আমড়া খেলে যেসব উপকার পাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আমড়া খেলে যেসব উপকার পাবেন

আমড়া খেলে যেসব উপকার পাবেন

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের দেশে এক এক মৌসুমে এক এক ফল পাওয়া যায়। এর মধ্যে অতিপরিচিত একটি ফল হলো আমড়া। মিনারেল ও ভিটামিনে ভরপুর এই ফলটি মুখরোচক ও সুস্বাধু। টক-মিষ্টি জাতীয় এ ফলটি কাঁচা ছাড়াও আচার, চাটনি, জ্যামসহ বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। 

আমড়ায় আছে ক্যালসিয়াম, আঁশ, আয়রন, ভিটামিন সি-সহ আরও অনেক উপকারী উপাদান। এছাড়াও আমড়া গাছের বিভিন্ন অংশে আছে অনেক ঔষধি গুণাগুণ। যা ডায়রিয়া, কানের ব্যথা, ক্ষতসহ বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

আমড়া’র স্বাস্থ্য উপকারিতা

হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে: আমড়াতে আছে প্রচূর পরিমাণে আয়রন। যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন এবং মায়োগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে। এর ফলে শরীরে অক্সিজেন পরিবহণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এছাড়াও  শরীরের রক্তাস্বল্পতা এবং অন্যান্য রক্তের সমস্যা প্রতিরোধে আমড়া অনেক উপকারী।

হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক: আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে। এই ফলটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।। এছাড়াও গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আমড়া। নিয়মিত খাবারের পর এই ফলটি খাওয়ার অভ্যাস দূর করতে পারে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি।

ভিটামিন সি’র ভালো উৎস: আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ফলে এটি হাড় ও দাঁতের রক্ষণাবেক্ষণসহ নানান রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। আমড়াতে থাকা ভিটামিন সি মানুষের দেহের প্রোটিন কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা, দৃঢ়তা বজায় রাখতে উপকারী।

হাড়কে মজবুত করে: আমড়াতে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। নিয়মিত আমড়া খেলে তা ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এটি হাড়ের যে কোনো রোগ দূর করে হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে ।

পেশিশক্তি বৃদ্ধি করে: আমড়াতে থিয়ামিন নামের একটি উপাদান পাওয়া রয়েছে, যেটি মানুষের শরীরে পেশি সংকোচন ও স্নায়ু সংকেত সঞ্চালনে সাহায্য করে। 

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: আমড়াতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। এ উপাদানগুলো আমাদের স্ট্রেসের প্রভাব কমাতে সহায়তা করে।

এছাড়াও আমড়া বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। এর উপাদান সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। ব্রণের প্রকোপ কমিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়। আমড়াতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

   

যখন তখন হেঁচকি উঠে নাজেহাল! জানুন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিদিন কমবেশি ঢেকুর/হেঁচকি আমাদের সবারই ওঠে, এটি অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। অনেকে আবার পেট ভরে খাওয়ার পর তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। তবে ঢেকুর যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক লেভেলে থাকে ততক্ষণই এটি স্বাভাবিক। যখন ঢেকুরের মাত্রা মাত্রাতিরিক্ত লেভেলে চলে যায় তখন আপনার সেই তৃপ্তির ঢেকুরই চরম অতৃপ্তিতে পরিণত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো এই ঢেকুরের জ্বালায় দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহেও বিঘ্ন ঘটে।

ঢেকুর/হেঁচকি কেনো ওঠে
ঢেকুর কমানোর উপায় খোঁজার আগে ঢেকুর ওঠার কারণসমূহ জেনে নেওয়া জরুরি। ফুসফুসের নিচে থাকা পাতলা মাংসপেশি (ডায়াফ্রাম) এর হঠাৎ সংকোচনের ফলেই ঢেকুর সৃষ্টি হয়। ঢেকুর ওঠার কয়েকটি প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা যেসব সমস্যা চিহ্নিত করেছেন সেগুলো হলো :

ঢেকুর ওঠার সবচেয়ে পরিচিত কারণ হলো দ্রুত খাবার গেলার চেষ্টা করা। দ্রুত খাবার খাওয়ার সময় খাবারের সাথে প্রচুর পরিমাণ বাতাস পেটের মধ্যে প্রবেশ করে। এর ফলে “Vegas” নার্ভের কার্যকলাপে সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং ঢেকুর আরম্ভ হয়।

আবার দীর্ঘসময় পানি পান না করার ফলে ঢেকুর আরম্ভ হতে পারে। কারণ দীর্ঘসময় পানি পান না করলে গলা শুকিয়ে যায়, এর ফলে ফ্রেনিক নার্ভ অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে যায় যার ফলশ্রুতিতে ঢেকুর শুরু হয়। অতিরিক্ত ঝাল খাওয়ার ফলেও ঢেকুর দেখা দিতে পারে। কারণ অতিরিক্ত ঝাল মানুষের ফ্রেনিক নার্ভকে উত্তেজিত করে তোলে এবং ডায়াফ্রামের সংকোচন-প্রসারণের হার বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে ঢেকুর আরম্ভ হয়।

এছাড়াও পাকস্থলীয় কোনো খাদ্য অথবা রস শারীরবৃত্তীয় কোনো কারণে খাদ্যনালিতে এসে পড়ার কারণেও ঢেকুর আরম্ভ হতে পারে ।

তাই আপনিও যদি ঢেকুর সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই এর সমাধান সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি। কারণ সময় থাকতে এই ঢেকুর সমস্যার সমাধান না করলে তা পরবর্তীতে আপনার পাশাপাশি আপনার চারপাশে থাকা মানুষদেরও বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ঢেকুর কমানোর উপায়। 

১) এক চামচ মাখন বা চিনি খেতে পারেন। হেঁচকি দ্রুত মিটে যাবে। 

২) আপনার যদি হঠাৎ করে হেঁচকি/ঢেকুর ওঠে, তাহলে লম্বা শ্বাস নিয়ে ভেতরে অনেকক্ষণ রাখুন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নাক বন্ধ রাখুন। সমস্যা মিটে যাবে।

৩) কাগজের ব্যাগের ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে নিশ্বাস নিন। অল্প সময়ের মধ্যেই উপকার পাবেন।

৪) লম্বা নিঃশ্বাস নিন। হাঁটুকে বুকের কাছাকাছি এনে জড়িয়ে ধরুন এবং কয়েক মিনিট এভাবেই থাকুন। এতে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়।

৫) ঢেকুর বন্ধ করার জন্য জিহ্বাতে লেবুর একটি অংশ রাখুন এবং মিষ্টি মনে করে সেটি চুষুন। এটি ঢেকুর বন্ধ করতে বেশ কার্যকর।

৬) বেশি করে পানি পান করুন। বিশেষ করে ঠান্ডা পানি খেলে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যায়।

৭) আপনি যখন নাক দিয়ে নিশ্বাস নিবেন তখন নাকে হালকা করে চাপ দিন। এটি হেঁচকির সমস্যা কমাতে সহায়ক।

৮) ঢেকুর বন্ধে সহায়ক আরেকটি উপায় হল দুই কানে দুই আঙ্গুল ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ থাকুন। দেখবেন ঢেকুর নিমেষেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

৯) ঢেকুর বন্ধ করতে লেবুর রসের সঙ্গে আদা কুচিও খেতে পারেন। এতে অল্প সময়ের মধ্যেই উপকার পাবেন।

 

তথ্যসূত্র- জি২৪ ঘণ্টা

;

চায়ের সঙ্গে ভুলেও খাবেন না যে খাবার !



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়েই জনপ্রিয় পানীয় হল চা। চা ছাড়া সকাল শুরু হয় না অধিকাংশ ব্যক্তির। আবার মাথা ব্যথা ও ক্লান্তি মেটানোর ক্ষেত্রে ওষুধও এই চা।

চায়ের একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। বিভিন্ন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ এই চা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেমন সাহায্য করে তেমনই রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর যারা চা-প্রেমী তারা কিন্তু চায়ের সাথে অন্যান্য মুখরোচক খাবার খান। এক্ষেত্রে বিস্কুটের স্থান সবার আগে থাকলেও আরও কিছু মুখরোচক খাবার রয়েছে চায়ের সঙ্গী হিসেবে। কিন্তু অনেকেই জানেন না চায়ের সঙ্গে এই খাবারগুলো খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

আমরা নিজের অজান্তেই চায়ের সঙ্গে এমন অনেক কিছু খেয়ে থাকি, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হয়। চলুন জেনে নেই কোন কোন জিনিস ভুলেও চায়ের সঙ্গে খাবেন না-

সবুজ সবজি ও ড্রাই ফ্রুটস 

সবুজ সবজি, বিনস ও ড্রাইফ্রুটস আয়রন সমৃদ্ধ হয়। তাই চায়ের সঙ্গে এগুলো খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চায়ে অধিক পরিমাণে ট্যানিন ও অক্সালেটস থাকে যা আয়রন যুক্ত খাবার-দাবারের শোষণের পথে বাধা সৃষ্টি করে।


বেসনের তৈরি খাবার 

চায়ের সঙ্গে প্রায়ই তেলে ভাঁজা বা চপ খেয়ে থাকেন অনেকে। এতে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ের সঙ্গে বেসন দিয়ে তৈরি জিনিস খেলে শরীরে পুষ্টিকর উপাদানের অভাব দেখা দেয়। এমনকি পেট ও হজম সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

অধিক হলুদ দেওয়া খাবার  

যে সমস্ত খাবারে হলুদের পরিমাণ বেশি থাকে সেসব খাবারের সাথে চা খাওয়া যাবে না। কারণ চা ও হলুদে উপস্থিত রাসায়নিক উপাদানগুলো পরস্পরের সঙ্গে ক্রিয়া করে পাচন তন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।

টক জাতীয় খাবার

যে খাবারে লেবু দেওয়া থাকবে তার সঙ্গে চা ভুলেও খাবেন না। অনেকে লেবু চা খান। কিন্তু এই চা অ্যাসিডিটি, হজম ও গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


ঠান্ডা খাবার

চা পান করার পরে বা চা পানের সময় ঠান্ডা খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা উচিত নয়। চা খাওয়ার পর পানি খেলে তা পাচন তন্ত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এর ফলে অ্যাসিডিটি বা পেটের নানা সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

তথ্যসূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস

 

 

;

সম্পর্ককে প্রযুক্তির প্রভাবমুক্ত করবেন যেভাবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সম্পর্ককে প্রযুক্তির প্রভাবমুক্ত করবেন যেভাবে

সম্পর্ককে প্রযুক্তির প্রভাবমুক্ত করবেন যেভাবে

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রযুক্তি এই যুগে মানুষের জীবন অনেকটাই ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। এরমধ্যে মোবাইল ফোন এমন এক যন্ত্র যা ছাড়া প্রতিদিনের জীবন কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু যদি আপনার জীবনসঙ্গী মোবাইল ফোনের ওপর আসক্ত হয়ে যায় তাহলে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

দম্পত্য জীবন নিয়ে কাজ করা কানাডার থেরাপিস্ট ডা. ট্রেসি ডালগ্লিশ তার একটি পোস্টে এই সম্পর্কে উপদেশ দিয়েছেন। আপনার সঙ্গীও যদি ডিভাইসের প্রতি বেশি আসক্ত হয় তবে কি করতে হবে দেখে নিন।

যেকোনো সম্পর্কে কথোপকথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গীর সাথে মন খুলে কথা বলুন। প্রতিদিন আপনার সারাদিনের ঘটনা ও গল্পগুলো তাকে বলুন। তার সারাদিন কেমন কেটেছে তা জানতে চাইতে পারেন। আপনার অনুভূতি এবং উদ্বেগ গুলো তার কাছে প্রকাশ করুন। পার্টনারকে ভালো অনুভব করাতে তার কাজে তাকে উৎসাহ প্রদান করুন।

অভিযোগমূলক বা সমালোচনামূলক কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করা ভালো। এর চেয়ে বরং আপনার অনুভূতি দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। আপনার আবেগ এবং প্রয়োজনগুলি তাকে সরাসরি বলুন। একাবোধ করলে বা এড়িয়ে চলছে অনুভব করলে সেগুলোও তাকে জানান। 

তার ঘন ঘন ফোনে থাকার কারণগুলো বুঝতে আগ্রহী হন। সঙ্গী হিসেবে আপনাকে তার স্বস্তির স্থান হিসেবে তাকে অনুভব করান। নিজের সম্মান বজায় রাখুন এবং তাকেও সম্মানিত করুন।

প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ও পরিস্থিতি ঠিক করে নিন। যেখানে উভয়ই একসাথে ডিজিটাল ডিভাইস থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকবেন। হতে পারে তা খাবারের সময়, বাইরে হাঁটতে যাওয়া বা একসাথে বারান্দায় বসে কিছুক্ষণ গল্প করা।

নির্দিষ্ট অঞ্চল বা সময়গুলিকে প্রযুক্তি-মুক্ত অঞ্চল হিসাবে দু’জন মিলে ঠিক করে নিন। যেমন, হতে পারে বেডরুম। ঘুমানোর সময় কেউই শোয়ার ঘরে মোবাইল, ল্যাপটপ বা অন্য কোনো যন্ত্র আনবেন না এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

আপনি যে আচরণ তার থেকে প্রত্যাশা করেন, নিজেও তা প্রদর্শন করুন। গল্প করার সময় আপনার সঙ্গীর মনোযোগ যদি আশা করেন,তবে আপনাকেও তাই করতে হবে। নিজের ফোনের অভ্যাসের দিকেও নজর দিন।

তথ্যসূত্র: দ্য এন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

কাঁচা ছোলা কেন খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের অনেকেই শরীরের যত্ন ও স্বাস্থ্য সচেতনতায় ডায়েটে কাঁচা ছোলা রাখেন। এতে শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূর হয়। ছোলা খাওয়ার পর অল্প সময়েই হজম হয়। এতে ফলিক অ্যাসিড থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কাঁচা ছোলায় দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ থাকে, যা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ছোলা খাদ্যনালিতে ক্ষতিকর জীবাণু দূর করে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পরিমাণ মতো কাঁচা ছোলা খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। কাঁচা ছোলায় থাকা ফ্যাট শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং রক্তের চর্বি কমায়।

কাঁচা ছোলার স্বাস্থ্যগুণ:

ওজন কমায়: পুষ্টিগুণে ভরপুর ভেজানো ছোলা। প্রোটিন, ফাইবারে পরিপূর্ণ, এতে ক্যালোরিও খুব কম। ছোলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম থাকার ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ঝুঁকি থাকে না।

চুল ভালো রাখে: ভেজানো ছোলায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, জিংক এবং ম্যাংগানিজ। এই উপাদানগুলো চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে চাইলে প্রতিদিনের ডায়েটে ভেজানো ছোলা রাখতে পারেন।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে: ভেজানো ছোলায় কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার আছে। যা আমাদের হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয় এবং শরীরে শর্করার শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে। রোজ ভেজানো ছোলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।

প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় আমিষ প্রায় ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট প্রায় ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২০০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১, বি২, বি৬ রয়েছে। এছাড়াও ছোলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কপার ও আয়রন রয়েছে।

;