২৪৫ এজেন্সি উমরায় লোক পাঠানোর অনুমতি পেলো



ইসলাম ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
পবিত্র মক্কা শরিফ, ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা শরিফ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর হজের পর ৫ মহররম থেকে সৌদি আরবে উমরা যাত্রী যাওয়া শুরু করেছে। মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা উমরা পালনের জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন। বাংলাদেশের এজেন্সিগুলো উমরার প্রস্তুতি ও প্রচারণা চালালেও কবে থেকে বাংলাদেশের উমরা যাত্রীরা সৌদি আরব যাওয়া শুরু করবেন, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উমরা যাত্রী পাঠানো শুরু করা হবে। এ লক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইতোমধ্যে ৩ অক্টোবর ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় ২৪৫ বৈধ উমরা এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে। এখন এজেন্সিগুলো বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অফিস ও সংস্থার প্রয়োজনীয় অনুমোদনপত্র গ্রহণ করে সৌদি আরবের উমরা পরিচালনা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে উমরা যাত্রীদের ভিসার আবেদন ও উমরাহ যাত্রী পাঠাতে পারবে।

তবে উমরা যাত্রীদের জন্য বাড়তি ফি নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তা এখনও সৌদি সরকারের কাছ থেকে পরিষ্কার ঘোষণা না আসায় এজেন্সিগুলো সুনির্দিষ্ট প্যাকেজ মূল্য ঘোষণা করতে পারছে না। এটা নিয়ে এক ধরনের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে এজেন্সিগুলোর মাঝে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সাতটি শর্তে উমরা এজেন্সিগুলোকে উমরা যাত্রী পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে। এই শর্তগুলোর কোনো একটি ভঙ্গ করলেই লাইসেন্স বাতিল, জরিমানাসহ অন্যান্য শাস্তি আরোপের কথা বলা হয়েছে।

শর্তগুলোর অন্যতম হচ্ছে- উমরা যাত্রীদের সৌদি আরবের ব্যয়ের টাকা আন্তর্জাতিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ ‘আইবিএএন (IBAN)’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাঠাতে হবে এবং বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। এ ছাড়া উমরা যাত্রীদের যথাসময়ে পাঠানো ও ফেরত আনা এবং যথাযথ সেবা প্রদান করতে হবে এবং উমরা যাত্রীদের যাবতীয় তথ্য ১৫ শাওয়ালের মধ্যে আশকোনা হজ অফিসের পরিচালককে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। নির্ধারিত ১ হাজার জনের কোটার অতিরিক্ত কোনো উমরাহ যাত্রী কোনো এজেন্সি প্রেরণ করতে পারবে না। কোনো উমরা যাত্রী কোনো কারণে দেশে ফেরত না এলে নির্ধারিত তারিখের ১ মাসের মধ্যে তার বিস্তারিত হজ অফিসকে জানাতে হবে। এজেন্সিকে উমরা পালনের ব্যয় বিবরণী নির্ধারণ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। এছাড়া বিগত বছর উমরা যাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে ১০০০ জনের কোটা অতিক্রম করেনি এবং সবাই ফেরত এসেছে মর্মে অঙ্গীকারনামা দিতে হবে।

বৈধ এজেন্সির তালিকা প্রকাশের পর উমরা যাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে এখন এজেন্সিগুলোকে এফবিসিসিআই, সিভিল এভিয়েশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কিছু দফতরের ছাড়পত্র নিয়ে সৌদি আরবের সরকার অনুমোদিত উমরা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।

এদিতে উমরার জন্য এজেন্সিগুলো প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলেও সৌদি সরকার এখনও উমরার ফির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি। আগে তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার উমরা করার ক্ষেত্রে যে অতিরিক্ত ২০০০ রিয়াল নেওয়ার বিধান ছিল তা রহিত করা হয়েছে। এখন উমরার জন্য আলাদা ৩০০ রিয়াল ফি নির্ধারণ করার কথা শোনা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে সেটা ৫০০ রিয়াল হতে পারে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। আসলে ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত নিশ্চিত কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে সৌদি আরবের নতুন শর্ত এবং কড়াকড়ির কারণে উমরার ব্যয় কয়েক হাজর টাকা বেড়ে যাবে।

উমরা কার্যক্রমে আগ্রহী এজেন্সিগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের লাইসেন্স নবায়ন ও অন্যান্য শর্ত বিদ্যমান থাকাসাপেক্ষে প্রথম দফায় ২৪৫টি এজেন্সিকে উমরাহ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে। আর এই এজেন্সিগুলোর প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার জন করে উমরা যাত্রী পাঠাতে পারবেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতঃপূর্বে উমরার নামে মানব পাচারের কারণে বাংলাদেশিদের জন্য উমরা বন্ধ রেখেছিল সৌদি আরব। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সতর্ক। তাই হজের মতো উমরাকে ধীরে ধীরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মনিটরিংয়ের আওতায় আনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বছর কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উমরা এজেন্সির মালিক বলেন, উমরা কার্যক্রম গত বছরও অনেক সহজ ছিল। কিন্তু এবার আন্তর্জাতিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যয়ের অর্থ প্রেরণ, হোটেল অনলাইন আবেদনের হোটেল বুকিংয়ের ডকুমেন্ট প্রদান এবং পরিবহনের ব্যয় পরিশোধের মতো কিছু বিষয় বাধ্যতামূলক করায় উমরা প্যাকেজমূল্য আগের তুলনায় বাড়বে। এজন্য অনেক এজেন্সি উমরার প্যাকেজ ঘোষণা করতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে গত বছর প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জন উমরা পালন করেছেন। প্রতি বছরই হজযাত্রীর পাশাপাশি উমরা যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জন হজপালন করেছেন। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হজ এজেন্সির সংখ্যা ছিল ৫৯৮টি।

বৈধ এজেন্সিগুলোর তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

   

সৌদিগামীদের উমরা পালনের সুযোগ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য উমরার ভিসা ইস্যু বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব। দেশটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের জন্য হজ ভিসা ইস্যু শুরু করেছে। আর যেসব যাত্রীর উমরা ভিসা রয়েছে তারা ৮ মে পর্যন্ত দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই ২৯ জিলকদ (৬ জুন) এর মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবগামীদের জন্য নতুন সুসংবাদ দিয়েছে দেশটি। এখন থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে উমরা পালন করা যাবে। গত ২৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর বার্তায় দেশটির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

তাতে বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে এলে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে উমরা পালন করতে পারবেন। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি উমরা করতে পারবেন। চাই তা ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে উমরা করতে কোনো বাধা নেই।

পবিত্র হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল থেকে দেশটির স্থানীয় বাসিন্দা ও সেখানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়। এতে আবাসন সুবিধা বিবেচনায় ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়াল পর্যন্ত চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

সৌদি আরব গত বছর থেকে উমরা-সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সৌদি আরবের নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে উমরা ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা, স্থল, বিমান ও সমুদ্রপথের যেকোনোটির মাধ্যমে মুসল্লিদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা। উমরা ভিসায় সৌদি আরব ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া।

এ ছাড়া দেশটি উমরার অনুমতি পেতে আগ্রহীদের নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং মসজিদে হারাম ও নববিতে পালনীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম, বিশেষ করে যারা শারীরিক বা আর্থিক কারণে হজ পালনে আসতে পারেন না, তাদের উমরা পালনের সুযোগ করে দেওয়াই এসব উদ্যোগের লক্ষ্য।

;

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহর তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়ার মাধ্যম হলো তার মহান হুকমগুলো পালন করা। তার হুকুমগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম হুকুম হলো নামাজ। আর এই নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে নফল নামাজ বান্দাকে আল্লাহর এতটা প্রিয় করে তোলে যে, সে যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাই তখন মহান আল্লাহ তাকে ফিরিয়ে দেন না। বরং তার চাওয়াকে পাওয়াতে রুপান্তরিত করে দেন ।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।

আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নিই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে।

আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কিছু চাই, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই।

আমি কোনো কাজ করতে চাইলে তা করতে কোনো দ্বিধা করি না, যতটা দ্বিধা করি মুমিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি। (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)

তাই যেকোনো সংকটপূর্ণ অবস্থায় কিংবা যেকোনো প্রয়োজনীয় মুহূর্তে নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করা। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের জন্য উচিত হলো, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারই কাছে ফেরা। তাতে মহান রবের ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জন হবে ইনশাআল্লাহ ।

খুব গুরুত্ব সহকারে ফরজ ও সুন্নত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায় করা। আর নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ (নফল) নামাজ আদায় করাকে সর্বোত্তম আমল বলে আখ্যা দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনু হুবশী আল-খাস’আমী রা. সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৪৯)

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর হুকুমগুলো আদায়ের মাধ্যমে, তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন।

;

হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট আগামী ৯ মে থেকে শুরু হবে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। দ্রুতই যাত্রীদের ফ্লাইট শিডিউল জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গাইড ও মোনাজ্জেমসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

এদিকে, পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সির মালিকেরা। তাই সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দ্রুত সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এজেন্সি মালিকেরা।

;

দারিদ্র্য বা অভাব দূর করার পরীক্ষিত আমল



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দারিদ্রতা বা অভাব দূর করার পরীক্ষিত আমল

দারিদ্রতা বা অভাব দূর করার পরীক্ষিত আমল

  • Font increase
  • Font Decrease

একবার একজন সাহাবী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আরজ করলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া আমার প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে। ইরশাদ করলেন: তোমার কি ঐ তাসবিহ স্মরণ নেই, যে তাসবিহ ফেরেশতা এবং মাখলুকের, যার বরকতে রুজি প্রদান করা হয়। যখন সুবহে সাদিক উদিত (শুরু) হয় তখন এ তাসবীহ ১০০ বার পাঠ কর:

তাসবিহটি হলো : সুবহানাল্লাহি অ-বিহামদিহি,সুবহানাল্লাহিল আলিয়্যিল আযিম, অ-বিহামদিহি আস্তাগফিরুল্লাহ।

অর্থ: মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য; মহাপবিত্র আল্লাহ, যিনি সমুচ্চ, মহান; এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্য, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।

যদি তুমি এই তাসবিহটি ১০০ বার পড়, তাহলে দুনিয়া তোমার নিকট অপমানিত হয়ে আসবে। ঐ সাহাবী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু চলে গেলেন। কিছুদিন পর পুনরায় হাজির হয়ে, আরজ করলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! দুনিয়া আমার নিকট এত বেশি আসছে, আমি হতবাক! কোথায় যাব, কোথায় রাখব! (সূত্র: আল খাছায়িছুল কুবরা, ২য় খন্ড, ২৯৯ পৃষ্ঠা)

এই তাসবিহটি যথাসম্ভব সুবহে সাদিক (শুরু) হওয়ার সাথে সাথে পাঠ করা নতুবা ফজরের, জামাআত যদি শুরু হয়ে যায় তবে জামাআতে শরীক হয়ে যাবে এবং পরে সংখ্যা পূর্ণ করে নিবে। আর যদি নামাযের পূর্বে কোনো কারনে তা পাঠ করতে না পারে বা পাঠ করতে ভুলে যায়,তাহলে সূর্য উদিত হওয়ার আগে আগেই তা পাঠ করে নিতে হবে। (সুত্র: মলফুজাতে আ’লা হযরত, ১২৮ পৃষ্ঠা)

উক্ত তাসবীহ পাঠ করার সাথে সাথে সকাল সন্ধ্যায় তিনবার এই আয়াতটিও পাঠ করতে পারেন।

উচ্চারণ: ওয়া মাই-ইয়াত্তাকিল্লাহা ইয়াজ আল্লাহু মাখরাজা। ওয়া ইয়ারযুকহু মিন হাইসু লা ইয়াহ তাসিব।ওয়া মান ইয়া তা ওয়াক্কাল আলাল্লাহি ফাহু ওয়া হাসবুহু ইন্নাল্লাহা বালিগু আমরিহি কাদযায়াল্লাহু লিকুল্লি শাইয়িন কাদরা।

অর্থ: আর যে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য (সমস্যা থেকে উদ্ধার পাওয়ার) কোন না কোন পথ বের করে দিবেন। এবং তাকে ওই স্থান থেকে জীবিকা দেবেন, যেখানে তার কল্পনাও থাকে না এবং যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, তবে তিনি তার জন্য যথেষ্ট। নিশ্চয় আল্লাহ তার কাজ পরিপূর্ণকারী। নিশ্চয় আল্লাহ তায়াল প্রত্যেক বস্তুর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ রেখেছেন। (সূরা-ত্বালাক, আয়াত - ১, ২)

দারিদ্রতা দূর করার আরো একটি আমলের কথা হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দারিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হযরত ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তাঁর মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সুরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন।([বাইহাকি : শুআবুল ঈমান-২৪৯৮)

তবে একটি বিষয় আমাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে, দোয়া কবুল হওয়ার জন্য শর্ত হল হালাল উপার্জন। হালাল উপার্জন ছাড়া দোয়া কবুল হওয়ার আশা করা বোকামি।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দারিদ্রতা বা অভাব দূর করে, সচ্ছলতাকে জীবনসঙ্গী বানিয়ে দিন আমিন।

;