সামাজিক মাধ্যমে কোরবানির ছবি নয়: সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানি

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানি, ছবি: সংগৃহীত

সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানি, ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহা ত্যাগের উৎসব নামে পরিচিত। ঈদুল আজহা বিশ্বজুড়ে উদযাপিত ইসলাম সম্প্রদায়ের অন্যতম বিশেষ উৎসব। এটা ভারতীয় উপমহাদেশে বকরি ঈদ নামেও পরিচিত। ইসলামের বিধানে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। ভারতে সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহা পালিত হবে।

ঈদের আগে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশে একগুচ্ছ উপদেশ দিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রধান সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানি।

বিজ্ঞাপন

আল্লামা সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানি ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের প্রাণপুরুষ সাইয়্যিদ হোসাইন আহমদ মাদানির ছেলে ও সাইয়্যিদ আসআদ মাদানির ভাই। বর্তমানে তাকে ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী আলেম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০২০ সালে দারুল উলুম দেওবন্দের সদরুল মুদাররিসীন ও ২০২১ সালে তিনি পঞ্চম ‘আমিরুল হিন্দ’ নির্বাচিত হন।

ভারতের প্রভাবশালী এই আলেম ‘কোরবানির সময়ের কোনো ছবি বা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড না করার কথা’ বলেছেন।

আল্লামা মাদানি বলেন, ‘ইসলামে ত্যাগের থেকে বড় আর কিছু নেই। মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের জন্য তা এক ধর্মীয় কর্তব্য। প্রচার এড়িয়ে চলুন। কোরবানি দেওয়ার সময় মুসলিমদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। কোরবানির সময় পশু জবাই করার কোনো ছবি বা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’

পাশাপাশি কোরবানির ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশিকা সঠিকভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ‘যদি কোথাও পশু কোরবানি দিতে বাধা দেওয়া হয়, তবে ঝামেলা এড়িয়ে সেখানকার প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া বাঞ্ছনীয়’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি মাওলানা মাদানি কোরবানির সময় মানুষকে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাস্তাঘাট কিংবা ড্রেনে পশুর বর্জ্য না ফেলে এমনভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে; যাতে কোনো দুর্গন্ধ না ছড়ায়। উৎসবকে ঘিরে যাতে কোনো প্রকার হিংসার আবহ তৈরি না হয় সেই বিষয়েও সবাইকে সচেতন করেছেন আল্লামা মাদানি।

কোরবানির সময় যাতে শান্তির আবহ বজায় থাকে- সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি। ‘কোথাও গন্ডগোল হলে আইন নিজের তুলে না নিয়ে, ধৈর্য্যচ্যুতি না ঘটিয়ে থানার অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।’ সেই সঙ্গে কোনো প্রকার ধর্মীয় উসকানিতে পা না দিতে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের এই ধর্মীয় অভিভাবক।