নাস্তায় এই খাবারগুলো ওজন কমাতে সহায়ক



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ওজন কমাতে সহায়ক কিছু খাদ্য।

ওজন কমাতে সহায়ক কিছু খাদ্য।

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ও বাড়তি ওজন কমানো সহজ কোন বিষয় নয় মোটেও।

হাজারো নিয়ম ও নিয়ন্ত্রণের ঘোরপ্যাঁচে অতিষ্ট হয়ে উঠতে হয়। কিন্তু সহজ কিছু টিপস ও ট্রিক্স জানা থাকলে বেশ সহজ হয়ে যায় এই কাজটি। তেমনি একটি সহজ টিপস হলো সকালের নাস্তায় সঠিক খাবার খাওয়া।

পুরো দিনের ভেতর সকালের নাস্তায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া সবচেয়ে জরুরি। সেই পুষ্টিকর খাবারগুলোর ভেতর কয়েকটি খাদ্য উপাদান সাহায্য করবে ওজন কমাতে। এই সকল খাবার প্রতিদিনের নাস্তায় রাখতে পারলে সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি ওজনকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

জেনে রাখুন কোন খাবারগুলো সকালের নাস্তায় রাখলে পাবেন এমন চমৎকার উপকারিতা।

ডিম

ডিম খেতে পছন্দ করে সবাই। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় ডিম থাকা যেন বাধ্যতামূলক। ভীষণ স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণাগুণ সমৃদ্ধ এই খাবারটি দিনের ভেতর যেকোন সময়েই খাওয়া যাবে। তবে সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়ার ফলে দিনের শুরুতেই শরীর তার প্রয়োজনীয় শক্তি ও পুষ্টি ডিম থেকে নিয়ে নিতে পারে। যে কারণে হুটহাট খিদাভাব দেখা দেয় না। এছাটা ডিমের উচ্চমাত্রার প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পেট ভরাভাব তৈরি করে। মূলত এই সকল কারণেই প্রতিদিনের নাস্তায় একটি ডিম ওজন কমাতে সাহায্য করে।

দই

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/28/1538116055764.jpg

দুগ্ধজাত খাদ্যের ভেতর দই হলো সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত। এমনকি যাদের দুধ পানে ও দুগ্ধজাত খাবারে সমস্যা রয়েছে, তারাও নিশ্চিন্তে দই খেতে পারবেন। দই মূলত পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক ও আয়রন হাড় ও দাঁত ভালো রাখে। ওজন কমাতে দইয়ের ভূমিকা সবসময়ই লক্ষণীয়।

মিষ্টি আলু

এই তালিকার ভেতর মিষ্টি আলুর নাম দেখে অবাক হবেন অনেকেই। তবে ওজন কমাতে মিষ্টি আলু বেশ কার্যকরি। কারণ প্রাকৃতিক এই খাদ্য উপাদানে আছে উচ্চমাত্রার দ্রবণীয় আঁশ। এই আঁশই মূলত সাহায্য করে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে। আঁশ, লো ক্যালোরি ও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিযুক্ত মিষ্টি আলু সকালের নাস্তায় খেলে পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত।

ব্রকলি

উচ্চমাত্রার আঁশযুক্ত সবজীর ভেতর ব্রকলি একদম প্রথম সারিতে থাকবে। এতে আঁশের পাশাপাশি আছে প্রোটিন ও স্বল্প মাত্রার ফ্যাট। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ফুলকপি ও এই গোত্রের সবজী দারুন উপকারি। এছাড়া ব্রকলিতে আরও পাওয়া যায় ক্যান্সার প্রতিষেধক উপাদান ‘সালফরাফেন’। যা এই সবজী গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটা।

কাজু বাদাম

প্রতিদিনের নাস্তায় ৬-৭ টি কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। মাত্র ১০০ গ্রাম কাজুবাদাম খাওয়ার ফলে ৪৯ গ্রাম ফ্যাট। ২১ গ্রাম প্রোটিন ও ১২ গ্রাম আঁশ পাওয়া যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কাজু বাদাম মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যার ফলে ওজন বেশ দ্রুত কমে।

   

গরমে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে কি করবেন!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সময়ে অনেক মানুষই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন। গরমকালে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকে। আর গরমে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে আপনাকে প্রতিদিন এই সবজিগুলো খেতেই হবে। দেখুন তালিকায় কোন কোন সবজি রয়েছে। গ্রীষ্মের মৌসুমে রোজই টমেটো খেতে পারেন আপনিও। কারণ, এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। এই সবজিটি নিয়মিত খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। ত্বকও ভালো থাকে। টমেটো আপনি সালাদ, চাটনি বা স্যুপ করে খেতে পারেন।

কলা
কলা যদি আপনি ইউরিক অ্যাসিড রোগে আক্রান্ত থাকেন তাহলে নিত্যদিন কলা খেতে পারেন। এতে ইউরিক অ্যাসিড কমে এবং গাঁটের ব্যথা থাকলে তাও দ্রুত কমবে।

কুমড়া
কুমড়া গরমকালে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে, শরীর সুস্থ রাখতে নিত্যদিন খান কুমড়া। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এতে থাকে ভিটামিন সি। যা ত্বক ও চুলের জন্য খুব ভালো। এতে কম পরিমাণ পিউরিন থাকে। পিউরিন জাতীয় খাবার খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে থাকে শরীরে।

মাশরুম
গরমকালে মাশরুম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে বিটা গ্লুকোন থাকে। যা জয়েন্টের ফোলাভাবে কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কমবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।

শশা
গরমকালে শরীর একেবারে ফিট রাখতে আপনি রোজ খান শশা। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। শশাতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। শশা খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে। তাছাড়াও থাকে ফাইবার। যা আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

চেরি
চেরি গরমকালে ইউরিক অ্যাসিডের রোগীরা নিত্যদিন খান চেরি ফল। চেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি থাকে। তাছাড়াও থাকে খনিজ। যা আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

পটল
গরমকালে নিত্যদিন খান পটল। পটল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এমনকি বাতের ব্যথা কমাতেও কার্যকরী পটল।

কিউই ফল
যারা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিত্যদিন খেতে পারেন কিউই ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম ও ফ্লোলেট থাকে। যা শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়।

তথ্যসূত্র- ওয়ান ইন্ডিয়া

;

যে খাদ্যাভ্যাসগুলো দূর করবে মানসিক চাপ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সুষম খাদ্য বনাম জাংক ফুড / ছবি: সংগৃহীত

সুষম খাদ্য বনাম জাংক ফুড / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনজীবনে নিত্য যেন এক অফুরন্ত ব্যস্ততা। দু’দন্ড যেন বিশ্রাম নেওয়ার সময় অবধি নেই। প্রতিদিনের একঘেয়ে ব্যস্ত রুটিন আর অনবরত কাজের কারণে মানসিক চাপ হওয়া, উদ্বিগ্নতা কিংবা স্নায়ুবিক অশান্তি অনুভব করা অসম্ভব কিছু নয়।

তবে এরকম অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার আগে নিজেকেই সামলে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। কাজের চাপের বাইরেও জীবন যাত্রার অনেক ব্যাপারও উদ্বেগ, মানসিক চাপ এবং ডিপ্রেশন বাড়াতে পারে। এসব কারণে আমাদের শারীরিক, মানসিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে স্নায়ুতন্ত্র পরিবর্তন করা সম্ভব।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ মেরিনা রাইট বলেন, স্নায়ুতন্ত্র এবং মানসিক চাপের উপর খাদ্য এবং পুষ্টির প্রভাবকে অবহেলা করে দেখা উচিত নয়। তিনি এইক্ষেত্রে আরও কিছু বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেন, যা এসব মানসিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে-

১. খাদ্যে আমিষ, আঁশসমৃদ্ধ, শর্করা এবং চর্বি উপাদানের ভারসাম্য থাকা উচিত। এতে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শর্করার মাত্রার তারতম্য হলে তার প্রভাব মেজাজে পড়ে।

২. প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিক খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যে ভূমিকা রাখে। এসব উপাদান খাদ্যতন্ত্রে মাইক্রোবায়োম গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এটিও স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

মানসিক চাপে খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব / ছবি: সংগৃহীত

৩. কোলিন, ভিটামিন বি১২, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোবায়োটিক এবং পলিফেনলের মতো পুষ্টি উপাদান শরীরের ভ্যাগাস নার্ভকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৪. অন্ত্রে কোনো কারণে ব্যথা বা অস্বস্তি হলে তা সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রকে অস্বাভাবিক করতে পারে। খাদ্যগ্রহণ অভ্যাস তাই সুস্থতা নির্ধারণে এত বেশি প্রভাবশালী। পরিবর্তিত এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৫. খাবার চাবানো এবং গলাধঃকরণের উপরও পরিপাক অনেকটা নির্ভর করে। তাই প্রতিটি কামড়ের স্বাদ গ্রহণ রে, ধীরে ধীরে খাবার গিলে ফেলা উচিত। এই কাজগুলো মননশীল খাদ্যাভাসে অবদান রাখে।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

;

জেনে নিন, ফাইবার জাতীয় খাদ্য খেলে যা হয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফল, সবজি বা শাক জাতীয় খাবার পিষে নিলে এর মধ্য থেকে রস বের হয় । এই রস আলাদা করা হলে খাবারের যে শক্ত অংশ অবশিষ্ট থাকে এই উপাদান গুলো হলো ফাইবার বা সহজ বাংলা ভাষায় আঁশ। এই ফাইবার শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। খাদ্য পরিপাক, শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, ক্যান্সার প্রতিরোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সরাসরিভাবে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তবে কোনো ভালো জিনিসই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়। তাই প্রয়োজনীয় এই ফাইবারও অতিরিক্ত খেলে হতে পারে নানারকম অসুবিধা।

ভারতীয় চিকিৎসকের জি সুষমা ব্যখ্যা করেছেন বেশি করে ফাইবার খেলে যা হয়। যখন অনেক বেশি করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হয়, তখন পাকস্থলিতে অতিরিক্ত ফাইবার জমা হয়ে পেট ভারি হয়ে যায়। এই কারণে একাধিক শারীরিক সমস্যার উদয় হয়। এর মধ্যে ৩ টি সমস্যার প্রবণতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নজরে পরে। এগুলো হলো ফোলাভাব, গ্যাস্ট্রিক এবং ডায়রিয়া।

ফাইবার মূলত পাচন কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আঁশ বা ফাইবার খাবার হজমের সময় জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। কারণ এটি খাবারের সেই কটিন অংশ যা এনজাইমের কারণে পুরোপুরি ভেঙে যেতে পারে না। তাই এই অন্ত্রের মধ্য দিয়ে বর্জ্য পদার্থের সঙ্গে জমা হয়। এই প্রক্রিয়ার সময় অন্ত্র থেকে অপ্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান অপসারণ করা ফাইবারের কাজ। এছাড়া ফাইবারের দ্রবণীয় অংশ পানিকে আকর্ষণ করে এবং ধরে রাখে। সেই কারণে মল প্রক্রিয়াকালে তার কঠিনত্য হ্রাস পায়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।  তবে অতিরিক্ত আঁশজাতীয় খাবারগুলো হজমের গতির সঙ্গে  পাল্লা দিয়ে বিপাক কাজ শেষ করতে পারে না। এই অতিরিক্ত ফাইবারগুলো পাচন তন্ত্রে চাপ সৃষ্টি করে। এতে স্বাভাবিক মল ত্যাগে ব্যাঘাত ঘটে।      

বয়স, ক্যালরি গ্রহণমাত্রা এবং লিঙ্গভেদে ফাইবার গ্রহণের উপকারী মাত্রা নির্ভরে করে। যেমন, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দৈনিক ফাইবার গ্রহণের আনুমানিক সাধারণ মাত্রা ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম। বয়স্ক বা শিশুদের পাচন ক্ষমতা তাদের চেয়ে ভিন্ন হয়, তাই গ্রহণ মাত্রাও ভিন্ন হবে। তাই সঠিক পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ সম্পর্কে অবগত হতে হবে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত 

ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণ কেন জরুরি তাও জানতে হবে-

১. হজম: পাচন স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য ফাইবার অপরিহার্য খাদ্য উপাদান। অন্ত্রে খাদ্যকণার গতিবিধি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্রা নির্ণয় ও প্রতিরোধ করতে পারে এই উপাদান।

২. রক্তে সুগার: রক্তের চিনিজাতীয় পদার্থের শোষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ফাইবার। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে অবাঞ্ছিত স্বাস্থ্য সমস্যা উদয় হয় না।

৩. কোলেস্টেরল: এলডিএল হলো এক প্রকার ক্ষতিকর কোলেস্টেরল। আঁশ জাতীয় খাবার এই এলডিএল এর পরিমাণ কমিয়ে আনে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

৪. ক্যান্সার: উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারে কিছু নির্দিষ্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে। যেমন, কোলেস্টেরল ক্যান্সার।

৫. সন্তুষ্টি: খাবার খাওয়ায় তৃপ্তিলাভ একটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফাইবার খাবারের সে উপাদান যা খাওয়ার সময় তৃপ্তির অনুভূতি দেয়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর ক্যালরি গ্রহণ এবং বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

তারকাদের ভিড়ে প্রতিভার উজ্জ্বলতায় জ্বলজ্বলে ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সে চলছে ২০২৪ সালের ‘৭৭ তম কান’স ফিল্ম ফেস্টিভাল’। দেশটির দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে প্রতিবছরই চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ  এই উৎসবরে আয়োজন করা হয়। ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন কোণা থেকে অনেক সিনেমা সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা একত্রিত হন। মূলত ফিল্ম ফেস্টিভাল হলেও যেহেতু অভিনয়ের সঙ্গে ফ্যাশন ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তাই এখন ফ্যাশনের লোকজনও ক্যান’স এর অনুষ্ঠানে আসে।   

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আসনা হাবিব ভাবনা কানস ফিল্ম ফেস্টিভালে উপস্থিত হয়েছেন। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেরও অনেক বড় অভিনয় শিল্পী এবং ফ্যাশন ব্যক্তির পদচারণা ঘটে। তবে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সাড়া পড়েছে ভারতীয় ইন্ফুয়েন্সার ন্যান্সী ত্যাগী।

কান’স ফিল্ম ফেস্টিভালের ইতিহাসে ন্যান্সিই প্রথম তারকা যিনি নিজেই নিজের পোশাক তৈরি করেছেন। কানের লাল গালিচায় পা রাখার সাথে সাথেই হৈ-চৈ ফেলে দেন ন্যান্সি। ৩০ দিনের মধ্যে তৈরি করা তার অসাধারণ পোশাকের কারণে দেশ জুড়ে হচ্ছে জয়জয়কার।

 ন্যান্সির বানানো পোশাক

উর্ফি জাভেদ, খুশা কাপিলা সহ বড় বড় তারকাও তার প্রশংসায় ভাসছেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন বলিউডের ফ্যাশন আইকন সোনাম কাপুর। ১৮ তারিখের ইভেন্টে ন্যান্সী নিজের তৈরি করা পোশাক পরে প্রথম বার রেড কার্পেটে হাঁটেন। ১ হাজার মিটার কাপড়ে তৈরি করা গোলাপি গাউনটির ওজন ছিল ২০ কেজি।

দ্বিতীয় দিন একটি চকচকে ল্যাভেন্ডার শাড়ি পরে হাজির হন তিনি। এই পোশাকটিও নিজেই তৈরি করেছেন ন্যান্সী। প্রথম পোশাকের মতো দ্বিতীয় পোশাক দিয়েও সকলের নজর ও প্রশংসা কেড়েছেন এই উত্তর প্রদেশের এক ছোট শহরের মেয়ে। সোনাম কাপুরের মতে, এই পোশাকই কানে দেখা সেরা পোশাক। একই সঙ্গে সোনাম ন্যান্সীর কাছে অনুরোধ করেন, যেন তার জন্য ন্যান্সী কোনো পোশাক তৈরি করে দেন।

ন্যান্সির দ্বিতীয় দিনের পোশাক

ন্যান্সীর আরেকটি ব্যাপার নেটিজেনের নজর কাড়ে। কানের মতো বড় মঞ্চে ইংরেজি ভাষায় তার অপারগতা নিয়ে একদমই কুণ্ঠিত নন ন্যান্সী। বেশ সহজ ও সাবলীলভাবেই তার মাতৃভাষায় সহজেই মনোভাব ব্যক্ত করছেন। ভারতীয়দের মধ্যে হিন্দি ভাষায় কথা বলার ক্ষেত্রে কিছুটা জড়তা নজরে পড়ে বরাবরই। ন্যান্সীর ক্ষেত্রে যা ছিল অনুপস্থিত।  

  

;