মহসিনের আত্মহত্যার ভিডিও সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের (৫৮) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার ভিডিও ৬ ঘণ্টার মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এস মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, মো. মহসিন খান আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে লাইভে লাইভে আসেন। সেখানে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনের হতাশার কথা বলেন। এরপর তিনি নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার আগে তিনি বলেন, 'আমি মহসিন। ঢাকায় থাকি। আমার বয়স ৫৮ বছর। কোনো এক সময়ে আমি ভালো ব্যবসায়ী ছিলাম। বর্তমানে আমি ক্যানসারে আক্রান্ত। তাই আমার ব্যবসা কিংবা কোনো কিছুই নেই। ভিডিও লাইভে আসার উদ্দেশ্য হলো, মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং আমার যে এক্সপেরিয়েন্স, সেটা শেয়ার করলে হয় তো সবাই জানতে পারবে, সবাই সাবধানতা অবলম্বন করবে।
'গত ৩০ তারিখ আমার খালা মারা যান। তার একটি ছেলে আমেরিকায় থাকে, মা মারা গেল অথচ ছেলেটি আসল না। এটা আমাকে অনেক দুঃখ দিয়েছে। কষ্ট লেগেছে। আজকে আমার আরেকজন খালা মারা গিয়েছেন। তারও একটি ছেলে আমেরিকায় ছিল। অবশ্য তার তিনটা ছেলে ইঞ্জিনিয়ার। তিনজনই বর্তমানে বাংলাদেশে আছেন। তারা হয়তো দাফন– কাফনের কাজ সম্পন্ন করছে। সেদিক দিয়ে বলব, এই খালা অনেকটা লাকি।
আমার একটা মাত্র ছেলে। সে অস্ট্রেলিয়াতে থাকে। আমার বাসায় আমি সম্পূর্ণ একা থাকি। আমার খালা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার ভেতরে খুব ভয় করছে। আমি যদি আমার বাসায় মরে পড়েও থাকি, আমার মনে হয় না যে, এক সপ্তাহ কেউ জানতে পারবে, আমি মারা গেছি। ছেলেমেয়ে স্ত্রী যাদের জন্য যাই কিছু আমরা করি। আমরা সব কিছু করি সন্তান এবং ফ্যামিলির জন্য।
এবিষয়ে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, তার (মহসিন) স্ত্রী এবং ছেলে অস্ট্রেলিয়া থাকেন। ধানমন্ডির বাসায় তিনি একা থাকতেন। উনি ২০১৭ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে অনেক লোকসানের মুখে পড়েন। এ সব কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে পুলিশের ধারণা।