গ‍্যাসের সমস‍্যা ভেবে ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সার এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্তন ক‍্যান্সার ছাড়াও নারীদের মধে ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে ক্রমশ। ডিম্বশয়ে ক‍্যান্সার যতটা জটিল রোগ, ঠিক ততটাই ভয়াবহ এর চুপিসাড়ে ছড়িয়ে পড়া। অধিকাংশ নারীই যে লক্ষণগুলো সাধারণ পেটের সমস্যা বা হজমের গন্ডগোল ভেবে গুরুত্ব দিতে চান না, সে থেকেই হতে পারে বিপদ।

ক‍্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগীর সেরে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। চিকিৎসকদের মতে, ঋতুবন্ধের পর ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সারের ঝুঁকি আরও বাড়ে। তাই সেক্ষেত্রে আরও বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সতর্ক হন।

পেটে ব‍্যথা

ঋতুস্রাবের সময়ে তলপেটে, কোমরে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ঋতুস্রাব শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যদি এই ব্যথা থেকে যায় বা বার বার ব্যথা হতে থাকে তা ওভারিয়ান ক‍্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

বার বার প্রস্রাবের বেগ

পেলভিস অঞ্চলে ব্যথা, পানি খুব বেশি না খেয়েও ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়াও ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

খুব বেশি খেতে না পারা

যদি দেখেন অল্প খেলেই পেট ভরে যাচ্ছে বা বেশি খেতে পারছেন না, এবং এই অবস্থা যদি তিন-চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলে তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পেটের নানা সমস্যা কিংবা অবসাদের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। তবে ডিম্বাশয়ে ক‍্যান্সারের ঝুঁকিও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

শারীরিক দুর্বলতা

অল্প কাজ করেই হাঁপিয়ে যাওয়া, সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা, মাথা ঘোরা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়েও দুর্বলতা কাটতে না চাওয়া— এগুলো কিন্তু ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলে তা এড়িয়ে না যাওয়াই ভাল।

গ‍্যাসের সমস‍্যা

কিছু খেলেই কি গ‍্যাস হয়ে যায়? তলপেটে ব‍্যথা, বমি বমি ভাব, পেটে অস্বস্তির মতো সমস‍্যা প্রায়ই হয় অনেকের। গ‍্যাসের সমস‍্যা ভেবে অনেকেই এই উপসর্গগুলো এড়িয়ে চলেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এগুলো ডিম্বাশয়ের ক‍্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমায় যেসব অভ্যাস



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। দিনের পর দিন এই অভ্যাসগুলোর কারণেই মস্তিষ্কের ক্ষতি করে চলেছি আমরা। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস বাদ দিলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়বে।

১. অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা 

অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। এই বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা মন্থর করে দেয়। এ কারণেই শীতপ্রধান দেশে আত্মহত্যার হার বেশি। প্রাকৃতিক আলোতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে।

২. উচ্চশব্দে গান শোনা

কানে বড় হেডফোন গুজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শোনা মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দে থাকলে এক জনের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে ব্রেনের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৩. বেশি বেশি স্ক্রিন টাইম

অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও নানা দিক থেকে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে গিয়ে সারাক্ষণ ল্যাপটপের সামনে বসে থাকা, বাড়ি ফিরেও মোবাইলে ওয়েব সিরিজ দেখা— সব মিলিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটে যায় পর্দার সামনে। এতে চোখের ক্ষতি তো হচ্ছেই, সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যাচ্ছে। স্ক্রিন টাইম যত বেশি হবে, ততই আমরা অন্যদের সঙ্গে কথা কম বলি, অন্য কাজেও মনোযোগ কম দিই, ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

৪. অতিরিক্ত একা থাকা

এখন আমাদের ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা হাজার হাজার হলেও নিজ জীবনের সব সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্ধুর বড় অভাব। অনেকে এমন আছেন, যারা কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন তারা। এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপর। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তারা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

৫. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া

অতিরিক্ত চিনি খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এ দিকে বার্গার, ভাজাভুজি, আলুর চিপ্‌স বা নরম পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। অন্য দিকে, সবুজ শাকসব্জি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে।

;

ঘরোয়া উপায়ে র‍্যাশের রাশ টানুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমকালে অতিরিক্ত ঘামের ফলে বড়দের গায়ে র‍্যাশ, ঘামাচি হয়। সারাক্ষণ ডায়াপার পরলে গরমকালে শিশুদের ত্বকেও নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। অথচ ডায়াপার না পরালেও নয়। রাতে ঘুমোনোর সময়ে বার বার পোশাক, বিছানা ভিজিয়ে ফেললে ঝামেলায় পড়তে হয় মা-বাবাকে। তাই দিনের বেশির ভাগ সময়ে ডায়াপার পরিয়ে রাখলে অভিভাবকেরা অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।

তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, গরমকালে ডায়াপার পরলে অনেক শিশুরই ত্বকে র‍্যাশ হয়। তা নিয়ে চিন্তার বিশেষ কোনও কারণ নেই। ঘরোয়া কিছু টোটকাতেই এই সমস্যা সমাধান করা যায়।

নারকেল তেল

নারকেল তেলের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণাগুণ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। পাশাপাশি এই তেলের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল যৌগগুলি ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হতে দেয় না।

অ্যালোভেরা

কাটা, ছড়া, পুড়ে যাওয়া— যে কোনও সমস্যায় অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। শিশুদের ত্বকের যে কোনও সমস্যায় ব্যবহার করা যায় এই ভেষজ। অ্যালোভেরার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যৌগ ত্বকের যে কোনও প্রকারের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। তবে গাছ থেকে পাতা কেটে সরাসরি এই জেল শিশুর ত্বকে না মাখানোই ভাল।

ওটসের গুঁড়ো

ওটসের গুঁড়োর সঙ্গে পানি মিশিয়ে নিন। শিশুকে স্নান করানোর আগে তার গায়ে এই মিশ্রণ ভাল করে মাখিয়ে দিন। হালকা হাতে ঘষে নিয়ে পানি ঢেলে ধুয়ে ফেলুন। ডায়াপার থেকে হওয়া র‌্যাশ, ঘামাচি দূর হবে সহজেই।

;

গরমে বাইরে থেকে এসে ঠান্ডা পানি খেলে ভয়াবহ ক্ষতি



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমে প্রাণ জুড়ায় ঠান্ডা পানি। ফলে এই সময়ে ফ্রিজে পানি রেখে পানের প্রবণতা বেড়ে যায়। অনেকে আবার রাস্তার ধারে বরফ দেওয়া ঠান্ডা লেবু-পুদিনার শরবতেও চুমুক দেন। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ঠান্ডা পানি পান গরম থেকে সাময়িক আরাম মিললেও শরীরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঠান্ডা-গরমে সর্দি কাশি তো হতেই পারে। আর কী কী সমস্যা হতে পারে জেনে নিন-

১. হজমে সমস্যা

ঠান্ডা পানি বা পানীয় রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করে দেয়। যা হজমের পক্ষে একেবারেই সহায়ক নয়। হজমের সময়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণেও বাধা দেয় ঠান্ডা পানি। পাশাপাশি, ঠান্ডা পানি দেহের তাপমাত্রার সাম্য রাখতে গিয়ে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে।

২. শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা

গরমকালে বেশি ঠান্ডা পানি পান করলে ঠান্ডা লেগে গলাব্যথা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ঠান্ডা পানি শ্বাসনালীতে মিউকাস জমতে সাহায্য করে। ফলে শ্বাসনালীতে প্রদাহ হয়।

৩. হাইড্রেশনের সমস্যা

ঠান্ডা পানি পানের অভ্যাস তেষ্টা মেটালেও শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পারে না। উল্টে পানি শোষণে বাধা দেয়। ফলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত পানির অভাবে পেশিতে টান, মূত্রাশয়ের সমস্যা, রক্তে থাকা বিভিন্ন উপাদানের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হতে পারে।

৪. মেদ জমিয়ে দেয়

খাওয়ার ঠিক পরেই ঠান্ডা পানি পান করলে খাবারে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে, তা জমিয়ে দিতে পারে। খাবার ঠিক মতো হজম না হলে বিপাকের গতি শ্লথ হয়ে যায়। তবে শুধু ঠান্ডা পানি পান নয়, খাওয়ার ঠিক পরেই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা পানিও পান করতে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদেরা। খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি পান উচিত বলে মনে করেন তারা।

৫. রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত করে

ঠান্ডা পানি পান করলে রক্তনালি সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ফলে সারা দেহে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হলে অসুস্থ হয়ে পড়া স্বাভাবিক।

;

এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে বাইরে বেরোলেই ঝলসে যাচ্ছে চোখমুখ। বাড়িতেও যে স্বস্তি মিলছে, তা কিন্তু নয়। শুরু হয়েছে ভয়াবহ রকমের লোডশেডিং। এমন অবস্থায় প্রাকৃতিকভাবে ঘর ঠান্ডা করা ছাড়া উপায় নেই।

গরমের সময়ে গাঢ় রঙের সুতির পর্দার ব্যবহার, চটের ব্যবহার বাড়ি-ঘর ঠান্ডা রাখে। এছাড়াও ঘরের ভিতর কিছু গাছ লাগালেও কমে যেতে পারে ঘরের উষ্ণতা? গাছপালা শুধু প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ঘরকে ঠান্ডা রাখে না, এই ধরনের গাছপালা ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করতেও সহায়তা করে।

১. অ্যালোভেরা

এই উদ্ভিদটি বাতাস থেকে বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করতেও সহায়তা করে। তাপ ও অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

২. রাবার গাছ

রাবার গাছ পরিবেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড দীর্ঘ ক্ষণ তাপ ধরে রাখতে সক্ষম, ফলে ঘরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘর দ্রুত গরম হয়ে যায়। কাজেই ঘরের অক্সিজেন এবং উষ্ণতার মাত্রা বজায় রাখতে এই গাছ বেশ উপকারী।

৩. মানি প্ল্যান্ট

বাতাস পরিশুদ্ধ করতে মানি প্ল্যান্ট খুবই কার্যকর। গোল্ডেন পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট বাতাস থেকে একাধিক বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে পারে। বিশুদ্ধ বাতাস সব সময়েই বেশি ঠান্ডা।

৪. এরিকা পাম

বাড়িতে জায়গার অভাব না থাকলে বসার ঘরে রাখতেই পারেন এরিকা পাম। এটি তাল গাছের তুতো ভাই, তবে আকারে ছোট। এরিকা পাম ঘর ঠান্ডা রাখে, অন্দরের শোভাও বৃদ্ধি করে। শুধু বাড়ি নয়, এই গাছটি হোটেল, অফিস এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে সাজাতেও ব্যবহৃত হয়।

৫. স্নেক প্ল্যান্ট

এখন অনেকই বাড়িতে ছোট্ট টবে স্নেক প্ল্যান্ট লাগান। এই উদ্ভিদটিও ঘরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই উদ্ভিদটি অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। শোয়ার ঘর বা বসার জায়গাতে রাখার জন্য এই গাছটি বেশ মানানসই।

;