শরীরের ধরণ অনুযায়ী সঠিক ব্লাউজ নির্বাচন করবেন যেভাবে
লাইফস্টাইল
আমরা প্রায়শই কোন শাড়ি বা লেহেঙ্গা পরব সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকদিন ব্যয় করি। তবে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক- ব্লাউজ কেমন পরব তা উপেক্ষা করে যায়। শরীরের ধরণ অনুযায়ী নিখুঁত ব্লাউজ আপনার সৌন্দর্য আরো বেশি করে ফুঁটিয়ে তুলতে পারে। জেনে নিন কিভাবে শরীরের ধরণ অনুসারে ব্লাউজ নির্বাচন করবেন।
আপেল আকৃতির ফিগারের জন্য:
বিজ্ঞাপন
আপেল আকৃতির ফিগারের জন্য একরঙের ব্লাউজ পরুন। ভারী সূচিকর্মযুক্ত কাজ এড়ান এবং প্রশস্ত নেকলাইন বেছে নিন।
পেটাইট ফিগারের জন্য:
ভারী সূচিকর্ম সর্বদা পেটাইট ফিগারের মহিলাদের জন্য। পেটাইট ফিগারের মহিলারা সাধারণ লুক পেতে প্যাডেড ব্লাউজগুলো বেছে নিতে পারেন।
প্রশস্ত কাঁধের ফিগারের জন্য:
আপনার কাঁধ যদি প্রশস্ত হয় তবে প্রশস্ত নেকের ব্লাউজ পরতে পারেন। পাইপিং যুক্ত ব্লাউজও ব্যবহার করতে পারেন।
স্পোর্টস ফিগারের জন্য:
আপনার যদি অ্যাথলেটিক বডি থাকে তবে আপনি হ্যাল্টার নেকলাইন এমনকি নুডল স্ট্র্যাপ ব্লাউজগুলোও নির্বাচন করতে পারেন।
আই বাই সিক্রেটস তাদের প্রথম এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার চালু করেছে হোলসেল ক্লাব যমুনা ফিউচার পার্কে।
এ সেন্টারটি এমন একটা জায়গা যেখানে যেকোনো বয়সের নারী একটি নারীবান্ধব পরিবেশে তাদের পছন্দের প্রোডাক্টের ট্রায়াল থেকে কেনাকাটা সবই করতে পারবেন।
এছাড়া এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার পুরোটাই থাকছে ফিমেইল স্টাফদের তত্ত্বাবধানে। তাই প্রাইভেসি বা প্রোডাক্ট সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্নে থাকছে না কোনো দ্বিধা! সব ধরনের ব্যান্ড এবং কাপ সাইজের এভেলেবিলিটি থাকায় প্রতিটা মেয়ে তার সাইজ অনুযায়ী পারফেক্ট প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে পারবে।
এছাড়াও যারা সাইজ নিয়ে কনফিউসড এবং প্রয়োজনের ধরন অনুযায়ী প্রোডাক্ট সিলেকশন করতে পারছে না তাদের জন্য আই বাই সিক্রেটসে আছে ফ্রি গাইড কনসালটেন্সি। তাদের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে এই ফ্রি সার্ভিসটি নিতে পারবেন আপনিও।
জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের শরীরে নানারকম অভ্যন্তরীণ এবং বর্হিভূত পরিবর্তন আসে। তবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের শরীরে পরিবর্তন বেশি হয়। কৈশোর থেকে শুরু করে মাতৃত্বকালীন, নানা বয়সে নারীদের শরীরে বড় ধরনের আসে বার বার। এরকমই একটি বড় ধরনের পরিবর্তন হলো মেনোপজ।
নারীরা যখন ৪৫-৫০ বছর পার করে, তখন তাদের শরীরে মধ্যবয়সের নানারকম পরিবর্তন আসতে শুরু করে। এসব পরিবর্তনের কারণে সমগ্র শরীরেও নতুন কিছু অবস্থার সৃষ্টি হয়। শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোও তাতে সমর্থন করতে নিজেদের মধ্যেও পরিবর্তন আনে। তবে সমস্যা হলো, এসব অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের কারণে বাহ্যিক প্রভাবে নারীদের নানা জটিলতার পরতে হয়। নারীদের এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া মেনোপজ নামে পরিচিত।
মেনোপজ হলো নারীদের জীবনের একটি বড় পরিবর্তনের ধাপ। এইসময় ঋতুস্রাবের স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়ে অনিয়মিত হতে শুরু করে। এই কারণে আরও কিছু উপসর্গ প্রকট হতে থাকে। যেমন: মেজাজ পরিবর্তন বা মুড সুয়িং, চুল ঝরা, হঠাৎ হঠাৎ বেশি গরম লাগাসহ আরও অনেক কিছু। এইসব সমস্যাগুলো এড়াতে যা করতে পারেন-
১.ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার: মেনোপজ শুরু হওয়ার পর নারীদের দ্রুত হাড় ক্ষয় হতে দেখা যায়, যার ফলে ওস্টেওপোরোসিসের মতো রোগ হতে পারে। ভিটামিন ‘ডি’ এবং ক্যালসিয়াম হাড়ের ক্ষতিপূরণ করে মজবুত করতে কাজ করে। দই, চিজের মতো দুগ্ধজাতীয় খাবার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে। যাদের এইজাতীয় খাবারে হজম বা এলার্জির সমস্যা আছে তারা সবুজ শাক এবং কাঠ বাদাম খেলে উপকার পাবেন। সার্ডিন, শিম বা মটরশুটি জাতীয় খাবার এবং টফুতেও ভরপুর ক্যালসিয়াম থাকে। অন্যদিকে স্যামনের মতো সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম, ম্যাকরেল- এধরনের চর্বিযুক্ত খাবার ভিটামিন ‘ডি’ এর ভালো উৎস।
২. নিয়মিত ব্যায়াম: একটা বয়সের পর নারীদের ওজন বাড়তে শুরু করে, যা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক জরুরি। এতে মেনোপজের ধাপেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রতিদিন অল্প করেও ব্যায়াম করলেও মানসিক চাপ কমে আর মেজাজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হয়, তার সাথে হৃদক্রিয়াও তরান্বিত হয়।
৩. হরমোন অসুবিধার চিকিৎসা: মেনোপজের সময় নানারকম অস্বস্তিকর উপসর্গ দেখা যায়। যেমন: গরম লাগা, রাতে ঘাম হওয়া, স্পর্শকাতর স্থান শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া ও পাতলা হতে থাকা ইত্যাদি। সাধারণত এই সমস্যাগুলো এরস্ট্রাজেন কমার লক্ষণ। মূলত নারীজাতীয় হরমোন অর্থাৎ, প্রোজেস্টেরন এবং এস্ট্রোজেনের মাত্রা অস্বাভাবিক হলে বা ভারসাম্য হারানোর সঙ্গে এই সমস্যাগুলো সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে পরিণতি গুরুতর হওয়ার আগেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
৪. বাজারজাত করা খাদ্য পরিহার: মেনোপজ নারীদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া। যে বয়সে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়, সেসময় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। কারণ ব্লাডসুগারের তারতম্যের কারণে ক্লান্তি, ওজনবৃদ্ধি, মুড সুয়িংয়ের মতো সমস্যা বাড়তে থাকে।
এইসময় নারীদের স্বাস্থ্যকর পুষ্টিসম্পন্ন খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। যেমন তাজা শাক-সবজি, রঙিন ফল এবং শস্যজাতীয় খাবার। প্রক্রিয়াজাতকারী খাবারে অনেক সময় প্রিজারভেটিভ বা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা একেইবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই বিশাল এই পরিবর্তনের সময়ে অস্বস্তিকর অনুভূতি কমাতে জীবনধারার পরিবর্তন আনা অতীব জরুরি।
ময়েশ্চারাইরাজ, সিরাম, টোনার, ফেশওয়াশ, ফেশিয়াল, বিউটি ট্রিটমেন্ট- ত্বক সুন্দর করতে আরও কত কি ব্যবহার করে মানুষ। সৌন্দর্য সচেতন মানুষ বিশেষ করে নারীদের মধ্যে বিভিন্ন রকমের স্কিন কেয়ার পণ্য অনেক বেশি জনপ্রিয়। হাজার হাজার টাকা ব্যয় করা হয় ত্বকের উন্নতির আশায়। এসব যে কার্যকরী নয় তা নয়! তবে ত্বক সুন্দর করতে বাইরে থেকে রূপচর্চা করা যতটা না কার্যকর, তার চেয়ে অভ্যন্তরীণ যত্ন অনেক বেশি কার্যকর।
আমার যা খাই তার প্রভাব শুধু আমাদের স্বাস্থ্যে নয়, ত্বকেও পড়ে। যেমন, ভাজা-পোড়া খাবার বেশি খাওয়া হলে ত্বকে পিম্পল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ত্বককে সুন্দর করতে চাইলে আগে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়তে হবে।
ভারতীয় চিকিৎসক কর্ণ রাজন তার নিজস্ব ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সম্প্রতি এই ব্যাপারে উপদেশে দিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ত্বকের উন্নতি করতে চাইলে স্কিনকেয়ারের পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। রঙিন ফল ও শাক-সবজি অন্ত্রের জন্য উপকারী, যার প্রভাব ত্বকেও লক্ষ্য করা যায়। টমেটো, বেল পেপার, গাজর খাওয়ার ফলে সামান্য হলেও লক্ষণীয় পরিবর্তন আসে। এই খাবারগুলো তন্তুজাতীয় হওয়ায় অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব বাড়িয়ে হজমেও উপকারী প্রভাব ফেলে আবার ত্বকেও সোনালী আভা নিয়ে আসে।‘
একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যেসব শিশুদের চর্মরোগ একজিমা রয়েছে তাদের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ারও ঘাটতি থাকে। প্রোবায়োটিকসে পর্যাপ্ত পরিমাণে ল্যাকটোবাইসিলি এবং বাইফিডোব্যাকটেরিয়াম থাকে। এই উপাদানগুলো একজিমা আক্রান্ত শিশুদের চামড়ার উন্নতি করতে পারে।
ডাক্তার রাজন আরও বলেন, ‘খাদ্যে বিশেষ তন্তুজাতীয় খাদ্য প্রিবায়োটিক রাখাও ত্বকের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই ধরনের খাবারে কিছু নির্দিষ্ট উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্ষমতা বাড়ায়। অর্থাৎ, প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগের উৎপাদন বাড়ে। এর প্রভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রভাবিত হয়।’
এমন আসলে নিদির্ষ্ট কোনো খাবার নেই যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। তবে ফল এবং শাক-সবজি এই কাজের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। বিশেষ করে উচ্চ প্রিবায়োটিকস সম্পন্ন এবং বিভিন্ন রঙের রঙিন খাবার। এইসব খাবারে পুষ্টির বৈচিত্র থাকে। এতে উদ্ভিজ্জ ভিটামিন এ, সি এবং ই জাতীয় পুষ্টি উপাদানের আধিক্য থাকে, যা ত্বকে জেল্লা বাড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, রঙধনুর রঙের যেসব সবজি রয়েছে সেসব খাবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বাড়ায়। আবার আদা,পেঁয়াজ, কলার মতো প্রিবায়োটিকস উপাদান সম্পন্ন ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে।
মূলত পেটের যত্ন নিলে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখা অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়। ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে খাদ্যতালিকা নিয়েও আলোচনা করুন। জীবনধারা বদলানোর মাধ্যমে সব মুশকিল আসান করা সম্ভব।
সুস্বাস্থ্যের চেয়ে মূল্যবান কোনো সম্পদ হয় না। সকলেই চায় দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বাঁচতে। তবে সেই পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ব্যক্তি নিজেই। আমাদের নিত্যদিনের সকল অভ্যাসের উপর অনেকাংশ নির্ভর করে আমাদের স্বাস্থ্য এবং আয়ু। জীবনকে দীর্ঘায়িত করতে চাইলে সবচেয়ে প্রথমে জীবনধারায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। এই অভ্যাসগুলো শুধুমাত্র প্রচলিত বা বড়দের উপদেশ নয়; বিশেষজ্ঞদের মতে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিতও।
১. নেশাজাত দ্রব্য ত্যাগ: শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বেশিদিন ভালো রাখতে যেমন তাকে ভালো জিনিসের জোগান দেওয়া প্রয়োজন; একই ভাবে শরীরের অঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে সেসব জিনিস ত্যাগ করাও প্রয়োজন। যেকোনো নেশাজাত দ্রব্য সেবনের অভ্যাস থেকে থাকলে তা দ্রুত ত্যাগ করা প্রয়োজন। যেমন অ্যালকোহল বা ধূমপানের অভ্যাস থাকলে হৃদরোগ, ফুসফুসে ক্ষত, যকৃতে সংক্রমণ, ক্যান্সারের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই বেশিদিন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে চাইলে এইসব অভ্যাস ছাড়তে হবে।
২. কায়িক পরিশ্রম: শারীরিক পরিশ্রম সুস্থ থাকার এবং আয়ু বাড়ানোর পূর্বশর্ত। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী শারীরিকভাবে অধিক সচল মানুষ অন্যদের তুলনায় বেশিদিন বেঁচে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে স্বাভাবিকভাবে প্রতি সপ্তাহে এক বা একাধিকবার মিলিয়ে অন্তত ১৫০ মিনিট বাইরের খোলা বাতাসে কায়িক পরিশ্রম করার পরামর্শ দেয়। অথবা ৭৫ মিনিট শরীরকে সচল রাখার কার্যক্রম; যেমন- হাঁটা, সাঁতার বা অন্যান্য শারীরিক পরিশ্রম করা প্রয়োজন। এই অভ্যাস কেবল সুস্থ থাকতেই সাহায্য করে না; বরং হৃদরোগ, ডায়বেটিস সহ বিভিন্ন ক্রোনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।
৩. মানসিক সুস্থতা: শরীরের মতো মস্তিষ্কও সজীব রাখলে তা মানুষকে দীর্ঘজীবী করতে প্রভাব ফেলে। বয়স বাড়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্ককে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব। যেমন ধাঁধা ও পাজল সমাধান,নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন বা এমন কোনো কাজ যা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে সমাধান করা যায়। এসব অভ্যাসের মাধ্যমে মস্তিষ্কের নিউরনের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়, স্মৃতিশক্তি বাড়ে, সমস্যা সমাধানের দক্ষতাও বাড়ে।
এছাড়াও, মানসিক চাপমুক্ত থাকাও অনেক জরুরি। হাইপার টেনশন ও অত্যধিক মানসিক চাপ শুধু দ্রুত বয়সের ছাপই ফেলে না, বরং নানারকম প্রাণনাশী রোগ সৃষ্টি এবং তাদের প্রভাব বাড়াতে পারে। মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে যোগাসন, শ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যানের মতো পন্থা অবলম্বন করতে পারেন।
৪. ঘুম: ঘুম হলো একমাত্র সময় যখন আমাদের শরীর বিশ্রাম পায়। একটানা পরিশ্রম করার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পরে। সিডিসি অনুসারে তাই সারাদিন শেষে শরীরকে আবার চাঙ্গা করতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এই সময় শারীরিক এবং মানসিক উভয় ক্ষতিপূরণ ঘটতে থাকে। এই অভ্যাসের গড়তে প্রতিদিন একই সময় বিছানায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন। সন্ধ্যার পর ক্যাফেইনজাতীয় খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলা এবং বিভিন্ন ডিভাইসের ব্যবহার সীমিত করতে হবে। রোজ পর্যাপ্ত ঘুম হলে হৃদরোগ, ডায়বেটিস, ওজনবৃদ্ধির মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমানো যায়।
৫. খাদ্যাভাস: আমরা যেসব খাবার খাই সেসবের প্রভাব সরাসরি আমাদের স্বাস্থ্যে পরে। তাই যেকোনো বয়সের মানুষকেই সুষম খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস অতি দ্রুত গড়ে তুলতে হবে। বেশি করে পানি পান করা, স্বাস্থ্যকর ও যতটা সম্ভব বেশি করে শস্যজাতীয় খাবার খেতে হবে। হজম, সঞ্চালন, তাপমাত্রা রক্ষার মতো নানারকম শারীরিক কার্যক্রমকে স্বাভাবিক রাখতে দৈনিক গড়ে ২ লিটার পানি পান করা উচিত। নিজের ওজন বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। তাজা ও সবুজ ফলমূল, শাক-সবজি, চর্বিহীন আমিষ, শস্যজাতীয় খাবার শরীরের জন্য সর্বোত্তম কাজ করে।