মানবতাবিরোধী অপরাধ: জামায়াত নেতাসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নওগাঁ জেলার জামায়াতের সাবেক আমীর রেজাউল করিম মন্টুসহ তিন জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলো-নজরুল ইসলাম (৬৪) ও মো. শহিদ মণ্ডল (৬২)। তিন আসামির মধ্যে নজরুল ইসলাম এখনও পলাতক।

মঙ্গলবার (৩১ মে) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। মামলার রায়টি ছিল ১৪৪ পৃষ্ঠার।

গত ২৯ মে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, আবুল কালাম আযাদ ও তাপস কুমার বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে মোট ৩১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো- ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানাধীন পাহাড়পুর ইউনিয়নের রানাহার গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র সাহেব আলী, আকাম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন মণ্ডল, মোজাফফর হোসেনকে হত্যাসহ ওই সময় ১০ থেকে ১২টি বাড়ি লুট করে অগ্নিসংযোগ করে।

১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সময়ে আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোজাগাড়ী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র মো. নুরুল ইসলামকে হত্যা করে। এ সময় তারা ১৫ থেকে ২০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৫টা থেকে পরদিন, অর্থাৎ ৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময়ে নওগাঁর বদলগাছী থানাধীন পাহাড়পুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মো. কেনার উদ্দিন এবং মো. আক্কাস আলীকে অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করে। পরে অপহরণ করে জয়পুরহাটের কুঠিবাড়ি ব্রিজে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এ সময়ের মধ্যে আসামিরা ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে।

   

দুর্নীতি মামলায় ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলাম কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে অহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তার বিরুদ্ধে ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য বা ভিত্তিহীন তথ্য দাখিল এবং জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ২১ লাখ ৫৫ হাজার ৬শ ৪৯ টাকার সম্পদ ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে গত ৯ জানুয়ারি অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় দুদক। মঙ্গলবার মামলার চার্জশিট আমলে গ্রহণ শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামি অহিদুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

;

চার মামলায় জামিন পেলেন বিএনপি নেতা সোহেল, কারামুক্তিতে বাধা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার পৃথক তিন মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।

সোহেলের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, চার মামলায় সোহেল জামিন পেলেও কারামুক্তি পেতে আরও তিন মামলায় তাকে জামিন পেতে হবে। আশা করি খুব শিগগিরই তিনি কারামুক্তি হতে পারবেন।

;

মনজিল হত্যা: সৎমা-ভাইসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন রাষ্ট্রপক্ষ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সৎমা-ভাইসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন রাষ্ট্রপক্ষ

সৎমা-ভাইসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড চাইলেন রাষ্ট্রপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে ও লেভেল পড়ুয়া একেএম মনজিল হক হত্যা মামলায় সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি ও ভাই একেএম ইয়াসিন হকসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান। তিনি যুক্তিতর্কে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন।

এরপর আসামিদের পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন তাদের আইনজীবীরা। তবে এদিন তা শেষ না হওয়ায় আগামী ৭ মে পরবর্তী যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলাটিতে ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন, মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া, রবিউল ইসলাম সিয়াম ও সীমান্ত হোসেন তাকবীর। মাহফুজুল ইসলাম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আসামিদের মধ্যে ইয়াসিন ও সিয়াম কারাগারে। সীমান্ত হোসেন তাকবীর জামিনের। অপর তিন আসামি শুরু থেকে পলাতক রয়েছে।

২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন ও লেভেল পড়ুয়া মনজিল হক (২৮)। হত্যাকাণ্ডের পর চাচা ফারুক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।

পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে আসে সম্পত্তির লোভে মনজিলকে সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন ও সৎ ভাই একেএম ইয়াসিন হক (২৫) ও মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া (৫৮) হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা।

২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শামসুদ্দিন।

;

ইসলামী ব্যাংক নিয়ে অনুসন্ধান না করার নির্দেশ হাইকোর্টের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইসলামী ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ শীর্ষক প্রতিবেদনের আর অনুসন্ধান চলবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল খারিজ করে এ আদেশ দেন।

রায়ের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ও দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

একইসঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংকের ঋণের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করতে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এর আগে, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ লোপাটের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। ওই দিন আদালতে দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক উপস্থিত ছিলেন।

;