সাংবাদিক প্লট বরাদ্দে অনিয়ম, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মির্জা আব্বাস, ছবি: সংগৃহীত

মির্জা আব্বাস, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একটি সাংবাদিক সমিতিকে বাজারমূল্যের চেয়ে কম মূল্যে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আসামি পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

রায়ের পর ডিএজি মানিক বলেন, ‘আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বাতিলের জন্য ফৌজদারি রিভিশন খারিজ ও এর উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে বিচারিক আদালতে এ মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই।’

২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলাটি বাতিলের জন্য ফৌজদারি রিভিশন মামলা করেছিলেন মির্জা আব্বাস। একই মাসের ১৪ ডিসেম্বর মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, সেই মর্মে রুল ও তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় ২০১৪ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

অপর আসামিরা হলেন, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) মো. আজহারুল হক, মুনসুর আলম ও মতিয়ার রহমান।

   

ইভ্যালি’র রাসেল দম্পতির এক বছরের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের চেক প্রতারণার একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই রায়ে তাদের দুজনকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।

রোববার (২ জুন) চট্টগ্রামের যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ সপ্তম আদালতের বিচারক মো. মহিউদ্দীন এ আদেশ দেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শাহরিয়ার ইয়াসির আরাফাত।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ২০২১ সালে বাদী জসিম উদ্দিন আবিদ ইভ্যালির সিইও রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক বাউন্স বা ডিজ-অনারের অভিযোগ এনে আদালতে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় বিজ্ঞ বিচারক তাদের উভয়কে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে দুজনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে নগরের পাঁচলাইশ হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু ইভ্যালি তাকে মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দেয়নি। পরে একটি চেক দিয়েছিল ইভ্যালি। সেই চেক ব্যাংকের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী জসিম বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২ অক্টোবর চট্টগ্রাম আদালতে রাসেল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। রোববার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

;

প্রেমিকাকে হত্যা মামলায় প্রেমিকের যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে জাহাঙ্গীর মিয়া নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রোববার (২ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩ এর বিচারক আ.ন.ম ইলিয়াস এই রায় দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর নরসিংদীর পলাশ উপজেলার তারগাঁও গ্রামে ব্র্যাক অফিসে চাকরি করার সুবাদে একই অফিসের বাবুর্চি রিতা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রিতা তাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দিলে জাহাঙ্গীর রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। পরে ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর ব্র্যাক অফিসের একটি কক্ষে জাহাঙ্গীর তার প্রেমিকা রিতার সাথে রাত্রিযাপন করে এবং রাতের কোনো এক সময় তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এঘটনার পর নিহতের ভাই রাজু মিয়া বাদি হয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে এই রায় প্রদান করেন আদালত।

;

অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়: ড. ইউনূস



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিশপ্ত জীবনটা বড় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তাই আমাকে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়েছে। অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেলে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী ১২ জুন চার্জ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য রেখেছেন।

মামলার শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, এটা আমার জীবনের একটা স্মরণীয় ঘটনা যে লোহার খাঁচার মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এটা অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ। আমরা নোবেল পুরস্কারের কথা সবাই জানি। দুইটা নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একটা ছিলো আমার নামে, আরেকটা গ্রামীণ ব্যাংকের নামে। দুইটারই সমান গুরুত্ব ও মর্যাদা। কারো চেয়ে কোনটা কম নয়। এটা যৌথভাবে দেওয়া হয়েছে তাও না। দুইটায় স্বাধীনভাবে দেওয়া হয়েছে।

এ নোবেলজয়ী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো নজির নেই, একজন নোবেল বিজয়ী আরেকজন নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে মামলা করতে দুদকে হাজির হয়েছে। এটা আমাদের কপালে হলো। এটা অভিশাপের একটা অংশ। যে অভিশাপ আমরা গ্রহণ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু রূঢ় ভাষায় আক্রমণ করে অভিযোগগুলো করে এবং যে অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এ পর্যন্ত যত অভিযোগ এসেছে আমার এবং সহকর্মীদের বিরুদ্ধে তারাও অভিশাপের একটা অংশ। এটা আমার কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। যে আমার বাবাকে আক্রমণ করেছে, ভাই-বোনদের আক্রমণ করেছে। এই যে সেটা অভিশপ্ত জীবনের একটা অংশ বলে গেলাম।

এদিন মামলায় হাজিরা দিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে আসেন ড. ইউনূস। অন্যান্য আসামিরাও আদালতে হাজির হন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে মামলার শুনানি শুরু হয়।

মামলার শুরুতে আসামিদের নাম ডাকা হয়। অন্যান্য আসামিরা ডকে প্রবেশ করতে থাকেন। ড. ইউনূসের নামও ডাকা হয়। আইনজীবীরা তাকে বেঞ্চে বসে থাকতে বলেন। তখন তিনি বলেন, আমার সহকর্মীরা ডকে ঢুকেছে। আমিও যাবো। পরে তিনি আসামিদের জন্য তৈরি লোহার খাঁচায় প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ থাকার পর বিচারক তাদের বেঞ্চে বসার অনুমতি দেন।

গত বছরের ৩০ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

;

দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে ড. ইউনূস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে ড. ইউনূস

দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে ড. ইউনূস

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে আসেন ডা. ইউনূস। বেলা ১১টার দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শুরু করেন।

এর আগে গত ২ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেন। তিনি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ মামলাটি বদলির আদেশ দেন।

চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন— গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

;