কফি পানে লিভার ডিজিজের ৪৯ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকি কমায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কফি পান করা নিয়ে অনেকের অনীহা। কেউ কেউ বলে থাকেন অতিরিক্ত কফি পান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে সেই তথ্য উড়িয়ে দিয়ে কফি পানে জটিল রোগের নিরাময় ও মৃত্যুঝুঁকি হ্রাসের সুখবর জানিয়েছেন গবেষকরা।

বিএমসি পাবলিক হেলথ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্যানুযায়ী—দিনে ৩-৪ কাপ পর্যন্ত ক্যাফিনেটেড বা ডিক্যাফিনেটেড কফি পান করা লিভারের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এতে দীর্ঘদিন লিভারের রোগে আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা। খবর সিএনএন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন সোমবার (২২ জুন) ওই জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

নিয়মিত কফি পানকারীদের দীর্ঘস্থায়ী লিভার রোগ থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ২১ শতাংশ বেশি

গবেষকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়মিত কফি পানকারীদের দীর্ঘস্থায়ী লিভার রোগ থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা ২১ শতাংশ বেশি এবং ক্রনিক বা ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনাও ২০ শতাংশ কম। আর দীর্ঘস্থায়ী লিভারের জটিলতায় মৃত্যুঝুঁকিও ৪৯ শতাংশ কম।

যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অনুষদের লেখক ও গবেষক ড. অলিভার কেনেডির মতে, ‘কফি সহজগম্য পানীয়। আমরা গবেষণার তথ্য থেকে যেটা পেয়েছি, তা হলো—এটি দীর্ঘস্থায়ী লিভারের রোগের সম্ভাব্য প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা দিতে পারে।’

এ গবেষণায় যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮৫ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে কফি পানের বিষয়টি নিয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেন। এরপরে প্রায় এক যুগ ধরে তাদের অনুসরণ করা হয়।

যারা ক্যাফিনেটেড বা ডিক্যাফিনেটেড কফি পান করেছিলেন, তাদের গ্রুপে সর্বাধিক উপকার দেখা গেছে। তাৎক্ষণিক কফি পানকারীরাও কিছু সুবিধা দেখেছিলেন। গ্রাউন্ড কফিতে উচ্চমাত্রার কাহেওয়েল এবং ক্যাফেস্টল রয়েছে। কফি বিনে দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস পাওয়া গেছে, যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

কফি থেকে স্বাস্থ্যে সুবিধা খুঁজে পাওয়া এটি প্রথম সমীক্ষা নয়। গেল ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে এক বা একাধিক কাপ ব্ল্যাক কফি, ক্যাফিনেটেড কফি পান করা হার্টের দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি হ্রাস করে।

টাইপ-২ ডায়বেটিস, পার্কিনসন ডিজিজ, প্রোস্টেট ক্যান্সার, আলঝেইমারস, স্কলেরোসিস, মেলানোমা, অন্যান্য ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি এবং করোনারি আর্টারি ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমায় কফি। কেনেডি দ্বারা পূর্বের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কফি পান করলে লিভারের ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ রূপ হেপাটোসেলুলার ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

বাড়ছে লিভার ক্যান্সার

কয়েক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী লিভার ক্যান্সার বাড়ছে। ২০১৮ সালে করা একটি সমীক্ষায় বলা হয়, ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী লিভার ক্যান্সার ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, লিভার ক্যান্সারের হার ১৯৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনগুণ বেড়েছে। মৃত্যুর হার দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।

বিশ্ব ক্যান্সার গবেষণা তহবিলের তথ্যানুযায়ী, লিভার ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী ষষ্ঠ সাধারণ ক্যান্সার। কম উন্নত দেশগুলোতে, বিশেষত এশিয়া ও আফ্রিকায় প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এ ক্যান্সারে মৃত্যুহার বেশি। কারণ এর কোনো প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ে না।

লিভারের রোগের ঝুঁকিপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে— মদপান, স্থুলতা, ডায়াবেটিস, ধূমপান, হেপাটাইটিস বি এবং সি সংক্রমণ। যা লিভারের কোষগুলোতে অতিরিক্ত ফ্যাট তৈরি করে।

আমেরিকান লিভার ফাউন্ডেশনের তথ্যানুসারে, নন অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ—অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল বা উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইড।

কফি পানে সাবধানতা

বেশিরভাগ গবেষণা ব্ল্যাক কফি পান করার ওপর করা হয়। তবে অনেকে দুধ, চিনি, নন-ড্রেইরি ক্রিমযুক্ত কফি পান করেন, যা বেশি ক্যালরি, চিনি এবং ফ্যাট যুক্ত। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করে দিয়েছে, দুধ-চিনির আধিক্য থাকা কফি হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফিন গ্রহণ বিপজ্জনক হতে পারে। ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় ৪ কাপের বেশি কফি পান করলে, অল্প ওজনের বাচ্চা, অকাল প্রসব এবং স্থায়ী জন্মগত ত্রুটি দেখা যায়।

বিগত গবেষণাগুলোতে বলা হয়েছে, ঘুমের সমস্যা বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডায়েটে ক্যাফিন যুক্ত করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

কফি পানের এই সুবিধাগুলো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স অনুসারে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের ক্যাফিনসহ কোলা, কফি, এনার্জি ড্রিংকস বা অন্যান্য পানীয় পান করা উচিত নয়।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

   

অত্যধিক গরমে শুধু শরীর নয়, ফোনও খারাপ হয়ে যেতে পারে! সুরক্ষায় যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীষ্মের দাপট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। গ্রীষ্মকাল যাদের পছন্দের ঋতু নয়, এই গরমে তাদের অনেকেরই মনখারাপ হয়ে যাচ্ছে। অত্যধিক গরমে শুধু মন নয়, খারাপ হতে পারে ফোনও। তাই গরমে ফোনের যত্ন নিতেও ভুলবেন না। গরমে অল্প ব্যবহার করলেই ফোন গরম হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ ফোন গরম হয়ে গেলে, কিভাবে সামাল দেবেন জেনে নিন এর সমাধান- 

১) বাইরে বের হলে ফোন হাতে নয়, ব্যাগের মধ্যে রাখুন। সূর্যের আলোয় ফোন অত্যধিক গরম হয়ে যায়। এখন রোদের যা তেজ, তা ফোন গরম হতে বেশিক্ষণ সময় নেবে না। এতে ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

২) ফোন ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। ফোনে একাধিক অ্যাপ একসঙ্গে খুলে রাখবেন না। এতে ফোনের ব্যাটারি বেশি খরচ হয়। ফোন ক্রমশ গরম হতে থাকে। তাই যখন যে অ্যাপ প্রয়োজন, সেটাই খুলে রাখুন। বাকিগুলো বন্ধ করে দিন।

৩) একটানা বেশিক্ষণ ফোন ব্যবহার করবেন না। দীর্ঘক্ষণ ফোন ঘাঁটলে গরম হয়ে যায়। ব্যাটারির উপরেও এর প্রভাব পড়ে। সে ক্ষেত্রে অল্প দিনেই ব্যাটারি খারাপ হয়ে যেতে পারে।

৪) ফোন গরম হয়ে গেলে ঠান্ডা করার একটি উপায় হল কুলিং ফ্যান। বাজারে বিভিন্ন ধরনের কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। শুধু ফোন ঠান্ডা করতেই নানা ধরনের কুলিং ফ্যান পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়

তাপ ক্লান্তি ও হিটস্ট্রোক এক নয়, জেনে নিন-লক্ষণ এবং করণীয়

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, মধ্যবয়সী-যুবক প্রচন্ড গরমের সকলের নাজেহাল অবস্থা। তার উপর নেই বৃষ্টির ছিটেফোঁটা সম্ভাবনাও। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও কয়েক ডিগ্রি তাপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

সরকারপক্ষ থেকে রাজধানীতে নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে৷ কৃত্রিম ভাবে পানি দিয়ে শহর ভিজিয়ে ক্ষণিকের জন্য হলেও প্রশান্তি দেওয়া বা ছাউনি তৈরি করা৷ এছাড়া গাছ লাগানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ চলছে জোরদমে৷ তবুও গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া লোকের সংখ্যা কমছে না। সাধারণ কিছু গরম জনিত সমস্যা ছাড়াও হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ৷

গরমে সাধারণত দুইটা সমস্যার বেশি আধিপত্য দেখা যাচ্ছে৷ হিট এক্সহসশন বা তাপক্লান্তি এবং হিটস্ট্রোক৷ হিটস্ট্রোক খুবই গুরুতর একটি সমস্যা, যা মৃত্যু ঘটাতেও সক্ষম৷ হিট এক্সহসশনকে বলা যায় হিটস্ট্রোকের আগের অবস্থা। তবে অনেকেই এই সমস্যা দু'টোকে একই মনে করেন৷ তবে এদের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে৷  জেনে নেওয়া যাক সেসব পার্থক্য-

হিট এক্সহসশন বা ক্লান্তি: সাধারণত শরীর দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই হয়। গরমের মধ্যে বাইরে গেলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হতে থাকে৷ 

তাপমাত্রা এখন দিন দিন আরও বাড়ার কারণে ঘামও তুলনামূলক বেশি হয়৷ এই কারণে শরীর থেকে পানি আর লবণ বের হয়ে যায়৷ ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। একেই হিট এক্সহসশন বলে৷

হিট এক্সহসশনের উপসর্গ হলো হিট ক্র‍্যাম্পস বা পেশিতে ব্যথা হওয়া।

পানিশূন্যতাও এর একটি সাধারণ সমস্যা। সাধারণত ১০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩৮.৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই হিটএক্সহসশনের সমস্যা দেখা যায়৷

এছাড়া অনেকের বমি হয়৷ বা বমি বমি ভাব হয়৷ হিট এক্সহসশনের সময় হৃদকার্য দুর্বল হয়ে যায়। তবে হার্টবিট দ্রুত হতে থাকে৷

তাপক্লান্তি হলে করণীয়: তাপক্লান্তিতে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাকে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে৷ অথবা ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে গা মুছিয়ে দিতে হবে৷ যেন শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়৷

দ্রুত হালকা ঠান্ডা পানি খাওয়াতে হবে৷। বা জলদি শক্তি আনার জন্য এনার্জি ড্রিংক (খেলোয়াড়দের জন্য ব্যবহৃত) খাওয়াতে হবে।

রোগীকে ঠান্ডা স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে। তাকে রিলাক্স করতে টান করে শুয়িয়ে রাখতে হবে৷

বমির সমস্যা গুরুতর প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। বমিরোধী ঔষধ সেবন করাতে হবে।

হিটস্ট্রোক: যখন অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকে তখন শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে৷ সংকুচিত হওয়ার কারণে লোমকূপ ঘাম বের হতে পারেনা৷ এতে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ব্যর্থ হয়৷

সে কারণে তাপ শরীরের ভেতরেই থেকে যায় আর শরীর শীতল হতে না পেরে স্ট্রোক হয়৷

সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি বেড়ে যায়৷ হৃদপিণ্ড খুব দ্রুত এবং শক্তিশালীভাবে কম্পিত হতে থাকে৷

হিটস্ট্রোক হলে মানুষ সাধারণত অজ্ঞান হয়ে যায়৷ অথবা সজ্ঞান হারিয়ে অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে। তাদের চোখ, ত্বক পরিবর্তন হয়ে যায়।

ত্বকে লালচে এবং শুষ্ক হয়ে যায়৷ অনেকের ক্ষেত্রে খিচুনি উঠতে দেখা যায়। শ্বাস প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হয়ে যায়। রোগীর প্রশ্বাস গ্রহণে অসুবিধা হতে দেখা যায়৷

হিটস্ট্রোক হলে করণীয়: রোগীকে দ্রুত ঠান্ডা এবং ছায়াযুক্ত স্থানে নিয়ে যেতে হবে৷

রোগীর গায়ের অতিরিক্ত কাপড় এবং জুতা খুলে দিতে হবে৷ যেন বাতাসের সংস্পর্শে আসতে পারে।

শরীর এবং মাথায় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ঢালতে হবে। রোগীর জ্ঞান থাকলে তাকে খাওয়াতেও হবে। কোনোভাবেই ঠান্ডা পানি খাওয়াবেন না। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপ আরও বেগতিক হবে৷

শরীরে ঠান্ডা বাতাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷ অতি দ্রুত জরুরি চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে৷ জরুরি প্রয়োজন ৯৯৯ নম্বরে কল করতে হবে।

;

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;