দশ দেশের দশ ‘ঐতিহ্যবাহী’ খাবার



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: রিডার্স ডাইজেস্ট।

ছবি: রিডার্স ডাইজেস্ট।

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ ভেদে ভিন্ন হয় খাবারের স্বাদ, রান্নার আয়োজন, জনপ্রিয় খাবারের ধরণ। প্রতিটি দেশেই রয়েছে নিজস্ব ধাঁচের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকা। কিছু দেশের এইসকল জনপ্রিয় খাবারের পদের জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপীও। আজকের আয়োজনে থাকলো দশটি দেশের দশটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় মুখরোচক খাবারের নাম।

অস্ট্রিয়া: উইনার শিনেটজল

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540197290416.jpg

ঐতিহ্যগতভাবে এই খাবারটি তৈরি করা হয় বাছুরের মাংসের খুব পাতলা স্লাইস ডুবো তেলে ভেজে। পরিবেশন করা হয় লেবুর রস ও পার্সলের কুঁচি ছিটিয়ে। সঙ্গে থাকে আলু অথবা ভাত।

আর্জেনটিনা: আসাদো

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540197317653.jpg

দেশটির প্রায় সকল খাবারেই মাংসের প্রাধান্য থাকে। যে কারণে আর্জেনটিনার জাতীয় পদ হলো আসাদো। পারিবারিক আয়োজনে গ্রিল করা মাংসের এই খাবারটি বেশ জনপ্রিয়। যে কারণে একেবারে স্বল্প মূল্য থেকে সর্বোচ্চ মূল্যেও পাওয়া যায় এই খাবারটি।

চীন: পেকিং ডাক

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540197343312.jpg

চীনে হাঁসের মাংসের এই রান্নাটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও দামী একটি খাবার। হাঁসের মাংস মালটোজ সিরাপ দিয়ে বাদামী করে ভাজা হয়। রান্নার প্রক্রিয়াটি শেষ হয় চিনি-রসুনের সসে ডুবিয়ে। হাঁসের মাংস তথা পেকিং ডাক পরিবেশন করা হয় সুইট বিন সস, স্প্রিং অনিয়ন ও চায়নিজ প্যানকেকের সঙ্গে।

ফ্রান্স: ক্রেপ

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540197364222.jpg

ফ্রান্সের ভীষণ জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো এই ক্রেপ। এই খাবারটি মিষ্টি ও ঝাল দুইভাবেই তৈরি করা যায়। ময়দায় তৈরি এই খাবারটি নিউটেলা, জেলী, পনীর অথবা মাশরুমের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়। কথিত আছে, উনিশ শতকে এক যুবরাজের জন্য ১৪ বছর বয়সী একজন রাঁধুনির রান্নার ভুল থেকে তৈরি হয় এই ক্রেপ।

ইতালি: পিৎজা

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540197385463.jpg

পিৎজা ও ইতালি, শব্দ দুইটি যেন একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মূলত পিৎজার উৎপত্তি হয়েছে ইতালির দক্ষিণস্থ শহর নেপলস (Naples) থেকে। টমেটো সস, পনীর ও মাংসের সমন্বয়ে তৈরি এই খাবারটি এখন পুরো বিশ্ব জুড়ে এখন তুমুল জনপ্রিয়।

মালয়েশিয়া: নাসি লেমাক

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540197434078.jpg

মালয়েশিয়ার  রাজধানি কুয়ালালামপুরে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরণের লোভনীয় খাবারের সন্ধান। নানান ধরণের বিশেষ ও মজাদার খাবারের ভেতর থেকে যেকোন একটি বিশেষ খাবার বেছে নেওয়া কষ্টসাধ্য বটে! তবে অন্যান্য সকল খাবারের মাঝে নাসি লেমাক হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ। কলা পাতায় মোড়ানো নারিকেলের দুধে রাঁধা ভাতের সঙ্গে মরিচ, বাদাম ও সিদ্ধ ডিম। ঐতিহ্যগতভাবে মালয়েশিয়ায় এই খাবারটি বেশ জনপ্রিয়।

মেক্সিকো: মোল সস

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540197455945.jpg

যদি ভাবেন সামান্য সস কীভাবে একটি দেশের বিশেষ খাবার হতে পারে, তবে জেনে রাখুন প্রায় একশটির বেশি খাবারে ব্যবহার করা হয় এই বিশেষ সসটি। এর মাঝে টাকোসও আছে। চকলেট ও বিভিন্ন ধরণের মশলায় তৈরি এই সসটি পুরো দেশ জুড়েই দারুণ জনপ্রিয়।

ইউএসএ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র):

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540197483038.jpg

একেবারে পুরনো ধাঁচের ফ্রেন্স ফ্রাইস ও কেচাপের সঙ্গে হ্যামবার্গার এর কম্বিনেশনকেই বলা যেতে পারে আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার। বার্গারপ্রেমীদের জন্য বার্গারের স্বর্গরাজ্য হিসেবে বলা হয় দেশটিকে।

জাপান: র‍্যামেন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540197510529.jpg

অসংখ্য ফ্লেভারের র‍্যামেনে সমৃদ্ধ জাপানের দারুণ ঐতিহ্যবাহী এই খাবারটি। মাছ কিংবা মাংসের স্টক/ ব্রোথের সঙ্গে নুডলস, সয়া সস, কয়েক টুকরো শূকরের মাংস, শুকনো সিউইড ও পেঁয়াজের মিশেলে পরিবেশন করা এই খাবারটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে অন্যান্য দেশেও।

মরক্কো: টেজান

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540197534908.jpg

চমৎকার রঙিন এই খাবারটি দেখলে নিশ্চিতভাবেই যে কেউ প্রেমে পড়ে যাবে। বিভিন্ন ধরণের মশলা, অলিভ, লেবু, সবজী ও চিকেনের সমন্বয়ে তৈরি খাবারটি পরিবেশন করা হয় ডালিম দিয়ে।

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;