এক বছরে সাড়ে ৩ হাজার নারী-কন্যাশিশু নির্যাতিত

এক বছরে সাড়ে ৩ হাজার নারী-কন্যাশিশু নির্যাতিত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
গত একবছরে তিন হাজার ৪৯৫ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। 

এর মধ্যে নারী এক হাজার ৮৭৬ জন এবং কন্যাশিশু আছেন এক হাজার ৬১৯ জন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

রোববার (১ জানুয়ারি) সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৪৯৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতিত হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৭২ জন কন্যা এবং ৩১৫ জন নারী। এই সংখ্যার মধ্যে ১২১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। 

এসব ধর্ষণের ঘটনায় ২৩ জন কন্যাসহ ৩৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণের কারণে সাতজন কন্যাসহ আটজন আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ৯৪ জন কন্যাসহ ১৪০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

নির্যাতনের এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই একবছরে ১৬৩ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১২২ জন কন্যাশিশু। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ১২৫ জনের মধ্যে ১০৪ জন। এই উত্তক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন মোট সাতজন। 

পাচারের শিকার হয়েছে ১০৮ জন নারী ও কন্যা। যাদের মধ্যে কন্যাশিশু ২৮ জন। এসিডদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে ২২ জনের সঙ্গে। এর মধ্যে ১২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে তিনজন কন্যাশিশু।

এছাড়া যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৬৫ জন। এর মধ্যে ৬৫ জনকে এই কারণে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১৯ জন। 

পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১ জন। মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একজন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একজন। ১৩ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পাঁচজন গৃহকর্মীর হত্যা ও দু’জন আত্মহত্যা করেছে।

মহিলা পরিষদের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯২ জন কন্যাসহ ৫০৭ জনকে বিভিন্ন কারণে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টা হয়েছে ৫২ জনের ওপর, এর মধ্যে ১২ জন কন্যাশিশু। ৬৯ জন কন্যাসহ ৩১০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৮২ জন কন্যাসহ ২৩৯ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৬ জন কন্যাসহ ৩৭ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন।

এছাড়াও পাঁচজন নারী ও কন্যাশিশু আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে একটি। অপহরণের শিকার হয়েছে ১০৯ জন কন্যাসহ ১২৭ জন। অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে সাতজন নারী ও কন্যাকে। ফতোয়ার শিকার হয়েছেন নয়জন। দুই জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা ঘটেছে দুটি। পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে পাঁচটি। সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন ৫৭ জন। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ২৭টি।

গত একবছরে বাল্যবিবাহ ঠেকানো গেছে ৬১টি। এছাড়া ৩১জন কন্যাসহ ৯৪ জন বিচ্ছিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

 
   

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

;

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

এর আগে মঙ্গলবার কত রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তার তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয় রিটে। এছাড়া ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ রিট দায়ের করেন।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়। এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ’ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।

;

আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫ (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নিয়োগ প্রদান করেন।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

;