কখন কোথায় ঈদ জামাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় এদিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এবার পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে এই জামাত সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। 

প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল আজহায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। 

এরপর সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টায় ও সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ঈদ জামাত হবে।

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার টানেলে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, হুইপবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ-সদস্যবৃন্দ ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীসহ মুসল্লীরা এই জামাতে অংশ নেবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৮টায় ও দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে সকাল ৮টায়, ফজলুল হক মুসলিম হলের পূর্ব পাশের খেলার মাঠে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ও আজিমপুরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত আয়োজনে কয়েক বছর ধরে শোলাকিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান। আয়োজকদের দাবি, প্রায় ২২ একর আয়তনের এ মাঠে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষ সেখানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে কোরবানির ঈদের জামাত হবে।

আরামবাগের দেওয়ানবাগে জামাত হবে সকাল ৮টায়। সায়েদাবাদ চিশতিয়া সাইদিয়া দরবার শরীফ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, মিরপুরে ফুরফুর দরবার মসজিদ কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ৭টায় জামাত হবে।

ধানমণ্ডির সোবহানবাগ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, ১২ নম্বর রোডে অবস্থিত তাকওয়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, ৬ নম্বর রোডের ঈদগাহ জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান জামে মসজিদে সকাল ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া মিরপুর ১২ নম্বরের ‘এ’ ব্লকের হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠে সকাল সোয়া ৭টায় ঈদ জামাত হবে।

বকশীবাজার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সকাল ৮টায়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মারকাজুল ফিকরি ইসলামীতে সকাল ৭টায়, সি-ব্লকের উম্মে কুলসুম জামে মসজিদে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে, এফ ব্লকের জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, জি ব্লকের বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে, কে ব্লকের মদিনাতুল উলুমে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে এবং এন ব্লকের ফকিহুল মিল্লাত জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে।

কাজলারপাড় ভাঙ্গাপ্রেস এলাকার বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে সকাল ৯টায়, খিলগাওয়ের পল্লীমা সংসদ ময়দানে সকাল সাড়ে ৭টায়, লক্ষ্মীবাজারের মিয়া সাহেব ময়দা শাহ বাড়ি জামে মসজিদে সকাল ৭টায় ও নূরাণী জামে মসজিদে ৮টায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।

মগবাজার বিটিসিএল মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, মিরপুর দারুস সালামের মাদবর বাড়ি মসজিদে সকাল ৭টায়, কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত হবে।

এছাড়া আগারগাঁওয়ের দারুল ঈমান মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, কৃষি বাজার তাহেরীয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, মোহাম্মদপুরের মসজিদ-এ-তৈয়্যেবিয়ায় সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হবে জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে।

মঙ্গলবার জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দান পরিদর্শন শেষে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম জানান, কেন্দ্রীয় ঈদের জামাতের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।

সকাল সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টায় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে প্রধান দুটি ঈদ জামাত হবে। পাশাপাশি ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে আলাদা ঈদ জামাত হবে।

সিটি মেয়র জানান, স্বাভাবিক বৃষ্টিতে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে নামাজ বিঘ্নিত না হওয়ার জন্য মসজিদের আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। বৃষ্টি হলে পানির ঝাপটা থেকে বাঁচতে স্টেজের চারপাশে কাপড়ের পর্দা দেওয়া হবে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের ভিতরে জামাত হবে।

এবারের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম হাফেজ মৌলানা আহমদুল হক।

নগরীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে সকাল সাড়ে ৭টায় আটটি মসজিদে ঈদ জামাত হবে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহম্মেদ।

এগুলো হলো- লালদীঘি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদে, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ।

ঈদের দিন সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এমএ আজিজ সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে ঈদের জামাত হবে।

বরিশাল

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহম্মেদ জানিয়েছেন, নগরীতে প্রধান ঈদ জামায়াত হবে সকাল ৭টায় নগরীর হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠে।

সাড়ে ৭টায় আমতলা মোড়ে বরিশাল ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদে হবে দ্বিতীয় প্রধান জামাত।

জেলার সবচেয়ে বড় জামাত হবে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের চরমোনাই পীরের দরবার শরীফে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে এই জামাত হবে।

এছাড়া উজিরপুরের গুটিয়ার নান্দনিক বায়তুল আমান মসজিদ কমপ্লেক্সে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে। দুইটি করে জামাত হবে নগরীর বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ, জামে এবাদুল্লাহ মসজিদ ও জামে কসাই মসজিদে।

নগরীর বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের খতিব ও মাওলানা আব্দুল কাদের জানান, সকাল ৮টায় সেখানে প্রথম জামাত হবে। দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়।

গির্জামহল্লার জামে কসাই মসজিদে সকাল ৭টায় সেখানে প্রথম জামাত এবং সকাল ৯টায় দ্বিতীয় জামাত হবে। চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে সকাল ৮টা ও সাড়ে ৯টায় দুটি জামাত হবে।

নগরীর আলেকান্দা নূরিয়া স্কুল মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং সাড়ে ৮টায় দুটি ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। চৌমাথা মারকাজ মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম বলেন, জেলায় মোট ৮ হাজার ৭৩৪টি মসজিদ রয়েছে, এদের মধ্যে ৮ হাজার মসজিদেই ঈদ জামাত হবে।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ জেলার প্রায় আড়াই হাজার স্থানে ঈদুল আজহার জামাত হবে। প্রধান জামাত হবে সকাল ৮টায় নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে।

একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল পৌনে ৯টায়। সেই লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক তৌহিদুল আনোয়ার।

এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদে সকাল ৮টায় প্রথম জামাত, সকাল সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় জামাত হবে। আকুয়া মার্কাজ মসজিদের মাঠে সকাল ৭টায়, ময়মনসিংহ মার্কাজ মসজিদে সকাল ৮টায়, গাঙ্গিনারপাড় জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মাঠে সকাল ৮টায়, ভাটিকাশর জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ও জেলাখানা মসজিদে সকাল ৮টায় জামাত হবে। এছাড়া জেলার ৭৩টি স্থানে বড় পরিসরে ঈদের জামাত হবে।

রাজশাহী

রাজশাহীতে এবার ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে, সকাল ৮টায়। তবে বৃষ্টি হলে বা আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে একই সময় ঈদের প্রধান জামাত হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগাহ জামে মসজিদে। মানুষ বেশি হলে ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে দরগা মসজিদে পর পর দুটি জামাত হবে।

রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাতও হবে সকাল ৮টায়, মহানগর ঈদগাহে (টিকাপাড়া)। বৃষ্টি হলে একই সময়ে পাশেই থাকা টিকাপাড়া মোহাম্মপুর জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে ঈদের জামাত হবে। এছাড়া সকাল ৮টায় মহানগরীর তৃতীয় বড় ঈদ জামাত হবে বড় মসজিদ সংলগ্ন সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে।

এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে সকাল ৭টায় ঈদ জামাত হবে।

সিলেট

সিলেটে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত হবে নগরীর শাহী ঈদগাহ ময়দানে। একই সময়ে সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে।

শাহজালালের দরগাহ মসজিদে সকাল ৮টায় হবে ঈদ জামাত। এছাড়া নগরীর ছোট-বড় আরও তিন হাজার ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদ জামাতের আয়োজন থাকছে।

খুলনা

প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ।

আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে খুলনা টাউন জামে মসজিদে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

টাউন জামে মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।

খুলনা আলিয়া মাদরাসা মডেল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত বায়তুন নূর মসজিদে সকাল সোয়া ৮টা ও সোয়া ৯টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে সকাল সোয়া ৭ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রংপুর

প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় কালেক্টরেট ঈদগাহে। ঈমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা হাফিজুল ইসলাম। আবহাওয়া খারাপ হলে ঈদের প্রধান জামাত হবে রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টায়। সেখানে ৯টায় হবে দ্বিতীয় জামাত।

এছাড়া মুন্সিপাড়া ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়, হজরত মাওলানা কেরামত আলী মাজার সংলগ্ন কেরামতিয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায়, মণ্ডল পাড়া বড় ঈদগাহ ও দামোদরপুর বড় ময়দানে সাড়ে ৯টায়, মিঠাপুকুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ৯টায়, বদরগঞ্জ চান্দামাড়ি কারামতিয়া ঈদগাহে সকাল ১০টায়, পীরগাছা জেএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, কাউনিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, তারাগঞ্জ চৌপথি ঈদগাহ, পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও সদর উপজেলা পরিষদ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত হবে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, গঙ্গাচড়ার পাইকান বড় জুম্মা মসজিদ মাঠে সকাল ৯টায়, ধাপ স্টাফ কোয়াটার জামে মসজিদ মাঠে এবং বুড়িরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৯টায়, বুড়িরহাট মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত হবে।

   

বর্ণবাদ থেকে মুসলমানদের রক্ষায় পিছিয়ে জার্মানি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বর্ণবাদ থেকে মুসলমানদের রক্ষায় পিছিয়ে জার্মানি, ছবি : সংগৃহীত

বর্ণবাদ থেকে মুসলমানদের রক্ষায় পিছিয়ে জার্মানি, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘৃণা ও বৈষম্যের ক্রমবর্ধমান ঘটনার মধ্যে বর্ণবাদ থেকে মুসলমানদের ও মুসলমান বলে মনে করা লোকদের রক্ষা করতে জার্মান সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। জার্মানি মুসলিমবিরোধী অপরাধের কার্যকর নীতিমালা নেই। সরকারের নেই কোনো নজরদারি ও তথ্য। এর ফলে ভুক্তভোগীরা প্রতিকার পেতে আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইউরোপে বর্ণবাদের ওপর গবেষক আলমাজ টেফেরা বলেছেন, মুসলিমদের ঘৃণা ও বৈষম্য থেকে রক্ষা করতে জার্মান সরকারের ব্যর্থতার কারণ মুসলিমদের ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতা।

মুসলমানরা কী কারণে বর্ণবাদ অনুভব করছে যা শুধু কেবল বিশ্বাসভিত্তিক শত্রুতা নয়। জার্মানিতে মুসলিমবিরোধী ঘৃণা, বৈষম্য, বিভিন্ন নির্যাতনের ঘটনা এবং মুসলিমদের ডাটা সম্পর্কে স্পষ্ট বোঝাপোড়া ছাড়া জার্মান কর্তৃপক্ষের যেকোনো প্রচেষ্টা অকার্যকর হবে।

২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৯ মাসে মুসলিম ঘৃণামূলক অপরাধের পরিসংখ্যানে ৬৮৬টি ‘ইসলামবিরোধী’ অপরাধ গণনা করা হয়েছে। ২০২২ সালে ১২ মাসে তা ছিল ৬১০টি।

২০২৪ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে- অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সঙ্কট সৃষ্টি হলে অক্টোবর থেকে মুসলিম বিরোধী ঘটনা বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করেছে জার্মান নাগরিক সমাজের দলগুলো।

জার্মানিতে বাস করা প্রায় ৫৫ লাখ মুসলমানের অনেকেই বলছেন, তারা প্রতিদিন ইসলামবিদ্বেষের মুখোমুখি হন৷ যদিও জার্মানির সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া আছে৷

জার্মানির সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ মুসলিমের মহাসচিব আব্দুস সামাদ আল ইয়াজিদি বলছেন, ইসলামবিদ্বেষ বিষয়টি জার্মান সমাজের মূলধারায় ঢুকে গেছে৷ অর্থাৎ এটি অনেকটা গ্রহণযোগ্য হয়ে গেছে, যা প্রকাশ্যে প্রকাশ করা যায় বলে মনে করেন তিনি৷

তিনি জার্মানিতে মুসলমানদের বিষয় দেখাশোনা করার জন্য একজন কমিশনার নিয়োগ দিতে জার্মানির কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷

;

সরকারি কাজে হিজাব পরা ছবির অনুমোদন দিল রাশিয়া



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সরকারি কাজে হিজাব পরা ছবির অনুমোদন দিল রাশিয়া, ছবি : সংগৃহীত

সরকারি কাজে হিজাব পরা ছবির অনুমোদন দিল রাশিয়া, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার সরকার হিজাব সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতিমালা শিথিল করেছে। ফলে এখন থেকে বিদেশি নাগরিকরা রাশিয়ার নাগরিকত্ব আবেদন, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাসপোর্ট ও বিভিন্ন সরকারি নথিতে হিজাব পরা ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় এই সংবাদ নিশ্চিত করেছে।

রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরটি জানিয়েছে, আগামী ৫ মে থেকে এই আইন কার্যকর হবে। এর দশ দিন আগে এই আইনের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, যেসব মানুষ ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে অপরিচতদের সামনে মাথা খোলা রেখে আসতে পারেন না, তারা শুধুমাত্র মুখমন্ডলের ছবি দিলেই চলবে।

তবে রাশিয়ায় ইতোমধ্যেই স্থানীয় মুসলিম নারীরা ওয়ার্ক পারমিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট বা অন্যান্য সরকারি নথিতে হিজাব পরিহিত ছবি ব্যবহার করতে পারেন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বিইসুলতান খামাজেইভ বলেন, এই নতুন আইনের মাধ্যমে বিশ্বাসীরা তাদের ধর্মীয় অনুশাসন সহজেই মানতে পারবেন। সেই সঙ্গে মুখমন্ডলের ছবির মাধ্যমেই মনিটরিং সিস্টেমে তাদের তথ্য রাখতে পারবে সরকার।

ইউরোপের সব দেশের বিবেচনায় রাশিয়ায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলমানের বসবাস। দেশটিতে মুসলমানদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ। ১৯৯৭ সালে ইহুদি, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি ইসলামকেও রাশিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রায় ১৬ কোটি রুশ নাগরিকের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। শুধু মস্কোতেই ১০ লাখ মুসলমানের বসবাস। বর্তমানে ‘ইসলাম’ রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম।

বিগত দুই দশক রাশিয়ায় নতুন করে প্রায় আট হাজার মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। রাজধানী মস্কোতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে চারটি বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন মসজিদ কমপ্লেক্স। মস্কো ক্যাথিডাল মসজিদ তো এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এতে রয়েছে গ্রন্থাগার, হল রুম, মুসলিম মিউজিয়াম ও প্রদর্শনী গ্যালারি, যাতে ১০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে। এখানে ঈদের নামাজে প্রায় তিন লাখ মানুষের সমাগম ঘটে।

;

অবৈধ হজযাত্রী ঠেকাতে যে উদ্যোগ নিচ্ছে সৌদি আরব



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সৌদি আরবের হজ বিষয়ক মন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রীর হাতে নুসুক কার্ডের একটি কপি তুলে দিচ্ছেন, ছবি : সংগৃহীত

সৌদি আরবের হজ বিষয়ক মন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রীর হাতে নুসুক কার্ডের একটি কপি তুলে দিচ্ছেন, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈধ ও অবৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবারের হজ মৌসুমে প্রত্যেককে আলাদা করে একটি ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হবে। মূলত, অনুমোদন ছাড়া হজপালন নিরুৎসাহিত করতেই দেশটির এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।

অত্যাধুনিক এ কার্ড ছাড়া হজের পবিত্র স্থানগুলোতে চলাফেরায় কঠোর নিয়ম করা হচ্ছে। মক্কার হজের ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে প্রবেশকালে কার্ডটি বহন করা বাধ্যতামূলক। হজবিষয়ক জরুরি দুটি অ্যাপ ‘নুসুক’ ও ‘তাওয়াক্কালনা’-এর মধ্যে কার্ডটির ডিজিটাল ভার্সন পাওয়া যাবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি হজযাত্রীদের প্রথম দলটি সৌদি আরবে পৌঁছাবে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে। ঠিক তার আগেই অবৈধ বিদেশি হজযাত্রীদের রুখতে এই উদ্যোগ নিল দেশটি।

সৌদি আরবের হজ বিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক আল-রাবিয়া গত ৩০ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নুসুক’ কার্ড দেওয়ার প্রকল্প শুরু করেন। এ সময় তিনি ইন্দোনেশিয়ার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী ইয়াকুত কালিল কওমাসকে ‘নুসুক’ কার্ডের একটি কপি তুলে দেন।

এ বছর ইন্দোনেশিয়া থেকে দুই লাখ ৪১ হাজারের বেশি হজযাত্রী হজপালন করবেন। প্রতিবারের মতো এবারও দেশটির হজযাত্রীরা প্রথম হজ কাফেলা হিসেবে সৌদি আরবে প্রবেশ করবেন।

ডিজিটাল এই নুসুক কার্ডে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় সব তথ্য থাকবে এবং হজের জন্য পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে চাইলে এই ডিজিটাল কার্ড অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া হজের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনেও বিভিন্ন জায়গায় এই ডিজিটাল কার্ড দেখাতে হবে।

সংশ্লিষ্ট দেশের হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যুর পর কার্ডটি সংশ্লিষ্ট হজ অফিস বিদেশি হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করবেন এবং হজ পারমিট ইস্যুর পর স্থানীয় সৌদি হজযাত্রীরা দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

এর আগে গত মাসে এক বিবৃতিতে হজ করার ক্ষেত্রে অনুমোদনকে বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের শীর্ষ আলেমদের একটি সংগঠন। ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ নামে সংগঠনটি জানিয়েছে, যারা অনুমতি ছাড়া হজ করতে যাবেন তাদেরকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও যারা হজ করবেন তারা এরমাধ্যমে পাপ করবেন।

এ ছাড়া সৌদি সরকার দেশটির সব হজ পালনকারীদের জন্য ‘সেহাতি’ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কোভিড, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও মেনিনজাইটিসের টিকার রেকর্ড উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক করেছে।

সরকারি আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালে এই সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনের অন্তত এক ডোজ ও গত ৫ বছরের মধ্যে মেনিনজাইটিস ভ্যাকসিনের একটি ডোজের রেকর্ড উল্লেখ করতে বলেছে।

আসন্ন হজের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী ৬ জুনের (২৯ জিলকদ) মধ্যে উমরা যাত্রীদের সৌদি আরব ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয়ের পূর্বঘোষণা অনুসারে, দেশটি গত ১ মার্চ থেকে হজের ভিসা ইস্যু করা শুরু করে গত ২৯ এপ্রিল (২০ শাওয়াল) এ কার্যক্রম শেষ করেছে।

আগামী ৯ (১১ জিলকদ) থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৪ জুন পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু হবে।

;

অপরূপ প্রকৃতির মাঝে দৃষ্টিনন্দন এক মসজিদ



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ, শ্রীমঙ্গল, ছবি : সংগৃহীত

জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ, শ্রীমঙ্গল, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবুজ বনানী, পাহাড় আর চা বাগানের অপরূপ দৃশ্য মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলকে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচয় করিয়েছে। পর্যটকদের আনাগোনা থাকে এখানে। শ্রীমঙ্গলে অনেকেই দেখতে আসনে পাহাড়ের মাঝে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ।

শ্রীমঙ্গলের গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের বিপরীত পাশের রাস্তা দিয়ে সামনে দিকে গেলেই দেখা মিলবে মসজিদটির। জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদের প্রবেশদ্বার পেরিয়ে প্রথমে খাতায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর পর সুযোগ মিলবে তা পরিদর্শনের।

শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশ, নেই কোনো কোলাহল। দূর থেকে দেখা যায়, সবুজের মাঝে সিঁড়ির লাল আর সাদা রঙের মিশ্রণ। শতাধিক সিঁড়ি। এই সিঁড়ি বেয়েই আপনাকে ওপরে ওঠতে হবে। চারদিকে সবুজ পাহাড়ঘেরা নৈসর্গিক পরিবেশ। রয়েছে সারি সারি চা বাগান। গুনে গুনে ১৫০ সিঁড়ি পাড়ি দিয়ে তবেই পৌঁছতে হবে মসজিদে।

জান্নাতুল ফেরদৌস নামে পরিচিত মসজিদটির নাম ‘মসজিদুল আউলিয়া খাজা শাহ্ মোজাম্মেল হক (রহ.)। ‘মসজিদটি নিয়ে মানুষের আকর্ষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর স্থাপত্যশৈলী আর অবস্থান।

প্রায় ১৯ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হয় জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদটি। সমতল থেকে প্রায় ৭০-৮০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মসজিদটি। চারপাশে রয়েছে, নানা রকমের গাছগাছালি। আছে লেবু ও আনারস বাগান। সবুজের সমারোহ চমৎকার পরিবেশ তৈরি হয়েছে মসজিদ ঘিরে। চারদিকে ঝিঁঝি পোকার ডাক আর নাম না-জানা পাখিদের কিচিরমিচির এক অন্যরকম পরিবেশের তৈরি করেছে।

খাজা শাহ্ মোজাম্মেল হক (রহ.) ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত এই মসজিদটিতে প্রায় ৮০০ লোক একসঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের সৌন্দর্যবর্ধনে এর চারপাশে লাগানো হয়েছে নানা জাতের ফুলগাছ। এর গঠনশৈলীও চমৎকার। তুর্কি স্থাপত্যের আদলে নির্মিত মসজিদটির ভেতরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন এক ঝাড়বাতি, যা আনা হয় সুদূর চীন থেকে।

মসজিদের সামনের অংশ

দর্শনীয় এই মসজিদটি নির্মাণ করেন খাজা টিপু সুলতান। টিপু সুলতান ছিলেন খাজা শাহ্ মোজাম্মেল হক (রহ.)-এর সাহেবজাদা। এই খাজা শাহ্ মোজাম্মেল হক (রহ.) আবার ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক সুফি-সাধক খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরীর (রহ.) উত্তরসূরি।

মসজিদটির প্রাঙ্গণে আছে দুটি গেস্টহাউস এবং একটি চিকিৎসাকেন্দ্র। এই চিকিৎসাকেন্দ্রে সপ্তাহের ছয় দিন গরিব মানুষদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া এখানে আছে একটা হেলিপ্যাড। গেস্টহাউসটি মূলত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদের বিশ্রামের জন্য ব্যবহৃত হয়।

মসজিদের পাশেই রাখা হয়েছে কবরস্থানের জায়গা। শ্রীমঙ্গলে আগত পর্যটকরা একবার হলেও এখানে এসে ঘুরে যায়। এ ছাড়া প্রতিবছর ২৪ নভেম্বর এ মসজিদ ঘিরে আয়োজন করা হয় বার্ষিক ওরস মাহফিলের।

এই সিঁড়ি বেয়েই আপনাকে ওপরে ওঠতে হবে

জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদটি দেখতে প্রথমে আপনাকে আসতে হবে শ্রীমঙ্গল শহরে। গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের বিপরীত পাশের রাস্তা দিয়ে আসতে হয় এখানে। সিলেট শহর থেকে কিংবা গ্র্যান্ড সুলতানের সামনে থেকে সিএনজি বা ইজিবাইক রিজার্ভ করে যেতে পারেন। শহর থেকে যাওয়া-আসা ভাড়া প্রায় তিন থেকে চারশ টাকা। গ্র্যান্ড সুলতানের সামনে থেকে গেলে ভাড়া কিছু কম পড়বে। অটোরিকশা দিয়েও যেতে পারেন। চারপাশের মনোরম পরিবেশ দেখতে দেখতে পৌঁছতে পারবেন।

;