কলকাতার স্থাপিত হলো ব্রোঞ্জের বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কলকাতা
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে দিনটিতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।

ফলে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বছরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১০ জানুয়ারি) কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য, ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপি।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান ও সকল কর্মকর্তাবৃন্দ।

কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উদ্বোধন করে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন, কলকাতা তাদের মিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় কলকাতায় অতিবাহিত করেছেন। বর্তমান মৌলানা আজাদ কলেজ অর্থাৎ তৎকালীন ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে আবাসিক ছিলেন। যেটি এখন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু

১৯৪৬ সালে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে মুসলিম লীগের তরুণ কর্মী হিসাবে পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলনে ভারতবর্ষ চষে বেড়িয়েছেন। তরুণ মুজিব, জীবনবাজি রেখে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার মাঝখানে দাঁড়িয়েছেন মানবঢাল হিসাবে।

১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ - তারুণ্যের ছয়টি বছর কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সক্রিয়তা খুব সহজেই তাকে পরিচিত করে তোলে, বৃহত্তর বাংলার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছে। শহীদ সাহেবের স্নেহভাজন হিসাবে শেখ মুজিব হয়ে উঠেন কলকাতায় মুসলিম লীগের প্রভাবশালী ছাত্রনেতা। কলকাতার অভিজ্ঞতা বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্বগুণকে বিকশিত করতে সহায়তা করে।

এরপর ড. মোমেন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতের সহযোগিতার স্মৃতিচারণ করার পর বলেন,  ১৯৭১ এর ১৮ ই এপ্রিল তৎকালীন কলকাতার মিশন প্রধান জনাব হোসেন আলী বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মিশনের অন্যান্য বাঙালি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন। সেইদিন থেকে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশন বিদেশে বাংলাদেশের প্রথম কূটনৈতিক মিশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং সেই ঐতিহাসিক ভবনটি আজও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন হিসেবে স্বমহিমায় বিরাজমান। প্রতি বছর ১৮ ই এপ্রিল তারিখে বাংলাদেশে “ফরেন সার্ভিস ডে” হিসেবে পালিত হচ্ছে।  আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তাই কলকাতার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তাঁর কলকাতায় যাত্রা বিরতি করার কথা ছিল। কিন্তু দেশমাতৃকার টানে বঙ্গবন্ধু দিল্লী থেকে সোজা ঢাকায় অবতরণ করেন এবং কলকাতায় শীঘ্রই আসবেন বলে কলকাতার আকাশে বিমান থেকেই কলকাতায় বার্তা পাঠান। তাঁর সেই কথা রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা সফর করেন এবং ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার বিখ্যাত ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ডে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর উপস্থিতিতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে বক্তব্য রাখেন। সেইসময় বঙ্গবন্ধু কলকাতার ঐতিহাসিক বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন ভবনটি সফর করেন এবং মিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। বহির্বিশ্বে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম কূটনৈতিক মিশনে জাতির পিতার সেদিনের উপস্থিতি এক অন্যরকম তাৎপর্যপূর্ণ আবহ সৃষ্টি করেছিল।  

এ বছর আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি এবং একইসাথে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীরও ৫০ বছর পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে। এরকম একটি সময়ে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের অসংখ্য স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী শহর কলকাতায় বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এজন্য আমি মিশনের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত সবাইকে জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা। এটি আমাদের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসারই একটি চমৎকার নিদর্শন হিসেবে থেকে যাবে চিরদিন।

প্রসঙ্গত, কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ মিশনে এই প্রথম বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠিত হলো। এর আগে বঙ্গবন্ধু কর্ণার, বঙ্গবন্ধু মঞ্চ ও মিশনের বাইরের দেওয়ালে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ নামে একটি ম্যুরাল গত বছর উন্মোচন করেছিলেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। মিশণ প্রাঙ্গণের সেখানেই বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। আবক্ষ ভাস্কর্যটি সম্পূর্ণ ব্রোঞ্জ দ্বারা নির্মিত। দীর্ঘ ছয়মাস সময় নিয়ে তৈরি করেছেন নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের শিল্পী সুবীর পাল।

'অঞ্জলি লহ মোর': কলকাতায় নজরুল স্মরণ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
'অঞ্জলি লহ মোর': কলকাতায় নজরুল স্মরণ

'অঞ্জলি লহ মোর': কলকাতায় নজরুল স্মরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৩জুন, রবিবার কলকাতার রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহে আমাদের প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র চমৎকার একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের নাম 'অঞ্জলি লহ মোর'। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের ৩০০ জন শিল্পী এই নজরুল-প্রণামে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

অনুষ্ঠান শুরু হয় ঠিক সকাল ৯টায়, শেষ হয় দুপুর ১টা। সমগ্র অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন ছায়ানট সভাপতি সোমঋতা মল্লিক। প্রভাতী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান এবং 'পুবের কলম' পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় বিদ্যাভবনের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. সুজাতা ঘোষ এবং পাকড়াশি হারমোনিয়ামের কর্ণধার শ্রী শুভজিৎ পাকড়াশি।দলীয়ভাবে নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন গীতলেখা, গীতিলোক সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টস, গানের সাথী, চারুশীলে, স্বরলিপি সঙ্গীত কেন্দ্র (হাওড়া), সপ্তসুর - এর শিল্পীবৃন্দ।

কাজী নজরুল ইসলামের প্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন
পুনশ্চ রবীন্দ্রানুসারী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্র এবং কলাপী নিউটাউন - এর শিল্পীবৃন্দ। দলীয়ভাবে নজরুল কবিতা আবৃত্তি করেন উচ্চারণ, কাব্যাঙ্গন, শ্রুতিমন, ব্রততী পরম্পরা (বারাকপুর শাখা) - এর শিল্পীবৃন্দ। এককভাবে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা পাঠ করেন কল্লোল বসু, সুকন্যা রায়, দেবযানী বিশ্বাস, মিতালী ভট্টাচার্য্য, অপরাজিতা মল্লিক, শতানীক ভট্টাচার্য, সংঘমিত্রা ব্যানার্জী, অরণ্য স্পন্দন ভদ্র, মৌমিতা ঘোষ, ইন্দ্রাণী নাগ, ডাঃ সৌমিত্র নারায়ণ শূর, সোহালিয়া সিং, জয়িতা দত্ত এবং গোপা ভট্টাচার্য্য রায়।

একক নৃত্য পরিবেশনায় প্রিয়াঙ্কা কাশ্যপি এবং সায়নী দাস। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন মুদ্রা ডান্স আকাদেমি, ঠাকুরপুকুর চিদানন্দ ড্যান্স একাডেমি, আঙ্গিকম ডান্স একাডেমী - এর শিল্পীবৃন্দ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অমিতাভ নাথ এবং তানিয়া চ্যাটার্জ্জী। সমগ্র অনুষ্ঠান নজরুলপ্রেমীদের উদ্দেশ্যেই নিবেদিত বলেই জানান কৃষ্ণপুর নজরুল চর্চা কেন্দ্র - এর এবং ছায়ানট সভাপতি সোমঋতা মল্লিক। সকলের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান সফল হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানের বিশেষ সহযোগিতায় ছিল ভারতীয় বিদ্যাভবন, পাকড়াশি হারমোনিয়াম এবং রিয়েল প্লাস্ট।

;

কলকাতায় 'চেতনায় নজরুল'



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় 'চেতনায় নজরুল'

কলকাতায় 'চেতনায় নজরুল'

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছায়ানট (কলকাতা) অক্সফোর্ড বুকস্টোরে 'চেতনায় নজরুল' অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৫টায়। ছায়ানট (কলকাতা) - এর উদ্যোগে তৈরি নতুন অ্যালবাম 'নজরুলকে নিবেদিত পংক্তিমালা' অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান এবং 'পুবের কলম' পত্রিকার সম্পাদক জনাব আহমদ হাসান ইমরান।

কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন কবির কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই অ্যালবাম। ভারত এবং বাংলাদেশ মিলে ৩৪ জন বাচিক শিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন এই অ্যালবামে। যাঁদের লেখা কবিতা স্থান পেয়েছে এই অ্যালবামে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম - কুমুদরঞ্জন মল্লিক, অন্নদাশঙ্কর রায়, নরেন্দ্র দেব, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, আশাপূর্ণা দেবী, ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। মোট ৬৭ জন কবির ৭২টি কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই অ্যালবাম। এছাড়াও ছিল নজরুল-কবিতা পাঠের আসর। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ছায়ানটের সভাপতি সোমঋতা মল্লিক।

কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন সুকন্যা রায়, শ্রবণা ভট্টাচার্য, দেবযানী বিশ্বাস, ডাঃ সৌমিত্র নারায়ণ শূর, ইন্দ্রাণী নাগ, শতানীক ভট্টাচার্য্য, স্নেহাঙ্গনা ভট্টাচার্য, মিতালী ভট্টাচার্য্য, সুজল দত্ত, স্বপ্নিকা দাস রায়, স্বর্ণিকা দাস রায়, মহুয়া বসু, রাজশ্রী বসু, প্রাযুক্তা চক্রবর্তী, অপর্ণা চক্রবর্তী, চিত্রা সোম বাসু, পাপিয়া মুখার্জী, ব্রততী চক্রবর্তী, সন্দীপ ভট্টাচার্য, সীমা দাশগুপ্তা, মাধবী দে, তপন ঘোষ, সঞ্চয়িতা মিত্র, সুস্মিতা ঘোষ, আর্যদ্যুতি ঘোষ, অর্ঘ্যদ্যুতি ঘোষ এবং দিয়ান দাস।

দলীয় পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন কল্যাণী শ্রুতিকল্পর শিশুশিল্পীরা।

;

নজরুল চর্চার স্বীকৃতিতে সম্মানিত সোমঋতা মল্লিক



কনক জ্যোতি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নজরুল চর্চার স্বীকৃতিতে সম্মানিত সোমঋতা মল্লিক/বার্তা২৪.কম

নজরুল চর্চার স্বীকৃতিতে সম্মানিত সোমঋতা মল্লিক/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease
 
ছায়ানট (কলকাতা) নজরুল চর্চায় নিবেদিত অগ্রণী প্রতিষ্ঠান। সভাপতি শিল্পী সোমঋতা মল্লিকের নেতৃত্বে শুধু ভারত বা বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে ছায়ানট।
 
নজরুল জীবন ও সাহিত্যকর্মের নিরিখে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান পালনের পাশাপাশি ছায়ানট প্রকাশ করেছে নতুনের গান, জীবনীভিত্তিক ক্যালেন্ডার ও বর্ণময় প্রকাশনা। গবেষণা করছে নজরুল জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রপঞ্চ।
 
কলকাতায় নজরুল স্মৃতিধন্য জনপদ ও স্থাপনাসমূহকে ধ্বংস, দখল ও অবলুপ্তির কবল থেকে রক্ষা করার কৃতিত্ব ছায়ানটের। সেসব স্থানে তথ্য ফলক দিয়ে সংরক্ষণের আওতায় এনেছে সংগঠনটি।
 
নজরুল জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে আলীপুর জেল কিংবা রাঁচি মানসিক হাসপাতাল ছিল তাৎপর্যবাহী। ছায়ানট সেসব স্থানে নজরুল কর্নাল ও তথ্যফলক দিয়ে নজরুলের সংগ্রামমুখর জীবনের ঐতিহাসিক পরম্পরাকে সজিব রেখেছে।
 
নজরুলচর্চায় নিবেদিত ছায়ানট (কলকাতা) - এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক স্বীকৃতি পেয়েছেন কলকাতার 'অন্বেষণ পরিবার' নামক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাহিত্য সংগঠন কর্তৃক। তাকে এ উপলক্ষে সম্মান প্রদান করেন সংগঠনের শ্রী অমিতাভ। 
 
বার্তা২৪.কম'কে শিল্পী সোমঋতা মল্লিক বলেন, 'যেকোনো সম্মাননা কাজের প্রণোদনা আরো বাড়িয়ে দেয়। বিশ্বময় নজরুল চর্চা এগিয়ে চলুক, এই প্রত্যাশায় আমি ও ছায়ানট কাজ করে যাবে।'
 
;

কলকাতায় দুদিনব্যাপী 'নজরুল কবিতা উৎসব'



কনক জ্যোতি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কলকাতায় দুদিনব্যাপী 'নজরুল কবিতা উৎসব'

কলকাতায় দুদিনব্যাপী 'নজরুল কবিতা উৎসব'

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৪ এবং ৫ এপ্রিল রবীন্দ্র সদন চত্বরে অবনীন্দ্র সভাগৃহে ছায়ানট (কলকাতা) - এর উদ্যোগে 'নজরুল কবিতা উৎসব ২০২৪' অনুষ্ঠিত হয়। দু দিনে শতাধিক শিল্পী একক/দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বিকেল ৫টা-রাত্রি ৯টা অনুষ্ঠিত হয় এই কবিতা উৎসব।

পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছায়ানটের সভাপতি সোমঋতা মল্লিক। নজরুল কবিতা উৎসবের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি এবং পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির সভাপতি
মাননীয় সুবোধ সরকার। ৪ এপ্রিল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শেখ কামাল উদ্দীন, অধ্যক্ষ- হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয় ও সভাপতি- নজরুল চর্চা কেন্দ্র। তাঁর আলোচনার বিষয় ছিল 'বাংলা সাহিত্যে অভিনবত্বের দিশারী নজরুল'। ৫ এপ্রিল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শেখ মকবুল ইসলাম (ডি. লিট.), বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ, কলকাতা'। কাজী নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি তাঁর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণার অনেকখানি অবকাশ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ড. শেখ মকবুল ইসলাম।

একক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন ঊর্মিলা সেন, অতসী নন্দ গোস্বামী, বর্ণালী সরকার, পীতম ভট্টাচার্য, শম্পা দাস,
তাপস চৌধুরী, সুদীপ্ত রায়, শম্পা বটব্যাল, শুভদীপ চক্রবর্তী, নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবযানী বিশ্বাস, ইন্দ্রাণী লাহিড়ী, শাশ্বতী ঘোষ, দেবলীনা চৌধুরী, সৌমিতা নস্কর, মিতালী ভট্টাচার্য্য, সুকন্যা রায়, তৃষিতা সাহা, এরিসা কামিলা, ইনশ্রী নাথ, শতাক্ষী নাথ, সোনালী চট্টোপাধ্যায়, মোনামি সামন্ত, দোয়েল চ্যাটার্জী, চিত্রা সোম বাসু, গোপা ভট্টাচার্য্য রায়, ইন্দ্রাণী নাগ, ডক্টর সৌমিত্র নারায়ণ শূর, মিতালী মুখার্জী, দীপ্তি বর্মন, অন্বেষা মুখার্জী, রাকা দাস, দেবলীনা দাশগুপ্ত, শর্মিলা মাজী, মোনালিসা শীল, অপর্না চক্রবর্তী, দীপিকা গোস্বামী, পাপিয়া ভট্টাচার্য, সৃজিতা ঘোষ, শাশ্বতী বাগচী, প্রাযুক্তা চক্রবর্তী, জয়িতা দত্ত এবং রুনা মুখার্জি।

দলীয় পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন ছায়ানট (কলকাতা), আন্তরিক, বরানগর প্রতিশ্রুতি, নৈহাটি বঙ্কিম স্মৃতি সংঘ, আরশি হরিণঘাটা, প্রেরণা আবৃত্তি অনুশীলন কেন্দ্র, আমরা অ আ ক খ স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ, অন্বেষণ, কাব্যপথিক, শ্রুতিবৃত্ত, আবৃত্তিওয়ালা, শৃণ্বন্তু, বৈখরী, পাঠশালা, অনন্ত উড়ান, অনুরণন, চেতনা, শ্রুতিকথন, যাদবপুর কথাছন্দ এবং প্রতিধ্বনি - এর শিল্পীবৃন্দ।

সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সোমা মুখোপাধ্যায়, অপরাজিতা মল্লিক, দেবলীনা চৌধুরী এবং রাকা দাস।

ছায়ানটের সভাপতি সোমঋতা মল্লিক বলেন, "এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো আমরা 'নজরুল কবিতা উৎসব' - এর আয়োজন করলাম। আমাদের প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি নিয়ে ২ দিন ব্যাপী এই বিশেষ আয়োজনে বাচিকশিল্পীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আমরা আপ্লুত।
অনেক বাচিক শিল্পীকে আমরা সুযোগ দিতে পারিনি, আমরা সত্যিই ক্ষমাপ্রার্থী, আগামী বছর আরও বেশীদিন ধরে এই আয়োজন করার চেষ্টা করব। কাজী নজরুল ইসলামের লেখা জনপ্রিয় কবিতার পাশাপাশি বেশ কিছু স্বল্পশ্রুত কবিতা আমরা শুনতে পেলাম এই কবিতা উৎসবে - এখানেই আয়োজনের সার্থকতা।"

;