সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে সগিরা মোর্শেদ সালাম নিহত হওয়ার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় বিচারক আগামী ৪ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।

এ নিয়ে মামলাটিতে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল। মামলাটির চার্জশিটে ৫৭ জন সাক্ষী রয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান (৫৯), ডাক্তার হাসান আলী চৌধুরী (৭০) ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন (৬৪) এবং মারুফ রেজা ও মন্টু মন্ডল।

২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতের জিআর শাখায় এ চার্জশিট জমা দেন। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেল পাঁচটার দিকে সগিরা মোর্শেদ সালাম বাসা থেকে বের হয়ে তার দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া বড় মেয়ে সারাহাত সালমাকে বাসায় আনতে স্কুলের দিকে যাচ্ছিলেন। স্কুলের সামনে পৌঁছামাত্রই অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা তার হাতের বালা ধরে টান দেয়। বালা দিতে অস্বীকার করায় সগিরাকে গুলি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

   

বৈধ-অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের উদ্যোগ নিতে লিগ্যাল নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে বৈধ লাইসন্সের অস্ত্র জমাদান নিশ্চিত এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

জনস্বার্থে ন্যাশনাল ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

নোটিশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখতে বৈধ লাইসেন্সধারী অস্ত্র জমাদান নিশ্চিত এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহনীকে ইসি কর্তৃক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে। শিগগির এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে।

এডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু নোটিশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশে বলা হয়, গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখতে এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বৈধ লাইসেন্সধারী অস্ত্র তফসিলোক্ত নির্বাচনকালের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় জমা রাখা আবশ্যক এবং শিগগির অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া আবশ্যক। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে পারে বলে বিশিষ্টজনরা উদ্যোগ প্রকাশ করেছে।

অনতিবিলম্বে বৈধ লাইসেন্সধারী অস্ত্র স্থানীয় থানায় জমাদানের বিশেষ নির্দেশনা ও দ্রুত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিতে সিইসির প্রতি নিকট নোটিশে অনুরোধ করা হয়।

;

গায়ক নোবেলের মামলার প্রতিবেদন দাখিল পেছাল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলের প্রতারণা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩০ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন।

মতিঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী মো. সাফায়েত ইসলাম একজন ছাত্র। তিনি অভিযোগ করেন, তিনি ও তার বন্ধুরা মিলে গত ২৮ এপ্রিল ভেনরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার ৫ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এস এস সি ব্যাচ ২০১৬’র প্রথম পূর্ণমিলনী তথা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসেবে গান গাওয়ার জন্য নোবেলের সাথে এক লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকায় মৌখিকভাবে চুক্তি হয়। ওই সময় বাদী নোবেলকে নগদ পনের হাজার টাকা দেন। পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে নোবেলের কথা মত তার একাউন্টে এক লক্ষ ষাট হাজার দেন।

নোবেল তার একাউন্টে টাকা পেয়ে উত্তোলন করে পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে আর আসেননি। নোবেল জেনে শুনে অনুষ্ঠানে না এসে বাদীর সাথে প্রতারণা করে অনুষ্ঠানে গান না দিয়ে উক্ত টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।

;

নাশকতার মামলায় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর রামপুরা থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীকে এবং ধানমন্ডি থানার আরেক নাশকতার মামলায় বিএনপির ২ কর্মীকে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন পৃথক দুই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত রামপুরা থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীর তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফয়েজ আহমেদ ফরু, আবুল মেছের, হেলাল কবির হেলু, আলম, শোভন, কামাল হোসেন দুলু ওরফে মাওরা দুল, নাফিদ সারোয়ার তন্ময়, আশরাফুল আরিফ ওরফে ডন, মশিউর রহমান ওরফে মশু, রেজাউল করিম ওরফে রাজু, মাইন উদ্দিন আহম্মেদ তুহিন, মির্জা হাসান ইমাম বুলু, আহম্মদ আলী চৌধুরী ও দিদারুল ইসলাম ওরফে।

রায়ের এক ধারায় তাদের দুই বছর এবং আরেক ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে রামপুরা থানার মামলাটি দায়ের করা হয়।

ধানমন্ডি থানার আরেক নাশকতার মামলায় বিএনপির ২ কর্মীর দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই নেতাকর্মী হলেন- ইমাম হোসেন ও হুমায়ুন কবির।

;

আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

এ মামলায় রুহুল কবির রিজভী পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ চার্জগঠন করেন। আগামী ৪ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাইফুল আলম নীরব, ইসহাক সরকার।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম চার্জগঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি রাতে মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় যাত্রীবেশে বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে ৬/৭ জন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর পরদিন মামলাটি দায়ের করেন। একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর কমল কৃষ্ণ সাহা মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।

;