ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ১২ কোটি টাকা কর দিতেই হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের তিনটি দাতব্য ট্রাস্টকে দান করা অর্থের বিপরীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাওনা বাবদ ১২ কোটি টাকা দানকর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতেই হবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (২৩ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে ড. ইউনূসের পক্ষে করা সময় আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

গত ১৭ জুলাই প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ২৩ জুলাই শুনানির জন্য দিন রাখেন।

গেলো ৩১ মে ১২ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। ফলে ড. ইউনূসকে এনবিআরকে ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করার আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ড. ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী ফিদা এম কামাল।

মামলা থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

২০১২-২০১৩ করবর্ষে আট কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়।

আর ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে সাত কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।

দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এ কর দাবি করতে পারে না।

এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন।

মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মৃত্যু ও পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ চিন্তা করে নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত তিনটি ট্রাস্টে যে টাকা দান করেছেন, সেই দানের বিপরীতে এনবিআরের আরোপ করা দানকর বৈধ ঘোষণা করে গত ৩১ মে রায় দেন হাইকোর্ট।

   

নওগাঁয় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

নওগাঁয় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় মাদক মামলায় মুকুল (২৯) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত মুকুল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে দিকে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক এস এম মনিরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১০ জুলাই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁর পোরশা থানার জালুয়াপাড়া এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দল অভিযান চালায়। সে সময় একটি ভটভটি থামিয়ে তল্লাশিকালে মুকুলের কাছে থাকা ব্যাগে ৩৫ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নওগাঁ কার্যালয়ের পরিদর্শক সবুজ চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মোজাহার আলী।

তিনি বলেন, মামলায় ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। এ রায়ের মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন হয়েছে।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনসুর আলী বলেন, এ মামলায় আমার মক্কেল ন্যায় বিচার পায়নি বলে মনে করি। এজন্য আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

;

বিডিনিউজের প্রধান সম্পাদকের বিরুদ্ধে চার্জশিট



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান সম্প্রতি আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে চার্জশিটটি উপস্থাপন করা হয়। আগামী ১০ জুন চার্জশিট গ্রহণ বিষয়ে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

দুদকের আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার আক্কাস আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ওই মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, কোনো ধরনের বৈধ উপার্জন ছাড়াই তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট্র ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। 'ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে' তিনি এসব টাকা অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগে বলা হয়।

;

পিনাকী ভট্টাচার্যকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য ও ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রমনা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই নিজাম উদ্দিন ফকির পিনাকী ভট্টাচার্জের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ৭ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) এসআই মোহাম্মদ রাহাত হোসেন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে পিনাকী ভট্টাচার্য পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

তদন্তে অভিযোগ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপ প্রেস সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারীকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা একে অন্যের পরিচিত এবং তারা দেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করার প্রয়াসে বিভিন্ন সময়ে উসকানিমূলক তথ্য প্রচারে সর্বদা লিপ্ত থাকে। বর্তমান সময়ে আসামি পিনাকী ভট্টাচার্য তার ফেসবুক পেজ ও আইডিতে বিভিন্ন সময়ে উসকানিমূলক মিথ্যা-ভিত্তিহীন তথ্য গুজব আকারে প্রচার করছে। তিনি সামাজিক মাধ্যমে বর্তমান সময়েও দেশ ও দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াসে গুজব ও মিথ্যা তথ্য সম্প্রচার করছে।

এছাড়া আসামি মো. মফিজুর রহমান আশিক ইচ্ছাকৃতভাবে নিজ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ডিজিটাল উপায়ে ফেক আইডি দিয়ে তার প্রেরিত ও প্রকাশিত ছবিগুলো মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন হয় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেন। যা পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার উপক্রম হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় পিনাকী ভট্টাচার্যসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের উপ-পরিদর্শক এম আব্দুল্লাহিল মারুফ বাদী হয়ে মামলা করেন।

;

বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে লিগ্যাল এইড দিবস উদযাপন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে লিগ্যাল এইড দিবস উদযাপন

বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে লিগ্যাল এইড দিবস উদযাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য র‌্যালির মাধ্যমে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৪’ উদযাপন শুরু করেছে ঢাকার নিম্ন আদালত।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনে থেকে এ র‌্যালি শুরু হয়।

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেন, চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরী, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) মাসফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য বিচারকবৃন্দ, ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও ঢাকা কোর্ট রির্পোটার এসোসিয়েশন এবং আদালতের কর্মচারী, জেলা প্রশাসন, জেলা ও মহানগর পুলিশ প্রশাসন, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা, আইনজীবীরা, লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবীরা, ক্লায়েন্ট, আইন আদালত নিয়ে কাজ করে এমন এনজিওসমূহের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

র‌্যালিটি চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত ভবনের সমনে দিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ এলাকা ও আদালতের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বর্ণাঢ্য র‌্যালি ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা জেলা আইনগত সহায়তা কমিটি ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিস নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। আয়োজিত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে লিগ্যাল এইড মেলা, ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি রয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. সায়েম খান জানান, সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে সড়কে র‌্যালির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। র‌্যালি শেষে সকাল জেলা জজ স্যার লিগ্যাল এইড মেলা ও রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

;