দুদকের মামলায় সোনালী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দায়ের করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের তিন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোনালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হিরন্যকান্দি গ্রামের মো. ফেরদৌস আলম, ওই শাখার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শংকপাশা গ্রামের মো. আক্তার হোসেন ও ওই শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার লোহাগাড়া কলেজ পাড়া গ্রামের এস এম মোশাররফ হোসেন।

রায় প্রদানের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের ৪০৯, ১০৯, ৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ অধ্যাদেশের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

দুদকের পিপি নারায়ন চন্দ্র দাস জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১০৯ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ৯৮ লাখ ৯৬ হাজার ১০৬ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

একই আইনে ৪৭১ ধারায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ অধ্যাদেশের ৫(২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের আট বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আদালতের ওই আদেশে আরও বলা হয়, তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সকল ধারার অপরাধের সাজা একত্রে গণনা করা হবে। আসামিদের হাজতবাসের সময়কাল সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।

উল্লেখ্য , গত ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপ সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা এ মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগ পত্র দেন।

   

সিলেটে নারী আইনজীবী ও নারী পুলিশের হাতাহাতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের আদালত পাড়ায় নারী আইনজীবী ও নারী পুলিশের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে আদালত পাড়ার শাহপরান (র.) জিআরওতে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এঘটনার পর আইনজীবীরা আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশও করেছেন।

প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আদালত পাড়ার শাহপরান (র.) জিআরও'র দায়িত্বে থাকা এসআই শামীমা খাতুন ও তার পাশে বসেছিলেন কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থ। সে সময় অ্যাডভোকেট কাজী সেবা বেগম একটি মামলার নথি দেখতে চাইলে তাকে দেখতে দেওয়া হয়নি। এ কারণে অতর্কিতে অ্যাডভোকেট কাজী সেবা বেগম কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থকে চড়-থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এরপর ওই নারী আইনজীবী সেখান থেকে বেরিয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে বিউটিসহ দুই নারী পুলিশ সদস্য তাকে ঝাপটে ধরে অনেকটা বিবস্ত্র করে ফেলেন। এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরে আইনজীবীরা আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করে উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কার্যালয়ের বারান্দায় গেলে আগে থেকে উপস্থিত থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মারামারির ঘটনাও ঘটে। তখন পরিস্থিতি আরো অশান্ত হয়ে ওঠে।

খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসএমপি উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ আদালত পাড়ায় মোতায়েন করা হয়।

এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, অ্যাডভোকেট কাজী সেবা বেগম জিআরও কক্ষে অতর্কিতে প্রবেশ করে পেছন থেকে নারী কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থকে চুলের মুঠি ধরে চড়-থাপ্পড় মেরে হাতে, মুখে, পিঠে জখম করে বেরিয়ে যান।

পরবর্তীতে এ বিষয়ে কথা বলতে জিআরও এসআই শামীমা খাতুন ও কনস্টেবল বিউটি পুরকায়স্থ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনে গেলে সেখানে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে অ্যাডভোকেট কাজী সেবা বেগম এসআই শামীমা খাতুনকে ঘুষি মেরে তার চেম্বারে চলে যান।

এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বার্তা২৪.কমকে বলেন, নারী আইনজীবী কাজী সেবা বেগম শাহপরান থানা জিআরও কার্যালয়ে গিয়ে এক নারী কনস্টেবলের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এ ঘটনার জেরে আইনজীবীরা মিছিল সহকারে এসে হামলা করেন। তবে কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, তা তদন্তধীন রয়েছে।

এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে জানতে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট অশোক পুরকায়স্থের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

;

চট্টগ্রামে মাদক মামলায় এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার একটি মাদক মামলায় মো. আলী আকবর প্রকাশ বাবুল (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই রায়ে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি আলী আকবর বাবুলকে ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট কর্ণফুলী থানার সৈন্যারটেক এলাকা থেকে ৯৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় তৎকালীন কর্ণফুলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ আলম মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, এই মামলায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মাদক মামলায় আসামি মো.আলী আকবর প্রকাশ বাবুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

 

;

মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড

মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ডের মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ মে) মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেন।

শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ধৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ৫০টি মৃত সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তিনি চাইল্ড এন্ড ওল্ড এজ কেয়ার সেন্টার নামে চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান খুলে মানবতার ফেরিওয়ালা পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা, ওয়ারিশবিহীন ব্যক্তি, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে চিকিৎসা ও সেবা প্রদান না করে তাদের মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছেন। মৃতদের সংক্রান্ত সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য ও ইহাতে ধৃত আসামির অন্য কোনো উদ্দেশ্যে আছে কি না তা তদন্তে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করেন।

জাল মৃত্যু সনদ তৈরির করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়। এরপর তার আশ্রমের টর্চার সেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।

;

তিন মামলায় অভিযুক্ত মিল্টন সমাদ্দার আদালতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি, মানবপাচার, অর্থ আত্মসাৎ, শিশুদের ওপর হামলা, টর্চার সেল গঠনের অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দারের আদালতে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। দুপুর ২টার পর তার রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠা নানান অপকর্মের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

জাল মৃত্যু সনদ তৈরির করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়। এরপর তার আশ্রমের টর্চার সেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।

;