৫০ জন মেকআপ আর্টিস্টের হাতে সনদ তুলে দিলেন সাহিদা আহসান
লাইফস্টাইল
আন্তর্জাতিক সনদ ও সম্মাননা প্রাপ্ত স্বনামধন্য মেকআপ আর্টিস্ট সাহিদা আহসান। তাঁর তত্বাবধানে ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীস্থ একটি হোটেলে হয়ে গেলে একদিনের স্বল্প খরচ মেকওভার শীর্ষক মাস্টারক্লাস ।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৫০ জন মেকআপ আর্টিস্ট উক্ত ক্লাসে অংশগ্রহণ করেন এবং সাহিদা আহসান তাদের হাতে সনদ তুলে দেন।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, সাহিদা’স বিউটি ওয়ালেট এর কর্নধার সাহিদা আহসান একজন আন্তর্জাতিক সনদ ও সম্মাননা প্রাপ্ত মেকআপ আর্টিস্ট। প্রতি বছরই তাঁর নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি একটি স্বল্প খরচের মেকওভার মাস্টারক্লাসের আয়োজন করে থাকেন ।
চলতি বছর ২৯ ডিসেম্বরের মাস্টারক্লাসে অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকছে সাহিদা আহসানের আগামী ২০২২ সালের সর্বপ্রথম ব্রাইডাল মাস্টারক্লাসে বিশেষ ছাড়।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশ কিছু জেলা শহর ছাড়িয়ে এবার নারায়ণগঞ্জে ফ্যাশন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ এবং ‘ঢেউ’। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু রোডে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করল সারা’র এই নতুন আউটলেটটি।
টি এস এন প্লাজা ১৪৫/০৪ (নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের বিপরীতে), বঙ্গবন্ধু রোড,-নারায়ণগঞ্জ-১৪০০ এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে নারায়ণগঞ্জের ‘সারা’ আউটলেটটি।
নারায়ণগঞ্জে ‘সারা’ লাইফস্টাইলের এই আউটলেটে থাকছে সব বয়সী ক্রেতাদের জন্য পোশাক। প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি সারা’তে পাবেন শিশুদের জন্যও বিশেষ কালেকশন। প্রায় সহস্রাধিক কালার এবং ডিজাইনের ভিন্নতা থাকছে সারা’ র পোশাকের আয়োজনে।
শীতের হাওয়া বইছে এখনও। তাই হালকা এবং ভারী শীতে পরার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক সারা’র নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত নতুন আউটলেটটিতে পাওয়া যাবে। এছাড়া সময়োপযোগী ব্যতিক্রম ডিজাইন, ফ্যাশন, গুণগত মান, স্বাচ্ছন্দ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যের পোশাকের চমৎকার সম্ভার পাওয়া যাবে সারার নারায়ণগঞ্জ আউটলেটে।
নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু রোডে অবস্থিত সারা’র নতুন আউটলেটটিতে পুরুষদের জন্য রয়েছে ক্যাজুয়াল শার্ট, ডেনিম, চিনোস, ডেনিম প্যান্ট, পোলো টি শার্ট, পাঞ্জাবি, পায়জামা, টি-শার্ট এবং ফরমাল শার্ট-প্যান্ট।
নারীদের জন্য থাকছে নিট ফ্যাশন টপস, লন থ্রি পিস, এথনিক থ্রি পিস, ট্যাঙ্ক টপম, এথনিক শর্ট, ফ্যাশন টপস, নিট লেগিংস, এথনিক টু পিস, বটম, ডেনিম, কুর্তি ও পালাজো ফর লেডিস অ্যান্ড গার্লস। মেয়ে শিশুদের জন্য থাকছে ফ্রক, পার্টি ফ্রক, প্যান্ট, গার্লস থ্রি পিস, গার্লস সেট, লেগিংস, টপস, নিমা সেট ও বটম।
ছেলে শিশুদের জন্য থাকছে পাঞ্জাবি, বয়েজ সেট, ডেনিম প্যান্ট, পোলো শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্ট, কাবলি সেট, নিমা সেট এবং টি-শার্ট।
সারা’র শীত আয়োজনে পুরুষদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ফুল স্লিভস টি-শার্ট, ডেনিম জ্যাকেট, ফুল স্লিভস ডেনিম শার্ট, ডেনিম শাল। একইসঙ্গে নারীদের জন্য ‘সারা এবার নিয়ে এসেছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, ডেনিম টপস, শাল ও কুর্তি। তাছাড়া প্রবাসীদের জন্য শীতপ্রধান দেশে পরার মতো বিশেষ বোম্বার জ্যাকেটও পাওয়া যাচ্ছে সারার নারায়ণগঞ্জের আউটলেটে। শিশুদের জন্য আরামদায়ক সব শীতকালীন পোশাকের সংগ্রহ। যার মধ্যে ছেলে শিশুদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, ডেনিম প্যান্ট, টুইল প্যান্ট ও টি-শার্ট। একইসঙ্গে মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ডেনিম টপস ও কুর্তি। কেনাকাটার পাশাপাশি শিশুদের খেলার জন্য আউটলেটটিতে রয়েছে কিডস প্লে জোন। অভিভাবকরা বাচ্চাদের রেখে নির্বিঘ্নে নিজেদের কেনাকাটা করতে পারবেন।
নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের জন্য সম্পূর্ণ পশ্চিমা ধাচে প্রস্তুত করা পোশাকের সমারোহ রয়েছে ‘সারা’ লাইফস্টাইলের ওয়েস্টার্ন সাব-ব্র্যান্ড ‘ঢেউ’র কালেকশনে। সারার আউটলেটেই পাওয়া যায় ‘ঢেউ’র কালেকশনের সব পোশাক।
‘ঢেউ’-এর সংগ্রহে পুরুষদের জন্য থাকছে ডেনিম শার্ট, করড শার্ট, ওভারসাইজড টি-শার্ট, ডেনিম প্যান্ট, জগার্স, কারগো প্যান্ট, ও বিভিন্ন ডিজাইনের জ্যাকেট।
নারীদের জন্য ‘ঢেউ’-এর সংগ্রহে থাকছে ফ্যাশন টপস, মিডি ড্রেস, ওয়েস্টার্ণ শার্ট, টু পিস, বডিকন, ওভারকোট, ক্রপ টপ ও ব্লেজার। কিশোর-কিশোরী হতে শুরু করে তরুণ-তরুণীদের পছন্দের ‘ঢেউ’- এর ট্রেন্ডি ডিজাইনের পোশাকগুলো আপনাকে যেমন স্বাচ্ছন্দ্য দেবে, তেমনি আপনার ফ্যাশনে যোগ করবে নতুন এক মাত্রা।
নারায়ণগঞ্জের এই আউটলেট চালুর মাধ্যমে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মোট ১৫টি আউটলেট হলো সারা’র। ঢাকায় সারা’র আউটলেট রয়েছে মিরপুর, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, বারিধারা, বনশ্রী, ওয়ারি ও বাসাবোতে।
ঢাকার বাইরে সারা এর আউটলেট রয়েছে রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, সিলেট, ফেনী বরিশাল ও সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জে।
হেমন্তের অন্তিম ঘনিয়ে গুটি গুটি পায়ে শীতল চাদর লেপে্ট চলেই এলো শীতকাল। দেশের উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে হেমন্তের শুরতেই। এখন সারাদেশেই ঠাণ্ডা কাবু করতে শুরু করেছে। শীথকালের বিশেষত্ব তাজা সবজি, গরম গরম ধোয়া ওঠা পিঠা আর শীতের ছুটিতে কাঁথা মুড়ি দেওয়া গভীর ঘুমে যে শীতের আনন্দে, তাতে যেন পানি ঢেলে দেয় এই রুক্ষ আবহাওয়া।
শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের ঘাটতির প্রভাব পরে ত্বকেও। ত্বক হয়ে পরে রুক্ষ, নির্জীব এবং ফ্যাকাসে। অনেকের মুখে ও শরীরে অস্বস্তি-চুলকানি হওয়ারও নজির রয়েছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইতে খেতে হবে উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সব খাবার। বাড়তি যত্নে পাশাপাশি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এবং খনিজের মতো পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খাওয়ার ফলে পানিশূন্যতাও দূর হয়, ত্বকে জেল্লাও আসে।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু অত্যন্ত উপকারী এবং সুস্বাদু একটি খাবার। যারা মিষ্টিজাতীয় খাবার পছন্দ করেন, তবে ক্ষতিকর শর্করা বা চিনি এড়িয়ে চলতে চান, তাদের জন্য বেশ ভালো একটি পছন্দ মিষ্টি আলু। তবে শুধু স্বাদের জন্যই নয়, বিটা ক্যারোটিনের ভালো একটি উৎসখাদ্য হিসেবেও মিষ্টি আলু প্রাধান্য পায়। মিষ্টি আলু পুরাতন কোষ সরিয়ে নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে, বিধায় রুষ্ক আবহাওয়াতেও ত্বক সুন্দর রাখতে পারে।
পালং শাক: শুধু আয়রন নয়, পাশাপাশি ভিটামিন এ এবং সি এর অন্যতম জনপ্রিয় উৎস হলো পালং শাক। এই ভিটামিনগুলো ত্বকে হওয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আবশ্যক। এছাড়া কোলাজেন উত্পাদনেও প্রভাবিত করে। তাই শীতকালীন ত্বকের যত্নে দুর্দান্ত কাজ করতে পারে পালং শাক।
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, গ্লুটামিন এবং ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এসব অ্যামিনো অ্যাসিড ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শীতকালে ত্বক এবং শরীরের ভেতরেও অনেক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে। এই সব ময়েশ্চারাইজ করে ত্বকে নমনীয়তা এনে শুষ্কভাব দূর করতে কাজ করে। পাশাপাশি এরা ত্বককে পরিষ্কার করে এবং পরিবেশের শুষ্কতার চাপ থেকে রক্ষা করে।
গাজর: শীতকালে ত্বক উজ্জ্বল রাখতে আরেকটি ভালো সবজি হলো গাজর। এতে আছে বিটা-কেরোটিন, যা ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে উজ্জ্বলতা আনে। তাছাড়া গাজরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিন ত্বককে রোদের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকেও সুরক্ষা দেয়।
ব্রোকলি: ব্রোকলি একটি ক্রুসিফেরাস সবজি, যাতে প্রচুর ভিটামিন এ ও সি থাকে। তাই ব্রোকলি খেলে কোলাজেন উৎপাদন ত্বরান্বিত হয় এবং ত্বকের শুষ্ক দাগও দূর হয়।
হেমন্তর মাঝামাঝিতেই শীতের আগমন ঘটেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশাও। ফলে এখন থেকেই আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার কারণে অনুভূত হচ্ছে শীত।
শীতের এই শুষ্ক হাওয়া ত্বক থেকে সব আর্দ্রতা কেড়ে নিয়ে ত্বকের ক্ষতি করে। ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে অদৃশ্য ক্ষতিকর উপাদানগুলো ত্বকের সয়স্পর্শে আসে। তার উপর যদি শীতকালে ত্বক দূষিত হয় তাহলে অবস্থা আরও অবনতি হয়। তাই শীতে ত্বকের বিশেষ যত্ন বাড়িয়ে ত্বককে দূষণ মুক্ত রাখতে হবে। সেজন্য যা করতে পারেন-
১. ক্লিনজিং: ত্বকের যত্ন নেওয়ার মূল ভিত্তি হলো ক্লিনজিং অর্থাৎ পরিষ্কার রাখা। শীতকালে বাতাসের জন্য ত্বকে অনেক দূষিত পদার্থ এবং মেকআপের অবশিষ্টাংশ জমে থাকতে পারে। বায়োলিপিড সম্পন্ন ক্লিন্জার ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার করলে সহজে এসব দূর করা যায়। এতে ত্বকে আদ্র্রতাও বজায় থাকে এবং মুখ সতেজ দেখায়।
২. ক্রিম: কুয়াশা এবং ধূলাবালির কারণে ত্বক মলিন এবং বয়সের আগেই বয়সের ছাপ দেখাতে পারে। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরক্ষাকারী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এতে মুখের লোপকূপে পাতলা একটি বাধা সৃষ্টি করে। ত্বক হাইড্রেটেড রাখতেও এই ক্রিমের ব্যবহার কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৩. সিরাম: হাইপার পিগমেন্টেশন এবং ত্বক নিস্তেজ হয়ে যাওয়া শীতকালে প্রকাশ পাওয়া দুইটি বড় সমস্যা। শীতল বাতাসের সঙ্গে অণুগুলো যখন ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে, তখন তা অক্সিডাইস করে কালচে ভাব নিয়ে আসে। ফলে ত্বকের সর্বত্র স্কিনটোন একরকম থাকে না। এইজন্য ত্বকের জন্য ভালো দেখে একটি সিরাম বাছাই করতে হবে। সাধারণত ত্বক ফর্সাকারী সিরামে কোজিক এসিড থাকে, যা ত্বকে অস্বস্তি অনুভব করাতে পারে। সেজন্য অরিওপেপটাইড-৩ সম্পন্ন সিরাম ব্যবহার করতে হবে, যা ত্বকের ভাজ দূর করতে সাহায্য করবে।
৪.প্রাকৃতিক উপাদান: ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারের বিকল্প কিছু হতে পারেনা্। তরমুজ বা প্যাশন ফ্রুটের নির্যাস থেকে তৈরি তেল ত্বকে বেশ মজবুত প্রতিরক্ষা তৈরি করে। এসব ফলে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ‘ভিটামিন ই’ ত্বক হাইড্রেট করে মসৃণতা এনে দেয়।
৫. শরীর: সাধারণত ত্বকের যত্ন বলতে মুখের ত্বকেরই যত্ন নেওয়া হয়। শুধু মুখ নয়, সারা শরীরের চামড়াই শীতে প্রাধান্য পাবে। শীতে ত্বকের চামড়া কালো হয়ে যাওয়া রোধ করতে গোসলের সময় ভালো বডিওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে হাঁটু এবং কনুইতে বেশি কালশিটে পড়ে শীতকালে। এইসব এরিয়ায় বি-ওয়াক্স অর্থাৎ, মৌচাকের মোম, প্রাকৃতিক তেল, লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। মোটকথা মুখের পাশাপাশি সারা শরীরের ত্বকেরই যত্ন নিতে হবে।
৬. ভেতর থেকে পুষ্টি: শীতকালে বাইরে থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া অবশ্যই উচিত। তবে যত্ন যতটা না বাইরের ততটা ভেতরের হওয়া উচিত। প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদা মেটালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। অ্যাসটাক্সানথিন এবং অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ বিলবেরি নির্যাস খুবই উন্নতমানের প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি সরবরাহ করে। প্রিজারভেটিভবিহীন প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।
অনেকে কুকুর, বিড়াল, পাখি, খরগোশ সহ নানা ধরনের পোষা প্রাণীরাখতে পছন্দ করে। বাড়িতে পশুপাখি লালন পালন করা একটি নৈতিক এবং মানবিক দায়িত্ব। অনেকে প্রাণীপোষ মানানোকে বাড়তি ঝামেলা মনে করেন। তবে পোষা প্রাণীবৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের জীবনে নানারকম ইতিবাচক প্রভাবও ফেলতে পারে। এমনকি শিশুদের মধ্যেও অনেক ভালো অভ্যাস গড়ে উঠতে সাহায্য করে।
পৃথিবী যতটা মানুষের ঠিক ততটাই অন্যান্য জীবজন্তুরও। মানুষ উন্নত প্রাণী হওয়ায় অন্যান্য পশুর তুলনায় মানুষ বেশি যত্নশীল হতে পারে। পোষা প্রাণী এবং মালিকের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা ব্যক্তি জীবনে ভালোবাসা, বিশ্বাস, সহানুভূতি এবং বোঝাপড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বভাব তৈরি করতে সাহায্য করে।
ভারতীয় প্রাণীখাদ্য প্রতিষ্ঠান কার্নিওয়েলের প্রতিষ্ঠাতা জে.এস. রমাকৃষ্ণ পশুপাখি পালনের উপকারিতা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন,‘শিশুরা যখন বাড়িতে পালিত পশু সঙ্গে বেড়ে ওঠে, তখন তাদের মদ্যে সহানুভূতির আধিক্য দেখা যায়। এমনকি শিশুদের মধ্যে দায়িত্ববোধও বাড়তি থাকে। আমরা কার্নিওয়েল আপনার পশু এবং পরিবারের মধ্যে মজবুত স্নেহের বন্ধন তৈরিতে বিশ্বাসী।’
একটি সাক্ষাৎকারে শিশুদের পরিবারে গৃহপালিত পশু থাকার বেশ কিছু প্রভাবশালী দিকও তুলে ধরেছেন তিনি। যেমন-
১. মানসিক চাপ: ঘরে একটি পালিত প্রাণী থাকলে শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা শেখানো অনেক সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে যখন শিশুরা উদ্বেগ বা মানসিক অস্থিরতায় ভোগে। এছাড়া তাদের মধ্যে সহানুভূতি এবং অন্যের প্রয়োজনে নিজের পছন্দের সঙ্গে আপস করাও শেখায়। সামাজিকতা শেখানোর পাশাপাশি শিশুদের স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পরে। যেমন, শিশুরা পোষা প্রাণির সাথে খেললে অক্সিটোসিন নিঃসরণ হয় এবং কর্টিসলও কমে। এই প্রক্রিয়া শুধু ছোটদের নয়, বড়দের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
২. চঞ্চলতা: সাধারণত পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটানো শিশুরা শারীরিক কার্যক্রমেও বেশি সময় কাটায়। তাদের সাথে খেলাধুলা বা হাঁটাহাটি বেশিকরা হয় বলে শিশেুদের এরকম শরীরচর্চার মতো কাজ হয়। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে আর হৃদয়ও ভালো থাকে।
৩. যোগাযোগ: পোষ্য প্রাণীর সাথে সময় কাটানো শিশুরা একা বেড়ে ওঠা শিশুদের তুলনায় বেশি সামাজিকতা বজায় রাখতে পারে। প্রাণী পালনের ফলে শিশুদের মধ্যে যত্নশীল এবং সহানুভূতির স্বভাব গড়ে ওঠে। যেহেতু পশুরা কথা বলতে পারে না, তাই তাদের অনুভূতি বুঝে নিতে হয়। এই কারণে শিশুদের মধ্যে অপ্রকাশিত অনুভূতিও আয়ত্তে আনার এক প্রকার দক্ষতা লক্ষ্য করা যায়।
৪. এলার্জির সম্ভাবনা: পালিত পশু-পাখিতে শিশুদের এলার্জির সমস্যা হওয়ার ধারণা একেবারেই ভিত্তিহীন। বরং এর বিপরীতে পশুসঙ্গে তাদের অ্যালার্জি আর অ্যাজমার মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে। গবেষণায় জানা যায়, পশুদের সংস্পর্শে থাকার শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৫. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: পোষা প্রাণীর সাথে মিথস্ক্রিয়া শিশুদের জ্ঞানের বিকাশকে উদ্দীপিত করে। পশু প্রাণিদের আবেগ ভাষায় প্রকাশ করতে না পারাই শিশুদের এই দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শিশুদের বেশি চিন্তা করে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তাকে উন্নত করে।
৬.ব্যক্তিত্বের উন্নতি: শিশুকে যখন পোস্যের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়, যেমন- খাওয়ানো, গোসল করানো, পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে রাখা, ট্রেনিং করানো তখন তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ স্থাপিত হওয়ার কারণে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।