পরিবারের জন্য খরচ সওয়াবের কাজ



মাহমুদা নওরিন, অতিথি লেখক, ইসলাম
এক মুসলিম পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে খাবার খাচ্ছেন, ছবি: সংগৃহীত

এক মুসলিম পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে খাবার খাচ্ছেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানুষ নিজের এবং তার অধীনস্থদের জন্য যা খরচ করে তা সদকা হিসেবে পরিগণিত হয় বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘অনিষ্টতা ও খারাপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য যে ব্যক্তি নিজের জন্য কিছু খরচ করল তা তার জন্য সদকা এবং যে ব্যক্তি নিজ স্ত্রী, সন্তান-সন্তুতি ও পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কিছু খরচ করল তা তার জন্য সদকা হিসেবে পরিগণিত হবে।’ -মুজামুল আওসাত: ৩৮৯৭

আল মিকদাদ ইবন মাদি কারিব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘তুমি নিজে যা খাবে তা তোমার জন্য সদকা। তুমি তোমার সন্তানকে যা খাওয়াবে তা তোমার জন্য সদকা। তুমি তোমার স্ত্রীকে যা খাওয়াবে তা তোমার জন্য সদকা। তুমি তোমার চাকরকে যা খাওয়াবে তা তোমার জন্য সদকা।’ –মুসনাদে আহমাদ: ১৭২১৮

হজরত ইরবাদ ইবন সারিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘একজন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে পানি পান করালে সওয়াব লাভ করবে। তিনি বলেন, এ কথা শোনে আমি আমার স্ত্রীর কাছে আসলাম, অতঃপর তাকে পানি পান করালাম এবং আমি যা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে শুনেছি তা বর্ণনা করলাম।’ -মুসনাদে আহমাদ: ১৭১৯৫

অপর এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, আপন স্ত্রী যা খায় তাও সদকা। হজরত সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী করিম (সা.) শুশ্রুষার জন্য তার কাছে গেলেন। যেই জমিন থেকে তিনি হিজরত করেছেন সে জমিনে মৃত্যুবরণ করতে তিনি পছন্দ করছেন না। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার সব সম্পত্তি অসিয়ত করতে চাই। তিনি (সা.) বললেন, ‘না। তিনি বললেন, তবে অর্ধেক অসিয়ত করি। তিনি (সা.) বললেন, না। তিনি বললেন, তবে আমি এক-তৃতীয়াংশ অসিয়ত করি। নবী করিম (সা.) বললেন, এক-তৃতীয়াংশ করতে পারো, এক-তৃতীয়াংশই অনেক। তুমি তোমার সন্তান-সন্ততিকে মুখাপেক্ষী করে রেখে যাবে, আর তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে চেয়ে বেড়াবে এর চেয়ে তাদের তুমি অমুখাপেক্ষী করে রেখে যাবে, এটিই উত্তম। তুমি পরিবারের জন্য যা খরচ করবে তাই সদকা। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে লোকমা তুলে দেবে তাও সদকা।’ –সহিহ বোখারি: ২৫৯১

তবে ওপরে বর্ণিত সওয়াব তখনই পাওয়া যাবে, যখন কোনো মুমিন তার স্ত্রীকে পানাহার করাবে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করে, ঈমানি চেতনা নিয়ে।

হজরত আবু মাসউদ আল বাদরি (রা.) বর্ণিত অপর এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় যখন কোনো মুসলমান তার পরিবারের জন্য কিছু খরচ করে, তখন তা তার জন্য সদকায় পরিণত হয়।’ -সহিহ মুসলিম: ২৩৬৯

সন্তান-সন্তুতির প্রতি অনুগ্রহ করলে জান্নাত লাভ হয় এবং জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমার কাছে দু’টি কন্যা সন্তানসহ এক মিসকিন এলো। আমি তাকে তিনটি খেজুর দিলাম। সে প্রত্যেককে একটি করে খেজুর দিলো এবং সে নিজে খাওয়ার জন্য একটি খেজুর মুখের দিকে উঠাল। কিন্তু তার কন্যাদ্বয় খেজুরটি খাওয়ার জন্য তার কাছে চাইল। ফলে সে যে খেজুরটি খেতে চেয়েছিল তা দু’ভাগে ভাগ করে দু’জনকে দিয়ে দিলো। তার বিষয়টি আমাকে বিস্মিত করল। সে যা করল আমি তা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে বললাম। অতঃপর নবী করিম (সা.) বললেন, নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিয়েছেন। অথবা তিনি বললেন, নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা এর বিনিময়ে জাহান্নামের আগুন থেকে তাকে মুক্তি দিয়েছেন।’ -সহিহ মুসলিম: ৬৮৬৩

স্ত্রীকে যাই দেওয়া হোক তাই সদকা হিসেবে গণ্য। হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) একদা আমর ইবন উমাইয়ার কাছে এলেন, তখন তিনি বাজারে রেশমি চাঁদরের দরদাম করছিলেন। তিনি বললেন হে আমর! রেশমি চাঁদর কী করা হবে? তিনি বললেন, আমি এটি ক্রয় করব, অতঃপর তা সদকা করব। তিনি বললেন, কাকে সদকা করবেন? তিনি বললেন, আমার সঙ্গিনীকে। তিনি বললেন, আপনার সঙ্গিনী কে? তিনি বললেন, আমার স্ত্রী। তিনি বললেন, আপনি আপনার স্ত্রীকে সদকা করবেন? তিনি বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহকে (সা.) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে যা দেবে তাই তোমাদের জন্য সদকা হিসেবে পরিগণিত হবে। তিনি (হজরত উমর) বলেন, হে আমর! আপনি হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর মিথ্যা আরোপ করবেন না।

অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস না করা পর্যন্ত আমি আপনাকে ছাড়ব না। বর্ণনাকারী বলেন, তারা উভয়েই গিয়ে হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন। অতঃপর তাকে আমর বললেন, হে আম্মাজান! ইনি উমর। তিনি আমাকে বলছেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর মিথ্যা আরোপ করবেন না। আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলি, আপনি কি হজরত রাসূলুল্লাহকে (সা.) এ কথা বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেন, তোমরা যা তাদেরকে (স্ত্রীদেরকে) দেবে তাই তোমাদের জন্য সদকা হিসেবে পরিগণিত হবে। তিনি বললেন, আল্লাহুম্মা! হ্যাঁ, আল্লাহুম্মা হ্যাঁ। -মারিফাতুস সুনান ওয়াল আসার: ২৫৫৮

সন্তান-সন্ততির জন্য যা খরচ করা হয় তাই সর্বশ্রেষ্ঠ দান। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘তুমি একটি দিনার আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছ, একটি দিনার দাস মুক্তির কাজে ব্যয় করেছ, একটি দিনার মিসকিনকে দান করেছ, আর একটি দিনার তোমার পরিবারের জন্য খরচ করেছ। এর মধ্যে যে দিনারটি তুমি তোমার পরিবারের জন্য খরচ করেছ; তার সওয়াব সবচেয়ে বেশি।’ -সহিহ মুসলিম: ২৩৫৮

   

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

;