চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন কারণেই চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। তারমধ্যে ক্লান্তি বা অনিদ্রা যেমন দায়ী, তেমনি ভগ্নস্বাস্থ্য ও বয়স বৃদ্ধির নির্দেশকও এই দাগ। অনেকে এই দাগ দূর করার জন্য কত কিছুই না করেন তবু এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে না। তবে কিছু খাবার যদি রোজের পাতে রাখা যায়, তা হলে সমাধান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভিটামিন সি

ত্বকের খেয়াল রাখতে এই ভিটামিনের ভূমিকা অঢেল। ত্বক টানটান করা থেকে চোখের নীচের দাগছোপ দূর করা, ভিটামিন সি পারদর্শী সবেতেই। টকজাতীয় ফলে মূলত এই ভিটামিন থাকে। রক্ত চলাচলে সাহায্য করে ভিটামিন সি। লেবু, আমলকি, বেরিজাতীয় ফলে এই ভিটামিন ভরপুর পরিমাণে রয়েছে।

ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার

রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না ভিটামিন কে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে রক্ত দলা পাকতে শুরু করে। সেখান থেকে চোখের নীচে দাগছোপ দেখা দেয়। ভিটামিন কে সেই ঝুঁকি কমায়। ব্রকলি, সবুজ শাকসবজি, ছোলাতে ভিটামিন কে রয়েছে।

ভিটামিন ই

ভিটামিন ই হল উপকারী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এই ভিটামিন। ত্বক আর্দ্র রাখে। ফলে চোখের নীচে কালি পড়তে পারে না। ভিটামিন ই রয়েছে বাদাম, বিভিন্ন ধরনের শস্য, পালং শাক, অ্যাভোকাডোর মতো খাবারে।

   

শরীরের ভিতর কোন জায়গায় রাগ জমে থাকে জানেন?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবেগ অনুভূতি প্রকাশ ভঙ্গি একেক জনের একেক রকম। কেউ প্রচণ্ড দুঃখ পেলে কেঁদে ফেলেন। আবার কেউ দুঃখে-শোকে পাথর হয়ে যান। পরিচিত, প্রিয় মানুষের থেকে আঘাত পেলে কারও বুকে চিনচিনে ব্যথা হয়। আবার কেউ রাগে চিৎকার করতে থাকেন।

তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, ভালবাসা, রাগ, দুঃখ— প্রকার ভেদ অনুযায়ী শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিক্রিয়া করে। তাই মন ভাঙলে হাঁটুতে ব্যথা হয় না। ওই নির্দিষ্ট জায়গায় মন ভাঙার আবেগ-অনুভূতি কেন্দ্রীভূত থাকে।

রাগ থাকে কোমরে

কারও ওপর রেগে গেলে যতই চোখ-মুখ লাল হয়ে উঠুক, মাথার চুল খাড়া হয়ে যাক না কেন— তার উৎস মুখ কিন্তু কোমর। তাই এই সময়ে যদি কেউ কোমরে একটু মালিশ করে দেন সহজেই রাগ নিবারণ করা যেতে পারে।

ভয়ে পেট গুড়গুড়

সামনেই পরীক্ষা কিংবা চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে। যতই প্রস্তুতি থাক না কেন, মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হয় কম-বেশি সকলেরই। অনেকেরই বার বার মলত্যাগের বেগ আসে। কারণ, চিকিৎসকেরা বলছেন অন্ত্রের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভয়ের বীজ। তাই পেট গুড়গুড় করে।

মন ভাঙলে বুকে কষ্ট

প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলে বুকে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করে কি? বা ভীষণ পছন্দের কাউকে চোখের সামনে দেখছেন কিন্তু মনের কথা বলে উঠতে পারছেন না। তখনও কিন্তু বুকের কষ্ট বেড়ে যেতে পারে। সাইকোলজি টু’ডে-র একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, মন ভাঙার মতো আবেগ-অনুভূতির উৎস হল হৃদয়। তাই বুকে চিনচিনে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক।

অতিরিক্ত পরিশ্রমে ঘাড়-কাঁধে কষ্ট

ছোট থেকে শুনে এসেছেন, গুরু দায়িত্ব নিতে গেলে কাঁধ শক্ত করতে হবে। তখন বোঝেননি যে কোনও কালে এমন ভার এসে ঘাড়ে চাপবে যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মতো ঘাড়, কাঁধের ব্যথা সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে যাবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘাড়-কাঁধের পেশি শক্ত হয়ে গেলে বা নাড়াচাড়া করতে অসুবিধা হলে বুঝতে হবে অতিরিক্ত পরিশ্রম হচ্ছে।

সব কাজে নাক গলানো মানেই মাথাব্যথা

বাড়ির সবকাজে তো বটেই, পরিবারের সকল সদস্যের ব্যক্তিগত জীবনেও নিজের মূল্যবান মতামত দিতেই হয়। মনে মনে হয়তো ভাবতে ভালই লাগে যে, আপনার সিদ্ধান্ত ছাড়া বাড়িতে সামান্য ধুলোটুকু সরে না। কিন্তু তাতে যে দিনে দিনে মাথাব্যথা বাড়ে সে কথা হয়তো অনেকেই জানেন না। বেশি মাথার পরিশ্রমই মাথা যন্ত্রণার উৎস।

;

খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ



লাইফ স্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

  • Font increase
  • Font Decrease

অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল খেজুর। তবে খেজুরের নাম শুনলেই অনেকের কাছে মনে পড়বে ইফতার কিংবা রোজার কথা। ইফতারে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও অন্যান্য সময়ে আমাদের খেজুর খাওয়ার তেমন অভ্যাস নেই। রোজার সময় ছাড়াও বছরের অন্যান্য সময়ে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। 

কেননা অত্যন্ত পুষ্টিগুণে ভরা এই ফল আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শক্তির অন্যতম একটি উৎস খেজুর। খেজুরে আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।।

বলা হয়ে থাকে, প্রতি চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম ফাইবার। এছাড়া আছে আরও অনেক পুষ্টি উপাদান।

ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে খেজুর

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও প্রাকৃতিক আঁশে পরিপূর্ণ খেজুর ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কম থাকে।

ওজন বেড়ে যাওয়া রোধে খেজুরের ভূমিকা

খেজুর শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে। অল্প পরিমানে খেজুর খেলেও তা ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয়। ফলে পাকস্থলী অল্প খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় কম থাকে।

হাড় গঠনে সহায়ক খেজুর 

ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়তা করে। আর খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা আমাদের শরীরে হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।

খেজুরের অন্যান্য উপকারিতা

হৃদপিণ্ডের সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ বলা হয়ে থাকে খেজুরকে।

খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। 

খেজুরে এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। 

খেজুর সংক্রমক রোধ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

এছাড়াও গলাব্যথা এবং বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি ও ঠাণ্ডায় বেশ উপকারী খেজুর।

শরীর ভালো থাকলে আমাদের মনও ভালো থাকে। প্রতিদিন প্রয়োজনীয় কাজ বা পরিশ্রম করতে গিয়ে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি। এই ক্লান্তিভাব দূর করতে কাজ করতে পারে খেজুর 

তাই প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে একদিনে অধিক পরিমানে (৬টির বেশি) খেজুর খাওয়া উচিত নয়।

;

পেট পরিষ্কার হয় না? এই ফলটি খেলেই কাজ!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পেট পরিষ্কার হয় না? এই ফলটি খেলেই কাজ!

পেট পরিষ্কার হয় না? এই ফলটি খেলেই কাজ!

  • Font increase
  • Font Decrease

পেট পরিষ্কার না হলে সারাদিন মনটা খচখচ করতে থাকে। একই সঙ্গে পেটের হালও খারাপ থাকে। প্রতিদিন কাজের মধ্যে পেট মাঝে মাঝেই চিন্তায় ফেলে দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পেট ভালো না থাকলে তার প্রভাব মনেও পড়ে। মানসিক চাপ বেড়ে যায়‌। তবে এই সমস্যা দূর করতে একটি খাবার খেলেই হবে।

খাবারটি হল আলুবোখারা। হ্যাঁ, নামেই শুধু আলুর সঙ্গে মিল রয়েছে খাবারটির। তবে খাবারটি গাছে ফলে। টক মিষ্টি স্বাদের এই খাবার নিয়মিত খেলে পেটের হাল খারাপ হওয়ার চান্স নেই।

এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার পেটের কাজ ঠিকঠাক রাখে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজেই দূর হয়‌। এমনকি মনও ভালো থাকে‌।‌

;

ওজন ঝরাতে ভরসা রাখতে পারেন জাপানি টোটকায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন কমাতে চান, অথচ শরীরচর্চা করতে চান না। এক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন জাপানি পদ্ধতিতে। পানি খেয়েই ঝরিয়ে ফেলতে পারেন শরীরের বাড়তি মেদ! বহু বছর ধরেই জাপানিরা এই ‘ওয়াটার থেরাপি’-র ওপর আস্থা রেখেছেন।

ওয়াটার থেরাপিতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হয়, তাই আমাদের শরীরের বিপাকের হারও বেড়ে যায়। ফলে বাড়তি মেদ অতি সহজেই ঝরে যেতে পারে। এছাড়াও পানি খেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়, যা দ্রুত ওজন কমায়।

জেনে নিন জাপানি কায়দা

>> রাতে ঘুমোনোর সময়ে পাশে এক বোতল পানি নিয়ে শুতে হবে। ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে পানি খেয়ে দিন শুরু করুন। শরীরের কাজকর্ম ঠিক মতো চালু করতে এই অভ্যাস ভীষণ জরুরি।

>> রাস্তায় বেরোলেই পানির বোতল সঙ্গে রাখুন। মাঝেমধ্যে মিষ্টি কিংবা নোনতা কিছু খেতে ইচ্ছা হলে পানি খেয়ে নিন। তাতে পেট ভরবে ভুলভাল খাবার ইচ্ছাও কম যাবে। খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে পারেন। এর ফলে খাওয়ার সময় খুব বেশি খেতে ইচ্ছে করবে না।

>> নির্দিষ্ট সময় অন্তর মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন। কাজের মাঝে থাকলেও তখন পানি খেতে ভুলবেন না। খাবারের পরিমাণ না কমিয়ে পানি খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধির দিকে নজর দিন।

>> সারক্ষণ পানি খেতে ভাল না লাগলে ডিটক্স ওয়াটার খেতে শুরু করুন। বোতলে পানি ভরে তার মধ্যে শসা, পুদিনা পাতা, লেবু, তরমুজ, স্ট্রবেরির মতো রসালো ফল দিয়ে সারা রাত রেখে দিন। তার পর সারা দিন সেই বোতলের পানিতে চুমুক দিতে পারেন।

>> কেবল পানি খেলেই চলবে না, পানি আছে এমন শাকসবজি, ফলও বেশি করে খেতে হবে।

;