রেকর্ড সংখ্যক হজযাত্রীর অপেক্ষায় সৌদি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরাফাতের ময়দানে যাচ্ছেন হাজিরা, ছবি : সংগৃহীত

আরাফাতের ময়দানে যাচ্ছেন হাজিরা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৯ মে বাংলাদেশ থেকে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এর পরের দিন ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও ভারত থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরব যাওয়া শুরু করবেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর ১৪ জুন থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই মক্কায় ভিড় জমানো শুরু করবেন হজযাত্রীরা। এই সময়ে কোনো উমরাযাত্রী গ্রহণ করবে না দেশটি।

এ বছর মক্কায় রেকর্ড সংখ্যক হজযাত্রীর সমাগম হতে পারে, এমন ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।

সুন্দর ও আরামদায়কভাবে যেন হাজিরা হজ সম্পন্ন করতে পারেন সে বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদির সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করছে।

হজ সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো ধারণা করছে, এবারের রমজান মাসে রেকর্ড সংখ্যক ৩ কোটি মানুষ উমরা পালন করার পর- হজেও মুসল্লিদের ঢল নামবে।

সদ্য বিদায় নেওয়া রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববিতে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ নামাজ আদায় করেছেন। রমজানে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ বিমানবন্দর দিয়ে ৯০ লাখ মানুষ মদিনায় আসেন। হজের আগে ও পরে অনেক মানুষ মদিনায় যান।

গত বছর হজপালন করেছিলেন ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ জন পুরুষ ও নারী। যার মধ্যে বিদেশির সংখ্যা ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ ও সৌদি আরবের হাজির সংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৩০ জন। করোনা মহামারির কারণে এর আগের তিন বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু গত বছর সব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়।

হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এবার হজে ২৫ লাখ মুসল্লির সমাগম ঘটবে। তাদের প্রত্যাশা এবার গতবারের তুলনায় আরও বেশি মানুষ হজ করতে আসবেন। তাই হজের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই নেওয়া শুরু হয়েছে।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজপালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৪ হাজার ৩০৭ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

   

হজের সফরে যেসব কাজ কখনও করবেন না



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি: সংগৃহীত

আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর যারা হজপালনে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে হজে যাবেন- তাদের জন্য এই লেখা। কাউকে কষ্ট দেওয়া উদ্দেশ্য নয়, ব্যক্তিগত মতামত থেকে কিছু পরামর্শ। দয়াময় আল্লাহর ইচ্ছায় কয়েকবার মক্কা-মদিনা সফরের সুযোগ হয়েছে। সেই আলোকে কাছে থেকে দেখা বিষয়গুলো উত্থাপন করা হলো-

এক. উড়োজাহাজ থেকে নামার পর যে বাসে উঠিয়ে রানওয়ে পার করালো সেটাতে কেন বসার সিট নেই? আমরা কি টাকা কম দিছি? মুরগির খাঁচায় উঠাবে কেন? এয়ারলাইন্সগুলো এটার ব্যবস্থা করতে না পারলে হাঁটিয়ে নিতো! বাসে ৩-৪ মিনিটের পথ, তাতেই এই অবস্থা!

দুই. মক্কার হোটেলে উঠার পর থেকে শুনছি অনেক সমস্যা এই হোটেলে। ওয়াইফাই নেই, লিফটের সংখ্যা কম, বাথরুমে টিস্যু দেয় না, ফিল্টারে পানি নাই আরও কত কি! অনেক হাজি ১০ জন ক‍্যাপাসিটির লিফটে ৬-৭ জন উঠলে বাকীদের উঠতে দেয় না। একটু চেপে দাঁড়ালে অন্যরা উঠতে পারত, সেটা করে না। আবার নিজের লোক উঠানোর জন্য ৪-৫ মিনিট লিফট এক ফ্লোরে আটকে রাখে।

তিন. হোটেল ছেড়ে গেলাম মিনার তাঁবুতে। সাধারণত তাঁবুর ফোমের বেডগুলো হয় খুব ছোট। এবার শুরু হলো নানা কথা, ফোম না দিয়ে কার্পেট দিলে ভালো ছিল; আরামে শুতে পারতাম!

চার. সকালে খাবারের মেনুতে কেন ডিম সিদ্ধ দিল? তার চেয়ে দুপুরে ওইটা দিলে ভালো হতো। রাতে কি এই চর্বিওয়ালা গোশত খাওয়া যায়? খাবার দিতে এত দেরি কেন? খাবারের পরিমাণ এত বেশি কেন? অপচয় হচ্ছে। আল্লাহ জানেন, পরিমাণ কম দিলে কী যে হতো!

পাঁচ. ওয়াশরুম ও অজুখানার সংখ্যা এত কম কেন? সৌদি আরবের তো জায়গার অভাব নেই। তার ওপর আমরা এত এত টাকা দিচ্ছি হজে আসতে। মাটির নীচে ১ হাজার ওয়াশরুম বানায় না কেন? যদিও সেগুলো বছরে একবার লাগে। মিনায় ৩ দিন দিন, আরাফাতে ১ দিন ও মুজদালিফায় ১ রাত ব্যবহার করা হয়।

ছয়. অজুর জন্য ৩-৪ জনের পেছনে সবসময় লাইন ধরতে হয়। তাই কেউ কেউ লাইন ভেঙে অজু করে (অন্যের হক নষ্ট করে) দ্রুত আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে চায়। কেউ আবার নারীদের অজুখানায় ভিড় কম দেখে সেখানে যেয়ে অজু করে। এদিকে নারীরা নানা মন্দ কথা বলে, নিষেধ করে। তারা এসব গায়ে না মেখে, নারীদের কথার জবাব দিতে দিতে অজু করতে থাকেন।

সাত. মিনার তাঁবুতে ইবাদত-বন্দেগির বদলে চলে আড্ডা ও পরনিন্দার আসর। বাকি সময় ঘুম ও খাওয়া। মিনা ও আরাফাতে বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়ে (সুন্নত/ওয়াজিব) মতানৈক্য, পরস্পরে ঝগড়া। এর কোনোটাই কাম্য নয়।

আট. মিনা-আরাফাতের টয়লেটের দরজায় ধুমধাম আওয়াজ করে। ভেতরে লোক থাকলে দরজায় যে একটা লাল সিগনাল দেখায়, সেটা জানা নেই। অনেকে আবার টয়লেট ব্যবহারের পর ফ্ল্যাশ করে না।

নয়. প্রত্যেকের হাতের বেল্টে তাবুর নম্বর দেওয়া আছে। তবুও এক তাঁবুর লোক অন্য তাঁবুতে এসে বিছানা দখল করে থাকে। ফলে ক্রাইসিস তৈরি হয়, তাদের চলে যেতে বললে শুরু হয় নয়া ঝামেলা।

দশ. অনেকে ৪-৫টা বেড একসঙ্গে করে ওপরে চাদর বিছিয়ে দেয়। ফলে সহজে বোঝা যায় না, এখানে কয়টা বেড আছে। এতে লোক ঘুমায় ২-৩ জন। এভাবে নিজেরা আরাম করে ঘুমায়, অন্যরা কষ্টে থাকে।

এগারো. তাঁবুর বাইরে বিভিন্ন পয়েন্টে বিনামূল্যে চা-কফি দেয়। এগুলো দেওয়া হয় সৌদি মোয়াল্লিমের ব্যবস্থাপনায়। একবার চা শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশাল ঝগড়া শুরু হয়। পরে তাঁবুতে এসে দুই-তিন সিদ্ধান্ত নেয়- হজ অফিসে লিখিত অভিযোগ দেবে!

বারো. কিছু লোক এখানেও ধূমপান করেন। আবার অনেক হাজি ‘জামালের মা’কে (নিজের স্ত্রী) খুঁজতে নারীদের পর্দাঘেরা স্থানে অবাধে ঘুরতে থাকেন।

তেরো. হজের সময় যেখানেই হেঁটে পার হই, একটা বাক্য সবসময় শুনতে পাই, ‘আমরা এখানে টাকা দিয়ে এসেছি, কারও দয়ায় আসিনি; সার্ভিস পাবো না কেন?’ আরেকটা বিষয়, কোনো বাংলাদেশির সঙ্গে দেখা হলে কুশল বিনিময়ের পরের প্রশ্নই থাকে, ‘কত টাকা দিয়ে এসেছেন?’

চৌদ্দ. তাঁবুতে এত এত লোক গাদাগাদি করে থাকতে গেলে অসুবিধা হবেই। যদিও মাত্র কয়েকটি রাতের ব্যাপার। কিন্তু কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না। ন্যূনতম সহযোগিতা-সহমর্মিতার মানসিকতা নেই আল্লাহর ঘরের মেহমানদের।

পনেরো. মিনা ও আরাফাতের তাঁবুতে বেডগুলো চাপাচাপি করে রাখা, তাতে মানুষে চলাচলের রাস্তা নেই। তাই বাধ্য হয়ে অন্যের বেড মারিয়ে নিজের বেডে যেতে হয়। যাদের বেড আপনার রাস্তায় ওপর হয়, তারা খুব বিরক্ত হন। বলেন, ‘আপনার বেডে কেমনে যাবেন, সেটা আমি জানি না। কিন্তু এখান দিয়ে যেতে পারবেন না।’

ষোলো. একজন বলে এসি বাড়ান, আরেকজন বলে কমান। কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি না। মজার বিষয় হলো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা তাঁবুতেই নেই। এটা অন্য জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

সতেরো. মুজদালিফার খোলা ময়দানে কারও জায়গা নির্দিষ্ট করা নেই। যে যেখানে পারছে, চাদর বিছিয়ে শুয়ে পরছে। এই সুযোগে অনেকে বেশি জায়গা দখল করছে, অন্যপাশে লাগেজ রাখছে- যেন ধারেকাছে কেউ আসতে না পারে। আপনি বেশি জায়গা নিয়ে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন, অথচ আরেকজনের বসার সুযোগ নেই।

আঠারো. বিয়ের অনুষ্ঠানে পাঁচশ-এক হাজার লোকের একবেলা খাবারের আয়োজন করতে আমাদের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। সেখানে ২০-২২ লাখ লোকের ৫ দিনের আয়োজনে (থাকা, খাবার খাওয়া, যাতায়াত) একটু সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। একটু ধৈর্য ধরলেই হয়।

ঊনিশ. এক হাজি সাহেব ২০ রিয়ালের মোবাইল রিচার্জ কার্ড কিনেছেন। কিন্তু নিয়ম না জানায় রিচার্জ করতে পারছেন না। এক বাংলাদেশি হজকর্মী নিজ থেকে এগিয়ে গেল। সে অনেকদিন থেকে সৌদি থাকে। কিন্তু নেটওয়ার্কের সমস্যায় সেও পারল না। হাজি সাহেব চিৎকার ও গালাগাল শুরু করলেন। আশেপাশের লোকজন বলছেন, ‘দয়া করে শান্ত হোন। ২০ রিয়ালের জন্য হজ নষ্ট করবেন না।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা!

বিশ. তাঁবুর বাইরে ফ্রিজভর্তি পানির বোতল ও জুসের প্যাকেট দেওয়া থাকে। এখান থেকে অনেকে একাই এক কেইস্ (৪০-৪৫ টা) নিয়ে নেয়, ফলে অন্যরা আর পায় না। আর কোনো কিছু ফ্রি’তে বিতরণ করতে দেখলে অনেক হাজি সেখানে ভিড় করে, ধাক্কা-ধাক্কি করে- এগুলো কতটা ঠিক?

এখানে কিছু কথা লেখা হলো, এগুলো সাধারণ বিষয়। এমন আচরণ হাজিদের কাছ থেকে কাম্য নয়। কষ্ট সহ‍্য করা, ধৈর্যধারণ, ভদ্র আচরণ, পরস্পরে সহযোগিতা-সহমর্মিতা হজের সফরের প্রয়োজনীয় বিষয়। আর হজের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও কমবেশি সবারই জানা, তার পরও এমন আচরণ ও কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমন মনোভাব থাকলে, কি দরকার কি ছিল এত কষ্ট করে হজ করার? এর চেয়ে অনেক কম টাকায় ফাইভ স্টার মানের হোটেলে আরাম করে এক-দেড় মাস থাকলেই তো ভালো হতো!

আল্লাহতায়ালা সবাইকে ভুল ও ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে সবার হজ কবুল করুক। আমিন।

;

মক্কায় বাংলাদেশি হজযাত্রীর ওপেন হার্ট সার্জারি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মক্কার কিং আবদুল্লাহ মেডিকেল সিটি, ছবি: সংগৃহীত

মক্কার কিং আবদুল্লাহ মেডিকেল সিটি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মক্কার কিং আবদুল্লাহ মেডিকেল সিটির বিশেষজ্ঞরা ওপেন হার্ট সার্জারি করে এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর জীবন রক্ষা করেছেন।

সুবাক ওয়েবসাইটের খবরে বলা হয়েছে, ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশি হজযাত্রী হোটেলে অবস্থানকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

হোটেল কর্তৃপক্ষ রেড ক্রিসেন্টকে খবর দিলে বাংলাদেশি ওই হজযাত্রীকে দ্রুত আল নূর হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়- তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকরা তাকে তাৎক্ষণিক অপারেশনের জন্য কিং আবদুল্লাহ মেডিকেল সিটিতে নিয়ে যান, যেখানে আরও উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, তার হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী তিনটি শিরা বন্ধ হয়ে গেছে। পরে কিং আবদুল্লাহ মেডিকেল সিটির বিশেষজ্ঞরা তার ওপেন হার্ট সার্জারি করেন। অপারেশনের পর তাকে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।

উল্লেখ্য যে, হজের সময় হজযাত্রী সব ধরনের চিকিৎসা সৌদি সরকার বিনামূল্যে দিয়ে থাকে। চলতি হজে হাজিদের চিকিৎসায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরব।

দেশটি জানিয়েছে, চলতি বছর হজের মৌসুমে হাজিদের চিকিৎসায় ড্রোন ব্যবহার করা হবে। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হজের মৌসুমে চিকিৎসার জন্য ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মূলত হাজিদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজে এ ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ড্রোনগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার করা হবে। এগুলোর মাধ্যমে মিনা ও আরাফাতের ময়দানের আশপাশের হাসপাতালে রক্ত ও ল্যাবের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। চলতি বছরের আসন্ন বার্ষিক হজের মৌসুমে এগুলোকে ব্যবহার করা হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের এমন পদক্ষেপের ফলে রক্ত ল্যাবে পৌঁছাতে মাত্র দুই মিনিটের মতো সময় লাগছে। যেখানে স্বাভাবিক ব্যবস্থায় এ জন্য অন্তত আড়াই ঘণ্টা ব্যয় করতে হতো।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজ উপলক্ষে মক্কা অঞ্চলে ১৬টি হাসপাতাল, ১২৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা দেওয়া হবে। এর বাইরে মক্কা ও মাশায়েরে হারাম এলাকায় ৫টি অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা হবে। এ ছাড়া আজইয়াদ ইমারজেন্সি হাসপাতাল, আল হারাম হাসপাতাল, মসজিদে হারামের ৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ মিসফালা রোডে দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাজিদের সেবার নিয়োজিত থাকবে। প্রস্তুত থাকবে ৮০টি ছোট অ্যাম্বুলেন্স, ৭৫টি বড় অ্যাম্বুলেন্স, ৩৩টি সহায়ক অ্যাম্বুলেন্স দল মসজিদে নামিরা ও জাবালে রহমত, মিনার তাঁবু, মুজদালিফা ও জামারাত এলাকায়।

উল্লেখ্য, চলতি বছর হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৪২ হাজার ২০০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। শনিবার (২৫ মে) দুপুর ১২টায় হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, সৌদি আরবে হজপালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই পুরুষ। এর মধ্যে মক্কায় তিন জন এবং মদিনায় দুই জন।

;

সৌদি পৌঁছেছেন প্রায় সাড়ে ৪২ হাজার হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৪৪৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

শনিবার (২৫ মে) হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ৩৭ হাজার ৬৯৯ জন।

বাংলাদেশ থেকে ১০৪টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৪৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৩৪টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২২টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

এদিকে, সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই পুরুষ।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হবে ১০ জুন।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন। যা শেষ হবে ২২ জুলাই।

;

মক্কা প্রবেশে কঠোর বিধি-নিষেধ, ১৩৮ ভাষার অনুবাদ ডিভাইস



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মক্কার একটি চেকপয়েন্ট, ছবি: সংগৃহীত

মক্কার একটি চেকপয়েন্ট, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের স্থানীয় হিসাবে বৃহস্পতিবার জিলকদ মাসের ১৫ তারিখ। আজ থেকে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে প্রবেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ শুরু হয়েছে। পবিত্র হজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির জননিরাপত্তাবিষয়ক অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে, ১৫ জিলকদ) থেকে শুরু হওয়া এ বিধি-নিষেধ হজের পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে। এ সময়ে স্থানীয়দের মক্কায় প্রবেশে প্রয়োজন হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন।

আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন হজের প্রস্তুতি এবং হজযাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে বিনা অনুমতিতে মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে হজের স্থানগুলোতে কাজ করার অনুমোদন, মক্কায় বসবাসকারীর আইডি ও হজের অনুমোদন ছাড়া মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, অনুমোদন ছাড়া যারা মক্কায় প্রবেশ করতে চাইবে তাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ফিরিয়ে দেবে।

সব ধরনের ভিজিট ভিসায় মক্কায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র হজ ভিসাধারীরা মক্কায় প্রবেশ করতে পারবেন। ভিজিট ভিসার ধরন যাই হোক না কেন, এটি হজ পারমিট নয় এবং এই ধরনের ভিসাধারী ব্যক্তিদের হজ করার অনুমতি নেই'। মন্ত্রণালয় সতর্কতা জারি করে আরও বলেছে, কোনো ভিজিট ভিসাধারী যদি মক্কায় থাকে, তাদের অবিলম্বে চলে যেতে হবে। হজ ভিসা ব্যতীত অন্য যেকোনো ধরণের ভিসাধারীরা মক্কায় প্রবেশের চেষ্টা করলে বা মক্কার ভেতরে পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৩৮ ভাষায় তাত্ক্ষণিক অনুবাদ ডিভাইস
সৌদি পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন বিভাগের মুখপাত্র মেজর নাসির আল ওতাইবি জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের সেবা করার জন্য, কর্মকর্তাদের ১৩৮ ভাষায় দ্রুত অনুবাদের ডিভাইস সরবরাহ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হজযাত্রীদের সম্ভাব্য সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে বিভিন্ন দেশ থেকে ৩ লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

;