নারায়ণগঞ্জে শিশু জয়ন্ত হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১০ বছরের শিশু জয়ন্ত হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ ট্রাইবুনাল-২ আদালতের বিচারক উম্মে সারাবন তহুরা এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রূপগঞ্জ উপজেলার মঙ্গলখালী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহীন, বলাইনগর এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে আলমগীর, বনিয়াদি এলাকার রাজ কুমারের ছেলে অনিক চন্দ্র দাস ও একই এলাকার সন্তোষ চন্দ্র দাসের ছেলে আশিক চন্দ্র দাস। রায় ঘোষণার সময় অনিক চন্দ্র দাস আদালতে উপস্থিত থাকলেও অন্যরা পলাতক রয়েছেন।

মামলার বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৮ সালের ৫ জুন শিশু জয়ন্তকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন আসামিরা। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে জয়ন্তকে একটি টিনের ঘরে আটকে রেখে হত্যা করে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আদালত সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত।

   

মানবপাচার মামলায় মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবপাচার মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

রোববার (৫ মে) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, মিরপুর থানার মানবপাচার মামলায় বহুল আলোচিত সমালোচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির মামলায় গত ২ মে মিল্টনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত।

পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ধৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ৫০টি মৃত সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার সেন্টার নামে চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান খুলে মানবতার ফেরিওয়ালা পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা, ওয়ারিশবিহীন ব্যক্তি, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে চিকিৎসা ও সেবা প্রদান না করে তাদের মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছেন।

জাল মৃত্যু সনদ তৈরির করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়। এরপর তার আশ্রমের টর্চার সেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে আরও একটি মামলাসহ মোট ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।

;

মিল্টন সমাদ্দারকে ফের ৭ দিন রিমান্ডের আবেদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল আলোচিত সমালোচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে ফের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে ডিবি পুলিশ।

রোববার (৫ মে) প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে মিরপুর থানার মানবপাচার মামলায় ফের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালতে রিমান্ড শুনানির কথা রয়েছে।

প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির মামলায় গত ২ মে মিল্টনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত।

পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ধৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ৫০টি মৃত সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার সেন্টার নামে চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান খুলে মানবতার ফেরিওয়ালা পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা, ওয়ারিশবিহীন ব্যক্তি, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে চিকিৎসা ও সেবা প্রদান না করে তাদের মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছেন।

জাল মৃত্যু সনদ তৈরির করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়। এরপর তার আশ্রমের টর্চার সেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে আরও একটি মামলাসহ মোট ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।

;

তারেকের এপিএসসহ ৭ জনের চার্জশুনানি ৩০ মে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন শুনানির জন্য আগামী ৩০ মে ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (৫মে) শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির চার্জগঠন শুনানির জন্য তারিখ ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার চার্জ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। কিন্তু আসামিপক্ষে চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আগামী ৩০ মে চার্জ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, হুন্ডি ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান আতিক, নাফিজ ইউনাইটেড করপোরেশনের ম্যানেজার ও স্বত্ত্বাধিকারী মাহমুদুল হাসান ওরফে ফেরদৌস, তার ভাগ্নে এ. এম আলী হায়দার ওরফে নাফিজ, আমেনা এন্টারপ্রাইজ এন্ড সার্ভিসের ম্যানেজার জয়নাল আবেদীন ও কর্মচারী আলমগীর হোসেন ও ফায়েজুর রহমান।

২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মতিঝিলের সিটি সেন্টারের একটি অফিসে অভিযান চালিয়ে সেখানে লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করে। অভিযোগ ওঠে, তৎকালীন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ওই অর্থ মজুত করা হয়েছিল।

ওই ঘটনায় র‌্যাব-৩ এর নায়েব সুবেদার ইব্রাহিম হোসেন মতিঝিল থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন।

২০২১ সালের ১৩ জুন মামলাটি তদন্ত করে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন।

;

এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে আজ বন্ধ সুপ্রিম কোর্ট



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী আবু জামিল মোহাম্মদ আলীর (এ জে মোহাম্মদ আলী) সম্মানে রোববার (৫ মে) বন্ধ রয়েছে সুপ্রিমকোর্টের বিচারকাজ।

রোববার (৫ মে) সকালে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আপিল বিভাগের বিচার চলাকালে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ দুটি বিভাগই বন্ধ রয়েছে।

তবে মামলার মেনশনের সুবিধার্থে আপিল বিভাগ সাড়ে ১০টা ও হাইকোর্ট বিভাগ বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুর বিষয়টি উত্থাপন করে এক্ষেত্রে আদালত বন্ধ রাখার রীতির বিষয়টি তুলে ধরেন।

এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমরা এরই মধ্যে আপিল বিভাগের সব বিচারপতি বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে আপিল বিভাগ ও বেলা ১১টার পর থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ থাকবে।

গত ২ মে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে রেখে গেছেন। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এ জে মোহাম্মদ আলীর বাবা এম. এইচ. খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

;