মানসিক চাপ কমাতে যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মানসিক চাপ কমাতে কথা বলুন প্রিয়জনের সাথে

মানসিক চাপ কমাতে কথা বলুন প্রিয়জনের সাথে

  • Font increase
  • Font Decrease

মানসিক চাপ বর্তমান সময়ে জীবনের অবিচ্ছিন্ন অংশে পরিণত হয়েছে। জীবন যুদ্ধে মানুষকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যা মোকাবিলা করতে গিয়ে আমাদের মস্তিষ্কের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। মাঝেমাঝে সেটা এত বেশি হয়ে যায় যে, ব্যক্তি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে।

মানসিক চাপে পড়ে ব্যক্তি খিটখিটে মেজাজ, কাজে মন না বসা, কথা কম বলা, নিরানন্দ থাকা, নেতিবাচক চিন্তা, খাবারে অরুচী, সিদ্ধান্তহীনতা, বিষন্নতা ও ঘুমহীনতায় ভোগে। যা তার কর্ম জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনধারাকেও প্রভাবিত করে।

আমরা চাইলেই কিন্তু এসব চাপ এড়িয়ে যেতে পারি না। শুধু চিকিৎসার সাহায্যেও মানসিক চাপমুক্ত থাকা যায় না। মানসিক চাপে পড়লেই যে মনোবিজ্ঞানীর কাছে যেতে হবে তাও না। কিছু নিয়ম মেনে চললে দৈনন্দিন জীবনে আসা চাপগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মানসিক চাপ কমাতে যা করতে পারেন……

কারণ খুঁজে বের করা: মানুষকে প্রায়ই বলতে শোনা যায়, মন ভালো নেই। যা ব্যক্তিকে সবকিছু থেকে বিমুখী করে তোলে। এজন্য প্রয়োজন ‘মন ভালো না থাকার কারণ’ খুঁজে বের করা। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, আর্থিক ইত্যাদি নানা কারণে মন খারাপ হতে পারে। সেটা খুঁজে বের করতে পারলে মানসিক চাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

কাউকে জানানো: মানসিক চাপ কমানোর আরেকটি বড় পন্থা হচ্ছে নিজের অবস্থা কাউকে জানানো। সমস্যা নিজের মধ্যে রেখে তা নিয়ে দিনরাত ভেবেও অনেক সময় কূলকিনারা পাওয়া যায় না। এসময় এমন কারো সাথে নিজের অবস্থার কথা শেয়ার করা জরুরি, যিনি আপনাকে জানেন ও বোঝেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক মানুষকে এড়িয়ে চলবেন।

কথা বলা: আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে, কোনো সমস্যায় থাকলে আমরা নিজেকে গুটিয়ে নেই। কারো সাথে মিশি না, কথা বলি না। ফলে সমস্যাটা সর্বদা মাথার ভেতর ঘুরতে থাকে, যা আমাদের চাপকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এজন্য মানসিক চাপে থাকলে প্রিয়জন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটানো, কথা বলা প্রয়োজন। সমস্যা নিয়ে আলাপ করতে না চাইলেও স্বাভাবিক কথাবার্তা বলে মনকে চাপমুক্ত রাখা যায়। 

পছন্দের কাজ করুন: যদিও সমস্যাগ্রস্থ মানুষের কোনো কিছুতেই মন বসে না, তবে এ সময়টা চুপচাপ বসে না থেকে নিজের ভালো লাগার কাজ করতে পারেন। তা হতে পারে বই পড়া, ঘুরতে যাওয়া, ছবি আঁকা, গান শোনা ইত্যাদি। এতে ক্ষণিকের জন্য হলেও চাপমুক্ত থাকা সম্ভব।

ঘুম: মানসিক চাপ কমানোর জন্য ঘুমের বিকল্প নেই। এ নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে হয় না। তবে চাইলেও মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় ঘুমানো যায় না। এক্ষেত্রে ঘুমানোর পূর্বে দীর্ঘ সময় নিয়ে গোসল করে নিতে পারেন, কিংবা কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। যা আপনার মানসিক চাপকে দূরে সরিয়ে ঘুম আনতে সহযোগিতা করবে।

জোরে শ্বাস নিন: স্থায়ী না হলেও এই প্রক্রিয়াটি ক্ষণিকের জন্য আপনার মানসিক চাপকে দূরে সরিয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় নিয়ে নিঃশ্বাস টানুন এবং ছাড়ুন। এতে শরীর ও মস্তিষ্কের কোষগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়। এভাবে কয়েকবার করতে থাকুন। তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যাটা এড়াতে পারবনে।

ঘুরতে যাওয়া: অশান্ত মনকে শান্ত করার জন্য ভ্রমণের কোনো বিকল্প নেই। মানসিক চাপের সাথে পরিবেশ খুবই সম্পর্কযুক্ত। নিজের কম্পোর্টজোন আপনার দুশ্চিন্তাকে প্রশ্রয় দেয়। তাই এই সময় নতুন কোনো স্থান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। ঢেউ খেলানো সাগর পাড়, সবুজে ঘেরা পাহাড় কিংবা নজরকাড়া কোনো স্থাপনা আপনার মনকে হালকা করে তুলবে।

ধর্মীয় কাজ করুন: আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন ধর্মীয় কার্যাবলি আপনার মনে প্রশান্তি আনবে। এতে অনাবিল শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। তাই যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন। যা আপনাকে যাবতীয় দুনিয়াবি চিন্তাধারা থেকে মুক্ত রাখবে।

   

পোশাকে বিজয়ের উল্লাস



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ম্যাকয়্-এর বিজয় দিবস কালেকশন

ম্যাকয়্-এর বিজয় দিবস কালেকশন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজয়ের ৫২ পেরিয়ে ৫৩ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাওয়া আমাদের সাধের স্বাধীনতা। ১৬ ডিসেম্বর পরাধীনতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়ার আনন্দ উদযাপনে মেতে ওঠে সবাই। এই উদযাপনের এক অনন্য মাধ্যম হলো পোশাক। পতাকা রঙের কাপড় গায়ে জরিয়ে বিজয়ের চেতনায় শহীদদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। তাইতো বাংলাদেশের ফ্যাশন হাউজগুলো বিজয়ের পোশাকের এক্সক্লুসিভ কালেকশন নিয়ে আসে। এবারের কালেকশনে নজর দেওয়া যাক-

ম্যাকয়্

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ধামাকাদার অফার দিচ্ছে বিখ্যাত পেইজ অনলাইন ম্যাকয়্। ১৬ ডিসেম্বরের সম্মানে ১৬% ছাড় দিচ্ছে তাদের সকল কাপড়ে। নারীকেন্দ্রিক এই ব্র্যান্ড বিজয়ের থিমে সব ধরণের পোশাক নিয়ে এসেছে। সব বয়সী মেয়ে ও নারীদের জন্য আছে থ্রিপিস, ওয়ান পিস, শর্ট কামিজ, স্কার্ট, ফ্রোক ইত্যাদী পোশাক। তাদের এই বিশেষ ছাড় থাকবে ১৬ তারিখ অবধি।

ম্যাকয়্-এর বিজয় দিবস কালেকশনের মডেল হয়েছেন প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা রোজিনা

দেশি দশ

বাংলাদেশের টপ দেশীয় ব্রান্ডের মধ্যে অন্যতম দেশিদশ। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে তারা লাল সবুজ রঙের নানা পোশাক নিয়ে এসেছে। শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবিসহ আছে টিশার্টও। বিজয়ের ভাবনা উদজ্জীবিত করতে তারা শিশুদের জন্যও এই থিমের পোশাক এনেছে। অঞ্জনস, কে ক্র্যাফটস, দেশাল, সৃষ্টির মতো দশটি নাম করা ব্র্যান্ডের সম্মিলিত এই দেশি দশ। তাদের এবারের আকর্ষণ বিজয় দিবস, উপলক্ষ্যে ৬ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের আউটলেট গুলোতে বিশেষ প্রদর্শনী।

বিশ্বরঙের বিজয় দিবস কালেকশন

বিশ্বরঙ

বিখ্যাত ব্র্যান্ড বিশ্বরঙও মাসের শুরুতেই তাদের বিজয় দিবস কালেকশন প্রকাশ করেছে। তাদের কালেকশনে এবার বুকে পতাকা খচিত টিশার্ট অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তার সাথে আছে বিভিন্ন ডিজাইনের লাল ও সবুজ রঙের পাঞ্জাবি। সাদা, হলুদ সহ অন্যান্য রঙের কম্বিনেশনের এক্সক্লুসিভ কালেকশনে সকলের নজর কেড়েছে। নারীদের জন্যও বিশ্বরঙের অনন্য সব ডিজাইন রয়েছে।

 

;

ইন্টারনেটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আতঙ্ক



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে এর সাহায্যে নারীদের বস্ত্র উন্মোচক কিছু নকল ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ‘গ্র্যাফিকা’ এই ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করেছে। তাদের  মতে চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে পুরো বিশ্বে ২৪ মিলিয়নের বেশি মানুষ এইসব ওয়েবসাইটে গিয়েছে। যা সত্যিই শঙ্কাজনক।  

গ্রাফিকার মতে, এসবের মধ্যে অধিকাংশ ওয়েবসাইট শুধুমাত্র প্রচারের জন্য এরকম নগ্নতার অসৎ পথ বেছে নিয়েছে। পরিলক্ষিত হয়, ২০২৩ সালের শুরু থেকেই এসবের প্রকোপ বেড়েছে। বিজ্ঞাপনে মাধ্য়মে এক্স(সাবেক টুইটার) ও রেডি্ডটের মতো সোস্যাল মিডিয়ায় ওয়েবসাইটগুলো ২৪০০% দর্শক বাড়িয়েছে। এসব সাইটগুলো এআই ব্যবহার করে মানুষের নিখুঁত নগ্ন প্রতিচ্ছবি তৈরি করে। এদের মধ্যে অধিকাংশ শুধুমাত্র নারীদের নিয়েই কাজ করে। গুগলের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন তারা এসব প্রচারণা করার পক্ষপাতি নন। ইতোমধ্যে এসব বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলার কাজ করছেন তারা।

গ্রাফিকার পর্যবেক্ষক সেন্টিয়াগো লাকাটোস বলেন, ‘এখানে আপনি এমন কিছু তৈরি করতে পারবেন যা অনেক বাস্তবসম্মত। আগে ডিপফেইক ভিডিওগুলো অনেকটা ঘোলাটে হতো। কিন্তু এখন সময় পরিবর্তন হয়ে গেছে।’ 

তিনি আরও জানান, কিছু ওয়েবসাইট টাকার বিনিময়ে সাবক্রিপশন বিক্রি করছে। দর্শকদের আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে মাসিক ৯.৯৯ ইউএস ডলারের বিনিময়ে তারা এসব নকল ভিডিও দিয়ে দর্শক কামিয়ে নিচ্ছে।

এই ঘটনাগুলো সকলের মনে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। কারণ, এগুলো বানোয়াট অনৈতিক ভিডিও প্রকাশ করে থাকে। এখন এআই এর মাধ্যমে নিরপরাধ মানুষের চেহারা ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ জনগণ এই নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছে। অনেকে নিজেদের ভুক্তভোগী হওয়ার কথা জানাচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ জানিয়ে এসব বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানাচ্ছেন।

এসব অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের শাস্তির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। নভেম্বর মাসে উত্তর ক্যারোলিনার এক শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই চিকিৎসক তার রোগীদের ছবি নিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নকল ভিডিও তৈরি করতেন। 

সূত্র: এনডিটিভি



;

সুস্বাস্থ্য রক্ষা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে ব্যায়ামের বিকল্প কী?



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স বাড়ার সাথে সাথে সাধারণত সবার ওজন বাড়তে শুরু করে। অতিরিক্ত ওজন সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সবসময়ই একটি বড় বাধা। তাই সবাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা ভাবতেই প্রথমে সবার ভাবনায় আসে ব্যায়াম। কিন্তু সবসময় ব্যায়াম করা সবার জন্য সম্ভব হয়না। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা ও দুর্বলতার কারণে ব্যায়ামের বিকল্প পথ খুঁজতে হয়। সৌভাগ্যবশত এমন কিছু কার্যকর পন্থা আছে যার মাধ্যমে শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই ওজন কমানো সম্ভব। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক-

১.খাদ্যতালিকার পরিবর্তন ওজন কমানোর জন্য ব্যায়ামের এক প্রাথমিক বিকল্প। এতে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করে ওজনের উপর কার্যকরভাবে প্রভাব ফেলা যায়। সুচিন্তিত খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিকর কম ক্যালোরির খাবার বেছে নিতে হবে। যেমন-ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং শস্যজাতীয় খাবার। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত পানীয় পান করা এড়ানো ভালো।

২.ওজনহ্রাস পদ্ধতির আরেকটি জনপ্রিয় বিকল্প হল সবিরাম উপবাস। অর্থাৎ, সারাদিনে অল্প কয়েক ঘন্টায় অনেকখানি খাবার খাওয়া। আর বাকি লম্বা সময়টুকুতে খাদ্যবিরতি নেওয়া। এই পদ্ধতি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নামে বেশি পরিচিত। এর মধ্যে ১৬/৮পদ্ধতি (১৬ ঘন্টা উপবাস, ৮ ঘন্টা খাওয়া) এখন তরুণদের মধ্যে এখন জনপ্রিয়। এতে বিপাকের সাথে জড়িত হরমোনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৩.আচরণগত ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলোও ওজন ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন, পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতে অবদান রাখতে পারে। এসব ছোট অভ্যাস হরমোনের ভারসাম্য, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষুধা হ্রাসে প্রভাব ফেলে।

৪.প্রতিদিনের শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করেও ওজন কমানো যায়। যেমন এলিভেটরের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, বসার পরিবর্তে দাঁড়িয়ে থাকা, গৃহস্থালির কাজ করা  ইত্যাদি। সারাদিন এই ছোট কাজগুলো করলে ব্যায়াম ছাড়াই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়।

৫.অনেকে চিকিৎসা গৃহণ করছেন এবং শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যায়াম  করতে পারছেন না। তাদের জন্য বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ওজন কমানোর জন্য ওষুধ বা ব্যারিয়াট্রিক সার্জারির মতো কিছু চিকিঃসা পদ্ধতি রয়েছে। তবে অবশ্যই পেশাদার চিকিৎসকের  নির্দেশ এবং তত্ত্বাবধান এই পদ্ধতি বিবেচনা করতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

;

পেঁপের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সহজলভ্য ও জনপ্রিয় একটি সবজি পেঁপে

সহজলভ্য ও জনপ্রিয় একটি সবজি পেঁপে

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং সহজলভ্য ও জনপ্রিয় একটি সবজি পেঁপে। মৌসুমি ফল হিসাবেও এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। 

১০০ গ্রাম পেঁপেতে ৩২ ক্যালরি ও ৭ গ্রাম শর্করা আছে। এছাড়াও পেঁপেতে আছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’,পটাশিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও অ্যালবুমিন এনজাইম।

এজন্য চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ সবাই পেঁপে খেতে বলেন। ওজন কমানোর জন্য অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে পেঁপে।

পেঁপের আছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা:

ত্বকের যত্নে পেঁপে: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ উপকারী পেঁপে। এটি মুখের ব্রণ, র‌্যাশ, দাগ দূর করতে দারুণভাবে সাহায্য করে। পেঁপের ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ত্বক সুস্থ রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: পেঁপের বিভিন্ন এনজাইম পেট পরিষ্কার রাখে। যে কারণে পেট ঠান্ডা থাকে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে পেঁপে: পেঁপের আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে দেহে জমে থাকা সোডিয়াম দূর করতেও সহায়তা করে।

হজমে সাহায্য করে পেঁপে: পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ, যা হজমে সাহায্যকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাছাড়া পাপাইন এনজাইম হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। পেঁপে মুখের রুচি বৃদ্ধি করে, এতে ক্ষুধাও বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও পেঁপে পেট পরিষ্কার রাখে, ফলে গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। যেগুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে পেঁপে: দেশজুড়ে চলছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে রক্তে প্লাটিলেট কমে যায়। এই প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কাঁচা পেঁপে। পেঁপে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাকা পেঁপে থেকেই ১০০ ভাগ ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে: এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস চোখের বয়সজনিত ঝুঁকি কমায়। পেঁপেতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, সি, ও, ই চোখের জন্য অনেক উপকারী।

;