শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে শিশু তন্নি আক্তার (৯) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় পৃথক দুটি রায়ে ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং শিশু আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন সোমবার (১৪ আগস্ট) এই রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ুন কবির।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হল, নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড নবগ্রাম রোড খান সড়ক এলাকার শাহরিয়ার খান শাকিল, বাছেদ প্যাদা ওরফে বাঁঘা ও ইমাম হোসেন হাওলাদার। ঘটনার সময় ইমাম হোসেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার বিচার হয় শিশু আদালতে এবং অপর দুই আসামির বিচার হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে।

রায় ঘোষণার সময় শাহরিয়ার শাকিল ও ইমাম হোসেন কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও অপর আসামি বাছেদ প্যাদা পলাতক ছিল।

নিহত তন্নি বরগুনার লাকুরতলা এলাকার টুনু পালোয়ানের মেয়ে। তার পরিবার নবগ্রাম রোড খান সড়কের খালেক খানের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল। তন্নি স্থানীয় ফজলে উলুম মাদরাসায় নার্সারি শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের বেঞ্চ সহকারি হুমায়ুন কবির মামলার উদ্বৃতি দিয়ে জানান, ১০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশু তন্নিকে একই এলাকার শাহরিয়ার শাকিল ফুঁসলিয়ে তার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শাকিল, বাছেদ ও ইমাম পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষণ এবং এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

পরে অটোরিকশা যোগে তার লাশ ওই এলাকার আল আমিনের বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয়। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর ডোবা থেকে তন্নির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। এ ঘটনায় তন্নির বাবা টুনু পালোয়ান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, ২০১৭ সালের ২২ জুন ওই ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার এক আসামি ইমাম হোসেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার বিচার হয় শিশু আদালতে এবং অপর দুই আসামির বিচার হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে।

২০২০ সালে ইমাম প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ১৭ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণে শিশু তন্নিকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিশু তন্নির বাবা রিকশাচালক টুনু পালোয়ান ও রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি ফয়জুল হক ফয়েজ।

   

২ মে পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে আগামী ২ মে পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। দীর্ঘ এক মাস বন্ধের পর রোববার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর হাইকোর্ট এ নির্দেশ দিল।

;

সিটি ব্যাংকের সাবেক সহকারী ভিপির ২৬ বছরের সাজা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জালিয়াতির মাধ্যমে সিটি ব্যাংক ও এর গ্রাহকদের কাছ থেকে দুই কোটি ৫০ লাখ হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় সিটি ব্যাংকের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কার্ড ডিভিশনের প্রধান মুসাব্বির রহিমকে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ রায় দেন।

আসামিকে দুই ধারায় সাত বছর করে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে ৬ মাস করে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে। অপর এক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এসব তথ্য জানান।

মুসাব্বির রহিম জামিনে ছিলেন। তবে এদিন তিনি অসুস্থতা কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি জানিয়ে আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করেন। আসামি পলাতক থাকায় তার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে সিটি ব্যাংক ও এর গ্রাহকদের কাছ থেকে দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার অধিক হাতিয়ে নেন। এ অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৮ অগাস্ট প্রধান কার্যালয়ের লিগ্যাল ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ.কে.এম. আইয়ুব উল্যাহ বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট মুসাব্বির রহিমের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

;

কারা ফুটপাত বিক্রির সঙ্গে জড়িত, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে পথচারীদের নিরাপদ চলাচলের জন্য তৈরি ফুটপাত অবৈধভাবে দখল ও বিক্রি করার সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল, অ্যাডভোকেট জাহিদ তালুকদার ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি অমিত তালুকদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সারওয়ার হোসেন পায়েল।

এর আগে দায়ের করা রিটের শুনানিতে রাজধানী ঢাকার ফুটপাত দখল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা এফিডেভিটে ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকার বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছেন কিছু ব্যক্তি এবং জনগণের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত করছেন এই মর্মে সংবাদ প্রচারিত হলে, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। ওই রিটের বিষয়ে হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর রুল জারি করেন। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেন এবং দখলকারীদের তালিকা ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন।

ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আজ স্বরাষ্ট সচিবের পক্ষে এফিডেভিট দাখিল করে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনের বিষয়ে ২০২৩ সালের ২১ মে আদালতকে জানানো হয়। যার সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, যুগ্ম সচিব জননিরাপত্তা বিভাগ, সিআইডির ডিআইজি পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন অফিসার, রাজউকের একজন সদস্য এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন উপসচিব।

ওই কমিটির সভাপতি ড. মলয় চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত বছরের (২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট) এক সভা হয়। আলোচ্যসূচিতে ফুটপাতে দোকান বসানোর সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

আদালত সূত্র বলছে, ফুটপাত বিক্রি ও অবৈধ দখলকারীদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তা আগামী ১৩ মে'র মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনকে জানানোর জন্য বলেছেন আদালত।

;

ওষুধের দাম বাড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থার নির্দেশ হাইকোর্টের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সব ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে অব্যাহতভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধকল্পে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না-তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন উচ্চ আদালত। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানিকৃত অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

‘দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ’ শিরোনামে গণমধ্যামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করা হয়। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ রিট দায়ের করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের। সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম।

এছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন অসুখের সিরাপও। বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রি থেকে আয়ের হিসেব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দাম বাড়ানোর হার অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে।

;