মিতু হত্যা: সাক্ষ্য দিলেন বাবুল আক্তারের বন্ধু সাইফুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বন্ধু সাইফুল ইসলাম। সাক্ষ্যতে মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তারের নির্দেশে কর্মচারী মোকলেছুর রহমান ইরাদের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য উঠে আসে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে সাইফুল এই সাক্ষ্য দেন।

আদালতকে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি আগে প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা করতাম। প্রতিষ্ঠানের নাম ছিলো মান্টিব্যাক প্রিন্ট এন্ড হক লিমিটেড। উক্ত ব্যবসায়ের অবস্থান ছিলো মোহাম্মদপুরের বসিলায়। আমি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী শিক্ষা বিভাগে পড়াকালীন বাবুল আক্তারের সঙ্গে আমার হৃদ্যতার সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমি লেখাপড়া শেষে চাকরি করাকালীন সময়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত থাকে। পরবর্তীতে আমি চাকরি ছেড়ে প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করি। ব্যবসার এক পর্যায়ে আমার আর্থিক সংকট দেখা দিলে আমি বাবুল আক্তারকে আমার ব্যবসায়ে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেই। উনি আমার ব্যবসায়ে ২০০৯ সালে মাহমুদা আক্তার ভাবির নামে পাঁচ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন।

সাইফুল আরও বলেন, ২০১৬ সালের ৬ জুন যেদিন মিতু ভাবি হত্যা হয় সেদিন আমার মোবাইলে অপরিচিত এক নম্বর থেকে কল আসে। আমাকে বলা হয়, আপনি কি টাকা পাঠিয়েছেন? কিসের টাকা জিজ্ঞেস করলে বলে, এসপি বাবুল আক্তার টাকার কথা বলেনি। তখন কলের লাইন কেটে যায়। এর দুই তিনদিন পর আমার অফিস সহকারী মোখলেছুর রহমান ইরাদকে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে যাই। সে সময় বাবুল আক্তার ওনার বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত চান। একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে কোথায় টাকা পাঠাতে হবে সেটা জেনে নিতে বলে। আমি ওই নম্বরটি ইরাদকে দেই। সরল মনে মানবিক দিক বিবেচনা করে উক্ত টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য আমার অ্যাকাউন্টসকে নির্দেশনা দেই।

আদালতে সাইফুল বলেন, পরবর্তীতে ইরাদের মাধ্যমে আমি জানতে পারি তিন লাখ পরিমাণের অর্থ বিভিন্ন নম্বরে বিকাশ করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৯ মে পিবিআই থেকে আমাকে ওই ঘটনা তদন্তের জন্য ডাকা হয়। তৎকালীন ইন্সপেক্টর সন্তোষ কুমারের জিজ্ঞাসাবাদে চট্টগ্রাম এসে আমি সবকিছু খুলে বলি। ওই সময় আমার ব্যবহার করা একটি মোবাইলও জব্দ করা হয়। পরের দিন ১১ মে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমার সাক্ষীর জবানবন্দি দিই।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুর রশিদ বলেন, আজ মিতু হত্যা মামলার বাবুল আক্তারের বন্ধু সাইফুল ইসলামের সাক্ষ্য ও আসামি পক্ষের জেরা হয়েছে। বুধবারেও সাইফুল হককে আসামি পক্ষ জেরা করবেন।

এর আগে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম। ২০১৬ সালে মিতু খুন হওয়ার পর তার স্বামী, সে সময়ের পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। নানা নাটকীয়তা শেষে পিবিআইয়ের তদন্তে এখন তিনিই এ মামলার আসামি। এসপি বাবুল তার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে ছিলেন। বদলি হওয়ার পর তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

   

ঢাকা ফিরেই গ্রেফতার ‘কাচ্চি ভাই’র মালিক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় ফিরেই গ্রেফতার হয়েছেন ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক সোহেল সিরাজ।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে বেইলি রোডের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির হাতে তুলে দেয়।

ভবনে আগুন লাগার পরপরই তিনি দেশ থেকে মালয়েশিয়া চলে যান। সিরাজকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে ওই ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হলো।

বুধবার (৭ মে) সকালে সোহেল সিরাজকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় সিআইডি। শুনানি শেষে বিচারক তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের আটতলা ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। ওই ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।

;

ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ারের নামে পেইজ হ্যাক, মামলা করতে এসে ধরা বাদী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

র‌্যাবের সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নামে একটি ফেইসবুক পেইজ খোলেন নরসিংদীর রায়পুরা থানাধীন এলাকার এক যুবক আইয়ুব খান। সেই পেইজটি হ্যাক করে ‘সেলিব্রেটিং জিন রডেনবেরি: স্টার ট্রেক'স ব্রিজ অ্যান্ড নাসা’ নামে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান। এতে বাদির ৭ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে ঢাকার একটি আদালতে মামলার আবেদন করেন আইয়ুব।

বুধবার (৮ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াতের আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি। মামলার জবানবন্দি দেওয়ার সময় বিচারকের কাছে ধরা খান আইয়ুব খান।

মামলায় জবানবন্দি দেওয়ার সময় বিচারক বাদীকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি (বাদী) কি ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম? জবাবে বাদী বলেন, না। তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, তবে কেন আপনি ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নামে পেইজ খুললেন। তখন সে এ প্রশ্নে জবাব না দিতে পেরে আমতা আমতা করতে থাকেন। এরপরই বিচারক একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নামে পেইজ খুলে প্রতারণার অভিযোগে বাদী আইয়ুব খানকে আসামির কাঠগড়ায় ঢোকানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী তাকে আসামির কাঠগড়ায় ঢুকিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে আটক রাখা হয়। শেষমেষ আদালত মামলা গ্রহণ না করে তা খারিজের আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম নামে একটি প্রফেশনাল ফেইসবুক পেইজ তৈরি করেন আইয়ুব খান। পেইজ গ্রুপের বিভিন্ন পোস্ট দেখা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকায় এবং ওই পেইজে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছায় সদস্য হিসেবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল। যার কারণে আসামি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার এবং পেইজের একক পরিচালক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করার অসৎ উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ নানামুখী ষড়যন্ত্র করে আসছিল।

২০২১ সালের ১৯ আগস্ট দুপুর ২ টা থেকে পরদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থানার মাহমুদাবাদে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম পাবলিক পেইজ গ্রুপের বিভিন্ন পোস্ট দেখার সময় আসামি CELEBRATING GENE RODDENBERRY: STAR TREK'S BRIDGE AND NASA ওই পেইজে স্বেচ্ছায় যুক্ত হয় এবং সাথে সাথে বাদীর তৈরিকৃত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম নামের পাবলিক পেইজটি হ্যাক হয়ে যায়।

;

এবার আফতাবনগরে বসনো যাবে না পশুরহাট: হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে এবার সেখানে পশুর হাট বসছে না।

বুধবার (৮ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আফতাবনগর আবাসিক এলাকা হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট এস এম শামীম হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। ফলে কোরবানির ঈদে সেখানে পশুর হাট বসানো যাবে না।

এর আগে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয়। এই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান ভূমি অফিসারসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়।

;

পরিবেশরক্ষায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশের গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরিবেশ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশের গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে ৫ মে রিট দায়ের করা হয়। জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ রিট দায়ের করে।

তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটটি দায়ের করা হয়।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, যার কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারা দেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

;