ছে।

রোজালিন ইসলাম বলেন, হুরাইন বিশেষায়িত ফেব্রিক উৎপাদন করে। সচরাচর বাংলাদেশের অন্য টেক্সটাইল মিলগুলো এ ধরনের ফেব্রিক উৎপাদন করে না। আমাদের উৎপাদিত ফেব্রিক সম্পর্কে বিদেশি ক্রেতা ও ডিজাইনারদের জানাতে ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি আমরা বিদেশি প্রদর্শনীতেও ফেব্রিক প্রদর্শন করে থাকি। এতে বায়ারদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। এ বছরের শেষ নাগাদ সিনথেটিক ফেব্রিক যেমন পলিয়েস্টার, নাইলন, শিফন ও জর্জেট ফেব্রিক উৎপাদন শুরু করব।

তিনি বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল হুরাইন শুধু বাংলাদেশের নয় বরং বিশ্ববাজারেও নম্বর ওয়ান ব্র্যান্ড হবে। সেভাবেই আমরা কাজ করছি। শিগগিরই আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব বলে আশা করছি।


হুরাইনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বলেন, বাংলাদেশে এখন বিশ্ব মানের ফেব্রিক উৎপাদন হয়। সেটি বায়ারদের জানান দিতেই এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। যদিও সরকার প্রতি বছর রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মাধ্যমে টেক্স ওয়ার্ল্ড প্যারিস প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের টেক্সটাইল মিলগুলোকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক ফ্যাশনের হালচাল প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। এখন ম্যান মেইড ফাইবারের যুগ চলছে। এখানে বাংলাদেশের অফুরন্ত সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশে টেক্সটাইল মিলগুলোকে সঠিক নীতি সহায়তা দিতে পারলে এ খাতে বিপুল পরিমাণ রফতানি আয় সম্ভব। হুরাইন এইচটিএফ সিনথেটিক ফাইবারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বছরের শেষে নতুন সেট আপ চালু করছে, যাতে বছরে সাড়ে ৪ মিলিয়ন গজ কাপড় উৎপাদন সম্ভব।

হাকিম বলেন, হুরাইনের ফেব্রিক গুণগত মান সম্পন্ন হওয়ার কারণে আমেরিকা, শ্রীলঙ্কা, নিকারাগুয়া, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়াতে সরাসরি রফতানি হচ্ছে। এছাড়া দেশের গার্মেন্টসগুলোর মাধ্যমে প্রচ্ছন্ন রফতানিও হচ্ছে।

প্রদর্শনীতে আসা ফ্যাশন ডিজাইনার জান্নাতুন নাইম বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানের ফেব্রিক উৎপাদনে সক্ষম। অনেক টেক্সটাইল মিল ভালো ফেব্রিক বানাচ্ছে। এর মধ্যে হুরাইনের ফেব্রিকের আলাদা বিশেষত্ব আছে। হুরাইন সব সময় উদ্ভাবনীয় শক্তি দিয়ে নতুন কিছু করতে চায়। এবারও নতুন ফেব্রিক দেখতে পেয়েছি যার রং ও ডিজাইন সত্যিই দেখতে সুন্দর, হ্যান্ডফিলও ভালো।

অপরদিকে, ফেব্রিক প্রদর্শনীতে আগত বায়ার ও দর্শনার্থীদের জন্য করা হয়েছে বিভিন্ন জোন। শুরুতেই রাখা হয়েছে পুরো এক্সপোর সামারি। তারপর পর্যায়ক্রমে সাসটেনেবল জোন, ফ্লাক্স ফাইবার, আর কটন, পাইনাপেল ফাইবার হেম্প ফাইবার, ডেনিম কাটিং ফাইবার ডবি জোন, ব্লেন্ডেড বটম, স্ট্রেস বটম, শেপিং টেকনোলজিস, লিলেন ব্লেন্ডস, নিউ ব্লেন্ডস, ইয়ার্ন ডাইড বটমস, রিজিড টুইল, স্ট্রাকচারাল জোন, ওভার ডাই জোন (আরএফডি), ক্লিনিক্যাল ফ্যাশন, টেনসিল ব্লেন্ডস, স্ট্রেট টুইলস জোন রাখা হয়েছে।

এছাড়াও হুরাইন ইতোমধ্যেই বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ড যেমন, সিঅ্যান্ডএ, যারা, আমেরিকান ঈগল, টম টেইলার, এস অলিভার, লেভিস, বারশকাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;