রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াতে লাভ

  • মো. নেয়ামতুল্লাহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তারাবি শেষে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার একটি মসজিদে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করছেন নারীরা, ছবি : সংগৃহীত

তারাবি শেষে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার একটি মসজিদে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করছেন নারীরা, ছবি : সংগৃহীত

কোরআন মাজিদে আল্লাহতায়ালা পবিত্র রমজান মাসের পরিচয় দিয়েছেন, ‘রমজান মাস, যে মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে।’ -সুরা বাকারা : ১৮৫

রমজান মাস হলো- কোরআনের মাস। কোরআনের সঙ্গে এ মাসের সম্পর্ক অনেক গভীর। রমজানের প্রতি রাতেই হজরত জিবরাইল (আ.) রাসুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং তারা একে অপরকে কোরআন শোনাতেন। -সহিহ বোখারি : ৬

বিজ্ঞাপন

কোরআন তেলাওয়াত সব ঈমানদারের সব সময়ের আমল। তবে রমজান মাসে এর গুরুত্ব আরও বেশি। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়িন এবং বুজুর্গানে দ্বীন সবাই রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তাদের অনেকেই রমজানের অধিকাংশ সময় কোরআন তেলাওয়াতে কাটাতেন। দিনে স্বাভাবিকভাবে তেলাওয়াত করতেন। আর রাতে তারাবি ও নফল নামাজে তেলাওয়াত করতেন। তাদের অনেকে দৈনিক এক খতম কোরআন তেলাওয়াত করতেন। অনেকে তো দৈনিক দুই খতমও পড়তেন। কেউ বিশ রাকাতে, কেউ দুই রাকাতেই পূর্ণ কোরআন খতম করতেন। এভাবে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যেই কাটতো তাদের রমজানের দিনরাত।

এক্ষেত্রে নারীরাও পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন না। নারীদের অনেকে ছিলেন, যারা দৈনিক এক খতম কোরআন তেলাওয়াত করতেন। কোরআন তেলাওয়াতের ব্যাপারে তাদের মধ্যে ছিল প্রতিযোগিতা। আল্লাহতায়ালা তাদের সময় ও সক্ষমতায় বরকত দান করেছিলেন।

কোরআনের মাসে আমাদের পরিবারগুলোও যেন জীবন্ত থাকে কোরআনে কারিমের তেলাওয়াতে। আমাদের দিনরাত যেন কাটে তেলাওয়াত-নিমগ্নতায়। যেন গড়ে উঠে তেলাওয়াতের মাঝে প্রতিযোগিতার পরিবেশ।

মনে রাখতে হবে, কোরআন রোজাদারের জন্য সুপারিশ করবে। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘রোজা এবং কোরআন কেয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও প্রবৃত্তির চাহিদা মেটানো থেকে বিরত রেখেছি; সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। কোরআন বলবে, আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি; সুতরাং আমার সুপারিশ কবুল করুন। তখন দুজনের সুপারিশই গ্রহণ করা হবে।’ -মুসনাদে আহমাদ : ৬৬২৬

তাই আমাদের উচিৎ হলো- বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা। সুরা বাকারার ১৮৫ নম্বর আয়াতে এসেছে, রমজান মাসে কোরআন মাজিদ অবতীর্ণ হয়েছে। তাই এ মাসে কোরআন তেলাওয়াতের প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়া কর্তব্য।

হাদিসে এসেছে, হজরত জিবরাইল (আ.) রমজানের প্রতি রাতে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে আসতেন এবং হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে কোরআন তেলাওয়াত করে শোনাতেন। -সহিহ বোখারি : ১৯০২