মানবতাবিরোধী অপরাধ: খুলনার ৬ আসামির রায় বৃহস্পতিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধকালীল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটার ছয়জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ( ২৮ জুলাই) রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হফিজুল আলম।

এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান আজ বাসস’কে এ কথা জানান।

ছয় আসামি হলেন- আমজাদ হোসেন হাওলাদার সহর আলী সরদার, আতিয়ার রহমান, মোতাছিম বিল্লাহ, কামাল উদ্দিন গোলদার ও নজররু ইসলাম। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক।

এর আগে, গত ২২ মে খুলনার বটিয়াঘাটায় এ ছয়জনের বিরুদ্ধে রায় যে কোন দিন (সিএভি) ঘোষণার জন্য রেখে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে এ আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি বলেন, এই মামলায় প্রাথমিকভাবে মোট আটজন আসামি থাকলেও একজন মারা গেছেন। তাকে বাদ দিয়ে বাকি সাতজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- আমজাদ হোসেন হাওলাদার (৭৫), মো. মোজাহার আলী শেখ (৬৫), সহর আলী সরদার (৬৫), মো. আতিয়ার রহমান শেখ (৭০), মো. মোতাসিন বিল্লাহ (৮০), মো. কামাল উদ্দিন গোলদার (৬৬) ও মো. নজরুল ইসলাম (৬০)। আসামিদের মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক। গ্রেফতারের পর আশরাফ শেখ (৮০) নামে একজন মারা গেছেন। এর মধ্যে মো. মোজাহার আলী শেখ (৬৫) মারা গেছেন।

ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হেলালউদ্দিনসহ মোট ১৭ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন। তাদের মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করার পর মামলার আইও’র জেরার কার্যক্রম শুরু হয়। গত ২২ মে জেরা ও মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে আাসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ। যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে সাত ভলিউমের ১ হাজার ২৭ পাতার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া হয়।

এর মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত চারটি অপরাধেই অভিযোগ রয়েছে আসামি আমজাদ হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং পরে জামায়াতের সমর্থক ছিলেন। অন্য ছয় আসামিও মুক্তিযুদ্ধকালে কনভেনশন মুসলিম লীগ এবং জামায়াতের সমর্থক ছিলেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার-পাঁচজন রাজাকার বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করেন।

দ্বিতীয় অভিযোগ: ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা।

তৃতীয় অভিযোগ: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার-ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ করে।

চতুর্থ অভিযোগ: ’৭১ এর ২৯ নভেম্বরে এই আসামিরা বটিয়াঘাটার বারো আড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মন্ডল এবং আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করে।

   

ভর্তি বাতিলই থাকছে ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর, তদন্তের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের নীতিমালা না মানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার প্রথম শ্রেণির ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

গত ১৪ জানুয়ারি ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক রিট করেছিলেন। তাদের অভিযোগ ছিল, নির্দিষ্ট বয়সের বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে।

এরপর ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারিসহ ভর্তি বাতিলের আদেশ দেন। পরে মাউশির নির্দেশনায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।

পরে ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে ১৩৬ জন অভিভাবক আরেকটি রিট করেন। এ নিয়ে গত ২৫ মার্চ হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পৃথক রুলের একসঙ্গে শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করে দেন হাইকোর্ট।

আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী দুজন অভিভাবকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

রিট আবেদনকারী ১৩৬ জন অভিভাবকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খুররম শাহ মুরাদ। পরে আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে এবং ১৬৯ ভর্তি বাতিলের বৈধতা নিয়ে অভিভাবকদের করা পৃথক রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়।

;

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার অপর এক আসামি ময়নুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০মে) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এই আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১ বছর বয়সী ওই নারীর নাম সিমা খাতুন। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চরমগাছা পারবর্তীপুর খোকন মোল্লার স্ত্রী।

আদালত এবং মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ১০০ গ্রাম হিরোইন ও ছয় বোতল ফেন্সিডিলসহ সিমা খাতুনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মায়ামনি হোটেলের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার (২০ মে) এই আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে, তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রায়ের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

তিনি জানান, ‘দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার সত্যতা সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিমা নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর একজনকে খালাস দিয়েছেন।

;

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

১০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ৫০ হাজার অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৫ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী এ রায় প্রদান করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

দণ্ডিত আসামি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ব্লক ই-৩ এর রোহিঙ্গা হাবিব উল্লাহ ও হাছিনা বেগমের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন (২৮)। দণ্ডিত আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম এবং আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম-৪ মামলাটি পরিচালনা করেন।

;

নড়াইলে ২ মাদক কারবারির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলে মাদক কারবারি লিন্টু মিয়া (৩৬) ও নাজমুল হুদা (৪৪) কে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোহাম্মাদ সাইফুল আলম এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার যশোমন্তপুর গ্রামের মোশারফ মাস্টার ছেলে। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত নজমুল হুদা একই উপজেলার উথালী গ্রামের তুরফান ফকিরের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর পুলিশ চেকপোস্টের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেলসহ দুই মাদক কারবারিকে পুলিশ আটক করে। এ সময় লিন্টু মিয়ার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশিকালে তিন কেজি ওজনের তরল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে লিন্টু মিয়া ও নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;