পরিকল্পনা করে রমজান কাটানো কেন জরুরি



মুফতি মুহাম্মদ তাসনীম, অতিথি লেখক, ইসলাম
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশের গ্রান্ড মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা, ছবি : রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশের গ্রান্ড মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা, ছবি : রয়টার্স

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজানের জন্য পরিকল্পনা করা, ব্যক্তিগত লক্ষ্য নির্ধারণ করা জরুরি। রমজানে নির্ধারিত লক্ষ্যগুলো হতে হবে সুবিন্যস্ত ও স্পষ্ট। তাহলে রমজান সফল হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে, রমজানের বরকত ও সওয়াব মিলবে। এজন্য কিছু মূলনীতি অনুসরণ করে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।

অভ্যাস পরিবর্তন কঠিন কিছু নয়
অনেকের ইচ্ছা থাকে, রমজানে নিজের কোনো নেতিবাচক অভ্যাস কিংবা জীবন থেকে নেতিবাচক কিছু ঝেড়ে ফেলার। এটি হতে পারে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার লক্ষ্য কিংবা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের লক্ষ্য। এক্ষেত্রে আপনাকে বলব ভিন্ন কথা। রমজানে কোনো অভ্যাস ত্যাগ কিংবা পরিবর্তনের লক্ষ্যের চেয়ে বেশি জোর দেওয়া উচিত- নতুন অভ্যাস গড়ার প্রতি। আপনার মন সেদিকে আকৃষ্ট হবে, যা নিয়ে আপনি চিন্তা করছেন। তাই যখন আপনার লক্ষ্যের কথা আপনি নেতিবাচক ভঙ্গিতে ভাববেন তখন আপনার মন তা করার প্রতিই বেশি আগ্রহী হবে।

সুতরাং ভাববেন না, ‘রমজানে ওজন ২০ কেজি কমাতে হবে।’ বরং ভাবুন, ‘রমজানের শেষে আমার ওজন ৭০ কেজিতে নিয়ে আসতে হবে।’ একইভাবে আপনি যদি ভাবেন, ‘এই রমজানে কোরআন খতম দিতে পারলে দেব, না হলে কী আর করা?’ তাহলে আপনার মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বরং ভাবুন, ‘এই রমজানে কোরআন মাজিদ খতম করতেই হবে।’

স্ব-প্রণোদিত হয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করা
রমজান নিয়ে আপনার লক্ষ্য হতে হবে প্রাসঙ্গিক। স্ব-প্রণোদিত হয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন। কারও কথায় আকৃষ্ট না হয়ে নিজের তাড়না থেকে লক্ষ্য নির্ধারণ করলে তাতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।

মানুষ সাধারণত এমন সব লক্ষ্য নির্ধারণ করে, যা পূরণ করা সহজেই সম্ভব। তবে রমজানে এমন করবেন না। একটু কঠিন লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। জীবনে আগে কখনো রমজানের প্রতি রাতে তাহাজ্জুদ পড়েননি, প্রতিদিন এশার নামাজের পর সম্পূর্ণ তারাবির নামাজ পড়েননি, আগে কখনো ইতিকাফ করেননি- তাহলে এবার চেষ্টা করুন। রমজানে কাজগুলো করা সহজ, কারণ শয়তান শিকলবদ্ধ থাকে, চারদিকে প্রবহমান থাকে রমজানের সুশীতল বাতাস। তাছাড়া আমলের ফজিলতও অনেক বেশি। নবী কারিম (সা.) রমজানের শেষ দশকের নিজের কোমরবন্ধ শক্ত করে বেঁধে নিতেন এবং রমজানের আগের বিশ দিন যে পরিমাণ ইবাদত করতেন, শেষ দশ দিন তার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিতেন। আমাদের এভাবে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার টার্গেট রাখতে হবে।

মনে করুন, রমজানে আপনি একবার সম্পূর্ণ কোরআন তেলাওয়াত করার লক্ষ্য স্থির করলেন। তাহলে, প্রতিদিন এক পারা অর্থাৎ২০ পৃষ্ঠা তেলাওয়াত করতে হবে। তাহলে, আপনি দিনে ১০ পৃষ্ঠা আর রাতে ১০ পৃষ্ঠা তেলাওয়াত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন। অথবা প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ৪ পৃষ্ঠা করে পড়তে পারেন। এভাবে সংখ্যাবাচক লক্ষ্য নির্ধারণ করলে তা পূরণ করা সহজতর হবে।

পর্যালোচনা
রমজানে আপনার লক্ষ্য কতটুকু পূরণ করতে পারছেন, তা প্রতিদিন হিসাব নিতে হবে; আত্মপর্যালোচনা করতে হবে। তাহলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন, কোথায় সমস্যা হচ্ছে এবং কোথায় আরও বেশি চেষ্টা চালাতে হবে। ইসলামি পরিভাষায় আত্মপর্যালোচনাকে মুহাসাবা বলে। হজরত হাসান (রহ.) বলেন, ‘মুমিন তার নিজের অভিভাবক। সে নিজেই নিজের হিসাব গ্রহণ করে। যারা দুনিয়াতে মুহাসাবা করেছে, আপন কৃতকর্মের হিসাব নিয়েছে, কেয়ামতের দিন তাদের হিসাব সহজ হবে। আর যারা মুহাসাবা ছাড়া জীবনযাপন করেছে, তাদের হিসাব কঠিন হবে।’ -হিলয়াতুল আউলিয়া : ২/১৫৭

নির্দিষ্ট লক্ষ্য
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, লক্ষ্য নির্দিষ্ট হওয়া। যেমন, আপনি রমজানে আপনার চরিত্র সুন্দর করতে চান। তা কীভাবে করবেন? কার সঙ্গে করবেন? চরিত্রের কোন কোন দিকগুলো সুন্দর করবেন? কোন কোন দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবেন এ ধরনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য রাখতে হবে।

কর্মসূচি
আপনি চাইলে রমজান ১০০ লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন। কিন্তু, আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকলে আপনি এর কোনোটাই পূরণ করতে পারবেন না। তাই এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আপনি প্রতিদিন ২০ পৃষ্ঠা কোরআন পড়বেন, ভালো কথা। এখন আপনি হিসাব করুন ১ পৃষ্ঠা তেলাওয়াত করতে কত সময় লাগে। এভাবে পরিকল্পনা করে নিতে হবে, প্রতিদিন তেলাওয়াতে কত সময় দিতে হবে।

লক্ষ্যগুলো লিখে রাখুন
ওপরে সংক্ষিপ্তভাবে যে দিক-নির্দেশনাগুলো দেওয়া হলো- এখন আপনি একটু সময় ব্যয় করে রমজানে আপনার নিজের জন্য ১৫টি লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা লিখে রাখুন। তারপর কিভাবে আপনি এই লক্ষ্যগুলো পূরণ করবেন তা নিয়ে চিন্তা-ফিকির করুন।

ব্যক্তিসত্তা
লক্ষ্য সম্পর্কে লেখার সময় নিজের ব্যক্তিসত্তাকে উদ্দেশ্য করে লিখবেন। সম্পূর্ণ বাক্য নিজের লক্ষে লিখবেন এবং সরাসরি নিজেকে উদ্দেশ্য করে লিখবেন। যেমন, ‘প্রতিদিন ৪৫ মিনিট কোরআন পড়া’ না লিখে লিখবেন- ‘আমি প্রতিদিন ৪৫ মিনিট কোরআন তেলাওয়াত করব।’

বর্তমান কাল
এটি হচ্ছে আরেকটি দারুণ কৌশল। লক্ষ্যগুলো ভবিষ্যৎ কালে না লিখে বর্তমান কালে লিখুন। লক্ষ্য সম্পর্কে লেখার সময় ভাবুন যদি সেই লক্ষ্য পূর্ণ হয়ে যেত, তাহলে আপনি কী লিখতেন এবং সেই কথাই লক্ষ্যের জায়গায় লিখে ফেলুন। যেমন, ‘এই রমজানে ১০টি সুরা মুখস্থ করব’ না লিখে আপনি লিখুন; ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে এই রমজান শেষে আমি ১০টি সুরা মুখস্থ করে ফেলেছি।’ এভাবে লিখলে যতবারই আপনি আপনার লক্ষ্যগুলো পড়বেন ততবার আপনি অনুভব করবেন, এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে আপনার কত ভালো লাগবে। নিঃসন্দেহে এই কৌশল আপনাকে লক্ষ্য পূরণে অনুপ্রাণিত করবে।

   

সৌদি আলেমদের অভিমত

অনুমোদন ছাড়া হজ করা পাপ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি : সংগৃহীত

আরাফাতের ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হজপালনকারীরা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজপালন করার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় অনুমতি নেওয়াকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার। পবিত্র স্থানগুলোর পবিত্রতা নিশ্চিত করতে শরিয়া আইনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।

সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, সৌদির সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ মতামত দিয়েছে, যারা রাষ্ট্রীয় অনুমতি ছাড়া হজ করতে যাবেন তাদেরকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও যারা হজ করবেন তারা এর মাধ্যমে পাপ করবেন।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় এবং দুই পবিত্র মসজিদের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে আলেমদের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এরপর আলেমরা ঘোষণা দেন, হজ করতে হলে অবশ্যই পূর্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ জানায়, হজ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাবার সরবরাহ এবং অন্যান্য সেবা। যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করে হজ করবেন তারা আরও ভালো ও উন্নত সেবা পাবেন।

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো- হজ। প্রতি বছর জিলহজ মাসে হজ করেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। যেসব মুসল্লির আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে, তাদের জীবনে অন্তত একবার হলেও হজ করার বিধান রয়েছে।

মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে হজ করতে পারেন, সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এবার তারা হজ করার জন্য অনুমতির বিষয়টি আবশ্যিক করে দিয়েছে।

;

সৌদিগামীদের উমরা পালনের সুযোগ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য উমরার ভিসা ইস্যু বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব। দেশটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের জন্য হজ ভিসা ইস্যু শুরু করেছে। আর যেসব যাত্রীর উমরা ভিসা রয়েছে তারা ৮ মে পর্যন্ত দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। কিন্তু তাদেরকে অবশ্যই ২৯ জিলকদ (৬ জুন) এর মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে।

এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবগামীদের জন্য নতুন সুসংবাদ দিয়েছে দেশটি। এখন থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে উমরা পালন করা যাবে। গত ২৪ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর বার্তায় দেশটির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

তাতে বলা হয়, যেকোনো ভিসা নিয়ে যেকোনো দেশ থেকে এলে সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে উমরা পালন করতে পারবেন। আপনার ভিসা যে ধরনেরই হোক, আপনি উমরা করতে পারবেন। চাই তা ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার ও ই-ভিসা হোক, তা দিয়ে উমরা করতে কোনো বাধা নেই।

পবিত্র হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। গত ২৪ এপ্রিল থেকে দেশটির স্থানীয় বাসিন্দা ও সেখানে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের হজের অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়। এতে আবাসন সুবিধা বিবেচনায় ৪ হাজার ৯৯ সৌদি রিয়াল থেকে শুরু করে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়াল পর্যন্ত চারটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

সৌদি আরব গত বছর থেকে উমরা-সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সৌদি আরবের নেওয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে উমরা ভিসার মেয়াদ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা, স্থল, বিমান ও সমুদ্রপথের যেকোনোটির মাধ্যমে মুসল্লিদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য পুরুষ অভিভাবক সঙ্গে রাখার বাধ্যবাধকতা বাতিল করা। উমরা ভিসায় সৌদি আরব ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া।

এ ছাড়া দেশটি উমরার অনুমতি পেতে আগ্রহীদের নুসুক অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং মসজিদে হারাম ও নববিতে পালনীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় মেনে চলতে উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম, বিশেষ করে যারা শারীরিক বা আর্থিক কারণে হজ পালনে আসতে পারেন না, তাদের উমরা পালনের সুযোগ করে দেওয়াই এসব উদ্যোগের লক্ষ্য।

;

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

রবের প্রিয় বান্দা হওয়ার সহজ উপায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আল্লাহর তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়ার মাধ্যম হলো তার মহান হুকমগুলো পালন করা। তার হুকুমগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম হুকুম হলো নামাজ। আর এই নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে নফল নামাজ বান্দাকে আল্লাহর এতটা প্রিয় করে তোলে যে, সে যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাই তখন মহান আল্লাহ তাকে ফিরিয়ে দেন না। বরং তার চাওয়াকে পাওয়াতে রুপান্তরিত করে দেন ।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।

আমি যা কিছু আমার বান্দার ওপর ফরজ করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নিই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে।

আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কিছু চাই, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই।

আমি কোনো কাজ করতে চাইলে তা করতে কোনো দ্বিধা করি না, যতটা দ্বিধা করি মুমিন বান্দার প্রাণ নিতে। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি। (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)

তাই যেকোনো সংকটপূর্ণ অবস্থায় কিংবা যেকোনো প্রয়োজনীয় মুহূর্তে নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করা। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের জন্য উচিত হলো, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারই কাছে ফেরা। তাতে মহান রবের ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জন হবে ইনশাআল্লাহ ।

খুব গুরুত্ব সহকারে ফরজ ও সুন্নত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায় করা। আর নাবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ (নফল) নামাজ আদায় করাকে সর্বোত্তম আমল বলে আখ্যা দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনু হুবশী আল-খাস’আমী রা. সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বোত্তম কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৪৯)

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর হুকুমগুলো আদায়ের মাধ্যমে, তাঁর প্রিয় বান্দা হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন।

;

হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট আগামী ৯ মে থেকে শুরু হবে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি ফ্লাইট শিডিউল।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান এতথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। দ্রুতই যাত্রীদের ফ্লাইট শিডিউল জানানো হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এক লাখ ১৯ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রীকে বহন করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সৌদিয়া) ও সৌদির বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মোট ৩৩৫ হজ ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা করে। চুক্তি অনুযায়ী, মোট হজযাত্রীর অর্ধেক বহন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক বহন করে সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার। এবারও এই তিন এয়ারলাইনস হজযাত্রীদের বহন করবে।

চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি কোটা নির্ধারণ করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে গাইড ও মোনাজ্জেমসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

এদিকে, পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হজ এজেন্সির মালিকেরা। তাই সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দ্রুত সকল প্রতিবন্ধকতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এজেন্সি মালিকেরা।

;