হেরোইন মামলায় আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৫০ গ্রাম হেরোইনের মামলায় চান মিয়া (৫০) নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলামের আদালত এ দণ্ড প্রদান করেন।

এছাড়া উক্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন আসামি চান মিয়া। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া ওই একই আসামিকে ৫৬ পিস ইয়াবা রাখার অপরাধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পল্লবী থানাধীন মিল্লাত ক্যাম্পের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১৩৫০ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করে। যার আনুমানিক ওজন ১৫০ গ্রাম। একই সঙ্গে তার কাছ থেকে ৫৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

মাদক উদ্ধারের ঘটনায় পল্লবী থানার এসআই মাজেদুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটভুক্ত ছয় জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

   

বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে ৯ বছর আগে এক বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মো. জালাল (২৮) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন একটি আদালত। একই রায়ে দণ্ডিত আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ ওসমান গণি এ রায় দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হাবিবুর রহমান আজাদ।

দণ্ডিত আসামি মো. জালাল কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে। তিনি পেশায় পোশাক শ্রমিক। কাজের সুবাদে জালাল স্ত্রীকে নিয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শহীদ কলোনিতে থাকতেন।

আদালত সূত্র জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২ মার্চ জালালের হাত ধরে চট্টগ্রাম শহরে আসেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাকপ্রতিবন্ধী ওই তরুণী। পরে তার মাধ্যমে চান্দগাঁও এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় উঠে সে। পরে জালাল তাকে পোশাক কারখানায় চাকরি পাইয়ে দেয়। একই বছরের ১৯ মার্চ জালালের স্ত্রী পোশাক কারখানায় চাকরি যান। ওইদিন চাকরিতে যায়নি জালাল এবং ওই তরুণী। বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে একা পেয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ বাসার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পরে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে জালাল। পরে পুলিশ জালালকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি খুনের ঘটনা স্বীকার করেন। ময়নাতদন্তেও হত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে জালালকে একমাত্র আসামি করে চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ জালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় আট জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান আজাদ জানান, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত করতে সক্ষম হওয়ায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি জালাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়।

;

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া হাইকোর্টে স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে বিষয়টি তদন্তেরও নির্দেশ প্রদান করা হয়। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদফতর। এরপর ২২ মার্চ ২য় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন ৩য় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।

;

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি মোজাম্মেল হককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষ সংক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন।

জানাযায়, ২০১৮ সালের ২১ মার্চ রাঙামাটি শহরের পুরানবস্তি এলাকায় আব্দুল হকের মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় আসামি মোজাম্মেল হক ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় ভিকটিমের মা হাতেনাতে মোজাম্মেলকে আটক করলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

৬ বছর পর এই মামলায় রায় প্রদানের সময় আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে ভিকটিম ৪০ বছর বয়সী আসামি কর্তৃক পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

এই ঘটনার পর ভিকটিম ও তার পরিবার এলাকাবাসীর কটাক্ষের শিকার হয়ে অন্যত্র গিয়ে ভিকটিমকে বিয়ে দেন। সে ঘরে একটি সন্তানও হয়েছে। কিন্তু সে স্বামী ভিকটিমের ধর্ষণের ঘটনা শুনে তাকে তালাক দিয়ে দেয়।

এই ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, ভিকটিম বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে এবং তার শিক্ষা জীবন ধ্বংস হয়ে তার জীবন ওলটপালট হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ভিকটিমের মতো অন্যান্য শিশুদের ভবিষ্যতে আসামির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাকে আমৃত্যু কারাগারে অন্তরীণ রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেছেন আদালত।

তাই আসামি মোজাম্মেল হককে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯(১) ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড এবং এর অতিরিক্ত এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। জরিমানার টাকা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার পর সেই অর্থ ভিকটিম ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রাপ্ত হবেন বলেও আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে একটি মেসেজ দেওয়া হয়েছে এবং এতে করে সমাজে এই ধরনের অপরাধ কমে আসবে বলেও আমি মনে করছি।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রহমত উল্লাহ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়েছি, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করছি সেখানে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।

;

ডেসটিনির রফিকুলের জামিন শুনানি ছয় মাসের জন্য মুলতবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে আনা মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীনের জামিন আবেদনের শুনানি ছয় মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) করেছে আপিল বিভাগ।

সোমবার (২৭ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বেঞ্চের অন্য বিচারপতিগণ হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।

আদালতে রফিকুল আমীনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এডভোকেট খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে অর্থ পাচারের মামলায় রফিকুল আমীনের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন রফিকুল আমীন। বিষয়টির শুনানি আজ ছয় মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) করে আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ছয় মাস পর আবার জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে বলে জানান আইনজীবী।

এডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, এই মামলায় এরই মধ্যে ১০৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আশা করছি ছয় মাসের মধ্যে বিচার শেষ হবে। আমরা একথা আদালতে জানিয়েছি। এ কারণে জামিন শুনানি ছয় মাসের জন্য স্ট্যান্ড ওভার রেখে আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমীনসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে একটি (ট্রি প্ল্যান্টেশন) মামলায় রফিকুল আমীনসহ ১৯ জন এবং অপর মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রফিকুল আমীনসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, এমডি রফিকুল আমীন ও পরিচালক কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম। জামিনে আছেন তিনজন। বাকিরা পলাতক।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী। এ মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই টাকার মধ্যে এলসি (ঋণপত্র) হিসেবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং সরাসরি পাচার করেছে আরও ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন।

মামলা দায়েরের চার বছরের মাথায় ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট রফিকুল আমীনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। এখন বিচারিক আদালতে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ অবাহত রয়েছে।

;