খুনের মামলার ‘ভিকটিম’ রিমান্ড শেষে কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
প্রতীকী

প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ বছর আগের একটি খুনের মামলার ‘ভিকটিম’ আবু সাঈদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) হাজারীবাগ থানার এসআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লন্ডন চৌধুরী তাকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২০১৪ সালে জনৈক আজম তার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে আবু সাঈদ (১০) হারিয়ে যায় মর্মে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় একটি জিডি করেন। ছেলেকে পাননি উল্লেখ করে পরবর্তীতে তিনি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও মুক্তিপণের একটি মামলা দায়ের করেন।

আজম বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের বাসিন্দা। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তিনি রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন বটতলা মাজার রোডে বসবাস করতেন।

এ মামলায় ৬ মাস জেলখাটা আসামি সোনিয়া আক্তার (২৫) সাংবাদিকদের জানান, ভিকটিম আবু সাঈদকে তারা চেনেন না। অথচ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের তৎকালীন এসআই মো. রুহুল আমিন তাকে, তার ভাই আফজাল, বাবা এবং এক প্রতিবেশী সাইফুলকে এক সঙ্গে গ্রামের বাড়ি থেকে ধরে আনেন। এরপর ঢাকার ডিবি কার্যালয়ে প্রায় ৮ দিন আটক রেখে স্বীকারোক্তি করানোর জন্য বাবার সামনে তাদের নির্যাতন করা হয়। হত্যার কথা স্বীকার না করলে তার বাবাকে এ মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়।

তাদের দাবি অকথ্য নির্যাতন সইতে না পেরে ও বাবাকে বাঁচাতে পুলিশের শেখানো মতে তারা খুনের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

এ মামলায় বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করা হয়, আসগর আলী, মিলন, মো. সাইফুল ইসলাম হাওলাদার, সোনিয়া আক্তার, আফজাল হোসেন ও মো. শাহীনকে। তারা কেউ ছয়মাস কেউ দুই বছর ও কেউ তিন বছর জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়ে গত পাঁচ বছর মামলা লড়ছেন।

২০১৫ সালের ১৫ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন। চার্জশিট থেকে আসগর আলী ও মিলনকে বাদ দিয়ে অপর চারজনের নামে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আছে। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে। যুক্তিতর্ক শেষেই সাধারণত রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

সোনিয়া জানান, মামলার এ পর্যায়ে আসামিরা লোকমুখে জানতে পারেন ভিকটিম আবু সাঈদ বেঁচে আছে। কিন্তু আবু সাঈদের ঠিকানা জানা যাচ্ছিল না। তারা মামলার বাদী আজমের সঙ্গে আপস মীমাংসার ফাঁদ পাতেন। বাদীকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

ঢাকার পল্লবী থানাধীন এক বাসায় ভিকটিম আবু সাঈদকে এনে কাগজে স্বাক্ষর করে আরও ২ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এত টাকার লোভ সামলাতে পারেননি বাদী আজম। গত ২৯ আগস্ট রাতে তিনি ভিকটিম আবু সাঈদ, তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম ও বোনের জামাই আব্দুল জব্বারকে নিয়ে ঢাকা আসলে তাদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাদের নামে প্রতারণার মামলা করা হয়।

জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের বিষয়টি জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন মোবাইল ফোনে জানান, জোর করে বা নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়নি। আইন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং স্বাভাবিকভাবেই তারা দোষ স্বীকার করেন এবং আদালতেও একইভাবে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

   

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার অপর এক আসামি ময়নুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০মে) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এই আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১ বছর বয়সী ওই নারীর নাম সিমা খাতুন। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চরমগাছা পারবর্তীপুর খোকন মোল্লার স্ত্রী।

আদালত এবং মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ১০০ গ্রাম হিরোইন ও ছয় বোতল ফেন্সিডিলসহ সিমা খাতুনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মায়ামনি হোটেলের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার (২০ মে) এই আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে, তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রায়ের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

তিনি জানান, ‘দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার সত্যতা সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিমা নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর একজনকে খালাস দিয়েছেন।

;

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

১০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ৫০ হাজার অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৫ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী এ রায় প্রদান করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

দণ্ডিত আসামি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ব্লক ই-৩ এর রোহিঙ্গা হাবিব উল্লাহ ও হাছিনা বেগমের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন (২৮)। দণ্ডিত আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম এবং আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম-৪ মামলাটি পরিচালনা করেন।

;

নড়াইলে ২ মাদক কারবারির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলে মাদক কারবারি লিন্টু মিয়া (৩৬) ও নাজমুল হুদা (৪৪) কে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোহাম্মাদ সাইফুল আলম এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার যশোমন্তপুর গ্রামের মোশারফ মাস্টার ছেলে। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত নজমুল হুদা একই উপজেলার উথালী গ্রামের তুরফান ফকিরের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর পুলিশ চেকপোস্টের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেলসহ দুই মাদক কারবারিকে পুলিশ আটক করে। এ সময় লিন্টু মিয়ার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশিকালে তিন কেজি ওজনের তরল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে লিন্টু মিয়া ও নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

পহেলা বৈশাখে যৌন হয়রানি মামলার সাক্ষ্য ১ সেপ্টেম্বর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পহেলা বৈশাখে যৌন হয়রানি মামলার সাক্ষ্য ১ সেপ্টেম্বর

পহেলা বৈশাখে যৌন হয়রানি মামলার সাক্ষ্য ১ সেপ্টেম্বর

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর টিএসসিতে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনার দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

সোমবার (২০ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। বিচারক আগামী ১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটি এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়। ওই ঘটনায় ভিকটিমদের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক একমাত্র আসামি কামালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৯ জুন ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার ওই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। মামলাটিতে ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামি কামাল জামিনে আছেন।

;