খালেদার নাইকো মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৪ মে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামি ১৪ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলার সাক্ষি আব্দুল বাকীকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর এ কে এম আনোয়ার ইসলাম নামে এক সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তবে তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১৪ মে অবশিষ্ট সাক্ষ্য ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া হাজিরা দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান তিন জন মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এদিন গত ৪ মার্চ সাক্ষ্য দেওয়া আব্দুল বাকীকে জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এরপর এ কে এম আনোয়ার ইসলাম নামে এক সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তবে তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১৪ মে অবশিষ্ট সাক্ষ্য ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

   

নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযান: ৯ লাখ টাকা জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার দায়ে ছয়টি ইটভাটার মালিককে সর্বমোট ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় ইটভাটাগুলোর কিলন গুঁড়িয়ে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মলিন মিয়া।

এর আগে রবি ও সোমবার জেলার পত্নীতলা ও বদলগাছি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ওই ছয়টি ভাটাকে জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সালেহা সুমী এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নওগাঁ জেলা পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক উত্তম কুমার। এ সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর পত্নীতলা ও বদলগাছি উপজেলায় বেশকিছু ইটভাটা গড়ে তুলে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। বিষয়টি পরিবেশ অধিদফতরের নজরে এলে অভিযানে নামে পরিবেশ অধিদফতর।

অভিযানে পরিবেশ অধিদফতরের কোনো ছাড়পত্র না থাকা, জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো এবং সঠিক পদ্ধতিতে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা না করায় পত্নীতলা উপজেলার ছালিগ্রাম এলাকার মেসার্স এমএবি ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা, কাশিপুর এলাকার বিএসপি ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা, বালুঘা এলাকার এসবিবি এফ ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা ও চকদুর্গারায়াম এলাকার ফাতেমা ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং বদলগাছি উপজেলার বুড়িগঞ্জ বাজার এলাকার আদিল ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা এবং এমবিএফ ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ইটভাটা ভেঙে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অভিযান পরিচালনা শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, অবৈধ যেসব ইটভাটা রয়েছে, সেগুলো পরিবেশ সুরক্ষায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেশে যেসব অবৈধ ইটভাটা আছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ পদক্ষেপ নিয়েছে।

এজন্য অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত দুইদিন ধরে নওগাঁর পত্নীতলা ও বদলগাছি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ৬টি ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পরিবেশ সুরক্ষায় এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে মার্চ মাসে সদর ও মান্দা উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা ৬টি ইটভাটায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

;

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৯ মে ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদের আদালত রায়ের জন্য এ তারিখ ধার্য করেন।

আসামিদের মধ্যে আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, ফারুক আব্বাসী জামিনে আছেন। আসামি সানজিদুল ইসলাম ইমন কারাগারে আটক আছেন।

ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী পলাতক রয়েছেন।

মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

 

;

খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানি ২১ জুলাই



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভুয়া জন্মদিন পালন ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত মামলা দুটির অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে না পারায় তার পক্ষে সময় আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে এই তারিখ ধার্য করেন।

ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

;

আইসসহ গ্রেফতার সংগীতশিল্পী রেবেল কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটি টাকার মাদক ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) গ্রেফতার সংগীতশিল্পী এনামুল কবির রেবেলের দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর জহিরুল ইসলাম দুইদিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এ সময় আসামির জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী সাব্বির আহম্মেদ মিঠুন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মেদের আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এনামুল কবির রেবেল ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের একজন সংগীতশিল্পী। ২৬ এপ্রিল রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পর ২৭ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, রেবেল সঙ্গীতের আড়ালে মাদকের কারবার করতেন।

তিনি বলেন, রেবেল মাদক ব্যবসায়ী মো. রিপন ওরফে লিটু ওরফে ভাইজানের হয়ে কাজ করতো। তার (রেবেল) দেওয়া তথ্যে বাড্ডা এলাকায় মো. লিটুর বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লিটুকে না পাওয়া গেলেও তার বাসা থেকে মাদক আইসসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া মাদকের মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, লিটুর মাদক ব্যবসায় রেবেল ও তার গাড়িচালক অমি সহযোগিতা করতো। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে লিটুর মাদক ব্যবসায় সহায়তা করে আসছিল রেবেল।

;