ঢাকার নিম্ন আদালতের ১০৭ বিচারকের ৫২ জনই ছুটিতে



মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের টানা পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে আদালত খুললেও বিচারক, আইনজীবীর উপস্থিতি ছিল নিতান্তই কম। চিরচেনা ব্যস্ত ঢাকার নিম্ন আদালত পাড়া সোমবার (১৫ এপ্রিল) দেখা যায়নি।

আদালত পাড়া ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চিরচেনা সেই ভিড় নেই। ঢাকার নিম্ন আদালত তথা ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অধিকাংশ এজলাসই ফাঁকা ছিল। অফিস স্টাফগণ থাকলেও আইনজীবী বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল একদমই নগণ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বর্তমানে ১০৭ জন বিচারক কর্মরত। কিন্তু সোমবার উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৫৫ জন। ৫২ জন আছেন ছুটিতে।

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মোট বিচারকের সংখ্যা ৩৬ জন। আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে জানান, ঢাকা জেলা জজশিপে ৪২টি বিচারকের পদের মধ্যে ৬টি ফাঁকা। বর্তমানে ৩৬ বিচারক কর্মরত আছেন। সোমবার ৩৬ বিচারকের মধ্যে ২৫ জনই উপস্থিত থেকে বিচারকাজ চালাচ্ছেন। ১১ বিচারক ছুটিতে আছেন। ছুটিতে আদালতসমূহের দায়িত্ব উপস্থিত বিচারকদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে। তাই বিচারকাজের কোন বিঘ্ন হবে না।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির শাহ্ মো. মামুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, মহানগর জজশিপের ২৪ বিচারকের মধ্যে মহানগর দায়রা জজসহ ১৪ জনই ছুটিতে আছেন। ১০ জন বিচারককে সকল কোর্টের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্তকর্তা মো. আব্দুল খালেককে তার কক্ষে না পেয়ে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন জানান। তবে উক্ত আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুর কবির বাবুল বার্তা২৪.কমকে জানান, ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাসফিকুল ইসলামসহ ৫ জন ছুটিতে আছেন। তাদের মধ্যে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম অসুস্থ ও অপর একজন প্রশিক্ষণজনিত কারণে ছুটিতে আছেন।

তিনি আরও জানান, ৫ বিচারক ছুটিতে থাকলেও বিচারকাজ ঠিকই চলছে। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ, হাজিরা, জামিন শুনানি সবই সময়মতো হচ্ছে। কোন অসুবিধা হয়নি।

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহেল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির ৩৭ ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ২২ ম্যাজিস্ট্রেট ছুটিতে আছেন। তবে বিচারে যেন কোন বিঘ্ন না ঘটে এবং বিচারপ্রার্থীরা যাতে হয়রানি না হন সেজন্য উপস্থিত ১৫ ম্যাজিস্ট্রেটকে সকল কোর্টের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। এতে করে মামলায় কোন বিঘ্ন সৃষ্টি হবে না।

আ্ইনজীবী গোপাল দত্ত জানান, ঈদের ছুটির সাথে সকলে হয়তো ২/১ দিন করে বাড়তি ছুটি নেওয়ায় বিচারকের উপস্থিতি কম। তবে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীর সংখ্যাও অনেক কম। তাই বিচারের ওপর এর কোন প্রভাব পড়বে না। সব কিছু স্বাভাবিক হতে আরও ২/১ দিন সময় লাগবে।

   

নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযান: ৯ লাখ টাকা জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার দায়ে ছয়টি ইটভাটার মালিককে সর্বমোট ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় ইটভাটাগুলোর কিলন গুঁড়িয়ে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মলিন মিয়া।

এর আগে রবি ও সোমবার জেলার পত্নীতলা ও বদলগাছি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ওই ছয়টি ভাটাকে জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সালেহা সুমী এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নওগাঁ জেলা পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক উত্তম কুমার। এ সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর পত্নীতলা ও বদলগাছি উপজেলায় বেশকিছু ইটভাটা গড়ে তুলে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। বিষয়টি পরিবেশ অধিদফতরের নজরে এলে অভিযানে নামে পরিবেশ অধিদফতর।

অভিযানে পরিবেশ অধিদফতরের কোনো ছাড়পত্র না থাকা, জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো এবং সঠিক পদ্ধতিতে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা না করায় পত্নীতলা উপজেলার ছালিগ্রাম এলাকার মেসার্স এমএবি ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা, কাশিপুর এলাকার বিএসপি ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা, বালুঘা এলাকার এসবিবি এফ ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা ও চকদুর্গারায়াম এলাকার ফাতেমা ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং বদলগাছি উপজেলার বুড়িগঞ্জ বাজার এলাকার আদিল ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা এবং এমবিএফ ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ইটভাটা ভেঙে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অভিযান পরিচালনা শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, অবৈধ যেসব ইটভাটা রয়েছে, সেগুলো পরিবেশ সুরক্ষায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেশে যেসব অবৈধ ইটভাটা আছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ পদক্ষেপ নিয়েছে।

এজন্য অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত দুইদিন ধরে নওগাঁর পত্নীতলা ও বদলগাছি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ৬টি ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পরিবেশ সুরক্ষায় এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে মার্চ মাসে সদর ও মান্দা উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা ৬টি ইটভাটায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

;

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৯ মে ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদের আদালত রায়ের জন্য এ তারিখ ধার্য করেন।

আসামিদের মধ্যে আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, ফারুক আব্বাসী জামিনে আছেন। আসামি সানজিদুল ইসলাম ইমন কারাগারে আটক আছেন।

ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী পলাতক রয়েছেন।

মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

 

;

খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানি ২১ জুলাই



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভুয়া জন্মদিন পালন ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত মামলা দুটির অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে না পারায় তার পক্ষে সময় আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে এই তারিখ ধার্য করেন।

ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

;

আইসসহ গ্রেফতার সংগীতশিল্পী রেবেল কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটি টাকার মাদক ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) গ্রেফতার সংগীতশিল্পী এনামুল কবির রেবেলের দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর জহিরুল ইসলাম দুইদিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এ সময় আসামির জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী সাব্বির আহম্মেদ মিঠুন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মেদের আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এনামুল কবির রেবেল ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের একজন সংগীতশিল্পী। ২৬ এপ্রিল রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পর ২৭ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, রেবেল সঙ্গীতের আড়ালে মাদকের কারবার করতেন।

তিনি বলেন, রেবেল মাদক ব্যবসায়ী মো. রিপন ওরফে লিটু ওরফে ভাইজানের হয়ে কাজ করতো। তার (রেবেল) দেওয়া তথ্যে বাড্ডা এলাকায় মো. লিটুর বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লিটুকে না পাওয়া গেলেও তার বাসা থেকে মাদক আইসসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া মাদকের মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, লিটুর মাদক ব্যবসায় রেবেল ও তার গাড়িচালক অমি সহযোগিতা করতো। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে লিটুর মাদক ব্যবসায় সহায়তা করে আসছিল রেবেল।

;