যার আইনি সহায়তায় বদলেছে অনেকের ভাগ্য



নাজমুল আহসান রাজু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া আইন পেশায় এসেছেন বেশি দিন হয়নি। এরইমধ্যে চাকরি সংক্রান্ত (সার্ভিস ম্যাটার) মামলায় দেশজুড়ে তার সুনাম। শিক্ষক ও অসংখ্য চাকরিজীবীর ভাগ্য বদলেছে তার দেওয়া আইনি সহায়তায়। অনেকের চাকরি জাতীয়করণ হয়েছে, কেউ পেয়েছেন পদোন্নতি, কারো গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা এসবই এসেছে তার আইনি সহায়তায়। মূলত শ্রম, কর্মনিষ্ঠা ও সততার গুণে এসব সাফল্য এসেছে বলে মনে করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া মিয়া।

গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমটোয়েন্টিফোর.কম-কে আইনজীবী হয়ে ওঠার গল্প শুনিয়েছেন অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। সাক্ষাৎকারের চম্বুক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

 

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আপনার প্রথম মামলা সম্পর্কে বলুন।

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: ভোলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অফিস সহকারি পদে লিখিত ও ভাইবায় উত্তীর্ণ হলেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি বনি আমিন নামের এক ছেলেকে। পরে তাকে আইনগত সহায়তা দেই। পরে উচ্চ আদালত তার নিয়োগের পক্ষে রায় দেন এবং ছেলেটি চাকরিতে যোগদান করে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: চাকরি সংক্রান্ত আইনজীবী হিসেবে সফলতার কারণ কী?

সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: চাকরির মামলার ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম, সততা ও নিষ্টার কারণে আমি এ সাফল্য পেয়েছি। ২০১০ সালের ৬ মে ১৬শ’ স্কুল এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ওই বছর চারশ স্কুলকে বাদ দেওয়া হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পঞ্চগড়, ভোলা, টাঙ্গাইলসহ কয়েকটি জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করি। আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন এবং এমপিওভুক্ত করার নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টেও এ রায় বহাল থাকে।

এরপর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেলভুক্ত সহকারী শিক্ষকদের পক্ষে মামলা করি। যা আমার আইন পেশায় অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার একটি। প্রায় ৪২ হাজার প্যানেল শিক্ষকের মধ্যে দশ হাজার জনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও বাকিদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে বঞ্চিত প্রার্থীরা হাইকোর্টে মামলা করেন। সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে কাজ করে পক্ষে রায় পাই। আদালতের রায়ের আলোকে প্রায় ৩২ হাজার প্যানেল শিক্ষক নিয়োগ পান।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: কোন দিকে নজর দিলে শিক্ষকদের দুর্ভোগের অবসান হবে?

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: আমরা ব্যক্তি হিসেবে শিক্ষকদের মর্যাদা দিলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের মর্যাদা নিশ্চিতের বিষয়ে বেশ উদাসীনতা। তাই শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। সচিব পদমর্যাদার একজনকে প্রধান করে সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে তাদের সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে এবং সেগুলো সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে।

তবে শিক্ষকদের মধ্যেও বিভক্তি থাকায় তারা দাবি আদায় করতে পারেন না। সব সংগঠন ঐক্যবদ্ধ থাকলে সফলতা আসবেই। বিশেষ করে সমালোচনা ও লজ্জার ভয়ে শিক্ষকরা আন্দোলন করতে চান না। অথচ গার্মেন্টস শ্রমিক ও অন্য পেশাজীবীরা আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করেন।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আপনার করা চাকরি সংক্রান্ত মামলার রায় সম্পর্কে বলুন।

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: সরকারের ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পে যারা চাকরি করেন তাদের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও বাইরে থেকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে রিট করা হলে রুল নিষ্পত্তি করে ১২৯ জনকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে সিনিয়র কর্মকর্ত পদে নিয়োগের রায় দেন হাইকোর্ট। আমি তাদের আইনি সহায়তা দিয়েছি।

এছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ৫২ জন প্রোগ্রামারের চাকরিতে যোগদান, ৩৫তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ১৭ জনের চাকরিতে যোগদান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ জন সহকারী শিক্ষককে জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেড প্রদান, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৪তম গ্রেডে নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সারাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আইসিটির ১৩৮ জন সহকারী শিক্ষকের পদ সংরক্ষণ, গত ২২ মে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএ সনদধারী পঁয়ত্রিশোর্ধ বয়সের প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ ও মেধাতালিকা অনুসারে নিয়োগের নির্দেশ, গত ১ আগস্ট পিটিআই (প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) সংলগ্ন পরিক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট।

আর সদ্য জাতীয়করণ করা দ্বিতীয় ধাপে সহকারী শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্তদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদানের জন্য রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আইনজীবী হওয়ার পেছনের গল্প বলুন।

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন স্যার আমার বাবা ও নানার পরিচিত। পারিবারিকভাবে তার কাছে আসা যাওয়ার কারণে আইন পেশায় আসার অনুপ্রেরণা পাই।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আইন পেশায় আপনার খ্যাতি ও সুনামের কারণ কী?

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: সুপ্রিম কোর্ট অনেক বড় জায়গা। আমি সবে শুরু করেছি। এখনো শিখছি। সিনিয়র আইনজীবীরা আমাকে ভালবাসেন, পছন্দ করেন। তাদের প্রশংসা ও পছন্দই এক পর্যায়ে সুনামে পরিণত হয়েছে। আইন পেশায় ধৈর্য্য, শ্রম ও প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। বিশেষ করে চাকরি সংক্রান্ত মামলায় অত্যন্ত পরিশ্রম, অধ্যাবসায় এবং ধৈর্য্য নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। আমি এসব অনুসরণ করার চেষ্টা করি।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম: আইন পেশায় সফল হতে আপনার পরামর্শ কী?

ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া: এ পেশায় সফল হতে হলে পরিশ্রমী এবং আদালতমুখী হতে হবে। এছাড়া প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। নিজের লাইব্রেরি থাকলে ভালো। আদালতে গেলে সিনিয়র ও দক্ষ আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপন মনোযোগসহকারে শুনতে হবে। আর বিচার প্রার্থীদের সেবা দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে, পেশাগত সততা ও স্বচ্ছতাও রক্ষা করতে হবে।

   

ভর্তি বাতিলই থাকছে ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর, তদন্তের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের নীতিমালা না মানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

গত ১৪ জানুয়ারি ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক রিট করেছিলেন। তাদের অভিযোগ ছিল, নির্দিষ্ট বয়সের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে।

এরপর ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারিসহ ভর্তি বাতিলের আদেশ দেন। পরে মাউশির নির্দেশনায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।

পরে ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে ১৩৬ জন অভিভাবক আরেকটি রিট করেন। এ নিয়ে গত ২৫ মার্চ হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পৃথক রুলের একসঙ্গে শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করে দেন হাইকোর্ট।

আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী দুজন অভিভাবকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

রিট আবেদনকারী ১৩৬ জন অভিভাবকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খুররম শাহ মুরাদ। পরে আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে এবং ১৬৯ ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে অভিভাবকদের করা পৃথক রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়।

;

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার অপর এক আসামি ময়নুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০মে) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এই আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১ বছর বয়সী ওই নারীর নাম সিমা খাতুন। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চরমগাছা পারবর্তীপুর খোকন মোল্লার স্ত্রী।

আদালত এবং মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ১০০ গ্রাম হিরোইন ও ছয় বোতল ফেন্সিডিলসহ সিমা খাতুনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মায়ামনি হোটেলের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার (২০ মে) এই আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে, তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রায়ের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

তিনি জানান, ‘দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার সত্যতা সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিমা নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর একজনকে খালাস দিয়েছেন।

;

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

১০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ৫০ হাজার অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৫ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী এ রায় প্রদান করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

দণ্ডিত আসামি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ব্লক ই-৩ এর রোহিঙ্গা হাবিব উল্লাহ ও হাছিনা বেগমের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন (২৮)। দণ্ডিত আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম এবং আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম-৪ মামলাটি পরিচালনা করেন।

;

নড়াইলে ২ মাদক কারবারির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলে মাদক কারবারি লিন্টু মিয়া (৩৬) ও নাজমুল হুদা (৪৪) কে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোহাম্মাদ সাইফুল আলম এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার যশোমন্তপুর গ্রামের মোশারফ মাস্টার ছেলে। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত নজমুল হুদা একই উপজেলার উথালী গ্রামের তুরফান ফকিরের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর পুলিশ চেকপোস্টের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেলসহ দুই মাদক কারবারিকে পুলিশ আটক করে। এ সময় লিন্টু মিয়ার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশিকালে তিন কেজি ওজনের তরল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে লিন্টু মিয়া ও নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;