মসজিদে হারামে ইতিকাফকারীদের জন্য পরামর্শ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মসজিদে হারামে ইতিকাফরত মুসল্লিদের একাংশ, ছবি : সংগৃহীত

মসজিদে হারামে ইতিকাফরত মুসল্লিদের একাংশ, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকে মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে ইতিকাফ করা যায়। তবে ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নিবন্ধন করতে হবে।

রোববার (১৭ মার্চ) থেকে মসজিদে হারামে অনলাইনে ইতিকাফের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিকাফ করতে আগ্রহীদের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://eservices.gph.gov.sa/Permessions/) আবেদন করতে হবে।

নিবন্ধনের শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে- ইতিকাফকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হওয়ার পাশাপাশি মসজিদের নিয়ম-নীতি পালন করতে হবে এবং রমজানের ২০তম দিনের নির্ধারিত সময়ে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে।

গত বছর মসজিদে হারামে আড়াই হাজার মুসল্লি ইতিকাফ করেছেন। করোনা মহামারির পর ২০২২ সাল থেকে মক্কা-মদিনার এই দুই মসজিদে অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে ইতিকাফের নিয়ম চালু হয়।

আগামী ৩০ মার্চ সন্ধ্যা থেকে এবারের রমজানের ইতিকাফ শুরু হবে।

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। শরিয়তের পরিভাষায় তা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে জাগতিক কাজকর্ম ও পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিশেষ সময়ে ও বিশেষ নিয়মে নিজেকে ব্যস্ত রাখা। রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালন করা সুন্নতে মোয়াক্কাদা কেফায়া।

প্রতিবছর ইতিকাফ করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা ইসলামের কেন্দ্রস্থল মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে সমবেত হন। পবিত্র রমজান মাস ওমরাহর মৌসুম হিসেবে পরিচিত। এ সময় বিশ্বের নানা দেশ থেকে মুসলিমরা ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গমন করেন। গত বছর এক কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করেন। এ বছর দুই কোটিরও বেশি ওমরাহযাত্রীর আশা করছে সৌদি আরব।

অনেক বাংলাদেশি মসজিদে হারাম ও নববিতে ইতিকাফ সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ চান। তাদের জন্য পরামর্শ হলো-

এক. মক্কায় রমজানের শেষ ১০দিনে বিভিন্ন জায়গায় চলাচলের ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০-২৫ লাখ মানুষের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন এলাকা আলাদা আলাদ করে সাজানো হয়। এসব বিধি-নিষেধ মাথায় রেখে চলাচল করা।

দুই. রমজানের শেষ দশকে ওমরাহ ছাড়া অবৈধ উপায়ে মুহরিম না হয়ে ইহরাম পরে তাওয়াফ করতে না যাওয়া। এটা স্রেফ প্রতারণা, এমন প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে দেওয়া কষ্ট আপনার রোজা, তাওয়াফ ও অন্যান্য নফল ইবাদত বরবাদ করে দিতে পারে।

অভিজ্ঞজনদের অভিমত হলো, বাদশাহ আবদুল্লাহ এক্সটেনশনে ইতিকাফ করা সহজ এবং সুবিধাজনক। এর কারণ হলো-

১. নতুন এক্সটেনশনের ভবনে অজুর ব্যবস্থা রয়েছে। আর এখান থেকে ওয়াশরুমগুলো কাছে। নামাজের সময় ছাড়া ওয়াশরুমগুলো প্রায় খালি থাকে। ওয়াশরুমের জন্য বের হলে ভেতরে প্রবেশ করা তুলনামূলকভাবে সহজ।

২. নামাজের সময় ছাড়া চলাচল উন্মুক্ত রাখা হয়, আর ওমরাহকারীদের ভীড় এদিকে নেই।

৩. হাসপাতাল কাছে, জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত যাওয়া যায়। কমপ্লেক্সের বাইরের চত্ত্বরে বসে খাবার খাওয়া যায়।

অসুবিধাগুলো হলো-
১. মিসফালা বা ইবরাহিম খলিল রোডের বাঙালি হোটেলগুলো অনেক দূরে। এখান থেকে আজইয়াদের হোটেলগুলো কিছুটা কাছে। তাই জারওয়াল বা তাইসির এলাকায় রুম রাখতে হবে।

২. এই ভবনের বাথরুমে গোসলের জায়গা নেই। খাবার পানি সবসময় ঠান্ডা থাকে, নরমাল পানি সরবরাহ করা হয় না। পুরো ভবনের ভেতরে এসি অনেক বাড়ানো থাকে। তাই অনেকের ঠাণ্ডা লেগে যায়।

৩. একটু দূরে হওয়ায় কিছু কিছু জায়গায় গতবার ইফতার পৌঁছেনি। তাই বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখা।

৪. ইতিকাফ অবস্থায় তাওয়াফ করতে গেলে আপনাকে বাদশাহ ফাহাদ এক্সটেনশনে যেতে হবে। এ দিক থেকে যাওয়ার পথ খোলা থাকে খুবই কম সময়।

বাদশাহ ফাহাদ এক্সটেনশনের সমস্যা
১. অজুর জন্যও বাহিরে যেতে হয়। ওয়াশরুম দূরে এবং একই ওয়াশরুম অনেক মানুষ ২৪ ঘন্টা ব্যবহার করে। ফলে ভীড় ২৪ ঘন্টা লেগে থাকে। বাথরুমের জন্য বের হলে ভেতরে প্রবেশ করা অনেক কঠিন।

২. ওমরাহকারীদের ও বাহির থেকে আগত মুসল্লিদের ভীড় বেশি থাকে। ফলে চলাচলের অনেক জায়গায় নিরাপত্তার কারণে বিভিন্ন সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়।

৩. এ এলাকায় ভিআইপিদের যাতায়াত থাকে বেশি, ফলে প্রোটোকলের কারণে নানা সমস্যা তৈরি হয়।

৪. বাদশাহ ফাহাদ এক্সটেনশনেও নরমাল পানি পাওয়া যায় না। অর্থাৎ পুরো হারামে কোথাও নরমাল পানি নেই বলা যায়।

সুবিধা
১. বাঙালি খাবার হোটেল কাছে। আজইয়াদ ও মিসফালা বিশেষ করে ইবরাহিম খলিল রোড কাছে। সহজে তাওয়াফের জন্য যাওয়া যায়। নরমাল পানি পাওয়া যায়।

২. নামাজের সময় ভেতরে থেকে জায়গা বদলে তাওয়াফের জায়গায় যেয়ে নামাজ পড়া যায় সহজে।

যারা ইতিকাফে বসবেন তাদের জন্য পরামর্শ
১. শুকনো খাবার খাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি রাখা।

২. প্রস্রাব-পায়খানার ক্ষেত্রে নিজের কন্ট্রোলের সামর্থ্য থাকা। একটু পর পর প্রস্রাব-পায়খানার সমস্যা থাকলে হারামের হুদুদে (সীমানার ভেতরে) অন্য কোথাও ইতিকাফ করা ভালো।

৩. খেজুর, টকদই, রুটি ও পনির খাওয়ার অভ্যাস থাকতে হবে ১০ দিনের জন্য। হালকা কাপড় রাখবেন, নরমাল স্যান্ডেল রাখবেন মোজা পড়া যায় এমন।

৪. প্রচুর হাঁটার অভ্যাস থাকা। দৈনিক অন্তত ১০-১৫ কিলোমিটার।

৫. বিভিন্ন সময় চলাচলের জায়গা নিরাপত্তার জন্য বন্ধ করা হবে। তখন ধৈর্যের দরকার হবে।

৬. মক্কার হারামের কোন দিকে কি আছে, কোন দিকে গেলে আপনার বসার স্থান, এগুলো সব চিনে রাখতে হবে। অধিকাংশ কর্তব্যরত পুলিশরা এগুলো চিনে না।

৭. কারো সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মসজিদের বাহিরে জায়গা নির্ধারণ করবেন। ভেতরে নির্ধারণ করলে আপনি খুব সহজে সেই জায়গা খুঁজে পাবেন না।

৮. প্রয়োজনীয় ওষুধ, কাগজ, কিছু টাকা, ভিসার কপি, পাসপোর্ট কপি, কলম, মেসওয়াক, ট্রাভেল সাবান ও টিস্যু এগুলো ছোট্ট একটা হ্যান্ডব্যাগে রাখবেন। পিঠের ব্যাগ না।

৯. সিভিট জাতীয় ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন রাখবেন। সেই সঙ্গে ২০ হাজার এমএইচের পাওয়ার ব্যাংক রাখবেন।

১০. মোটা জায়নামাজ ও ইহরামের কাপড় নিয়ে ঢুকবেন। জায়নামাজ নিচে বিছাবেন ও শুবেন। ইহরাম গায়ে দেবেন। নামাজের জন্য পাতলা জায়নামাজকে মাথার বালিশ বানাবেন।

১১. কাপড়চোপড় ও ব্যাগ রাখার জন্য কয়েকজন মিলে একটা রুম ভাড়া নিয়ে রাখবেন।

১২. ঈদের চাঁদ উঠলেই বের করে দেবে। দ্রুত বের হয়ে ঈদের নামাজের প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন সেই পরিকল্পনা করবেন।

   

সৌদি আলেমদের অভিমত

অনুমোদন ছাড়া হজ করা পাপ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি : সংগৃহীত

আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজপালন করার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় অনুমতি নেওয়াকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার। পবিত্র স্থানগুলোর পবিত্রতা নিশ্চিত করতে শরিয়া আইনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, সৌদির সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ মতামত দিয়েছে, যারা রাষ্ট্রীয় অনুমতি ছাড়া হজ করতে যাবেন তাদেরকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও যারা হজ করবেন তারা এর মাধ্যমে পাপ করবেন।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় এবং দুই পবিত্র মসজিদের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে আলেমদের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এরপর আলেমরা ঘোষণা দেন, হজ করতে হলে অবশ্যই পূর্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ জানায়, হজ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাবার সরবরাহ এবং অন্যান্য সেবা। যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করে হজ করবেন তারা আরও ভালো ও উন্নত সেবা পাবেন।

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো- হজ। প্রতি বছর জিলহজ মাসে হজ করেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। যেসব মুসল্লির আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে, তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও হজ করার বিধান রয়েছে।

মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ করতে পারেন, সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এবার তারা হজ করার জন্য অনুমতির বিষয়টি আবশ্যিক করে দিয়েছে।

;

সৌদিগামীদের উমরা পালনের সুযোগ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য উমরার ভিসা ইস্যু বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব। দেশটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের জন্য হজ ভিসা ইস্যু শুরু করেছে। আর যেসব যাত্রীর উমরা ভিসা রয়েছে তারা ৮ মে পর্যন্ত দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই ২৯ জিলকদ (৬ জুন) এর মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবগামীদের জন্য নতুন সুসংবাদ দিয়েছে দেশটি। এখন থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে উমরা পালন করা যাবে। গত ২৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর বার্তায় দেশটির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

তাতে বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে এলে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে উমরা পালন করতে পারবেন। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি উমরা করতে পারবেন। চাই তা ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে উমরা করতে কোনো বাধা নেই।

পবিত্র হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল থেকে দেশটির স্থানীয় বাসিন্দা ও সেখানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়। এতে আবাসন সুবিধা বিবেচনায় ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়াল পর্যন্ত চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

সৌদি আরব গত বছর থেকে উমরা-সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সৌদি আরবের নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে উমরা ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা, স্থল, বিমান ও সমুদ্রপথের যেকোনোটির মাধ্যমে মুসল্লিদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা। উমরা ভিসায় সৌদি আরব ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া।

এ ছাড়া দেশটি উমরার অনুমতি পেতে আগ্রহীদের নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং মসজিদে হারাম ও নববিতে পালনীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম, বিশেষ করে যারা শারীরিক বা আর্থিক কারণে হজ পালনে আসতে পারেন না, তাদের উমরা পালনের সুযোগ করে দেওয়াই এসব উদ্যোগের লক্ষ্য।

;

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহর তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়ার মাধ্যম হলো তার মহান হুকমগুলো পালন করা। তার হুকুমগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম হুকুম হলো নামাজ। আর এই নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে নফল নামাজ বান্দাকে আল্লাহর এতটা প্রিয় করে তোলে যে, সে যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাই তখন মহান আল্লাহ তাকে ফিরিয়ে দেন না। বরং তার চাওয়াকে পাওয়াতে রুপান্তরিত করে দেন ।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।

আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নিই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে।

আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কিছু চাই, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই।

আমি কোনো কাজ করতে চাইলে তা করতে কোনো দ্বিধা করি না, যতটা দ্বিধা করি মুমিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি। (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)

তাই যেকোনো সংকটপূর্ণ অবস্থায় কিংবা যেকোনো প্রয়োজনীয় মুহূর্তে নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করা। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের জন্য উচিত হলো, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারই কাছে ফেরা। তাতে মহান রবের ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জন হবে ইনশাআল্লাহ ।

খুব গুরুত্ব সহকারে ফরজ ও সুন্নত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায় করা। আর নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ (নফল) নামাজ আদায় করাকে সর্বোত্তম আমল বলে আখ্যা দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনু হুবশী আল-খাস’আমী রা. সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৪৯)

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর হুকুমগুলো আদায়ের মাধ্যমে, তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন।

;

হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট আগামী ৯ মে থেকে শুরু হবে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। দ্রুতই যাত্রীদের ফ্লাইট শিডিউল জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গাইড ও মোনাজ্জেমসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

এদিকে, পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সির মালিকেরা। তাই সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দ্রুত সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এজেন্সি মালিকেরা।

;