ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কারো ছবি নয়: হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সরকারিভাবে নির্মিত ম্যুরালের মূল নকশায় শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। কিন্তু সেই নকশা পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর ছবির নিচে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করা হয়েছে।

এমন ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, এটা তো গুরুতর অসদাচরণ। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সেখান থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ভাইয়ের ছবি সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৮ জানুয়ারি) এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ছবির ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’-এর ম্যুরাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক এডিপির অর্থায়নে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ম্যুরালের মূল নকশা পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে স্থানীয় এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি জুড়ে দেয়া হয়।

পরে ওই ঘটনায় দুটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ম্যুরালের নকশায় একপাশে বঙ্গবন্ধু ও আরেক পাশে কেবল শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। কিন্তু সেখানে অনুমতি ছাড়াই এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করা হয়েছে। কোন্ উদ্দেশ্যে এই ছবি যুক্ত করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে ম্যুরাল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. ইজাজুর রহমান রানাকে চিঠি দেন সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান।

এরপর এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মধ্যনগরের অধিবাসী রাসেল আহম্মেদের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী সাজেদা আহম্মেদ। ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি ম্যুরাল থেকে দ্রুত অপসারণ করতে ইউএনওকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

   

২২২ কোটি টাকা পাচার মামলায় সম্রাটের জামিনের মেয়াদ বাড়ল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ২২২ কোটি টাকা পাচারের মামলায় জামিনের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে ঢাকার একটি আদালত। মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত রাখার আবেদনও মঞ্জুর করেন বিচারক।

সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহানাজ পারভিন হীরা জামিনের মেয়াদ বাড়ানো এবং অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত চেয়ে দুটি পৃথক আবেদন জমা দেওয়ার পর সোমবার (২৮ আগস্ট) বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ২২ আগস্ট একই আদালত সম্রাটের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। আদেশে উল্লেখ ছিল, সম্রাটকে তার পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। আর জামিনের মেয়াদ হবে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত। জামিন আদেশের পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

প্রসঙ্গত, র‌্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। ওই অভিযানে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জন গ্রেপ্তার হন। চলতি বছরে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪ মামলায় জামিন পান সম্রাট। তবে এক সপ্তাহ পরে ১৮ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় হাইকোর্ট তার জামিন বাতিল করে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ২২ আগস্ট তিনি ওই মামলায় জামিন পান।

;

সাংবাদিক ইলিয়াসকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সাংবাদিক ইলিয়াসকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

সাংবাদিক ইলিয়াসকে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ নির্দেশ দেন।

এদিন মামলাটিতে ইলিয়াস হোসাইনের সম্পত্তি ক্রোকের প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। ইলিয়াস হোসাইনের সম্পত্তি ক্রোক করা যায়নি অর্থাৎ সম্পত্তি পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ। এরপর আদালত ইলিয়াস হোসাইনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন। আগামী ২৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারি বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া এতথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৫ জুলাই এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। মামলা থেকে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দেন আদালত। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন এবং বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করা হয়। ইলিয়াস হোসাইন পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ারা জারি করেন।

এদিন বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু আদালতে হাজিরা দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম বাবুল আকতার গত ৯ এপ্রিল ইলিয়াস হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভূক্ত অপর দুই আসামি হলেন, বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে পিবিআই'র ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধানমন্ডি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

এর আগে, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী ‘সাংবাদিক’ ইলিয়াস হোসেন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেই ভিডিওতে দাবি করা হয়, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার। এছাড়াও বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

;

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের মৃত্যু: প্রতিবেদন ৩০ অক্টোবর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (১ অক্টোবর) মামলাটি অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবী নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন।

গত ১৬ এপ্রিল ডিবি পুলিশের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার বাদী নুর উদ্দিন রানা উক্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে সিআইডিকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত বছর ৭ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন।

ময়নাতদন্তে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ওরফে পরশের মাথার বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বুকের ভেতরেও আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে।

মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলার পর ১০ নভেম্বর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৮ জানুয়ারি বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

;

আনসার আল ইসলামের শাখা প্রধানসহ ৬ জন কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) ও র‌্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) যৌথ অভিযানে গ্রেফতার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্যকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার সাব-ইন্সপেক্টর ইয়াদুল হক আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, আনসার আল ইসলামের ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে আবু মাসরুর (৫০), শেখ আশিকুর রহমান ওরফে আবু আফিফা (৪৯), সাদী মো. জুলকার নাইন (৩৫), মো. কামরুল হাসান সাব্বির (৪০), মো. মাসুম রানা ওরফে মাসুম বিল্লাহ (২৬) ও সাঈদ মো. রিজভী (৩৫)। গত ২৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে র‌্যাব-১ ও ডিজিএফআই এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, বনশ্রী ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ৬টি মোবাইল ফোন, উগ্রবাদে সহায়ক পুস্তিকা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সংক্রান্ত ডায়েরি ও নোট বই উদ্ধার করা হয়।

;