৯৯ মডেল মসজিদের জমি পাচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইসলাম
মডেল মসজিদের ডিজাইন, ছবি: সংগৃহীত

মডেল মসজিদের ডিজাইন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৯৯ মসজিদের জন্য প্রতীকী মূল্যে খাস জমি বন্দোবস্ত ও জমি অধিগ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমি বন্দোবস্ত চূড়ান্ত ও ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ করতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারভিত্তিক ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পে’র আওতায় এসব জমি পাচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের (পরিকল্পনা-২) শাখার উপ-সচিব মো. শাখাওয়াত হোসেন স্বাক্ষরিত আলাদা দুই চিঠিতে জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাবিত মোট ৩৭টি খাস জমি ‘অকৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত নীতিমালা’ অনুযায়ী প্রতীকী মূল্যে দীর্ঘ মেয়াদে বন্দোবস্ত ও ৬২টি স্থানের ব্যক্তিগত জমি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নামে অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনিক মঞ্জুরি প্রদান করার কথা বলা হয়েছে।

ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রচার-প্রসারের লক্ষে সরকার দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে নয়টি মসজিদের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মোট ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি সৌদি অর্থায়নে হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে সৌদি আরব এ বিষয়ে নিরব থাকায় ধর্ম মন্ত্রণালয় নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/14/1547477852884.jpg

যে সব জেলা-উপজেলায় খাস জমি বন্দোবস্ত করা হবে সেগুলো হলো- গাজীপুর জেলা সদর (মডেল), গাজীপুর সদর উপজেলা, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া ও মুকসেদপুর, কিশোরগঞ্জের সদর, কুলিয়ারচর, ভৈরব, বাজিতপুর ও অষ্টগ্রাম; মানিকগঞ্জের ঘিওর, টাঙ্গাইলের কালিহাতি, নাটোরের লালপুর ও সিংড়া; চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, ফরিদপুর, পাবনার সাথিয়া, সিরাজগঞ্জ জেলা সদর, সদর উপজেলা সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধার পলাশবাড়ি, কুড়িগ্রাম জেলা সদর, নীলফামারী জেলা সদর, রংপুরের কাউনিয়া, ঠাকুরগাঁও জেলা সদর, হরিপুর ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ও রানীশৈংকল, জামালপুরের ইসলামপুর, সদর উপজেলা, সরিষাবাড়ি, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ঈশ্বরগঞ্জ ও মুক্তাগাছা, বরগুনার তালতলী, নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ, সোনাইমুড়ি ও সুবর্ণচর এবং ঝিনাইদহের শৈলকুপা।

যে সব জেলা-উপজেলায় খাস জমি বন্দোবস্ত করা হবে

যে সব জেলা-উপজেলার নামে ব্যক্তিগত অধিগ্রহণের জন্য মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- ফরিদপুরের সালথা, গোপালগঞ্জের সদর ও কাশিয়ানী, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন ও ইটনা, মাদারীপুরের শিবচর, নারায়ণগঞ্জের সদর, নরসিংদীর রায়পুরা, রাজবাড়ী সদর, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, বগুড়া জেলার শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ ও সোনাতলা; সিরাজগঞ্জের বেলকুচি; কামারখন্দ ও কাজীপুর, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ; চিরিরবন্দর ও কাহারোল, গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর; সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ, পঞ্চগড়ের সদর, রংপুরের গঙ্গাচড়া; পীরগাছা ও তারাগঞ্জ, শেরপুর সদর, বরিশালের বাকেরগঞ্জ, ঝালকাঠি সদর, পিরোজপুরের ইন্দুরকানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া; বাঞ্ছারামপুর; নাসিরনগর, সরাইল ও আশুগঞ্জ, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও চন্দনাইশ, কুমিল্লার দেবিদ্বার, নোয়াখালীর চাটখিল ও কবিরহাট, ফেনীর ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম, চুয়াডাঙ্গা সদর; দামুড়হুদা ও জীবননগর, যশোর সদর ও কেশবপুর, ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু; কালীগঞ্জ ও মহেশপুর, মাগুরার শালিখা ও শ্রীপুর, মেহেরপুরের মুজিবনগর, হবিগঞ্জের সদর; চুনারুঘাট ও মাধবপুর, সিলেটের ওসমানীনগর, মৌলভীবাজার সদর ও কমলগঞ্জ।

যে সব জেলা-উপজেলায় ব্যক্তিগত জমি অধিগ্রহণ করা হবে

এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি জেলায় এবং পাঁচ সিটি কর্পোরেশনে চারতলা বিশিষ্ট এবং উপজেলায় তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হবে।

৪৭৫টি উপজেলায় তিন তলা মডেল মসজিদ হবে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ১৬টি চারতলা মডেল মসজিদ হবে, যেখানে নীচ তলা ফাঁকা রাখা হবে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মূল মসজিদে মহিলাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া অসুস্থ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা সিঁড়ি থাকবে। মডেল মসজিদে অফিস, কনফারেন্স হল, লাইব্রেরি, হিফজখানা, লাশ গোসলের ব্যবস্থা ও একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকবে।

   

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

;