স্ত্রী হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, শ্বশুর-শ্বাশুড়ির ৭ বছরের কারাদণ্ড

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

স্ত্রী হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, শ্বশুর-শ্বাশুড়ির ৭ বছরের কারাদণ্ড

স্ত্রী হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, শ্বশুর-শ্বাশুড়ির ৭ বছরের কারাদণ্ড

ঢাকা জেলার দোহারে শিখা আক্তার হত্যা মামলায় স্বামী রুহুল আমিনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। লাশ গুমে সহায়তা করায় রুহুল আমিনের বাবা মনোয়ার হোসেন, মা আছমা বেগম ও ভাই মারুফ খানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডের অতিরিক্ত তাদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত প্রথম দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর দীপক কুমার দেব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রায়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ মে রুহুল আমিনের সাথে ভিকটিম শিখার বিবাহ হয়। ৩ আগস্ট বিভিন্ন মালামাল দিয়ে তাকে শশুর বাড়িতে পাঠানো হয়। মালামাল দেখে পছন্দ হয় না শিখার শশুর বাড়ির লোকজনের। তারা শিখার বাবা-মার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।

বিজ্ঞাপন

৬ আগস্ট সকালে শিখার বাবা নাস্তা নিয়ে মেয়ের শশুরবাড়ি যান। তখন শিখার শাশুড়ি আছমা বেগম তাকে জানান শিখাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রুহুল তার শশুরকে জানায়, রাতে শিখার সাথে ঝগড়া হয়েছে। এতে তাদের সন্দেহ হয় যে, শশুড় বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে। পরে রুহুল আমিনের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ওইদিন বেলা পৌনে ৪ টার দিকে শিখার লাশ পায় পরিবার। এসময় শিখার গলায় ওড়না কাপড় দিয়ে সিলভারের কলসীর সাথে বাঁধা ছিল।

ওই ঘটনায় শিখার মা রুনু আক্তার ৬ আগস্ট দোহার থানায় মামলা করেন।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দোহার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসিন মুন্সী। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।