আবরার হত্যা: মোয়াজ পাঁচদিনের রিমান্ডে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মোয়াজ আবু হুরায়রার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মোয়াজ আবরার হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ১৪ নম্বর আসামি।
শনিবার (১২ অক্টোবর ) সকাল ১১টায় উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মোয়াজের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে। তিনি বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র।
রোববার (১৩ অক্টোবর) তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার সহপাঠীরা।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মোয়াজ আবু হুরায়রাকে নিয়ে আবরার হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমান, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান, আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ ও মোয়াজ আবু হুরায়রা।
আরও পড়ুন:
আবরারকে পেটানোর কক্ষে চাপাতি ও স্ট্যাম্প
আবরার হত্যা: শিক্ষার্থীদের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে যা দেখা গেল