টমেটোর ঔষধি গুণ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টমেটো একটি ক্ষুধাবর্ধক, তৃপ্তিদায়ক ফল ও সবজি। সারাবছরই টমেটো পাওয়া গেলেও শীতকালে এর চাহিদা ও উৎপাদন বেশি থাকে। পাকা টমেটো ছোট বড় সকলের পছন্দনীয় ও সালাদে অতুলনীয়। টমেটোতে রয়েছে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের পুষ্টির জন্য যা যা দরকার সেগুলো টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আপেল, কমলালেবু, আঙুর প্রভৃতি দামি ফলের চেয়ে টেমেটোতে রক্ত তৈরির ক্ষমতা বেশি আছে। এতে লবণ, পটাশ, লোহা আর ম্যাঙ্গানিজ যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। এছাড়াও কাঁচা ও পাকা টমেটো রান্না করে খেতে বেশ মজাদার।

চলুন তাহলে জেনে নেই টমেটোর প্রচুর ঔষধি গুণ সম্পর্কে।

ঔষধি গুণ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
টমেটোর লাইকোপেন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও হৃদরোগে কার্যকর। শরীরের দুর্বলতা কাটাতে সকাল বিকাল পাকা টমেটো সালাদ করে খান বা রস করে খেলে এনার্জি পাবেন।

ত্বকের সুরক্ষায়
যাদের চামড়ায় নানা রোগ আছে বা মসৃণতা কমে গেছে। তারা টমেটো সালাদ করে অথবা রস খান তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে ও ত্বক মসৃণ হবে।

হজমে সাহায্য করে ও খিদে বাড়ায়
হজমের সমস্যা যাদের তাদের জন্য টমেটো পাকা অথবা কাঁচা দুটোই খুব উপকারী। এছাড়াও যাদের মুখে অরুচি ও খিদে কম পায় তারা টমেটো টুকরো টুকরো করে কেটে তাতে শুকনো আদার গুঁড়ো ও সামান্য মিশিয়ে খান বেশ উপকার পাবেন।

রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল আছে যা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে।

দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে
টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। নিয়মিত টমেটো খেলে আমাদের চোখের দৃষ্টি খুবই ভালো থাকে।

দাঁত এবং হাড়ের জন্য উপকারি
টমেটোতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে হাড় শক্ত রাখে এবং হাড়ের সঠিক গঠনে সাহায্য করে। এ ছাড়াও দাঁতকে সুস্থ রাখতে টমেটো কার্যকর।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে টমেটো দারুণ ভূমিকা পালন করে। টমেটোতে থাকা লাইকোপেন ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। সপ্তাহে ১০ টি বা তার থেকে বেশি টমেটো খেলে ক্যানসারের আশঙ্কা অনেক কমে যায়।

কোষ্টকাঠিন্য দূর করে
টমেটো তে প্রচুর ফাইবার থাকায় এটি কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা কমায়।

এছাড়াও টমেটো ভিটামিন এ ও সি এর এক অনন্য উৎস। তাই সুস্থ, নিরোগ থাকতে যদি চান, প্রতিদিন একটি করে টমেটো খান।

 

তথ্যসূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস

   

শীতে কেন ঘি খাবেন!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাঙালির ঘি-এর প্রতি আকর্ষণ নতুন কিছু নয়। গরম ভাতে ঘি হলে আর কিছুই লাগে না। শীশুকালে অনেকেই মায়ের কাছে শুনে থাকে ঘি খেলে বুদ্ধি বাড়ে। আসলে কথা কিন্তু সত্য,  ঘি-তে রয়েছে অনেক ধরনের উপকারিতা। বিশেষ করে শীতকালে নানা ভাবে শরীরের যত্ন নেয় ঘি। ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শীতকালীন সর্দি-কাশি কমাতে, শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ঘি বিশেষভাবে কার্যকর। 

চিকিৎসকদের মতে, শীতকাল ঘি খাওয়ার একেবারে উপযুক্ত সময়। শরীর উষ্ণ রাখতে ঘি বেশ কার্যকরী। ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে সমৃদ্ধ ঘি দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। শরীরের পাশাপাশি ঘি ত্বকের যত্নেও দারুণ কাজ করে। শীতে ঘি খেলে কী কী উপকার পাবেন সেগুলো একনজরে দেখে নিন।

১. শরীর গরম রাখে

ঘি অনেক উচ্চ তাপমাত্রায় বাষ্পীভূত হয়‌। তাই শীতকালে খাবারে ঘি দিলে তা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।

২. পেট ভালো রাখে

বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ঘি-এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস্ট্রিক রস। এই গ্যাস্ট্রিক রসগুলো আমাদের অন্ত্রের মধ্যেও থাকে। এদের প্রধান কাজ খাবারের কণা ভেঙে তা হজম করতে সাহায্য করা। তাই খাবারের সঙ্গে ঘি থাকলে হজমেরও সুবিধা হয়।

৩. সর্দি কাশি কমায়

ঘি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ঘি-এর বিশেষ গুণের জন্য সর্দি কাশির ওষুধ হিসেবে এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। 

৪. ত্বক আর্দ্র করে

ত্বক আর্দ্র রাখতে ঘি বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। ঘি-এর মধ্যে রয়েছে কিছু প্রয়োজনীয় ফ্যাট। এই ফ্যাটগুলো ত্বকের পর্দায় প্রবেশ‌ করে ভিতর থেকে ত্বককে আর্দ্র রাখে। এছাড়াও মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে তাও আর্দ্র রাখে ঘি।

কীভাবে খাবেন?

রান্নায় তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে। বেশিরভাগ রান্নাই ঘি-এর ব্যবহারে সুস্বাদু হয়ে ওঠে। স্যুপ বা ডাল পরিবেশনের আগে তার মধ্যে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও অনেক রান্নায় মাখন ব্যবহার করা হয়। মাখনের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। এতে রান্নার স্বাদও বেশ ভালো হবে।

 

তথ্যসূত্র-হিন্দুস্তান টাইমস 

;

শীতে শরীর গরম রাখবে যে ৫টি খাবার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শরীর গরম রাখবে যে ৫টি খাবার

শরীর গরম রাখবে যে ৫টি খাবার

  • Font increase
  • Font Decrease

ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সেই সাথে বাড়ছে ঠান্ডাও। এই শীতে অনেকে সর্দি,কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হন। শীতের আবহাওয়া ত্বকের জন্য বয়ে আনে নানা ধরণের সমস্যা। সুস্থ থাকার জন্য ঋতুর এ পরিবর্তনে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে।

শীতে কয়েকটি খাবার শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। এই জমে যাওয়ার আবহাওয়ায় একটু উষ্ণতার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে শরীর গরম রাখার মতো ৫টি খাবার সম্পর্কে।

১. গুড়

গুড় চিনির চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফসফরাস, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, এবং পটাসিয়াম রয়েছে। গুড় শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ তাপ উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।

২. তিল

শীতকালে নিজেকে গরম রাখতে চাইলে তীল ভালো কাজে দিবে। শীতে তিলের নাড়ু, খাজা, পিঠার মতো খাবার বেশ জনপ্রিয়। তিল শুধু শরীর গরম রাখতেই নয়, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানো, লিভার ভালো রাখার কাজও করে।

৩. ডিম

ডিমকে বলা হয় ‘শক্তির পাওয়ার হাউস’। ডিম কেবল আপনার শরীরকেই উষ্ণ রাখে না, এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন, যা আপনার শরীরকে শীতকালে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। তাই এই শীতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে একটি করে ডিম।

৪. মধু

সর্দি, কাশি, ফ্লু ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়তে অনন্য এক উপাদান মধু। মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেও মধুতে নেই বাড়তি ক্যালরির ঝামেলা। এছাড়া শরীর গরম রাখতেও বেশ উপকারী। মধুতে থাকা উপাদান শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ঠান্ডা লাগা কমায়। মধু খেলে এজন্য ঠাণ্ডা কম লাগে।

৫. বাদাম

বিভিন্ন জাতের বাদাম যেমন, চিনাবাদাম, আখরোট, কাঠবাদাম ইত্যাদি ভালো কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ফাইবার ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস। গরমজাতীয় খাবার বলে শীতে স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম খেতে পারেন। এগুলি শরীরে শক্তি ও ফূর্তির সঞ্চার করে।

;

শীতে রোজ খান কমলালেবু, জানুন নানা উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শীতের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। নানা রকম ভাইরাসের আক্রমণে এমনটা হতে পারে। তবে এ সময় প্রতিদিন কমলা খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কারণ কমলায় থাকে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি। এসব পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

এছাড়াও শরীরে মেলে নানা উপকার। কমলা আমাদের দেশে সহজলভ্যই বলা চলে। এটি আপনার খাবারের তালিকায় রাখলে সুস্থ থাকা সহজ হবে। ছোট-বড় সবার জন্যই এটি বেশ উপকারী।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কমলার কিছু অবাক করা গুণ-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

কমলায় থাকে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি। এসব পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে

কমলাতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। যাকে বলা হয় পেকটিন। এটি রক্ত স্রোতে শোষিত হওয়ার আগে শরীর থেকে কোলেস্টেরল দূর করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। 

চোখ ভালো রাখে 

কমলা ক্যারোটিনয়েডের সমৃদ্ধ একটি উৎস। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চোখের শ্লেষ্মা ঝিল্লি স্বাস্থ্যকর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কমলা খাওয়া দারুন উপকারী। এতে থাকা পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এটি ইনসুলিন উৎপাদনে দারুন সহায়তা করে।

ওজন হ্রাস করে 

কমলায় কম পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা মেদ কমাতে সহায়তা করে। যা শরীরের মেদ বাড়তে দেয় না। যা শরীরের ওজন বাড়ায় না। শরীর ভারসাম্যতা বজায় থাকে।

ত্বক সুন্দর করে 

কমলা লেবু তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা বার্ধক্যজনিত লক্ষণ কমায়। ত্বককে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এটি ত্বক সুন্দর করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

কমলালেবু তে ডি-লিমোনিন থাকে, এটি এক ধরণের যৌগ। যা ফুসফুসের ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সার এমনকি স্তনের ক্যান্সারের মতো ক্যান্সার  প্রতিরোধে সহায়তা করে। কমলালেবু তে উপস্থিত ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উভয়ই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  এগুলো ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে।

কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে রক্ষা করে

কমলা লেবু কিডনির জন্য উপকারী। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করে।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা 

;

এলার্জির কারণে চোখে কাজল দিতে পারেন না? ঘরেই তৈরি করুন কাজল



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে একটুখানি কাজলই যথেষ্ট। দুই চোখে হালকা কাজল যেকোনো মেয়েকেই আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। কাজল ছাড়া মেকআপ যেন অসম্পূর্ণ। এটি সজ্জার অন্যতম একটি অংশ। আবার অনেকে এমন রয়েছেন যারা মেকআপ করতে খুব একটা পছন্দ করেন না। শুধুমাত্র চোখে একটু কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

কাজল শুধু আজ থেকে নয় এটি প্রাচীনকাল থেকেই নারীর সৌন্দর্য চর্চার অন্যতম উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বাজার থেকে কিনে আনা কাজল চোখে দেওয়া মাত্রই চোখ জ্বালাপোড়া করতে শুরু করে।

অনেক সময় চোখ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায়। যাদের কাজল পরার ক্ষেত্রে অ্যালার্জি (Allergy) রয়েছে তারা এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন প্রায়ই। কিন্তু যাদের অ্যালার্জি নেই তারাও অনেক সময় বাজার চলতি কেনা কাজল পরে বিপদে পড়তে পারেন। কারণ এই কাজল তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। যেগুলো চোখের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। এতে চোখে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই সমস্যা এড়িয়ে চলতে গেলে সবথেকে সহজ উপায় হল দোকান থেকে কাজল কেনা বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে ঘরেই তৈরি করে নিন কাজল।

সামান্য কিছু উপকরণ আর একটু সময় হাতে থাকলেই তৈরি করা যাবে কাজল। চলুন জানা যাক কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাজল তৈরি করা যায়। যা আপনার সৌন্দর্য বাড়ানোর সাথে সাথে চোখকেও আরাম দিবে।

যেভাবে কাজল তৈরি করবেন 

প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল দিয়ে কাজল তৈরি করা যায়। এর জন্য একটা মোমবাতির উপর সামান্য ক্যাস্টর অয়েল গরম করুন। ক্যাস্টর অয়েল রাখা পাত্রের উপর একটা প্লেট রাখতে হবে। আর সেই প্লেটের উপরে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে জেলটি পুরোপুরি পুড়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অ্যালোভেরা পুড়ে গেলেই তৈরি হয়ে যাবে প্রাকৃতিক কাজল। এছাড়াও কর্পূরের কাজল , ঘিয়ের কাজল এবং সরষের তেলের কাজল তৈরি করা যায়। এই ধরনের কাজলগুলো শিশুদের চোখে দিলে তাতে শীতলতা পাওয়া যায়। আর এই কাজল ব্যবহারে চোখে কোন ধরনের জ্বালাপোড়া হবে না।

 

তথ্যসূত্র- প্রথম কলকাতা

;