মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদীর ইন্তেকাল
![মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী, ছবি : সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Jan/19/1705677476308.jpg)
মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী, ছবি : সংগৃহীত
বিশিষ্ট আলেম, লেখক ও অনুবাদক মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮২। তার মৃত্যুর সংবাদে আলেম সমাজে শোকের ছায়া নেমে আসে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) আসরের নামাজের পর তিনি আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ইন্তেকাল করেন। রাতে এশার নামাজের পর মিরপুর জামিয়া হোসাইনিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে মিরপুর ১১-এর জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে দাফন করা হবে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি রাতে তিনি স্ট্রোক করেন। এরপর তাকে আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
দুই মেয়ে, তিন ছেলের জনক মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী আল-আযহারী গণভবন ও সচিবালয় মসজিদের ভূতপূর্ব ইমাম ও খতিব। তিনি বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদাররেসিনের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সভাপতি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লেখক, গবেষক ও সম্পাদক। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
প্রাজ্ঞ লেখক হিসেবে তার বিশেষ সুনাম রয়েছে। তিনি ১৯৪২ সালের ২৯ মে শুক্রবার, সিলেটের টুকেরবাজার এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। বিভিন্ন দৈনিক ও মাসিক পত্রিকায় তার শত শত প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। তার লিখিত, অনূদিত, সম্পাদিত পুস্তকাদির সংখ্যা শতাধিক। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৬ সালে উচ্চতর ইমাম ট্রেনিংয়ের জন্য সর্বপ্রথম যে দলকে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিল, তিনি ছিলেন ওই দলের অন্যতম সদস্য।
সদালাপী হিসেবে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। আলেম সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল প্রশ্নাতীত। দীর্ঘ জীবনে তিনি আল্লামা যফর আহমদ উসমানি (রহ.) ও মুজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.)-সহ অসংখ্যা আলেমের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন।
তার লিখিত গ্রন্থের অন্যতম হলো- বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতা ও ইসলামপ্রীতি, রাসুলুল্লাহর পত্রাবলি সন্ধি চুক্তি ও ফরমানসমূহ, মাওলানা আজাদের তাফসির ২ খণ্ড (১০০০ পৃ.), রাসুলুল্লাহর হজ ও উমরা অন্যতম। তিনি ১৯৭৮-২০১৬ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৮ বছর মহানবী স্মরণিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।