একদিনে ঈদ পালন নিয়ে বিতর্ক অপ্রয়োজনীয়



মুফতি ওয়ালীউর রহমান খান, অতিথি লেখক, ইসলাম
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত ও মুফতি ওয়ালীউর রহমান খান, ছবি: সংগৃহীত

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত ও মুফতি ওয়ালীউর রহমান খান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবাদের যুগ থেকেই স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখে মুসলমানগণ রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।

চাঁদ দেখার পর ১০ দিন সময় থাকলেও ঈদুল আজহার চাঁদ খেলাফতের অধীন কোনো অঞ্চলে বা মদিনার বাইরে কোনো প্রদেশে দেখা গিয়েছে কিনা এ সংবাদ নেওয়ার চেষ্টার কথা কোনো হাদিস বা ইতিহাসে নেই।

বরং তাবেয়ি হজরত কোরাইবের বর্ণনা এবং হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণিত হাদিস দ্বারা এ কথা প্রমাণিত যে, উদয়স্থলের ভিন্নতার কারণে এক শাসনের অধীনে হওয়া সত্যেও সে যুগের মুসলিম উম্মাহ একদিনে ঈদ ও রোজা করেননি।

সিরিয়ায় হজরত মুয়াবিয়া (রা.) কর্তৃক রমজানের চাঁদ দেখার এবং শনিবার রোজা শুরু করার খবর ঈদের তিনদিন আগে পেয়েও ওই সাহাবি বলেছেন, আমরা মদিনার আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখব, অথবা ৩০ দিনে মাস পূর্ণ করে ঈদুল ফিতর পালন করব।

এই ধারা ও রীতিই স্থায়ী, প্রাকৃতিক এবং ইবাদতের মূল দর্শনের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ।

তাছাড়া ঈদ একটি জাতীয় ইবাদত উৎসব ও বিষয়। ইসলামি আইনেই উলামা ও ফকিহগণের (ইসলামি স্কলার) সহযোগিতায় এর সিদ্ধান্ত ঘোষণার অধিকার সরকারের। তাই সরকারের শরিয়াসম্মত সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করা একটি ফেতনা। সুতরাং বাংলাদেশের কিছু গ্রামের একদিন আগে ঈদ পালন একটি বেআইনি কাজ ও ফেতনা।

বর্তমান মিডিয়ার কারণে কারো কারো কাছে মনে হয়, ঈদে মুসলিম উম্মাহ ভিন্ন! বড় দিনের মতো একসঙ্গে হয় না কেন? বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উন্নয়নের এ যুগে ঐক্য না করে আলেম সমাজ দায়িত্বহীনতা বা গোঁড়ামির পরিচয় দিচ্ছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, রোজা ও ঈদ পালনে সারাবিশ্ব এক হওয়া জরুরি নয়। আরও জবাব হচ্ছে, সূর্যের গতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় নামাজের সময়ে বিশ্বব্যাপী যেমন পার্থক্য স্বাভাবিক ও যৌক্তিক। তেমনি চাঁদের গতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে রোজা শুরু ও ঈদ পালনে বিশ্বজুড়ে আগপিছ হওয়াও স্বাভাবিক। আর রোজা ও ঈদের ক্ষেত্রে একদিন দু’দিনের ব্যবধানের কারণ হলো, সূর্যের মতো নতুন চাঁদ উদয়স্থলে বেশি সময় দৃশ্যমান থাকে না। দূর পশ্চিমে দেখার পর পূর্বের দেশে খবরটি পৌঁছাতে কোথাও তারাবির সময় কোথাও সাহরির সময় পার হয়ে যায়। অথবা এত অল্প সময় থাকে যে, দেশের সব মুসলিমের আমল করা কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন জাপান ও নিউজিল্যান্ড।

অথচ ইসলামের মৌলিক নীতি হচ্ছে, ‘আল্লাহতায়ালা মানুষের সাধ্যের বাইরে কোনো বিধান চাপিয়ে দেন না।’ -সূরা বাকারা: ২৮৬

আরেকটি কথা ভাবতে হবে, মহানবী (সা.)-এর নির্দেশ ‘চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো’র তামিল কোনো দু’জন বিশ্বস্ত মুসলিম করার পর সারাবিশ্বকে জানানো বিশ বাইশ বছর আগে কি সম্ভব ছিল? এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে বলেই কি একথা বলা যাবে যে, দেড় হাজার বছর ধরে প্রযুক্তির অভাবে মুসলিম উম্মাহ ভুল করে আসছে? ঈদের দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ সত্যেও আমাদের মুরব্বিরা রোজা রেখেছে? শবে কদর কয়দিন? আরাফার রোজা কবে? ইত্যাদি প্রশ্ন তুলে সংস্কারবাদীরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেন।

আল্লাহ না করুন, করোনাভাইরাস যেমন বৈশ্বিক সবকিছুর চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এমন কোনো যুদ্ধ বা বিপত্তি যদি কল্পনাতীতভাবে বিশ্বে ঘটে আর তথ্য আদান-প্রদান ও যোগাযোগ সাময়িকভাবে হলেও অকার্যকর হয়ে যায়, অথবা কেয়ামতের প্রাক্কালে আইটি ধ্বংস হয়। তখন কি সবাইকে আবার প্রাচীন পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হবে না?

সমস্যা হলো, ‘প্রথম দেখা’র সংবাদে আমল করার ব্যাপারে। ঈদ পালন ও রোজার বিষয়ে বর্তমানে যারা অন্ধের মতো সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমল করে চলছেন, তারা মূলত শরিয়তে নেই। অথবা তাদের দেশে গভীর জ্ঞানী কোনো আলেম বা ফকিহ নেই। যেমন মালদ্বীপ ও সিঙ্গাপুর। কিংবা শক্তিমান মুসলিম শাসনের অধীনে নেই। যে কারণে তারা মনে করেন, এত দায় দায়িত্ব ও ঝামেলা করার দরকার নেই, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমল করতে থাকি।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করার কোরো শরয়ি ভিত্তি নেই। হাদিসে প্রথম দেখার মর্মকথা আছে। আর প্রথম নতুন চাঁদ পশ্চিমা কোনো দেশের আকাশে দৃশ্যমান হয় বেশি। সৌদি আরব বা হেজাযের কথা হাদিস-ফিকহ কোথায়ও নেই। বরং বিজিত হওয়ার পর থেকেই পবিত্র মক্কা ও মদিনার ব্যতিক্রমে রোজা ও ঈদ পালন করার হাজার বছর ধরে নজির আছে মিসর, সিরিয়া, কুফা, বসরা ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর।

ওআইসি ফিকহ একাডেমির সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়। ওআইসি ফিকহ একাডেমির সিদ্ধান্তের ভলিয়ম আমার কাছে আছে। জেদ্দা থেকে নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে বিভিন্ন বছর বিভিন্ন সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ লিপিবদ্ধ আছে। উদয়স্থলের ভিন্নতা মেনে চলার স্বীকৃতিও আছে। আবার এক শহরে চাঁদ দেখা ‘সাব্যস্ত হলে’ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিমদের জন্য তা প্রযোজ্য এ রকম সিদ্ধান্তও আছে। কিন্তু বিশ্বের জমহুর উলামা ও ফকিহগণ এ বিষয়ে কখনও একমত না হওয়ায় সবদেশের সরকার একমত হতে পারেনি।

রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক চরিত্র বিবেচনায় কোরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতে বাস্তবেও এমন কোনো দেশ কি আছে? যে দেশের চাঁদ দেখার খবর ও ঘোষণা অন্য সবদেশ অন্ধভাবে বিশ্বাস করে নিজ দেশের মানুষকে বছরের পর বছর রোজা, তারাবি, ঈদ ও কোরবানি করার জন্য বলবে?

সর্বোপরি ইসলামি ইবাদত-বন্দেগির বৈশিষ্ট্য হলো, সারাবিশ্বে আল্লাহর নাম উচ্চারিত হতে থাকবে। কোথাও আজান, কোথাও নামাজ। কোথাও ফজর, কোথাও জোহর। কোথাও রোজা, কোথাও ইফতার, কোথাও ঈদ আর কোথাও কোরবানি। বিশ্বময় মুসলিম উম্মাহ আল্লাহতায়ালার মহিমা ঘোষণা করতে থাকবে। তাওহিদের বাণী উচ্চারিত হতে থাকবে সর্বত্র, সবসময়।

তর্কের খাতিরে যদি সংস্কারবাদীদের কথা সমর্থন করা হয়, তাতেও অনেক সমস্যা রয়েছে। যেমন, পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বের সব দেশের সরকার ও ফকিহগণ একমত না হওয়া পর্যন্ত প্রযুক্তিনির্ভর এই নতুনধারা সারাবিশ্বে চালু করা ঝুকিপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত পালনে মধ্যপ্রাচ্যের মতো শাসকদের ঘোষণায় পুরো মুসলিম উম্মাহর নির্ভর করা কতটুকু নিরাপদ হবে?

শায়খ বিন বায, শায়খ সালেহ আল উছাইমিন ও শায়খ তকি উসমানিসহ আরব আজমের ফকিহগণ এ বিষয়ে একমত যে, ইসলামের প্রাথমিক কাল থেকে চলে আসা রীতি সম্পূর্ণ সঠিক। দ্বিতীয় মতটি কিতাবে থাকলেও কোনোদিনই বাস্তবে আসেনি।

বিজ্ঞ আলেমদের মতে, এ দেশে যারা এক উদয়স্থলে এবং এক সরকারের অধীনে থেকে ভিন্ন দিনে রোজা ও ঈদ পালন করছেন, তারা একাধারে শরিয়ত ও সরকার বিরোধী কাজ করছেন। তারা না সৌদি আরবের সঙ্গে আছেন, না প্রথম দেখার সঙ্গে। তাদের ঈদ কখনও সৌদির সঙ্গে মেলে আবার কখনও প্রথম দেখার সঙ্গে।

আর একটি ধারণা এখন বেশি প্রচার হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে রোজা ও ঈদ পালনে লুনার ক্যালেন্ডার অনুসরণ। বিজ্ঞ মুহাদ্দিসদের মতে, এটি বাস্তবায়নের দাবিদাররা শরিয়তের সীমারেখার বাইরে চিন্তা করছেন। কারণ, নামাজের ওয়াক্তের জন্য সূর্যের বিকল্প ঘড়ি হয়। কিন্তু রোজা শুরু ও ঈদ পালনে চোখে চাঁদ দেখার কোনো বিকল্প নেই। কেননা, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নামাজের সময়সূচি কথায় ও আমলের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন। আর রোজা শুরু ও ঈদ পালনের ক্ষেত্রে বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো। যদি আকাশ অস্পষ্ট থাকে তাহলে শাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করে নাও।’ -সহিহ বোখারি: ১৯০৯

সব মুহাদ্দিস এ বিষয়ে একমত যে, মহানবী (সা.) এ হাদিসে সরাসরি চাঁদ দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি একটি পর্যালোচনা। এর সঙ্গে সহমত ও দ্বিমত পোষণের অবকাশ আছে। এ বিষয়ে জ্ঞানী আলেমদের পরামর্শকে স্বাগত জানাই।

মুফতি ওয়ালীউর রহমান খান: মুহাদ্দিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ

   

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

;

আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির মালিকের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: আব্দুস সালাম মিয়াকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাঃ আবু তাহির সাক্ষরিত এত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সনের হজ মৌসুমে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: (হ.লা, ০৬৭২) এর অধীন ৪৪৮ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত রয়েছে। উক্ত এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে অদ্যাবধি কোন ভিসা করা হয়নি। তথাপি এজেন্সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এতে এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীগণ প্রতারিত হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে এবং তাঁদের এ বছর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: (ই.লা. ০৬৭২) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: আব্দুস সালাম মিয়া যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে এবং একইসাথে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এমতাবস্থায়, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: (হলা. ০৬৭২) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো: আব্দুস সালাম মিয়া এর দেশ ত্যাগ রোধ করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে কেন এসব এজেন্সি বর্ধিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা করানো হয়নি তার ব্যাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলো ধর্ম মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি ৪৪৪ জন হজ যাত্রীর কারোরই ভিসার জন্য আবেদন করেনি। এমতাবস্থায় এই এজেন্সিসহ আরও ৫টি এজেন্সিকে শোকজ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহা. আবু তাহেরের সই করা একটি চিঠিতে এ শোকজ করা হয়। গত বুধবার (১৫ মে) যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজ পাওয়া এজেন্সিগুলো হলো- ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০, ভিসা করা হয়েছে মাত্র ৫ জনের), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০)। এসব এজেন্সির মাধ্যমে মোট ১৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত আনসারি ওভারসিস মাত্র ৫ জনের ভিসা সম্পূর্ণ করেছে। বাকি পাঁচটি এজেন্সি একজন যাত্রীরও ভিসা আবেদন করতে পারেনি।

শোকজের চিঠিতে বলা হয়, গত ৯ মে থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ১৪১ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। ২৫৯টি এজেন্সি/লিড এজেন্সির অধিকাংশই হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন করলেও একাধিকবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও ৬টি এজেন্সি এখন পর্যন্ত হজযাত্রীদের ভিসা করেনি। ভিসা সম্পন্ন না করায় হজযাত্রীদের হজে গমনে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা রয়েছে। এজেন্সির এমন কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার অন্তরায়। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন না করার বিষয়ে ১৫ মের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। একইসঙ্গে সব হজযাত্রীর ভিসা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম।

অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে না পারায় জন্য, ১২টি এজেন্সিকে ব্যাখ্যা প্রদানের পাশাপাশি সচিবালয়ে ডেকে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আজকের মধ্যে এই ১২টির মধ্যে ৯টি হজ এজেন্সিকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব এজেন্সি ভিসা করতে না পারার ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়ের কাছে।

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনা হজ করতে যাবেন ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

;

আন্তরিক তওবার একটি অশ্রুকণা পাপকে মুছে দেয়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আন্তরিক ক্ষমা ভিক্ষার একটি অশ্রুকণা আপনার পাপকে মুছে দিতে পারে, ছবি: সংগৃহীত

আন্তরিক ক্ষমা ভিক্ষার একটি অশ্রুকণা আপনার পাপকে মুছে দিতে পারে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুনিয়ার নানাবিধ সমস্যায় নিরাশ হয়ে আমাদের কতজনই না নিদ্রাহীন রাত অতিবাহিত করি, নানা নেশায় জড়িয়ে যাই। একবারও মনে হয় না, সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘আমাকে ডাকো, আমি সাড়া দেবো।’ আমরা আল্লাহকে ডাকতে পারি না। জানেন এর কারণ কী?

আমাদের হৃদয়মন পৃথিবীর সঙ্গে খুব বেশি মাত্রায় যুক্ত হয়ে গেছে। তাই প্রয়োজনীয় সময়ে আল্লাহর কথা স্মরণ হয় না। উচিৎ ছিলো, এটা মনে করা- দুনিয়ায় আমরা কেবলই ভ্রমণকারী। কোনো কিছুই স্থায়ী হয় না, মানুষের স্মৃতিও না।

ছোট পাপ বলে কিছু নেই
‘ছোট’ পাপ, এটা এমন কিছু না- এমন ভাবনাকে প্রশ্রয় দেবেন না। সাদামাটা মিথ্যা কথা এবং গসিপগুলো প্রায়ই আমাদের পতনের কারণ হয়। অজুহাতের আশ্রয় নেবেন না। কেবল আপনি মুখে মুখে অনুতপ্ত হবেন আর কাজে কোনো পরিবর্তন আসবে না তাতে লাভ হবে না। হৃদয় থেকে অনুশোচনা করুন। এটা অনুভব করুন। আপনি এটি যে আন্তরিকভাবে করছেন তার প্রতিফলন ঘটান।

হৃদয়ের রোগ নিরাময়ের অন্যতম উপায়
আপনি যদি অনুভব করেন যে, শয়তান গতকাল আপনাকে পরাজিত করেছে, আজ তাকে পরাস্ত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। আরও নেক আমল করুন, বেশি বেশি অনুশোচনা করুন এবং সর্বশক্তিমানের সান্নিধ্য লাভ করুন। মনে রাখবেন, প্রার্থনা হলো হৃদয়ের রোগ নিরাময়ের অন্যতম সেরা উপায়। আপনার হৃদয় এবং আত্মার সঙ্গে কথা বলুন। সর্বশক্তিমানের নিকটবর্তী হন। তিনি আপনাকে স্বস্তি দেবেন।

অর্থহীনতায় সময় নষ্ট করবেন না
চারদিকের হইচই শুনে বিভ্রান্ত হবেন না। বিরতি নিন এবং প্রতিচ্ছবি দেখুন। আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার চারপাশের সব অর্থহীনতায় আপনি কতটা সময় নষ্ট করেছেন। আর সেই সঙ্গে আপনি বারবার তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। অতীতপাপের জন্য, সেসব পাপ যার কথা আপনি ভুলে গেছেন অথবা উপেক্ষা করেছেন তার জন্য। করুণাময়ের কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করুন, এ জন্য তিনি যেন আপনাকে শাস্তি না দেন।

পাপহীনতার পথে ফিরে আসুন
এখন যা ঘটছে তাই সর্বোত্তম। এটি আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে। এটি আপনি এ মুহূর্তে উপলব্ধি নাও করতে পারেন, তবে যদি তার ওপর আস্থাবান হন তবে পুরস্কার আপনি পাবেন। আর কখনও ছোট পাপকে ছোট হিসাবে নেবেন না। বিপদটি হলো- এটি করতে করতে তা অভ্যাসে পরিণত হয় এবং একসময় এটাকে স্বাভাবিক মনে হতে থাকবে। পাপকে স্বীকৃতি দিন, আর পাপহীনতার স্বাভাবিক পথে ফিরে আসুন।

কোনো দ্বিধা নয়, তওবা করুন
আপনার আন্তরিক ক্ষমা ভিক্ষার একটি অশ্রুকণা আপনার পাপকে মুছে দিতে পারে। সর্বশক্তিমান ক্ষমা করতে ভালোবাসেন! দ্বিধা করবেন না, অনুতাপ প্রকাশ করুন। পাপের হাজার আনন্দবিন্দুকে আন্তরিক অনুতাপের একটি অশ্রুবিন্দু সর্বশক্তিমানের কৃপায় মুছে দিতে পারে।

আমরা কাঁদি, তিনি শুনেন। আমরা আহত হই, তিনি নিরাময় করেন। আমরা ডাকি, তিনি জবাব দেন। আমরা অনুতাপ করি, তিনি ক্ষমা করেন। সবকিছুর জন্য, সব সময় সর্বশক্তিমানের কাছেই চান, তার কাছেই প্রার্থনা করুন।

মানুষের কাছে অভিযোগ নয়
আপনার যেকোনো সমস্যা সম্পর্কে সবার কাছে অভিযোগ করাকে অভ্যাসে পরিণত করবেন না। বেশিরভাগই এ জন্য কিছু করার কথা ভাবে না। সর্বশক্তিমানের সঙ্গে কথা বলুন, সবকিছুতে নিয়ন্ত্রণ তার। তিনি আপনার পাপের পরিমাণ কত বেশি তা নিয়ে পরোয়া করেন না। আপনি কতটা এ জন্য অনুতপ্ত হচ্ছেন, সেটি দেখেন তিনি। আপনার পাপ যেন আপনাকে হতাশ না করে!

কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি বলুন, সত্যিই কি তোমরা সেই মহাপ্রভুকে অস্বীকার করছ! যিনি পৃথিবীকে মাত্র দুদিনে সৃষ্টি করেছেন এবং তার অংশীদার নির্ধারণ করছ? তিনি তো সমস্ত জগতের প্রতিপালক। যিনি পৃথিবীতে তার উপরাংশে পাহাড় স্থাপন করেছেন এবং জমিনের ভিতরাংশ বরকতপূর্ণ করেছেন আর ভূগর্ভে সুষমরূপে খাদ্যদ্রব্য মজুদ করেছেন মাত্র চার দিনে। সব যাচনাকারীর জন্য সমানভাবে। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করলেন আর তা ছিল ধোঁয়াশাচ্ছন্ন।’ -সুরা ফুসিসলাত : ৯-১১

হাদিসে নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াকে মহব্বত করল সে তার পরকালকে ক্ষতিগ্রস্ত করল। আর যে ব্যক্তি পরকালকে মহব্বত করল সে তার দুনিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করল। সুতরাং তোমরা অস্থায়ী বস্তুর ওপর চিরস্থায়ী বস্তুকে প্রাধান্য দাও।’ -মুসনাদে আহমাদ

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত সাহল ইবনে সাদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর খেদমতে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে এমন একটি কাজের নির্দেশ দিন যা করলে আল্লাহ আমাকে ভালোবাসবেন এবং মানুষেরাও আমাকে ভালোবাসবে। তিনি বললেন, দুনিয়া ত্যাগ করো, আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসবেন এবং মানুষের কাছে যা আছে, তার প্রতি লালসা করো না, তবে লোকেরা তোমাকে ভালোবাসবে। -জামে তিরমিজি

;

শান্তির শহরে হাজিদের স্বাগত জানায় শান্তির পায়রা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মক্কার কবুতর, ছবি: সংগৃহীত

মক্কার কবুতর, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মক্কার কবুতরের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের হজ ও উমরাযাত্রীদের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। মক্কার রাস্তায় ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ানো পায়রাগুলো লম্বা গলা ও আকর্ষণীয় রঙের জন্য পরিচিত। মসজিদে হারামের পথে এই কবুতরগুলোর দেখা মেলে। সেখানে আসা মানুষ তাদের খাবার খাওয়ায়। তাদের ছবি তোলে।

কবুতরের আধিক্যের কারণে মিসফালার একটি এলাকার নাম কবুতর চত্বর বলে পরিচিত পেয়েছে। এখানে প্রচুর আফ্রিকান নারী কবুতরের খাবার বিক্রি করেন। পবিত্র নগরী মক্কার ‘মসজিদে হারামের’ চত্বরে ঘুরে বেড়ানো ‘শান্তির পায়রা’ যেন হজ ও উমরা পালনে আসা মানুষকে স্বাগত জানায় ডানা ঝাপটে।

আরও পড়ুন : লোকশূন্য মক্কায় অভুক্ত নেই কবুতরগুলো

আরব নিউজের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, মক্কায় ব্যাপক লোকসমাগম হলেও কবুতরগুলো ভয় পায় না। জনশ্রুতি আছে, এসব কবুতর পবিত্র কাবা ও আশপাশের এলাকায় মলত্যাগ করে না। এ কারণে হজ ও উমরাপালনে আসা মানুষ এবং স্থানীয়দের আরও প্রিয়পাত্রে পরিণত হয়েছে কবুতরগুলো।

মক্কায় ব্যাপক লোকসমাগম হলেও কবুতরগুলো ভয় পায় না, ছবি: সংগৃহীত

মক্কার ইতিহাস গবেষক সামির আহমেদ বারকা বলেন, গ্র্যান্ড মসজিদের বিভিন্ন স্থানে কবুতরসহ নানা জাতের পাখি ঘুরে বেড়ায়। মক্কায় তারা নিরাপদে, নিশ্চিন্তে বসবাস করছে। এসব পাখি ও কবুতর শিকার করতে শরিয়তে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

পৃথিবীর অন্য পাখি ও কবুতরদের চেয়ে এগুলো আলাদা। তাদের বৈশিষ্ট্য হলো- সুন্দর আকৃতি, চমৎকার রং, টানাটানা চোখ আর লম্বা গলা।

মক্কার খুব জনপ্রিয় বিষয়গুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে এসব পাখি। কোনো দয়ালু ব্যক্তি যদি খাবার দেন, এই আশায় প্রায়ই ডানা ঝাপটে ওড়াউড়ি করতে কিংবা দালানকোঠার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাদের। এই কবুতর ও পবিত্র নগরীতে আসা মানুষের মধ্যে এই চমৎকার সম্পর্ক চলে আসছে শত শত বছর ধরে।

সুন্দর আকৃতি, চমৎকার রং, টানাটানা চোখ আর লম্বা গলা এসব কবুতরের বৈশিষ্ট্য, ছবি: সংগৃহীত

বারকা আরও বলেন, ‘কেউ কেউ এই সংরক্ষিত কবুতরগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজে পান সে সব কবুতরের, হজরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় যারা বাসা বেঁধেছিল সাওর পর্বতের গুহার মুখে। পুরস্কার হিসেবে ওই কবুতর এবং এদের বংশধরদের মক্কার পবিত্র নগরীতে নিরাপদে বসবাসের সুযোগ করে দেন সৃষ্টিকর্তা।’ যদিও এই মত নিয়ে অনেকের আপত্তি রয়েছে।

ঐতিহাসিক শেখ মোহাম্মদ তাহির আল-কুরদি বলেন, এই কবুতরগুলো আবাবিল পাখির বংশধরও হতে পারে। কোরআন মাজিদের বর্ণনা অনুযায়ী, আবরাহা আল-আশরামের বাহিনীকে ধ্বংস করতে আল্লাহ এদের পাঠিয়ে ছিলেন।

ওই বাহিনী কাবাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তবে এই পাখির ঝাঁক তাদের ওপর ছোট ছোট পাথর নিক্ষেপ করে। এতে আল-আশরামের বাহিনী ধ্বংস হয়ে যায়। আল-আশরাম ও তার বাহিনী হাতির বাহিনী নামে পরিচিত। কোরআন মাজিদে উল্লেখ আছে তাদের কাহিনি।

এই পাখিগুলোর বিশেষ গুরুত্ব আছে, ছবি: সংগৃহীত

বারকা বলেন, ‘অনেকে বিশ্বাস করেন, এই সংরক্ষিত পাখিরা হজরত নূহ (আ.)-এর জাহাজে থাকা দুটি কবুতরের বংশধর। ঐতিহাসিক বিভিন্ন বইয়ে এর উল্লেখ আছে, এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।’

এই পাখিগুলোর বিশেষ গুরুত্ব আছে। মক্কার অধিবাসী বলুন আর হজ, উমরা করতে আসা মানুষ কারোরই এদের মারার অনুমতি নেই। তেমনি তাদের বাসা থেকে এই পাখিদের তাড়িয়ে দেওয়া এবং ডিম ভাঙাও নিষিদ্ধ। এমনকি মক্কা অঞ্চলের লোকজন তাদের ভবনে জানালার পাশে কবুতরের থাকার জন্য বিশেষ মাঁচা বানিয়ে দেয়।

;