মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি শেষে সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় এঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী মুচি শিবাস দাশ বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দে আদালতের হাজতখানার পাশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় আমি ভয়ে দৌড় দেই। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়ে তা আমি দেখতে পাইনি।

জানা যায়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ আইনজীবীদের উপস্থিতি ছিল। তার মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আদালত চত্বরে আতঙ্ক তৈরি হয়।

   

তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা ও ৭ জানুয়ারির ভোটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ পেছানোর দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন পেছানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করা হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর।

 

;

সিরাজগঞ্জে শিশুসহ ৩ খুনের দায়ে দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে শিশুসহ ৩ খুনের দায়ে দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জে শিশুসহ ৩ খুনের দায়ে দুই যুবকের মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে দুই নারী ও এক শিশু হত্যা মামলায় দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, জেলার বেলকুচি উপজেলার চালা মহল্লার হাজী মওলানা আব্দুল মুন্নাফের ছেলে আলামিন (৩৬) ও জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার পবাহার নয়াপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৭)।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন এই মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদলতে উপস্থিত ছিলেন। রায় প্রদানের পরে তাদের আবার জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে বলা হয়েছে, আসামি আলামিন ২০০৭ সালে গাজীপুর জেলার মাওনা চৌরাস্তায় একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করতেন। এসময় শ্রীপুর থানার টেংরা গ্রামের বাদল মন্ডলের স্ত্রী নাসরিন আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তারা গোপনে বিয়ে করেন।

বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে নাসরিন আক্তারের পরিবার ও স্বামী তাকে বুঝিয়ে আলামিনকে তালাক দেওয়ায়। এতে আলামিন নাসরিন আক্তারের ওপর রুষ্ট হয়। পরে আলামিন পুনরায় নাসরিন আক্তারের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করে। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়।

এমন অবস্থায় আলামিন নাসরিন আক্তারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই আলামিন নাসরিন আক্তারকে মোবাইল ফোনে ডাকে। নাসরিন তার ফুপু মেহেরুন নেছা ও ভাগ্নি জাইমাকে (৫) সঙ্গে নিয়ে আলামিনের সাথে সাক্ষাৎ করতে তার দোকানে আসে। দুপুরে আলামিন দোকান কর্মচারী নয়ন সরকার ও ড্রাইভার রবিউল ইসলাম মিলে দোকানের পেছনে বিশ্রাম রুমে নিয়ে একে একে বালিশ চাপা ও গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে।

পরে তিনজনের মরদেহ বস্তায় ভরে এনে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়। পরের দিন তাদের মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

নিহতের পরিচয় না পাওয়ায় এনায়েতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

মামলা চলাকালে ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ আদালতের বিচারক আসামি আলামিন ও রফিকুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। অন্য আসামি নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

;

নাশকতার মামলায় বিএনপির ৩৮ নেতাকর্মীর সাজা, খালাস ৮০



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর দক্ষিণখান থানার একটি নাশকতার মামলায় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের ৩৮ নেতাকর্মীর ৪ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর ৮০ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, আদালত দণ্ডবিধির ১৪৭ ধারায় প্রত্যেক আসামির দেড় বছরের কারাদণ্ড ও দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারায় প্রত্যেক আসামির আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বিএনপির উত্তরখান থানার সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন সরকার, উত্তরখান থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ইয়াকুব আলী, উত্তরখান থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো: মোকলেস, উত্তর খান থানা বিএনপির সহ সভাপতি মো: শেখ নূর মোহাম্মদ, মমতাজ উদ্দিন, মো: হারুন অর রশিদ হারুন, মো: তোফাজ্জল হোসেন ওরফে মিঠু, সরকার রফিকুল ইসলাম মুকুল, মো: গোলাম মোস্তফা, মো: মোজাফফর হোসেন বাদল, মো: জাকির হোসেন, মো: ইয়াকুব আলী, মো: সফিল উদ্দিন, মো: শরীফ হোসেন, রিপন মিয়া, মো: লুৎফর রহমান ওরফে খোকন, মো: শাহিন মিয়া, অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন, রিপন সরকার, রাজীব, মো: দুলাল মিয়া, আবু বকর সিদ্দিক, মো: শাহিন, মো: মামুন, আব্দুল আলী ওরফে আব্দুল আলীম, শামসুল হক রিপন, নুরুজ্জামান হাওলাদার ওরফে সোহেল, আনোয়ার হোসেন বকুল, মো: কামাল হোসেন, শাহআলম, দীন ইসলাম, বাদশা ওরফে মো: আব্দুর রহিম বাদশা ও মো: শফিকুল ইসলাম শফিক।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকায় বিভিন্ন রকম নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ খান থানায় মামলাটি দায়ের করে।

;

চট্টগ্রামে বিচারককে জুতা ছুড়লেন আসামি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের একটি আদালতের বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের এজলাসে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আসামির নাম মো. মনির খান মাইকেল। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামি।

আদালত সূত্র জানায়, আদালতে জামিন শুনানির সময় বিচারকার্য শুরু হলে কিছু বুঝে উঠার আগেই চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি জুতা নিক্ষেপ করেন মনির খান মাইকেল। দ্রুত তাকে নিবৃত্ত করেন পুলিশ। শুনানির জন্য এই আসামিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে আদালতে আনা হয়েছিল।

চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বার্তা২৪.কমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বিচারক এজলাসে বসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেন ওই আসামি। এ বিষয়ে মামলা হচ্ছে।’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে দুটি ফেসবুক লাইভে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন মনির। এই ঘটনায় ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানায় মনির খান মাইকেলের (৩২) বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সহকারী পরিদর্শক (এসআই) তপু সাহা। পরদিন ২৩ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলায় মাইকেলের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২০ জুন অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

;