রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ রসুনের রয়েছে নানা গুণ। কিন্তু রসুনে যত গুণ, তার খোসাও কি ততটা গুণের অধিকারী? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রসুনের খোসায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। তা শরীরের নানা উপকারে লাগে। এছাড়া, গাছের জন্য কম্পোট সার তৈরি করতেও ব্যবহার করা যায় রসুনের খোসা।
রসুন তেল
বিজ্ঞাপন
পরিষ্কার কাচের শিশিতে রোদে শুকনো করে গুঁড়ো করা রসুনের খোসা এবং অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে রাখতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তেলের ওই শিশি রোদে বসিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে রসুনের তেল। স্যালাডের ড্রেসিং হিসাবে অনেকেই এই তেল ব্যবহার করে থাকেন।
ফ্লেভার্ড ভিনিগার
বিজ্ঞাপন
ভিনিগারের নিজস্ব গন্ধ খুব একটা ভাল নয়। অথচ রান্নার কাজে তা ব্যবহার করতেই হয়। তাই ভিনিগারের বোতলে বেশ কিছু রসুনের খোসা যদি রেখে দেওয়া যায়, তা হলেই কেল্লাফতে। যে কোনও রান্নায় বা স্যালাডে ব্যবহার করা যায় এই ভিনিগার।
জৈব সার তৈরিতে
রসুনের খোসা ফেলে না দিয়ে অন্যান্য আনাজের খোসা, ডিমের খোসার সঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে পারেন। গাছের পুষ্টি বাড়িয়ে তুলতে এই জৈব সারের কোনও বিকল্প নেই।
চা তৈরি করতে
আবহাওয়া পরিবর্তনে সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা জ্বর-সর্দিতে দারুণ কাজ করে রসুনের চা। কিন্তু রসুনের ঝাঁঝাল গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তবে চায়ে রসুনের বদলে রসুনের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। রসুনের মতো এত গন্ধ হবে না, আবার সব গুণাগুণ বজায় থাকবে।
স্যুপ তৈরি করতে
রসুনের খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে, রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে কাচের বায়ুরোধী শিশিতে ভরে রাখতে পারেন। হঠাৎ রসুন শেষ হয়ে গেলে তার বিকল্প হিসাবে স্যুপ, স্টু, নুডল্স— সবেতেই ব্যবহার করা যাবে।
শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প হয় না। ছোট থেকেই তাই শিশুদের পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে খেলাধুলা ও ব্যায়ামে উৎসাহী করে তোলা হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে সবকিছুর সাথে জীবনযাত্রার ধরনেও পরিবর্তন আসে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ থাকার জন্য জিম করেন। কারো কারো মধ্যে কঠোর ব্যায়ামের প্রতি ঝোঁকও দেখা যায়।
তবে কথায় বলে, ‘অতি ভালো, ভালো নয়।’ যার মানে, কোনো ভালো জিনিসও অতিরিক্ত ভালো নয়। কঠোর ব্যায়ামও সুস্থতার বদলে নিয়ে আসতে পারে কোনো ভয়াবহ পরিণতি। বর্তমানে কঠোর ব্যায়ামকারীদের মধ্যে অল্পবয়সেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
ভারতীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বিভুধ প্রতাপ সিংহের একটি প্রতিবেদনে এই নিয়ে বিস্তর বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কঠোর ব্যায়াম এবং জীবনযাপনের নানা অসঙ্গতিপূর্ণ অভ্যাসের কারণে যুব সমাজে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।’ ডা. বিভুধের মতে এর কারণসমূহ হলো:
১. অনেকেই উপকার হবে ভেবে শুধু একটানা ব্যায়াম করে যান। তবে ব্যায়ামের আগে করণীয়, খাদ্যতালিকার পরিবর্তন, কতটা ব্যায়াম শরীরের জন্য সহনীয় হবে –এইসব ব্যাপারগুলোকে গুরুত্ব দেয় না। এছাড়া, উচ্চমাত্রায় মানসিক চাপে যারা ভুগছেন বা শরীরের প্রতি যথাযথ যত্ন নেন না, নানারকম বদ অভ্যাসে ডুবে থাকেন তাদের জন্যও হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২. স্টেরয়েডের ব্যবহারও হৃদরোগ ঝুঁকি বাড়ানোর একটি বিশেষ কারণ। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যুব ব্যক্তিদের মধ্যে এইসব কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তি থাকে।
৩. শরীরচর্চার সময় হৃদপিণ্ডের উপর চাপ পরে। ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ধূমপায়ী বা যাদের বংশানুক্রমে জীন স্থানান্তরের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে এমন ব্যক্তিদের জন্য হৃদপিণ্ডের প্রতি বেশি চাপ পড়া ভালো নয়। তাই ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে এইসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কঠোর ব্যায়ামের কারণে হিতে বিপরীত হতে পারে।
৪. শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করার জন্য যেমন ব্যায়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ একই্ ভাবে কোষক্ষয় এড়াতে বিশ্রামও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ৪৫ বছরের উপরে যাদের বয়সের ঊর্ধ্বে যারা তাদের জন্য বিশ্রামহীন কঠোর ব্যায়াম করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ এর ফলে তাদের মাথা ঘোরা, চরম ক্লান্তি, বুকে ব্যথা এমনকি হৃদস্পন্দন ওঠা-নামা করার মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে।
৫. যেকোনো বয়সেই স্বাস্থ্যের উপর জীবনযাপনের ধরনের একটি বিশেষ প্রভাব থাকেই। সঠিক সময়ে ঘুম, সুষম খাদ্য গ্রহণ, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অশান্তিতে ভোগা যুব সমাজের মধ্যেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। কারণ এসব অভ্যাসের কারণে হাইপার টেনশন, উচ্চ কোলেস্টেরল, প্রদাহের মতো সমস্যা বেড়ে যায়। এসবের পরে কঠোর পরিশ্রম হৃদপিণ্ডের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়, ফলস্বরূপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
ক্যান্সার খুব জটিল এক অসুখ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সূত্রপাতের কারণ অজানা হওয়ার কারণে এটি একটি দুরারোগ্য ব্যাধি। ক্যান্সারের কোনো ঔষধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তাই ক্যান্সারকে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। অনেক সময় জীবনধারার কিছু অভ্যাসের কারণে মানুষ অজান্তেই ক্যান্সারের বীজ বপন করে বসে। তবে সেই সংখ্যা খুবই সামান্য। বিশ্বে যত ক্যান্সার রোগী আছে; বিশেষ করে শিশুরা, তাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যান্সার সৃষ্টির কারণ অজানা।
শিশুদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কোন কারণে আদরের শিশুটির জীবনে ক্যান্সারের মতো রোগের কালো ছায়া ঘনিয়ে আসবে, তা বলা মুশকিল। তবে নিজের শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা দূর করার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে চিকিৎসক উষ্মা সিং এই ব্যাপারে আলোচনা করেন। শিশুর সুস্থ এবং সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চতকরণে বাবা-মায়েরা এইসব সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন:
১.ভালো অভ্যাস: শিশুদের খুব ছোট থেকেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস করলে অন্যান্য রোগের মতো ক্যান্সারেরও ঝুঁকি কমানো সম্ভব। শিশু শরীরে সরাসরি ক্যান্সারকোষ সৃষ্টি হওয়া থামিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়, তবে প্রাপ্তবয়সে শরীরে ম্যালিগন্যান্সি তৈরি হওয়া রোধ করা যেতে পারে।
যেমন ধূমপান করার ফলে যা যা ক্ষতি হতে পারে, তা শিশুদের জানাতে হবে। রোদে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন মাখার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হবে। এছাড়া ফল, সবজি, শস্যজাতীয় খাদ্যাভ্যাস যেভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, আবার চিনি ও বাইরের খাবার যেভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে সেসব শিশুদের ছোট থেকেই জানাতে হবে।
নবজাতক শিশুদের অবশ্যই মাতৃদুগ্ধ পান করাতে হবে। এর বাইরে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত কোনো খাবার খাওয়ানো যাবে না। প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে রান্না করা বা খাবার খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। অনেক সময় এসব পাত্র তৈরিতে ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহৃত হয়।
ছোট থেকেই প্রতিদিন শরীরচর্চা বা যোগাসন আর ধ্যান করার অভ্যাস করতে হবে। এসব অভ্যাস রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, এতে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।
২.প্রতিকার ও চিকিৎসা: যেসব শিশুরা এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, এপসটাইন-বারের মতো রোগ আছে তাদের ক্যান্সারেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই ধরনের ক্রোনিক রোগের চিকিৎসা ও টিকাদান সঠিক ও পরিচ্ছন্নভাবে করতে হবে, যেন প্রতিরোধ ক্ষমতা কার্যকর হয়। ‘হেপাটাইটিস বি’, ‘এইচপিভি’র মতো রোগের টিকা আগে থেকেই নিয়ে রাখতে হবে। এতে ভবিষ্যতে লিভার, সার্ভিকাল ও ওরাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে। শিশুদের ক্ষেত্রে সিটিস্ক্যান, এক্স-রে জাতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া রাসায়নিক পদার্থসম্পন্ন পণ্য ব্যবহার একেবারেই না করার চেষ্টা করতে হবে।
৩.পরিবেশগত সাবধানতা: ক্যান্সারকোষ সৃষ্টিরোধে গুরুত্বপূর্ণ হলো কার্সিনোজেনের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকর এক্স-রে রশ্মি, সেকেন্ডহ্যান্ড ধোঁয়া, সীসা, অ্যাসবেস্টসের মতো ক্ষতিকর পদার্থ থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখতে হবে। অবশ্যই ঘর-বাড়ি পর্যাপ্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করতে হবে।
৪. জীন ও রোগ সনাক্তকরণ: শতকরা ১০ ভাগ শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের রোগসৃষ্টিতে বংশগত জীনের প্রভাব ছিল। পারিবারিকভাবে যাদের ক্যান্সারের ঘটনা দেখা যায়, তাদের শিশুদের নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো উপসর্গ সন্দেহজনক মনে হলেই চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হবে।
সুস্থ দাঁতের সুন্দর হাসি সকলেই পছন্দ করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম কাজই হলো ব্রাশ এবং পেস্ট নিয়ে দাঁত মাজা। দাঁত মুখগহ্বরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। খাবার চিবিয়ে খাওয়া ছাড়াও, বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে দাঁত। তাই, প্রতিদিন ব্রাশ করা ছাড়াও দাঁতের যত্নে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ দাঁতে আটকে থাকা খাবার ভালোভাবে পরিষ্কার না হলে, যেমন দাঁতের বিভিন্ন রোগ এবং সমস্যা হতে পারে; তেমন দুর্গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাসের কারণে জনসম্মুখে অস্বতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।
দাঁতের যত্ন মূলত রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে থেকেই শুরু করা উচিত। সারাদিনে খাওয়া খাবার দাঁতের কোণায় আটকে থাকতে পারে। এতে রাতে সেসব খাবার বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। তাই মুখের স্বাস্থ্য এবং শ্বাস দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে প্রতিদিন রাতে দাঁতের যত্ন নিতে হবে। ভারতীয় দন্ত চিকিৎসক রবনীত কর দাঁতের যত্নের কিছু টিপস জানিয়েছেন-
১. সকালে ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে পানি দিয়ে মুখের ভেতরে পরিষ্কার করতে হবে। কুলকুচি করে রাতের বাসি ভাব দূর করতে হবে।
২. ভালো করে দাঁত ব্রাশ করার বিকল্প কিছু হতে পারে না। ব্যবহারের জন্য নরম ব্রাশ সবচেয়ে ভালো। ব্রাশ যত বেশি নরম বা সফট হবে তত বেশি ভালো। ব্রাশের ব্রিস্টল শক্ত হলে মাড়ির ক্ষতি হতে পারে। চেষ্টা করবেন ফ্লোরাইড টুথপেস্ট বা টুথ পাউডার ব্যবহার করার।
৩. ব্রাশ করার পদ্ধতির উপরও মুখের সুস্বাস্থ্য অনেকাংশ নির্ভর করে। মাড়ির একপাশ থেকে ব্রাশ করা শুরু করে ধীরে ধীরে অন্যপাশে এগোতে হবে। ব্রাশের মাঝের অংশটিকে কেন্দ্র করে ভালোভাবে একসঙ্গে ২ থেকে ৩ টি দাঁত ঘষতে থাকতে হবে। প্রতিটি পাটির দাঁতের উপরে,সামনে, পেছনেসহ চারপাশ সময় নিয়ে এভাবে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। মাড়ির থেকে আনুমানিক ৪৫ ডিগ্রি কোণে বাকিয়ে ব্রাশ করার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিবেলা ব্রাশ করার সময় অন্তত ২ মিনিট করে সময় নিন।
৪. অনেক সময় ব্রাশ দাঁতের সব কোণায় পৌঁছে পরিষ্কার করতে পারে না। বিশেষ করে দুই দাঁতের মধ্যবর্তী স্থান পরিষ্কার করার জন্য ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা হয়। এর বিকল্প হিসেবে ইন্টারডেন্টাল ব্রাশও ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. অনেকের একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে যে, ওরাল স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শুধু দাঁত পরিষ্কার করাই যথেষ্ট। জিভ, মাড়ি এসব পরিষ্কার না করলেও চলে। জিভে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া বা খাবারের টুকরা থেকে যেতে পারে। ব্রাশ দিয়ে জিভের উপর আলতো করে কিছু সময় ঘষুন, যেন এসব ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। চাইলে আলাদা করে জিভের জন্য টাং স্ক্রেপারও ব্যবহার করতে পারেন।
৬. ব্রাশ করার কারণে মূলত দাঁতে আটকে থাকা খাবারের টুকরাগুলো পরিষ্কার হয়। তবে এর মাধ্যমে খাবারের কারণে মুখে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়না। তাই ব্রাশ করার পর মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা উচিত। এতে জিনজিভাইটির মতো ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবজনিত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমানো যায়।
৭. কথায় বলে, ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না।’ দাঁতে সামান্যতম পরিবর্তন দেখা দিলেও কখনো অবহেলা করা উচিত নয়। মাড়ি বা দাঁতে কোনো অসুবিধা অনুভব করলে অবশ্যই মুখগহ্বরের পরিক্ষা করানো উচিত।
৮. পানিশূন্যতার কারণে শরীরের সঙ্গে মুখের মধ্যেও নানারকম রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করার সুঅভ্যাস গড়ে তোলা বাঞ্ছনীয়।
৯. দাঁতের জন্য যাবতীয় করণীয় কেবল ঘুম থেকে উঠেই করার নিয়ম নয়। বরং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সকালে যেমন ব্রাশ করে ফ্লস এবং মাউথওয়াশ ব্যবহার করে পরিষ্কার করা উচিত, একইভাবে রাতেও পরিষ্কার করে ঘুমাতে যাওয়া প্রয়োজন। এর ফলে দাঁতসম্পর্কিত রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
১০. এছাড়া কিছু ছোটখাটো টিপস মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত। যেমন: যতটা সম্ভব মিষ্টিজাতীয় বা চিনি আছে এমন খাবার কম খেতে হবে, প্রতিবেলায় খাবার খাওয়ার পর কুলকুচি করতে হবে, আঠালো বা দাঁতে লেগে থাকতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দাঁতের চ্যেকআপ করাতে হবে।
মনে রাখবেন মুখ হলো আপনার অভ্যন্তরীণ শরীরের একমাত্র প্রবেশপথ। মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে খাবার গ্রহণের মাধ্যমে সরাসরি শরীরের ভেতরেও প্রভাব ফেলতে পারে। সর্বোপরি, হাসতে ভুলবেন না। হাসির মাধ্যমে নিজের আনন্দ প্রকাশ করুন। সুস্থ হাসিতে সুন্দর মন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে ভগবান বিষ্ণুর পূর্ণাঙ্গ অবতার এবং মহাপুরুষ বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী নামে প্রচলিত। আজ সোমবার (২৬ আগস্ট), বাংলা ১৪৩১ তম বছরে উদযাপিত হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫০ তম জন্মাষ্টমী তিথি। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্রযোগে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হওয়ায় এইদিনটি জন্মাষ্টমী নামে প্রসিদ্ধ। পবিত্র এই বিশেষ উৎসবকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। শিল্পীদেরও চেষ্টা থাকে প্রতিবছর কাজে কিছু নতুনত্ব নিয়ে আসার।
ভারতীয় বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘তোরানি’। জন্মাষ্টমীর এই বিশেষ উৎসবকে কেন্দ্র করে করে তারা তাদের নতুন কালেকশন নিয়ে এসেছে। এই কালেকশনের শিরোনাম রাখা হয়েছে ‘লীলা: দ্য ডিভাইন ইল্যুশন অব লাভ’। শ্রীমতি রাধারানীর সঙ্গে কৃষ্ণের সম্পৃক্ততাকে স্মরণ করে এই নাম রাখা হয়েছে।
নতুন কালেকশনের ছবি তারা বিভিন্ন সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্টে প্রকাশ করেছেন। সেখানে ভক্তরা ইতিবাচক সাড়া ফেলেছেন। অনন্য ডিজাইনের নতুন সব লেহেঙ্গা ও পোশাক রয়েছে এবারের ক্যাম্পেইনে। বিভিন্ন এই কালেকশনের ফটোশ্যুটের মডেল ছাড়াও, বিশেষ এক অংশ ছিলেন দক্ষিণ ভারতের গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া।
এই কালেকশনের পোশাকগুলো শ্রীকৃষ্ণের সময়কালের ফ্যাশনের দিকে লক্ষ্য রেখে তৈরি করা। লেহেঙ্গায় জটিল জারদোসি এমব্রয়ডারি, স্ক্যালপড বর্ডার, সিকুইন অলঙ্করণ ব্যবহার করা হয়েছে। বেশিরভাগ পোশাকেই রয়েছে সোনালী লেস এবং চকমকে স্টোনের কাজ। বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়েছে রঙ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও। বেগুনী, হলুদ, খয়েরী, নীল, লাল, অফ-হোয়াইট, ওশিয়ান ব্লু, বেবি পিংক ইত্যাদি রঙের সামঞ্জস্যে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন লেহেঙ্গা।
রাধারানী এবং গোপিনীদের সাজানো হয়েছে বিভিন্ন রঙের কম্বিনেশনের পোশাকে। সাজের বিশেষত্ব্যের অংশ ছিল হাতের মেহেদী, ফুলের গাজরা, কপালের কল্কা আলপনা, নূপুর-চড়ি, টায়রা, কোমড়বন্ধনী সহ নানারকম বাহারী গহনা। শ্যুটের একটি বিশেষ অংশ ছিল জলপদ্ম।
শ্রীকৃষ্ণরূপী মডেলের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে হলুদ, কমলা, গোলাপী, বেগুনী ইত্যাদি রঙের পোশাক এবং অবশ্যই ময়ূরের পালক ও বাঁশের বাঁশি।
এই কালেকশনের বেশ কয়েকটি পোশাকে সামনে আসেন তামান্না। ফটোশেসনের দুই ধরনের থিম দেখা গেছে। মূলত অধিকাংশ ছবিতে ভক্তিভাব প্রকাশিত হয়েছে। তবে একটিতে রাধারানীর কৃষ্ণপ্রেম শোভা পেয়েছি। মূলত সেই ছবিগুলোই ভক্তদের নজর বেশি কেড়েছে।
শ্রীকৃষ্ণের প্রতি অনুভূতির গভীরতা প্রকাশে রাধাবেশী তামান্নার সারা শরীর কৃষ্ণবর্ণ করে উপস্থাপন করা হয়েছে। কৃষ্ণপ্রেমের এই থিমের জন্য তামান্নাকে সাজানো লাল এবং কমলার কম্বিনেশনের একটি লেহেঙ্গার মাধ্যমে। সাথে পরেছেন পান্না খচিত জরোয়া গহনা।
কৃষ্ণলীলার থিমের এই পোশাক কালেকশন সকলে পছন্দ করেছে। আবার তামান্না ভাটিয়ার অনন্য এই রূপের প্রশংসাও হচ্ছে। কৃষ্ণপ্রেমে বিভোর রাধার সাজে তামান্নাকে চমৎকার মানিয়েছে, এমন বক্তব্য নেটিজেনের।