সাজ-পোশাকে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ‘দেবী’



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
'দেবী'ময় পোশাক ও গহনা।

'দেবী'ময় পোশাক ও গহনা।

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পাওয়া দেবী- মিসির আলী প্রথমবার কিংবা দেবী সিনেমা জ্বরে ভুগছে সকলে। সেই জ্বরের উত্তাপ ছড়িয়েছে নারীদের সাজ পোশাকেও। ব্লাউজ, কামিজ, ওড়না, আংটি, মালা কিংবা কপালের মায়াময় টিপেও দেখা মিলেছে ‘দেবী’র। ‘হুমায়ূন আহমেদ’ ও ‘মিসির আলী’ নামগুলোর সঙ্গে প্রবল ভালোবাসা, আবেগ ও স্মৃতিকাতরতাকে অগ্রাহ্য করা সম্ভব হয়নি অনেকের পক্ষেই। আর তাইতো হাতে তুলে নিয়েছেন কাঠ, কাপড়, রং ও তুলি। ভালোবেসে প্রকাশ করেছেন ‘দেবী’ কে।

সিনেমাটির ‘দেবী’ শব্দটাই যেন এক অনন্য মাদকতাময় শিল্পকর্ম। সেই দেবীকে জড়িয়ে গড়ে ওঠা আরও মনোমুগ্ধকর সকল শিল্পকর্ম ও তার পেছনে কাজ করা মানুষদের অনুভূতিকে নিয়েই আজকের গল্প।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540976866221.jpg
ছবি: ত্রিনিত্রি'র তৈরি দেবী মালা।

 

প্রথমেই কথা হয় অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ত্রিনিত্রি’র প্রতিষ্ঠাতা অন্বেষা দত্তের সঙ্গে। দেবী থিমের উপর তৈরি করেছেন দেবী মালা। কাঠের বৃত্তাকার বেইসের উপরে কাঠের তৈরি দেবী লেখা বসিয়ে এনেছেন থ্রি ডাইমেনশনাল ইফেক্ট। ছিমছাম কিন্তু নয়নাভিরাম এই মালাটি নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, ‘ছোটবেলায় পড়া প্রিয় গল্পটার চরিত্রগুলাকে পর্দায় দেখবো, এটা ভেবেই অনেক ভালো লাগছিল। জয়া আহসান খুবই প্রিয় অভিনেত্রী, ব্যক্তিত্ব। সঙ্গে দেবী ছবির অন্যান্যরাও খুব প্রিয় মুখ। দেবী মালা করে সেটার ছবি প্রথমেই দেবীর অফিশিয়াল পেইজে পাঠাই। ওরা উৎসাহ দেওয়ার পরই পেইজে দেওয়া। পেইজে দেওয়ার পর সবার কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাই। যারা মালাটি নিয়েছেন সবাই দেবী সিনেমা দেখতে গিয়েছেন মালা পরে। খুবই অনুপ্রেরণা পেয়েছি কাজটি করে। মনে হচ্ছিল আমিও দেবী টিমেরই অংশ। দেবী মালা পরে আমিও দেবীদর্শন করে এসেছি। সব মিলিয়ে অসাধারণ অনুভূতি ছিল’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540981401277.jpg
ছবি: সারথী আর্ট ও ক্রাফটসের তৈরি দেবী আংটি।

 

ত্রিনিত্রি যেমন দেবী মালা নিয়ে কাজ করেছে, তেমনভাবেই হাতের শোভা বাড়াতে দেবী আংটি নিয়ে কাজ করেছে ‘সারথী আর্ট এন্ড ক্রাফটস’। সারথীর পেছনে কাজ করছেন সাদাত আহমেদ, এ্যাথিনা অরোরা তীর্থ ও রাকেশ সাহা। কিশোরবেলা থেকেই তারা হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত। এ্যাথিনা অরোরা তীর্থর সঙ্গে আলাপচারিতার সময় জানালেন, হিমুকে নিয়ে এর আগে কাজ হলেও, পর্দায় মিসির আলী এই প্রথমবার আসছে। তাও আবার দেবীর বদৌলতে। যেটা নিয়ে খুব আনন্দিত ছিলেন সকলেই। সেই ভালোলাগা থেকেই দেবী থিমে আংটি ও পেন্ডেন্টের কাজ করা। তিনি আরও জানান, বর্তমানে সারথীতে দেবী থিমের শাড়ি নিয়েও কাজ চলছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540981458420.jpg
ছবি: সারথী আর্ট ও ক্রাফটসের তৈরি দেবী পেন্ডেন্ট।

 

আংটি কিংবা গলার মালার মতোই ভিন্ন আবেদন ও আমেজ থাকে টিপের মাঝেও। অবশ্যই, দেবীর জন্য ভালোবাসায় সেই আবেদনে কমতি পরেনি। ক্ষুদ্রতম এই ক্যানভাসকে বহু আগেই আপন করে নিয়েছেন সুপরিচিত অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘গীতিকা’র রুবানা করিম। বড় হয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের অনবদ্য সকল উপন্যস পড়ে। যে কারণে তার সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসাটা অন্যরকম। তবে বিশেষ ভালোবাসা ছিল ‘দেবী’ উপন্যাসকে ঘিরে। সেই ভালোবাসা প্রকাশের চমৎকার প্রয়াস ছিল রুবানার হাতে আঁকা দেবী টিপ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540977025625.jpg
ছবি: গীতিকার তৈরি দেবী টিপ।

 

তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম- গহনা কিংবা কাপড়ে দেবীকে প্রকাশ না করে, কেন টিপে দেবীকে নিয়ে আসা? উত্তরে রুবানা বলেন, ‘আমি চাইলে মালা, হাতের রিং, ব্লাউজের পিসে এই কাজটা করতে পারতাম। কিন্তু আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে টিপের উপর আঁকতে। চাইলেই বড় কোন ক্যানভাসে খুব সহজেই দেবীকে উপস্থাপন করা যায়। কিন্তু টিপ ছোট বলে উপস্থাপন করা একটু কঠিন। যেহেতু দেবীর প্রতি ভালোবাসাটা একটু বেশি তাই কষ্টসাধ্য কাজটাই বেছে নিলাম’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540976980394.jpg
ছবি: গুটিপোকার দেবী ব্লাউজ। 

 

সাজের অনুষঙ্গ গহনা ও টিপ নিয়ে তো কথা হলো, এবার তবে কাপড়ে করা দেবীর কাজকে নিয়ে কথা বলা যাক। জবাফুল জড়ানো দেবী লেখাটার মোহে পড়েই, দেবী ব্লাউজ বানিয়ে ফেলেছেন ‘গুটিপোকা’র আফসানা সুমী। তার ইচ্ছা ছিল দেবী জামা পরে তবেই যাবেন দেবী সিনেমা দেখতে। এরপর বন্ধুর পরামর্শে জামা না বানিয়ে, বানিয়ে ফেললেন দেবী ব্লাউজ। সুতি ও লিলেন দুই ধরণের তন্তুর উপরেই কাজ করেছেন দেবী ব্লাউজ নিয়ে। সুমী জানালেন, প্রথমদিকে হ্যান্ড পেইন্টে দেবী ব্লাউজ আনা হলেও, ক্রেতাদের প্রবল আগ্রহ ও চাহিদার ভিত্তিতে বর্তমানে স্ক্রিন প্রিন্টে পাওয়া যাচ্ছে চমৎকার এই ব্লাউজ পিসটি।

এদিকে দেবীর প্রতি ভালোবাসাকে বিস্তৃত আকারে প্রকাশ করেছেন অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘অন ক্লাউড নাইন এন্ড হাফ’ এর প্রতিষ্ঠাতা আফরিন আহমেদ। একাধারে ব্লাউজ, কামিজ, ওড়না ও টিপে তুলে ধরেছেন দেবীকে। নিজের প্রতিষ্ঠানটির একেবারেই ব্যতিক্রমী নামের বিষয়ে জানতে চাইলে আফরিন জানালেন, ‘On Cloud Nine আমেরিকানদের একটা বহুল প্রচলিত বাগধারা। এর অর্থ অত্যন্ত আনন্দিত। আমি আরো এক ধাপ ওপরে। নাইনের ওপর আরো অর্ধেক। খুশির ওপর মহাখুশি। মানে ON CLOUD NINE AND HALF. ক্রাফট, সৃজনশীলতা এইসব আমার জীবনের আনন্দের অন্যতম অধ্যায়। সে বাগধারা থেকেই আমার স্বামী নামটা দিয়েছেন’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540977102884.jpg
ছবি: অন ক্লাউড নাইন এন্ড ইলেভেন এর দেবী কামিজ।

 

আমেরিকা থেকে গহনা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়ে গহনা বানানো শুরু করেছেন আফরিন। এরপর ব্লাউজ পিসে হাতে আঁকা শুরু করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সেখানে থেকেই সাহস করে ব্লাউজে দেবীকে নিয়ে আসা। তবে শুধু দেবী লেখাটাই তুলির আঁচড়ে প্রকাশ করেননি তিনি। ক্রেতার চাহিদা ও নিজের কল্পনাকে মিশিয়ে তৈরি করেছেন ভিন্ন এক আমেজ। নিজের কাজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত আফরিন বলেন, ‘আঁকাআঁকির পুরো ব্যাপারটা চরিত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিলো। যেন তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী আমাকে দিয়ে নিজেদের আঁকিয়ে নিচ্ছিল। আমি কেবল উপন্যাসের আড়ালের একজন। রঙ-তুলি হাতে নিয়ে চরিত্রগুলোর ফরমায়েশ মত তাদের এঁকে যাচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে এমন হল, আমি ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে উঠে রঙতুলি হাতে নিই। আমার মনে হচ্ছিল, তারা আমাকে ডাকছে বাকি কাজটুকু শেষ করার জন্য। এ এমন এক অনুভূতি যা কেবল অনুভব করা যায়, বর্ণনা করা যায় না! এভাবেই হয়ে গেল দেবী কামিজ আর ওড়না। সম্পূর্ণ আমার ডিজাইনে, আমার চিন্তায়, চরিত্রগুলোর ফরমায়েশিতে’।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/31/1540977157498.jpg
ছবি: অন ক্লাউড নাইন এন্ড ইলেভেন এর দেবী টিপ ও অন্যান্য।

 

মিনিয়েচার ও অ্যাবস্ট্র্যাক্ট আর্টের ভক্ত আফরিনের জন্য টিপেও দেবীকে ফুটিয়ে তুলতে খুব একটা সময় লাগেনি। এভাবেই নিজের চারপাশের সকল কাজের মাধ্যমে দেবীকে একে একে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।

ভালোবাসার বিষয়ে বড্ড আবেগপ্রবণ আমরা সকলেই। সেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই ‘দেবী’ উঠে এসেছে সকলের সৃজনশীলতায়, অনন্য কাজের ধারায়। নিখুঁত মমতায় নিজ হাতে করা কাজগুলো পূর্ণতা পেয়েছে স্বকীয়তায়। শুধু কি তাই! ভালোবাসায় গড়া দেবী থিমের কাজগুলো ভালোবাসা কুড়িয়েছে ক্রেতাদের কাছ থেকেও। মমতায় সিক্ত দেবী নিজস্ব আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে তার স্বরূপ প্রকাশ করছে সকলের মাঝে, সাজ ও পোশাকে।

   

তারকাদের ভিড়ে প্রতিভার উজ্জ্বলতায় জ্বলজ্বলে ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সে চলছে ২০২৪ সালের ‘৭৭ তম কান’স ফিল্ম ফেস্টিভাল’। দেশটির দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে প্রতিবছরই চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ  এই উৎসবরে আয়োজন করা হয়। ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন কোণা থেকে অনেক সিনেমা সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা একত্রিত হন। মূলত ফিল্ম ফেস্টিভাল হলেও যেহেতু অভিনয়ের সঙ্গে ফ্যাশন ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তাই এখন ফ্যাশনের লোকজনও ক্যান’স এর অনুষ্ঠানে আসে।   

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আসনা হাবিব ভাবনা কানস ফিল্ম ফেস্টিভালে উপস্থিত হয়েছেন। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেরও অনেক বড় অভিনয় শিল্পী এবং ফ্যাশন ব্যক্তির পদচারণা ঘটে। তবে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সাড়া পড়েছে ভারতীয় ইন্ফুয়েন্সার ন্যান্সী ত্যাগী।

কান’স ফিল্ম ফেস্টিভালের ইতিহাসে ন্যান্সিই প্রথম তারকা যিনি নিজেই নিজের পোশাক তৈরি করেছেন। কানের লাল গালিচায় পা রাখার সাথে সাথেই হৈ-চৈ ফেলে দেন ন্যান্সি। ৩০ দিনের মধ্যে তৈরি করা তার অসাধারণ পোশাকের কারণে দেশ জুড়ে হচ্ছে জয়জয়কার।

 ন্যান্সির বানানো পোশাক

উর্ফি জাভেদ, খুশা কাপিলা সহ বড় বড় তারকাও তার প্রশংসায় ভাসছেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন বলিউডের ফ্যাশন আইকন সোনাম কাপুর। ১৮ তারিখের ইভেন্টে ন্যান্সী নিজের তৈরি করা পোশাক পরে প্রথম বার রেড কার্পেটে হাঁটেন। ১ হাজার মিটার কাপড়ে তৈরি করা গোলাপি গাউনটির ওজন ছিল ২০ কেজি।

দ্বিতীয় দিন একটি চকচকে ল্যাভেন্ডার শাড়ি পরে হাজির হন তিনি। এই পোশাকটিও নিজেই তৈরি করেছেন ন্যান্সী। প্রথম পোশাকের মতো দ্বিতীয় পোশাক দিয়েও সকলের নজর ও প্রশংসা কেড়েছেন এই উত্তর প্রদেশের এক ছোট শহরের মেয়ে। সোনাম কাপুরের মতে, এই পোশাকই কানে দেখা সেরা পোশাক। একই সঙ্গে সোনাম ন্যান্সীর কাছে অনুরোধ করেন, যেন তার জন্য ন্যান্সী কোনো পোশাক তৈরি করে দেন।

ন্যান্সির দ্বিতীয় দিনের পোশাক

ন্যান্সীর আরেকটি ব্যাপার নেটিজেনের নজর কাড়ে। কানের মতো বড় মঞ্চে ইংরেজি ভাষায় তার অপারগতা নিয়ে একদমই কুণ্ঠিত নন ন্যান্সী। বেশ সহজ ও সাবলীলভাবেই তার মাতৃভাষায় সহজেই মনোভাব ব্যক্ত করছেন। ভারতীয়দের মধ্যে হিন্দি ভাষায় কথা বলার ক্ষেত্রে কিছুটা জড়তা নজরে পড়ে বরাবরই। ন্যান্সীর ক্ষেত্রে যা ছিল অনুপস্থিত।  

  

;

মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে যেসব কারণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথাব্য়থা খুব অস্বাভাবিক কোনো সমস্যা নয়। ঋতু পরিবর্তন বা হালকা জ্বর হলেও মাথাব্যথা হতেই পারে। তবে মাইগ্রেন কোনো সাধারণ মাথা ব্যথার সমস্যা নয়। এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা তীব্র মাথাব্যথা সহ্য করেন। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

মাইগ্রেনের সমস্যা সকলের মধ্যে দেখা যায় না। ধারণা করা হয়, এই সমস্যা বংশ পরম্পরায়ও স্থানান্তরিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত জেনেটিক এবং পরিবেশগত অবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী শতকরা ১০ ভাগ মানুষ মাইগ্রেনে ভোগেন। জেনেটিক সংক্রান্ত কারণে মাইগ্রেন আংশিকভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে পেরিফেরাল ট্রিগারের কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগের তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিতে থাকে।

যেসব কারণে মাইগ্রেন হতে পারে

১. লিঙ্গভেদ: নারী এবং পুরুষদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য থাকলেও ভিন্ন লিঙ্গের কারণে নানারকম হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। নারীদের শরীরে থাকা হরমোনের ব্যবস্থাপনার কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২. প্রভাবক: মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, আবহাওয়ার পরিবর্তন, তীব্র গন্ধসৃ্ষ্টিকারী অস্বস্তি কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রভাবিত হতে পারে। এই ঘটনাগুলো শনাক্ত করে এড়িয়ে চললে উপকার হতে পারে।  

৩. বংশ: অনেক সময়ের একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাইগ্রেন স্থানান্তরিত হয়। সাধারণত বাবা মায়ের থেকে মাইগ্রেনের জিন শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধে।

৪. চোখ: মাথার সঙ্গে চোখের বেশ গভীর যোগসূত্র রয়েছে। তাই অনেকে মাইগ্রেনের আগে চোখের ঠিক মতো দেখতে পান না। একে অরাস বলে।   

৫.খাদ্য: ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন১২, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের মতো কিছু খাদ্য উপাদানের অভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;

তামাক সেবনে রয়েছে ক্যান্সারের ঝুঁকি



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ / ছবি: সংগৃহীত

তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান যুগে ক্যান্সার আশঙ্কাজনক একটি রোগে পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ক্যান্সারের ভয়াবহতার মূল কারণ হলো এর দুশ্চিকিৎস্য হওয়া। আমাদের দেশ এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে মাথা এবং ঘাড়ে ক্যান্সার হওয়ার সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

এর কারণ হিসেবে বেশে কিছু ব্যাপার চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে (শতকরা ৯০ ভাগই) দেখা যায় স্কোয়ামাস সেল ক্যান্সার (এসসিসি) এর পেছনে দায়ী। আবার কিছু ক্ষেত্রে থাইরয়েড এবং লালাগ্রন্থির ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও অনুরূপ দেখা যায়। যদিও উভয় ক্ষেত্রে চিকিৎসা এবং রোগ ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া ভিন্ন।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের একটি সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক অনিল ডি’ক্রুজ জানান, ‘ক্যান্সার বৃদ্ধিতে এসসিসি বৃহৎ ভূমিকা পালন করে। এটি মস্তিষ্কের ঠিক নিচ থেকে ঘাড় পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে। কলারবোন, মাথা, ঘাড় সহ শরীরের এইসব অংশ প্রায় ১৩-১৪টি অংশে স্বতন্ত্রভাবে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঘটায়।

মাথা এবং ঘাড়ে ক্যান্সার বাড়ার মূল কারণ হিসেবে নেশাজাত দ্রব্য সেবনের প্রবণতাকে চিহ্নিত করেন ডাক্তার অনিল। দিন দিন বিভিন্ন ধরনের তামাক গ্রহণ করার সংখ্যা লাগামহীনভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে অল্প বয়েসিরা বুঝে বা না বুঝে এসব অভ্যাসে জড়িয়ে পড়ছে। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের কিশোর বা পথশিশুরা সিগারেট সহ বিভিন্নসহ তামাক ও নিকোটিনজাতীয় যেকোনো নেশাজাত দ্র্রব্য সেবন করার প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। তাই এদের মধ্যে ঘাড় এবং মাথার বিভিন্ন অংশে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।  

ক্যান্সারের ঝুঁকির ব্যাপারে অনিল বলেন, ‘তামাক সেবনকারীরা এমনিতেই মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের বিপজ্জনক সীমায় থাকেন। পাশাপাশি যারা অ্যালকোহলও সেবন করেন, তারা আরও বেশি ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন। এসব অভ্যাসে আসক্ত ব্যক্তিরা হয়তো জানেনও না, এর মাধ্যমেই শরীরে মৃত্যুর বীজ বপন করছেন নিজ হাতেই। সচেতনার অভাবেই মানুষজন এসব রোগের ঝুঁকির সম্পর্কে অবগত থেকে যাচ্ছে।    

 তামাক সেবন ক্যান্সারের কারণ

আরেকজন চিকিৎসক রাজেশ মিস্ত্রী জানান,‘তামাকের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা ক্যান্সারের বৃদ্ধিতে প্রভাবিত করে। এইচপিভি নামক ভাইরাস সাধারণত ভাইরাল সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে মৌখিক স্বাস্থ্যকে দুর্বল করে দেয়। এতে মুখ এবং আশেপাশের অংশে ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ে।’  

ডাক্তার মিস্ত্রী আরও বলেন,‘ শুধু তামাক নয়, সুপারিতে রয়েছে ওরাল সাব-মিউকাস ফাইব্রোসিস। তাই ঘন ঘন পান খাওয়ার কারণে মুখে প্রিমালিগন্যান্ট অবস্থা সৃষ্টি হয়। এতে সময়ের সাথে সাথে একসময় মুখ হা করার ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি করে। মুখ খুলতে কষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা থেকে শুরু করে ক্যান্সার অবধি হতে পারে।’ এছাড়াও মুখের ক্যান্সারের কিছু সাধারণ উপসর্গ হলো-

*মুখের ঘা সেরে না ওঠা

*মুখ বা গলা থেকে রক্তপাত

*দাঁতে ব্যথা হওয়া বা মাড়ি থেকে আলগা হয়ে যাওয়া এমনকি পড়ে যাওয়া

*ব্যথা কান অবধি ছড়িয়ে পড়া

*গিলতে কষ্ট হওয়া

* গলার টিউমার বা সিস্ট হওয়া

এইসকল সমস্যাগুলো মুখ থেকে শুরু করে গলা, ঘাড় এমনকি মাথার ক্যান্সারের কারণেও দেখা যেতে পারে। তাই এরকম সমস্যাগুলো নজরে পড়লে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।  

;

মাইগ্রেনের সাধারণ উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের ব্যথা

মাইগ্রেনের ব্যথা

  • Font increase
  • Font Decrease

মাইগ্রেনের ব্যথা আমাদের মধ্যে সাধারণ সমস্যাগুলোর একটি। মূলত মাইগ্রেনের সমস্যার কারণে তীব্র মাথা ব্যথা হয়। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

খুব সূক্ষ্ম মাত্রায় ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যন্ত্রণা কমানো যেতে পারে। সঠিক চিকিৎসা এবং ভালো ওষুধের মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এটি নিরাময় করার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।

মাইগ্রেনের সমস্যা যেকোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে। একেকজনের ক্ষেত্রে সমস্যা একেকরকম হয়। তবে সকলের ক্ষেত্রেই কয়েকটি সাধারণ ধাপে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এগুলো হলো- প্রোড্রোম, অওরা, অ্যাটাক, পোস্টড্রোম।

প্রোড্রোম: মূলত মাথাব্যথার তীব্রতা বাড়ার আগের ২৪ ঘণ্টার মুহূর্ত এটি। এই ধাপের উপসর্গ হতে পারে মেজাজ পরিবর্তন, কোষ্ঠ্কাঠিন্য, খাবার খাওয়ার ইচ্ছা, ঘন ঘন প্রসাব, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বেশি হাই ওঠা সহ আরও অনেক কিছুই হতে পারে।  

অওরা: এই পর্যায়ে মাথা ব্যাথা হওয়ার আগ মুহূর্তে বা মাথাব্যথার সময়ে নানারকম অসুবিধা দেখা দিতে পারে। কয়েক মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ে মুখ, বাকযন্ত্র, মাথার সংবেদনশীল অংশে উপসর্গ দেখা দিতে পারে।     

অ্যাটাক বা আক্রমণ: এই পর্যায়ে মাথা ব্যথা তীব্রতার পর্যায়ে চলে যায়। একটানা ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধিও ব্যথা স্থায়ী হতে পারে। চিকিৎসা করা না হলে এই সময়কাল আরও দীর্ঘ হতে পারে।

পোস্টড্রোম: এই পর্যায়ে মাথা সমস্যা ১ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। উপসর্গগুলো অনেকটা অ্যালকোহল সেবনের পরে হ্যাংওভারের উপসর্গের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।  এজন্য এক মাইগ্রেন হ্যাংওভারও বলা হয়।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;